Thursday, March 5, 2020

হিন্দু অসহায় সম্মােহিতের মতাে অজগরের গ্রাসে বিলুপ্তির পথে।

কেন হিন্দু অপর ধর্ম - সম্প্রদায়গুলির আগ্রাসনের স্বাভাবিক লক্ষ্য ?

পৃথিবীতে প্রধান ও বিশাল তিনটি ধর্ম-সম্প্রদায় হিন্দু, ইসলাম ও খ্রীস্টান। হিন্দু বলে ‘সত্য বা ঈশ্বর এক, তার কাছে পৌঁছানোর অসংখ্য পথ, সব পথেই তার কাছে পৌঁছানো যায়।' বললেও ইসলাম ও খ্রীস্টান দর্শন তা বলে না। ইসলাম বলে একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কোনাে উপাস্য মাই, যারা অবিশ্বাসী তারা সীমা লঙ্ঘনকারী (কাফিরুন)। তাদের জন্য কঠিন শাস্তি রয়েছে। ইসলামই একমাত্র আল্লাহর ধর্ম। ওকে ইসলামে পরিণত করাই তাদের উদ্দেশ্য। আমরা দেখেছি পৃথিবীর যেখানেই তারা গেছে ধর্মন্মােত্তের মতাে প্রবেশ করেছে; সেখানের কৃষ্টি, সংস্কৃতি,ধর্ম, ইতিহাস, সব ধ্বংস করে ইসলাম ধর্মকে প্রতিষ্ঠা করেছে। ভারতেও তাদের প্রবেশ ও অধিপত্যকালের দীর্ঘ ইতিহাস হিন্দুর মন্দির প্রতিমা ধ্বংস, হিন্দুনারীহরণ-ধর্ষণ, হিন্দু নিধন, ছলে-বলে-কৌশলে হিন্দুর ইসলামিকরণের সাক্ষী দেয়। এখনও চলছে সেই প্রক্রিয়া।

খ্রীস্টরাও অপর ধর্মমত স্বীকার করে না। তারাও বলে খ্রীস্ট ধর্মই প্রকৃত ধর্ম, খ্রীস্টরাই কেবলমাত্র মুক্তি পাবে, যারা একথা বিশ্বাস করে না তারা ঈশ্বরহীন পশু, তাদের প্রতি বর্ষিত হবে ঈশ্বরের ক্রোধ। তারাও অস্ত্র আর অর্থের বলে বলীয়ান হয়ে ধর্মের ধ্বজা উড়িয়েছে পৃথিবীতে স্বামী বিবেকানন্দের ভাষায় হিন্দুস্থানে তাদের অবদান তিনটি ব’; বাইবেল, বেয়নেট আর ব্রান্ডি। এই দুই ধর্মসম্প্রদায়ই মনে করে সমস্ত পৃথিবীকে তাদের ধর্মে দীক্ষিত করা তাদের কর্তব্য।

ইসলাম ও খ্রীস্টান তাদের জন্মলগ্ন থেকেই অপর ধর্মসম্প্রদায়ের মানুষকে ছলে-বলে-কৌশলে নিজ ধর্মে দীক্ষিত করে ধর্ম-প্রচার ও বিস্তারে নিয়ােজিত। ফলে জন্ম থেকে দু-হাজার বৎসরে খ্রীস্টধর্ম ও চৌদ্দশ বৎসরে ইসলাম পৃথিবীর প্রথম ও দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মসম্প্রদায়। উভয় ধর্মসম্প্রদায়ই সু-সংগঠিত। নিজ নিজ ধর্মের প্রচার ও বিস্তার ঘটানাে তাদের প্রধান কর্মসূচির অঙ্গ। উভয় ধর্মেই ধর্ম প্রচারকরা সংগঠিত শক্তি ও অর্থের বলে পৃথিবীর সমস্ত প্রান্তেই ধর্ম বিস্তারে সচেষ্ট।

অপর দিকে হিন্দুজাতি ভেদাভেদপূর্ণ অসংখ্য সম্প্রদায়, উপ-সম্প্রদায়ে বিভক্ত। বিচ্ছিন্ন চিন্তা এ জাতিকে ঐক্যবদ্ধ হিন্দু জাতি গঠন তাে দূরের কথা, তা ভাবার সুযােগ টুকুও দেয় না। হিন্দুধর্মের বিস্তার ঘটানাে অলীক কল্পনা, হিন্দু জাতিকে রক্ষার কথাও হিন্দু ভাবে না। না আছে হিন্দুর প্রচারক, না আছে সংগঠক। সার্বিক হিন্দু জাতির চিন্তার জন্যও কেউ নাই; যারা চিন্তা, করে, কিছু করতে চায়, তাদের কথা হিন্দু শোনে না। আত্মাভিমানহীন, আত্মবিস্মৃত, অসংগঠিত, ক্ষাত্ৰতেজহীন, অভিভাবকহীন হিন্দু জাতি তাই আগ্রাসী ধর্মসম্প্রদায়গুলির আগ্রাসন ও ধর্ম বিস্তারের স্বাভাবিক লক্ষ্য। হিন্দুর দুর্বলতার স্থানগুলাে খুঁজে নিয়ে হিন্দুকে আঘাত ও হিন্দুর ইসলাম ও খ্রীস্টানীকরণে তৎপর তারা। আর হিন্দু অসহায় সম্মােহিতের মতাে অজগরের গ্রাসে বিলুপ্তির পথে।
https://www.facebook.com/groups/590050411814603/

No comments: