Saturday, April 25, 2020

তিতুমীরের_আসল_সত্য



তিতুমীরের_আসল_সত্য
ছোটোবেলায় খুব সম্ভবত ক্লাস ৪ কি ৫ এ একটা গল্প পড়তে হত বাঁশের কেল্লা নামে! স্বাভাবিক। তখন বামফ্রন্টের আমল! বাম না বলে বামাতি বলাই ভালো। প্রত্যেক শাসকগোষ্ঠীই চায় শিশুদের মস্তিষ্কে তাদের আইডিওলোজি ঢুকিয়ে দিতে। ওরাও তার ব্যতিক্রম ছিলো না। যে কারণে তীতুমীর কে রীতিমতো স্বাধীনতা সংগ্রামী বানিয়ে হিরো ওয়ারশিপের ব্যবস্থা করা হয়েছিল আরকি! 

তো সেইসময় গল্পটা পড়তে গিয়ে একটা খচখচানি হত। এত বড় বীর ‚ এত বড় যোদ্ধা ! কিন্তু ছাগলের মতো বাঁশের কেল্লা বানিয়ে কামানের বিরুদ্ধে লড়তে গেলো কেন?  যদিও বড় হয়ে এর উত্তর ভালোভাবে পেয়ে গেছিলাম- মক্কা থেকে ফেরার পর তীতুমীরের ফাজলামি দেখে আম পাবলিক ওকে  যে পরিমাণ বাঁশ দিয়েছিল তাতে সেগুলো দিয়ে আস্ত একটা  বাঁশের কেল্লা খাড়া করে দেবে এতে আর আশ্চর্যের কি আছে? 

যাকগে আসল কথায় আসি। তীতুমীর সম্পর্কে একটা লেখা পড়লাম ১৮৭০ সালে প্রকাশিত “The Calcutta review, Volume 51” গ্রন্থের “The Wahhabis In India” তে। সেখানে তীতুমীর সম্পর্কে যা যা বলা আছে একটু শর্টে পয়েন্ট করে দিই বরং! যদি আপনাদের জানা কিছু মিথ ভাঙ্গে এটা পড়ে। 

১- তীতুমীর প্রথম জীবনে কিছুদিন জমিদারের লাঠিয়ালের কাজ করত। সেখানে জমিদারের হয়ে বড়সর গোলমাল পাকিয়ে কিছুদিন জেলও খেটেছিল ! খুব সম্ভবত তীতুমীরের ভ্যানগার্ড ইমেজটা রক্ষার জন্য এই অংশটা সযত্নে এড়িয়ে যাওয়া হয়।

২ - তীতুমীর কখনোই গরীব কৃষক সন্তান ছিলোনা!  তাদের ছিলো বনেদী বংশ! বিবাহসূত্রে মুনশী আমির নামে এক ধনকুবেরের সাথে তার আত্মীয়তা হয়। অর্থাৎ দরিদ্র সে কখনোই ছিলো না। এই টাও নিশ্চয়ই আপনারা জানেন না?  কারণ পূর্বোল্লিখিত। 

৩ - তীতুমীর কোনো কৃষক বিদ্রোহ ঘটায়নি। সে ঘটিয়েছিলো ধর্মীয় আন্দোলন । সে তার অনুগামীদের দাড়ি রাখতে ‚ স্থানীয় কাফের দের সাথে না মিশতে নির্দেশ দিতো। 

৪ - তাই বলে তীতুমীর কে আবার মুসলিম দের মুখ বলে ভাবলেও ভুল হবে। তীতুমীরের বাড়াবাড়িতে স্থানীয় দরিদ্র মুসলিম কৃষক ‚ যারা হানাফি নামে পরিচিত ছিলো ‚তারা জমিদারের কাছে নালিশ করে। 
তারপরই জমিদার তীতুর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়। 
অর্থাৎ সেই তথাকথিত কৃষক বিদ্রোহের ঘ্যানঘ্যানি ন্যারেটিভও জাস্ট বোগাস। 

৫ - যেহেতু তীতুমীরের অনুগামীদের দাড়ি রাখা বাধ্যতামূলক ছিলো ‚ সেইজন্য জমিদার কিষেন রায় (খুব সম্ভবত কৃষ্ণ রায় ‚ ইংলিশ উচ্চারণে বিকৃত হয়ে গেছে ) প্রজাদের  দাড়ির উপর উচ্চহারে ট্যাক্স বসায়। যাতে টাকা দেওয়ার ভয়ে কেউ তীতুমীরের দলে ভীড় না করে। 

অর্থাৎ গড়ে যে বলা হয় জমিদার মুসলিম দের দাড়ির উপর ট্যাক্স বসিয়েছিলো ‚ মানে সেই মুসলিম দের উপর হিন্দু দের সাম্প্রদায়িক অত্যাচারের যে ছবি সর্বত্র দেখানো হয় সেটাও একটা  মিথ্যে প্রোপাগান্ডা মাত্র।

৬ - এখানে একটা টুইস্ট। সরফরাজপুর বলে এক অঞ্চলে কিষেন রায়ের লোক ট্যাক্স আদায় করতে গেলে ব্যাপক দাঙ্গা হাঙ্গামা বাঁধে তিতুমীর এর অনুগামী দের সাথে। একটি মসজিদ ভাংচুরও করা হয়। যাকে পুঁজি করে  তীতুমীরের দলবল গ্রামে গ্রামে ইসলাম বিপন্ন টাইপ হাউকাউ করে বেড়াতে শুরু করে। 

যদিও পরে কোর্ট রায় বেরোয় যে তীতুমীরের দলবলই গ্রাম জ্বালিয়ে ‚ মসজিদ ভেঙ্গে পাবলিক খেপানোর তাল করেছিলো। 

৭- যে দারোগা এই ঘটনার তদন্তের দায়িত্বে ছিলো মাসকয়েক পর সে ওয়াহাবী দের হাতে ধরা খায়!  
তীতুমীরের অনুগামীরা তাকে ধরে খুচিয়ে মারে তদন্তের ফল তার পক্ষে না দেওয়ার অপরাধে।

৮- ৬ই নভেম্বরের দিকে শপাঁচেক তীতু-অনুগামী  লাঠিসোটা নিয়ে পূর্ণিয়া গ্রামে  আক্রমনে চালায়।  একটি ব্রাহ্মনকে পিটিয়ে মারা হয় , দুইটি গরু ছিনিয়ে নিয়ে হিন্দুদের মন্দিরে জবাই করে গরুর রক্তে মন্দির ভাসিয়ে দেয়া হল। দেবতার মূর্তির গায়ে গরুর মাংস ঝুলিয়ে রাখা হয় । দোকানপাটে পাইকারি লুটপাট চলে , স্মিথ নামে একটি নিরীহ খ্রিস্টানকে অকারনে থাবড়ানো হয় আর  হানাফি মুসলমানদের অপমান করা হয়!

..#এখানে শেষ পয়েন্ট টা কিন্তু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ!  বিশেষত বাংলাদেশী জামাতি বা পশ্চিমবঙ্গে তাদের শাখাগুলো তীতুমীরকে মুসলিম দের মসীহা বলে দেখাতে চায় ! কিন্তু মজা হল তীতুমীরের নিজের আর মিশকিন শাহ বলে এক ফকিরের অনুগামী যোগ করে মোটামুটি হাজার জন মত লোক ছিলো তার পক্ষে। বাকি সব মুসলিম গ্রামবাসীই কিন্তু ছিলো তার বিপক্ষে!

৯- পরের দিন ভোরে তারা নদেয়ার লাউঘাট গ্রামে ঢোকে। সেখানেও তারা আগেরদিনের মতো মন্দির গরুর রক্তে ভাসিয়ে দেবার ধান্দা করার সময় স্থানীয় হিন্দুর দল বাধা দেয়। শুরু হয় রায়ট। গ্রামের মাতব্বর তার ভাইসহ খুন হয়, নিহত হয় আরো অনেক গ্রামবাসী।
.
১০-  এরপরে তারা নারকেলবেড়িয়ার কেল্লায় ফিরে যায়। পরের কয়দিন কাটে রামচাঁদপুর আর হুগলীর গ্রামে তান্ডব করে, হিন্দুদের জোর করে ধর্মান্তরিত করে। 

১১- ১৪ তারিখে তারা শেরপুরের এক সম্ভ্রান্ত #মুসলমান ব্যক্তি ‚ যে কিনা তীতুমীরের বিরোধী ছিলো ‚ তার ঘর লুট করে, আর তার কন্যাকে উঠিয়ে নিয়ে যায়।
অর্থাৎ এখানেও সেই একই কথা।শুধু হিন্দুরা না ভদ্র মুসলিমরাও তীতুমীরের শিকার হয়েছিল! 

১২ - একবার তারা হামলা করে হুগলী কুঠি। ম্যানেজার আর তার পরিবারকে বাঁশের কেল্লায় নেওয়া হল, ম্যানেজার কানে ধরে বললেন ইংরেজ নয় তিতুমীরই দেশের রাজা। তিতুমীরের হয়ে নীলচাষ করার দৃঢ় শপথ ব্যক্ত করেন তিনি। খুশি হয়ে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়, আর ঘাটে ঘাটে খবর পৌঁছে দেবার ব্যবস্থা করা হয় যেন দেশের রাজা তিতুমীরকে সবাই মান্য করে চলে। 

নীলচাষের পয়েন্ট টা খেয়াল করুন।সেই নীলচাষ মা নিয়ে একদিন আগুন জ্বলেছিলো বাংলায়! তাহলে কি মনে হচ্ছে তীতুকে? কৃষক বিদ্রোহের নেতা? কৃষকের মসীহা? ভাবুন ভাবুন ‚ ভাবা প্র্যাকটিস করুন।

যাকগে এবার ক্লাইম্যাক্সে আসি। এর আগে কিছু খুচরো সংঘর্ষে পিটানি খাওয়ার পর ( নিজেদের অতি অহংকারের জন্যই খেয়েছিল ) অবশেষে ব ঘোড়াচালিত কামানবাহী দশম রেজিমেন্ট কিছু সৈন্যসহ বারাসাতে ব্রিটিশ বাহিনীর  সাথে যোগ দেয়। নারিকেলবাড়িয় পৌঁছে তারা দেখে ় উন্মুক্ত মাঠে ইউরোপীয় সৈন্যের লাশ সামনে ঝুলিয়ে ওয়াহাবীরা অপেক্ষা করছে। । সাথে সাথেই তাদের দিক লক্ষ্য করে কামান দাগা হয়। তরবারি আর পাকা বাঁশের লাঠি সম্বল করে ওয়াহাবীরা ফাইট দিতে থাকে। ( এর আগে কয়েকটা খুচখাচ লড়াইতে জিতে ওরা ভেবেছিল আল্লাহ তাদের প্রতি ইম্প্রেসড! তাই কামানের গোলার সামনে বাঁশের লাঠি নিয়ে লড়তে গেছিল! বলদের বলদ ! 
 যাইহোক খুব বেশিক্ষন এই সার্কাস চলেনা ়।কিছুক্ষণের ভেতরেই বাঁশের কেল্লা ভেঙ্গে পড়ে। 
গুনে দেখা যায় ষাট সত্তর জন মারা গেছে মাত্র। অর্থাৎ মোটমাট এই কজনই ছিলো তীতুমীরের বাঁশের কেল্লায়। তবে
ভেতরে প্রচুর বন্দী উদ্ধার করা হয়, আর পাওয়া যায় প্রচুর লুটের মাল। 

তিতুমীরের সেনাপতি গোলাম মাসুমকে বন্দী করা হয় ও পরে আলীপুরে ফাঁসীতে ঝুলানো হয়। আর নাটের গুরু তিতুমীর ক্রসফায়ারেই  মারা পরে।

✍️সৌভিক দত্ত

Friday, April 24, 2020

প্রেম করে পালিয়ে যাওয়া মেয়ের প্রতি এক বাবার বেদনা দায়ক চিঠি📨 😥😥😒😒

(প্রেম করে পালিয়ে যাওয়া মেয়ের প্রতি এক বাবার বেদনা দায়ক চিঠি📨 😥😥
😒😒👇🏽👇🏽

মা'রে,!
শুরুটা কিভাবে করবো বুজে উঠতে পারছিলাম না। 
যেদিন তুই তোর মায়ের অস্তিত্ব ছেড়ে ভূমিষ্ঠ হয়েছিলি সেদিন থেকে তোকে মা বলে ডাকতে শুরু করলাম। তোকে মা ডাকতে গিয়ে আমার নিজের মা হারানোর ব্যাথাটা'ই
ভুলে গিয়েছিলাম।
তোর মা ও তোকে মা ছাড়া 
অন্য নামে কখনো ডাকেনি।

বিদ্যালয়ে প্রথম দিন 
শিক্ষক তোর নাম জিজ্ঞেস করেছিলেন।
তোকে মা বলে ডাকতে ডাকতে
তোর ডাক নামটাও ভুলে গিয়েছিলাম।
আমি তোর নাম বলতে না পারায় সবাই আমাকে নিয়ে হাসতে ছিলো..

তাই চিঠির উপরে তোর নামের জাগায় মা লিখেছি।

হঠাৎ করে তুই এভাবে চলে যাবি আমি তা বুজতেই পারিনি...!

ছেলেটা যেদিন বাইরে ব্যাগ হাতে তোর জন্য অপেক্ষা করছিল 
যে কখন তুই দরজা খুলে
বাইরে বের হয়ে আসবি।
আমি তখন ভেতরে বসে 
রবের কাছে প্রার্থনা করছিলাম 
আর ভাবছিলাম যে
আর কতটা ভালবাসতে পারলে তুই আমাকে ছেড়ে চলে যাবি না।
অপরদিকে 
তুই ঘরে বসে ভাবছিলি আজ 
যেতে না পারলে ছেলেটার কাছে ছোট হয়ে যাবি।
আর আমি ভাবছিলাম তুই চলে গেলে সমস্ত পিতৃজাতীর কাছে কি করে মুখ দেখাব...!

জানিস মা তুই তোর তিন বছরের ভালবাসা খুজে পেয়েছিস।
কিন্তু আমার জীবন থেকে বিশ বছরের ভালবাসা হারিয়ে গেছে..!

মা'রে প্রত্যেকটা বাবা জানে রক্ত জল করে গড়ে তোলা মেয়েটা একদিন অন্যের ঘরে চলে যাবে..!

তারপরও একটুও কৃপণতা থাকেনা বাবাদের ভেতরে!
বাবাদের ভালবাসা শামুকের খোলসের মতো 
মা-রে!
বাবাদের ,বাহিরটা শক্ত হলেও ভেতরটা কিন্তু খুব নরম হয়ে থাকে।

বাবারা সন্তানদের কতটা ভালবাসে তা বুঝাতে পারেনা,
তবে অনেকটা ভালবাসতে পারে।

জানি মা আমার লেখাগুলো পড়ে তোর খারাপ লাগতে পারে।

কি করবো বল?
তোরা তো যৌবনে পা রাখার পর চোখ, নাক, কান সবকিছুর প্রতি বিবেচনা করে প্রেম করিস।
কিন্তু যেদিন জানতে পারলাম তুই তোর মায়ের গর্ভে অবস্থান করেছিস সেদিন বুজতে পারিনি তুই কালো না ফর্সা হবি, ল্যাংড়া না বোবা হবি,কোন কিছুর অপেক্ষা না করেই 
তোর_প্রেমে_পরেছিলাম 
তাই এতকিছু লিখলাম।

আমি জানি মা তোদের সব সন্তানদের একটা প্রশ্ন বাবারা কেন তাদের ভাললাগাটাকে সহজে মানতে চায় না।

উত্তর টা তোর ঘাড়ে তোলা থাকলো, তুই যেদিন মা হবি সেদিন নিজে নিজে উত্তর টা পেয়ে যাবি..!

তোরা যখন একটা ছেলের হাত ধরে পালিয়ে যাস তখন ওই ছেলে ছাড়া জীবনে কারও প্রয়োজন বোধ করিস না।
কিন্তু একটা বাবা বুঝে তার জীবনে নিজের মেয়েটার কতটা প্রয়োজন..!

যেদিন তোর দাদুর কাছ থেকে তোর মাকে গ্রহন করেছিলাম
সেদিন প্রতিজ্ঞা করেছিলাম যে,
যদি মেয়ে হয় তাহলে,
মেয়েটাকে তার স্বামীর হাতে 
নিজের হাতে তুলে দিয়ে
তবে'ই দায়িত্ব থেকে নিজেকে হালকা করবো।
তাই তোর প্রতি এত অভিমান।

মারে বাবার উপর রাগ করিসনা..!

তোরা যদি অল্প দিনের ভালবাসার জন্য ঘর ছেড়ে পালাতে পারিস,

তবে আমরা বিশ বছরের ভালবাসার জন্য বেপরোয়া হব না কেন??

বাবারা মেয়ে সন্তানের জন্মের পর চিন্তা করতে থাকে নিজের মেয়েটাকে সুপাত্রের হাতে তুলে দিতে পারবে তো।

তারা যৌবনে পা রাখার পর চিন্তা করে কোন প্রতারনার ফাঁদে পরে পালিয়ে যাবে না তো!
তাই মেয়েদের প্রতি প্রত্যেকটা বাবার এতটা নজরদারী থাকে।

যদি মন কাঁদে..... 
চলে আসিস....!
বুক পেতে দেব........!
ঠিক আগে যেভাবে ভালো বেসেছিলাম.........
সেভাবেই বাসবো........!
অপেক্ষায় """""" থাকলাম '''''''

হয়তো তোর মায়ের মতো তোকে পেটে ধরিনি, তবে
পিঠে ধরার যন্ত্রণাটা সহ্য করতে পারছিনা। খুব কস্ট হচ্ছে রে...
খুব কস্ট হচ্ছে.....!😭😭😭😭

ইতি
তোর জন্মদাতা "পিতা"

বিঃদ্রঃ-
(এই চিঠিটা পড়ে অন্তত 
একটি মেয়ে বা ছেলেও যদি
তাদের সিদ্ধান্ত থেকে ফিরে আসে তবে মন্দ কি?)
আপনার বন্ধুদের কাছেও শেয়ার করেন 
💞💞💞💞💕💕💕💕

💞💞💞💞💕💕💕💕
সংগ্রহীত

Thursday, April 23, 2020

পশ্চিমবঙ্গে থাকেন, মমতা ব্যানার্জীর শাসনে? জ্বর, গলা ব্যাথা, শ্বাসকষ্ট হচ্ছে? আপনার সাথে কী হবে, তার ক্রনোলজি রইল।

পশ্চিমবঙ্গে  থাকেন, মমতা ব্যানার্জীর শাসনে? জ্বর, গলা ব্যাথা, শ্বাসকষ্ট হচ্ছে? আপনার সাথে কী হবে, তার ক্রনোলজি রইল।

১. বরানগরের বাসিন্দা, ছাত্র৷ বয়স ২০। গতকাল থেকে জ্বর, শ্বাসকষ্ট,  গলায় ব্যাথা। নিজের এবং পরিবারের উদ্যোগে এলাকার থানায় যোগাযোগ করে হাসপাতালে যেতে চায়। কোভিড টেস্টের জন্য।  সারা সকাল হেল্প লাইনে ফোন করে, কেউ ধরে নি। গাড়ির ব্যবস্থা করে। বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে পৌঁছে যায় বেলা বারোটার মধ্যে।
২. বেলেঘাটা আইডিতে কী কী উপসর্গ হচ্ছে জেনে নেওয়া হয়। এম আর বাঙুর  হাসপাতালে রেফার করা হয়। রেফারেন্স লেটারটি লেখার সময়ে নাম, ঠিকানা, ফোন নম্বর ইত্যাদি জরুরি তথ্যগুলিকে ভয়ানকভাবে বিকৃত করা হয়। রোগী ও বাড়ির লোক বারবার বলা সত্ত্বেও সঠিক বানান, পিন কোড, বাসস্থানের অঞ্চল লেখা হয় নি।
৩. এরপর রুগীর জায়গা আইডির ওপিডিতে। অনির্দিষ্টকালের অপেক্ষা। আশেপাশে অজস্র কাশতে,  হাঁচতে, শ্বাসকষ্টে হাঁপাতে থাকা রুগী। খোলামেলা। কোনো শারীরিক দূরত্বের অবকাশ রাখা হয় নি। অধৈর্য্য হয়ে রোগী ও বাড়ির লোক পুলিশকে জিজ্ঞেস করে, কখন বাঙুরে নিয়ে যাওয়া হবে, উত্তর আসেঃ "চুপ চাপ থাকো। যখন সময় হবে, নিয়ে যাওয়া হবে।"
৪. একটা অ্যাম্বুলেন্স আসে ঘন্টা দেড়েক বাদে। এম আর বাঙুর পোঁছায় ওরা। গেটেই রুগীকে নামিয়ে চালক বলেন, ডিপার্টমেন্ট খুঁজে নিতে। বিঃদ্রঃ প্লিজ চালককে অমানবিক ভাববেন না। বিন্দুমাত্র রক্ষাকবচ ছাড়া উনি সারাদিন রুগী নিয়ে যাতায়াত করছেন। সরকার ওনার কোনো দায়িত্ব নেয় নি। ওনারও বাড়িতে বাবা মা, স্ত্রী, সন্তান আছে। 
৫. পুরো ওয়ার্ড জুড়ে রুগীদের হাহাকার। কেউ শ্বাসকষ্টএ ভুগে চলেছেন আর অপেক্ষা করে চলেছেন কখন ডাক্তার আসবে। ছেলে আর বাবা, মা'কে নিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা চিকিৎসার অপেক্ষায়। কাঁদছেন রীতিমতো।  দক্ষিণ চব্বিশের দুই রুগীর মৃত্যু সংবাদ এসেছে ইতিমধ্যে। প্রথমে লেখা হয়েছে কোভিড ১৯. তারপর মৃত্যুর কারণ লেখা নতুন কাগজ এসেছে হৃদরোগ, ফুসফুসের অসুখ ইত্যাদি। এই গোটাটা রুগী আর রুগীর বাড়ির লোক দেখছেন। 
৬. ডাক্তারের ডাক এলো। "আমায় আইডি থেকে রেফার করা হয়েছে এখানে", বছর কুড়ির রুগী জানাল। ডাক্তারের স্পষ্ট উত্তর " এতো কথা জানতে বসে নেই এখানে। রোগ হলে বলো, চিকিৎসা করব". ছেলেটি জানাল যাবতীয় উপসর্গ। শরীরের উষ্ণতা মাপা হল। বলা হল "কিছুই হয় নি। বাড়িতে থাকো। যে ওষুধ লিখে দিচ্ছি, খাও।" রুগী তখনো শ্বাসকষ্টে হাঁপাচ্ছেন। গলায় ব্যাথা। 
৭. এই ছেলেটি জেদ করে, টেস্ট করাবোই, কোন ভরসায় বাবা-মার কাছে ফিরব নাহলে? পরিবারের বাকীদেরই বা কী হবে! অসুস্থ শরীরে হাসপাতালে অনেক ঘোরাঘুরি করে জানতে পারে, রাজারহাটে চিত্তরঞ্জন ক্যান্সার হস্পিটালের দ্বিতীয় চত্ত্বরে টেস্ট হচ্ছে। 
৮. গাড়িটা নিয়ে এবার রাজারহাট। জ্বর, শ্বাসকষ্ট,  গলা ব্যাথা নিয়ে বাবা মা সহ- সিঁথি থেকে বেলেঘাটা আইডি, তারপর এম আর বাঙুর, এবার রাজারহাট।  এখানে পৌঁছে দৃশ্যটা ভয় শুকিয়ে যাওয়ার মতো। খান পাঁচেক লাইন। এক, হাসপাতাল থেকে যাদের হোম ক্যুওরিন্টিন দিয়ে অ্যাম্বুলেন্সে করে এখানে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে, তারা লাইন দিয়ে অপেক্ষা করছেন,  আবার কোনো সরকারি গাড়ি তাদের বাড়ি পৌঁছে দেবে। আর কোনো উপায় নেই বাড়ি ফেরার। সকাল থেকে লম্বা লাইন। দুই, যারা টেস্ট করতে চান, সকাল থেকে লাইনে। সন্ধ্যে সাতটা অবধিও ডাক আসেনি। ওখানেই শুয়ে পড়েছেন জ্বর-শ্বাসকষ্টের দরুন৷ তিন, যাদের সরকারিভাবে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে,  যেমন করোনায় মৃত মায়ের সন্তান ও পরিবার,  এরা অপেক্ষা করছেন, কোথায় আইসোলেশনে রাখা হবে তার ব্যবস্থার। এই গোটাটায় "শারীরিক দূরত্ব" একটা স্ট্যান্ড আপ কমেডি। 
৯. রাত আটটার একটু আগে, শারীরিক ধকল আর নিতে না পেরে, বিনা টেস্টে ছেলেটি বাড়ি এসেছ। সাথে বাবা মাও। ওষুধ খাবে। বাড়িতে থাকবে। শুধু জানে না ওর করোনা হয়েছে কিনা। বাড়িতে মা বাবা দুজনেই উচ্চরক্তচাপের রুগী। সাথে মায়ের বেশ কিছু সমস্যা আছে। 
সাড়ে ছয় ঘন্টা  কলকাতা শহরে মোট ৬৪ কিলোমিটার ঘুরে বিনা চিকিৎসায়, বিনা টেস্টে ফেরৎ এসেছে। 
এটা আমাদের রাজ্য সরকারী স্বাস্থ্য পরিষেবা, করোনা আতংক চলাকালীন।

Are you from West Bengal, under Mamata Bannerjee’s rule? Suffering from fever, throat ache and breathing ailments? How will you be treated???
Here lies a chronology of events you'll have to face.

1. A student from Baranagar, aged 20 is suffering from fever, breathing ailment and throat ache. He himself and the family had contacted the local police so that he could be taken to hospital for his Covid 19 test. Throughout the morning his family tried to seek help by dialing the govt helpline but none responded. Anyhow they hired a car and reached Beleghata ID by 12 noon.
2. No help could be done by Beleghata ID as they further referred him to M R Bangur. While writing the reference letter- patient name, address and phone numbers were deliberately twisted by the officials. On requesting several times by the patient as well as the family members regarding the correction of name, pin code, and address no heed was paid by the officials.

3. Then the patient was asked to wait at the OPD  of Beleghata ID. After waiting for several hours amidst patients coughing, sneezing, suffering from breathing ailments in open without any physical distance, the patient as well as his family asked the police regarding their transportation to Bangur, to which the police replied " stay quiet, you will be taken when time comes" in a harsh tone.

4. An ambulance arrives after almost 1.5 hours, they reach Bangur. The ambulance driver drops them at the gate and asks them to find the department by themselves. P. S- Please don't judge him on this behaviour since he is toiling day and night for patients without any safety of his own. The govt hasn't yet taken the responsibility of people like him. After all, he too has a family back at home.
5. On reaching the ward they witnessed the plight of several patients like them. Patients are suffering from breathing problems and eagerly waiting for the doctor to arrive. Patients' families are waiting for hours hoping for some treatment, the condition is so horrifying that even some people have started losing faith and are crying. In the mean time news arrives that two people from South 24 Parganas have died. On the official documents the cause of death was stated as Covid 19. Then and there the documents were changed and the new documents read heart and lung ailments as the reason of their death. This was witnessed by the 20 year old patient as well as his family.
6. His turn came. "I am referred by Beliaghata ID", said the patient. An abrupt response from the doctor in charge was: " we are not here for any extra non sense. We are here to treat your problems, that’s all". The boy informed about the symptoms.  His temperature was taken. Finally, "you are fine! Have these medicines and get yourself home quarantined ". He is still having spasm and throat ache.
7. He was stubborn to have the test done. He realised the vulnerability of returning to his family without tests. Bearing all the pains and troubles, he managed getting to know about tests being done in Rajarhat. It is the second campus of Chittaranjan Cancer Hospital, as informed by the Bangur staffs.
8. Reached Rajarhat. He was encountered with five different long queues.  One, Govt Ambulance has dropped a bunch of people at this place who are asked to get home quarantined.  They are waiting for the next commute to come and take them home. It has been hours that they are waiting.  Two, queue of those aspiring for a Covid test to be done. No one showed up a face so far 7 in evening. Patients with severe asthma couldn’t help but lying on the floor. Three, the families of deceased Corona patients, sent for government isolation, have no clues where to go and stay. This queue includes babies, elderly people and so on. However, 
Physical distancing is a hoax over this place.
9. They have returned at around 8. He could no more take the hectic schedule at this condition.  He is home without test, treatment.  His parents as well. Both his parents are high BP patients, clueless about the coming consequences; especially the mother has got a number of more health hazards.

They roamed over the city travelling 64 km. No tests. No treatments. 

This is how Health Service appears during Corona during Pandemic.
Ahana Ganguly 'র ওয়াল থেকে...

Wednesday, April 22, 2020

☆এটি কি সত্যযুগ ☆क्या यह सत्य युग है☆Is this Satya Yuga☆

☆"এটি কি " সত্যযুগ" ☆
☆☆ লকডাউন☆☆
 1- রবিবার কেটে যাওয়ার কোন চিন্তা নেই ☆
 2- সোমবার আসার ভয় নেই ☆
 3- অর্থ উপার্জনের লোভ নেই ☆
 4-ব্যয় করার ইচ্ছা নেই ☆
 5- হোটেলে খাবার  ইচ্ছা নাই ☆
 6-ভ্রমণের কোন আনন্দ নেই ☆
 7.নাই কোন সোনার-রৌপ্য মুগ্ধতা 
 8-টাকার লোভ নেই ☆
 9-কোনও নতুন জামাকাপড় উত্তেজনা নেই ☆
 10-ভাল পোষাক সম্পর্কে কোন উদ্বেগ নেই ☆
 ☆ আমরা কি মোক্ষের দ্বারে এসে পৌঁছেছি ?
 ☆ মনে হচ্ছে কলিযূগ শেষ হয়ে গেছে এবং সত্যযুগ এসে গেছে ☆

 11- উপাসনা, উপবাস, রামায়ণ, মহাভারত।
 12-দূষণমুক্ত পরিবেশ।
 13-দৌড় ভাগের জীবন শেষ
 14-সাধারণ জীবন
  15. সকলে সাধারন খাবার খাচ্ছেন
 16-সমতা এসে গেছে,
 17- কোন চাকর নেই, সবাই বাড়িতে এক সাথে কাজ করে।
 18- কেউ দামি পোশাক পরে না
 19- কেউ গহনা পরে না
 20 - 24 ঘন্টা ঈশ্বর কে স্মরণ। 
 21-লোকেরা দানও করছে।
 22-অহংকারও শেষ হয়ে গেছে
 23 - লোকেরা সহযোগিতা করছে।
  24-সমস্ত সন্তানেরা বাইরে থেকে তাদের বাড়িতে এসে তাদের বাবা-মার কাছাকাছি থাকতে শুরু করেছে।
 25- বাড়িতে ভজন কীর্তন পরিবেশিত হচ্ছে।
 ☆ সত্যযূগ না হলে আর কী ?
◆◆◆◆◆◆◆◆◆◆◆◆◆◆◆◆◆◆◆◆◆◆◆
☆ "क्या यह" सत्य युग  "है" ☆
☆☆ लॉकडाउन ☆☆
 1- रविवार को काटने की कोई चिंता नहीं 
 2- सोमवार को आने से न डरें
 3- पैसे का लालच नहीं है
 4-खर्च करने की कोई इच्छा नहीं
 5- मैं होटल में खाना नहीं चाहता
 6-यात्रा में कोई आनंद नहीं है
 7. सोने-चांदी का कोई आकर्षण नहीं
 8-मनी लालच नं
 9- कोई नए कपड़े की उत्तेजना
 10-अच्छी पोशाक के बारे में कोई चिंता नहीं 
 क्या हम मोक्ष के द्वार पर पहुँच गए हैं?
 ऐसा लगता है कि कलियुग खत्म हो गया है और सत्य युग आ गया है

 11- उपासना, उपवास, रामायण, महाभारत।
 12-प्रदूषण मुक्त वातावरण।
 13-रेस डिवीजन का जीवन समाप्त हो गया है
 14-सादा जीवन
  15. सभी साधारण भोजन खा रहे हैं
 16-समानता आ गई है,
 17- कोई नौकर नहीं हैं, हर कोई घर पर एक साथ काम करता है।
 18- किसी ने महंगे कपड़े नहीं पहने हैं
 19- कोई भी गहने नहीं पहनता है
 भगवान को याद करने के लिए 20 - 24 घंटे।
 21-लोग भी दे रहे हैं।
 २२-अभिमान भी छूट गया
 23 - लोग सहयोग कर रहे हैं।
  24-सभी बच्चे बाहर से अपने घर आ गए हैं और उनके माता-पिता पास में ही रह रहे हैं।
 25- घर में भजन गायन किया जा रहा है।
 अगर सत्य युग  नहीं तो और क्या है?
◆◆◆◆◆◆◆◆◆◆◆◆◆◆◆◆◆◆◆◆◆◆◆
☆"Is this"  Satya Yuga"☆
☆☆ Lockdown ☆☆
 1- No worries about cutting Sunday 
 2- Don't be afraid to come on Monday 
 3- There is no greed to earn money
 4-No spending wishes
 5- The hotel does not want food
 6-There is no joy in travel
 7. No gold-silver charm
 8-Money Greed No
 9-No new clothes excitement
 No worries about 10-well dress 
 Have we reached the door of salvation?
  It seems that Kali Yuga is over and Satya Yuga has come

 11- Worship, Fasting, Ramayana, Mahabharata.
 12-Pollution-free environment.
 The 13-race race is over
 14-Simple life
  15. Everyone is eating normal food
 16-equality has arrived,
 17- There are no servants, everyone works together at home.
 18- No one is wearing expensive clothes
 19- No one wears jewelry
 20 - 24 hours to remember God.
 21-People are also donating.
 22-Pride is also gone
 23 - People are cooperating.
  24-All the children came to their homes from outside and started living near their parents.
 25- Bhajan kirtan is being served at home.
 If not the Satya Yuga  , what else?

বিষন্ন নববর্ষ অরুণ বিশ্বাস

বিষন্ন নববর্ষ
অরুণ বিশ্বাস
বাঙলা দেখছে এক নতুন বৈশাখ ।
প্রকৃতি হরে নিলো মানবের শখ ।।
দিনমনি পূর্ব ভালে উদয় যেমন ।
পাখিদের কলতান শুনিছি তেমন ।।

নতুন পললব  দোলে নতুন শাখে ।
 মলয় বাতাসে ফাগুনের রঙ আঁকে ।।
ফুঁটেছে কাননে তেমনি বাহারি ফুল ।
কালো আভা মনে,তরী যাবে কোন কূল ।।

বন্ধ হোলো সকলি আজি কে যাবে পারে ।
ফিরে যাও ওগো পথিক ! শঙ্কা গোচরে ।।
প্রকৃতি আজি বধির করি গোটা বিশ্ব ।
কে ডাকে ওরে ! বাঁচাও আমার সর্বস্ব !।

চিকিৎসা দেবে ডাক্তার সেবিকা দিদি ।
সুরক্ষা পোষাক ছাড়া, হরে প্রাণ ‍যদি ।।
ভাসে না নৌকা নদী বক্ষে, তোলেনা পাল ।
রাজপথ খাঁখাঁ করে, সাঙ্গ কোলাহল ।।

নাহি ছোটে বাস, রেল, যাবে মোংলা ঢাকা ।
ঘুম পরি এসে যেনো বন্ধ করে চাকা ।।
  কুকুর গুলো ঘুমিয়ে মাছের বাজারে ।
যেথা বিকি কিনি সরগমে হাঁক পাড়ে ।।

বদল হবে দিন শুধু  নিত্য যেমন ।
হবে না নববর্ষ ঘটা করে পালন ।।
সুচি হোক ধরণী নির্মল সুবাতাসে ।
বাঁধি সবে মনে আশা শুভ দিন আসে ।।
তারিখ ১৩।৪।২০২০

সময়ের গীতি গাঁথা অরুণ বিশ্বাস

সময়ের গীতি গাঁথা
অরুণ বিশ্বাস

সূর্য জাগে ‍পূর্ব ভালে আলো ঝলমল ।
মিষ্টি স্বরে কতো পাখি করে কোলাহল ।।
মৃদুমন্দ ভোরের বাতাস ঝিরি ঝিরি ।
বয়ে চলে মধুমতি গ্রাম গঞ্জ ছাড়ি ।।

গাছে গাছে নব পত্র করে নাচানাচি ।
ফোঁটে উদ্যানে কতনা রঙে পুষ্পরাজি ।।
বসন্তেরি কোকিল ডাকছে কুহুতানে ।
গুটি আম ঝরে পড়ে আম্র কাননে ।।

ছোট লিচু ভারে তার শাখা বেশ ভারি ।
ফল ধরে বেশ তাই চাষি মন ভরি ।।
বোরো ধান শ্যামল ক্ষেতে বাতাসে নাচে ।
ব্যস্ত কৃষানি বধু পরিচর্যা কাজে ।।

জল সেচে বুনছে এখন সোনালি পাট ।
বৃষ্টির সঙ্গে দেখা নাই মাটি ফেঁটে কাঠ ।।
তিল ক্ষেতে সবুজ চারা, কী কথা বলে ।
মধুকর আসবে উড়ে ফুল ফুঁটলে ।।

আম গাছে বাঁকা শাখে বেধেছে মৌচাক ।
মধু সংগ্রে ফুলে ফুলে ঘুরে খায় পাক ।।
চলে যেনো সব কিছু আগের মতন ।
আপন ঘরে নিজে বন্ধি শঙ্কা চেতন ।।

একাত্তরে যুদ্ধ হোলো বাংলাদেশ ভুমি ।
লুকিয়ে আছি অরন্যে রক্ষা করো স্বামী ।।
যুদ্ধ করে মুক্তিফৌজ প্রাণ বাজি ধরে ।
জীবনটা যাবে হরে কে জানতে পারে ।।

যুদ্ধ চলে অঘোষিত গোটা বিশ্ব জুড়ে ।
ভাইরাস করোনা মারণ অস্ত্র ধরে ।।
কোন দেশ করে দোষ না বলতে পারে ।
বাঁচে প্রাণ কোন পথে সে পথ উদ্ধারে ।।

ঝলমল শহর আজ মৃত নগরী ।
জরুরী যান ছাড়া বন্ধ সকল গাড়ি ।।
সবে সুস্থ্য থাকে চায় প্রতি সরকার ।
রাখতে ঘরে টহল চলে বার বার ।।

জনহীন পথ ঘাট কোলাহল বন্ধ ।
প্রতিকার নাহি যেনো সব চোখ অন্ধ।।
চলেনা নৌযান নদী তোলেনা তরঙ্গ  ।
কবে জানি হবে সেই শঙ্কা ঘুম ভঙ্গ ।।

জন শূন্য পথে নেই খাদ্যের দোকান ।
ডাক ছাড়ে সারমেয় করুণ রোদন ।।
অলস জীবন কখনো লাগেনা ভালো । 
অবসাদে ভরা মন সবে করি আলো ।।

ঘরে বসে সবে মোরা হাতে ধরি কাজ ।
পারিনা যে কাজটি শিখি সবার মাঝ ।।
বেশি করে বই পড়ে পাঠ করি শেষ ।
খুললে স্কুলে পরীক্ষা ফল হবে বেশ ।।

মাতা পিতা ভগিনী ভাই আছে যাঁনরা ।
ছোটদের দেখাশুনা করিবেন তাঁরা ।।
খেলা ধুলা ঘরে বসে দেই হাতে তালি ।
ছড়া বলি গান করি বেলা যাবে চলি ।।

আসবে সুদিন তবে কেনো করি ডর ।
মিলিবে মিলন মেলা সকলে আমার ।।

তারিখ ১১।৪।২০২০

মতুয়া বাউল অরুণ বিশ্বাস

মতুয়া বাউল
অরুণ বিশ্বাস
সোনার দেহে মন মা‌লি সাঁই পরা‌লো কতো সাজ।
মা গো জ্বালো সন্ধ্যা প্রদীপ আসলো নেমে সাঁঝ ।।

উথাল পাথাল এই তরী যে ডুবলো কতো বার ।
স‌ঙ্গে ছি‌লে মা গো তুমি  তাই কেটেছে আঁধার ।
আমার বলে থাকে কিছু এই দুনিয়ার মাঝ ।।

স্নেহের আচল বিছায়ে রেখেছো সবুজ ধান ক্ষেতে ।
চরণ দুখানি নিয়েছো টানি বহিছে অঙ্গ স্বেদে ।
নয়ন জুড়ালো দেখে তোমার কী অপরূপ সাজ ।।

শ্রান্ত দেহে ক্লান্ত মনে গা‌হি জীবনের জয় গান ।
ঠাই দিও তোমার কোলে করি তোমাতে অবস্থান ।
যাবো রিক্ত হাতে অশ্রু পাতে বাজে অন্তিম সাঝঁ ।।

ক‌তোনা সা‌ধের দেহ তরী কাল হ‌রে বিন্দু বিন্দু ক‌রি  ।
 যায় না  তাঁ‌কে প‌রিহ‌রি ভা‌সে সাগ‌রে ক্ষীণ তরী।
 গোধু‌লি বেলা আবছা ছায়া নে‌মে আসে জীবন সাঁঝ ।।

                শুভ‌দিন স‌বে যায় ফু‌রি‌য়ে
               ঝ‌রে স্বপ্ন রা‌শি অত‌লে খ‌সি‌য়ে ।
মন ছু‌টে‌ছে অসীম আকা‌শে উদাসী হাওয়ায় ধূসর মেঘ আজ ।।

আমি বা কার কে আমার দেখাও তোমার নিশানা ।
জানার মধ্যে কিছুই ছিলনা বুঝি সকলি অজানা ।
করো ত্রাণ অরুণ গোপেষ দাঁড়িয়ে আজ পরাও তব সাজ ।।

তারিখ ১৫।৪।২০২০

Monday, April 20, 2020

খুঁজতে গেলাম পাপী অরুণ বিশ্বাস

খুঁজতে গেলাম পাপী
অরুণ বিশ্বাস
লাশের গন্ধ বাড়ে লালসার আগুনে, 
সে যে সমাজে মোহের শকুন ।
চোখ থাকতে আমার দু‘চোখ অন্ধ, 
নাসারন্ধ্র পায়না ফুলের গন্ধ ।

কান দুটি মোর করলো যাঁরা বধির
ছুটে যাই সেথা হয়ে অধির ।
অন্ধ সমাজে সেই খাস মহাপাপী
বাক্য বাণে উদ্ধারে পাপী-তাপি ।

নয়ন আমার দেখেনা ভোরের আলো
সাত রঙা ধনু সবই কালো ।
কর্ণ কুহরে ভেসে আসে বিদায় তান
শশক রূপে খাঁড়া থাকে কান ।

ভাসিয়ে স্বর্গের ভেলা চলি অন্ধ দ্বারে 
 কুনো ব্যাঙ লাফ মারে সাগরে ।
জ্ঞানের শিখা জ্বললে আমার বিপদ,
না ডাকলে বাড়ে তেমন আপদ ।

মানবতা হীন আমড়া কাঠের ঢেঁকি,
কাজে আমার  সব টুকুন ফাঁকি ।
যখন পূর্ণ হবে অভিজ্ঞতার ঝুলি
সেদিন ভোরে দেবে দূরে ঠেলি ।
তারিখ ১৯।৪।২০২০

Thursday, April 16, 2020

বিষয় :-হাইড্রোক্লোরকুইন(দুধ) & পাকিস্তান (কালশাপ) Topics: - Hydrochloroquine(milk) & Pakistan (black cobra)

Topics: - Hydrochloroquine (milk) & Pakistan (black cobra)

 It is difficult to help the neighbor who controls us every day
Show his face is sin

I will benefit from being born human
Therefore, do not drink black cobra with milk
She has been stabbed too many times
What guarantee does he have in the future?

Some secular people have broken the backbone of our Hindu society in the past by traditional religion.
Still breaking today
------------------------------------------------------------
বিষয় :-   হাইড্রোক্লোরকুইন ( দুধ ) & পাকিস্তান (কালশাপ)

 যে প্রতিবেশি আমাদেরকে প্রতিদিন জন্ত্রনা দেয় তাকে সাহায্য করা তো দুরের কথা 
তার মুখ দেখাও পাপ

মানুষ হয়ে জন্মেছি মানুষের উপকার করব 
তাইবলে দুধ দিয়ে কালশাপ পুশবো না
অতিতেও বহুবার ছোবল মেরেছে 
ভবিষ্যতে ছোবল মারবেনা তার কি গ্যারান্টি  আছে

সনাতন ধর্মের দোহাই দিয়ে কিছু সেকুলার মানুষরা আমাদের হিন্দু সমাজের মেরুদণ্ড অতীতেও ভেঙ্গেছে 
আজও ভাঙ্গছে

Wednesday, April 15, 2020

সিঁদুর কি? কেন বিবাহিত নারীগণ সিঁদুর পরেন?


সিঁন্দুর হল একটি কমলা-লালাবর্ণের মিশ্র পদার্থ যা বিবাহিত হিন্দু নারীরা তাদের সিঁথিতে পড়ে থাকে। একজন বিবাহিত হিন্দু নারীর দুই প্রতিক হল হাতের শাঁখা ও সিঁথির সিঁন্দুর, তাই একজন হিন্দু নারীর কাছে সিঁন্দুর গুরুত্ব অন্য জিনিসের তুলনাই অনেক বেশি।
বর্তমানে ব্যাবহৃত সিঁন্দুর মূলত ২ ধরণের হয়, একটি প্রাকৃতিক উপায়ে তৈরী সিঁন্দুর ও আরেকটি কৃত্রিম উপায়ে তৈরী সিঁন্দুর। প্রাকৃতিক উপায়ে তৈরী সিঁন্দুর টি Bixa sp.
গাছের ফল কে গুঁড়ো করে তার সাথে কিছু উদ্ভিদজাত পদার্থ ও হলুদ, এল্যাম(Alum) লাইম(Calcium oxide) মিশিয়ে তৈরী করা হয়। কৃত্রিম উপায়ে তৈরী সিঁন্দুরে সিলিকন পাউডার ও বিভিন্ন রঞ্জক পদার্থের সাথে সালফারের আকরিক Mercury Sulfide এর পরিশুদ্ধ পাউডার ও সীসাজাত যৌগ মিশিয়ে তৈরী করা হয়। পারদ খুব তীব্র বিষাক্ত পদার্থ হওয়ার জন্য বর্তমানে এর ব্যাবহার মাইক্রোগ্রাম পরিমানই নেওয়া হয়। তবে প্রাকৃতিক উপায়ে তৈরী সিঁন্দুরই এখন বহুল ব্যাবহৃত।
সিঁন্দুরের ঐতিহ্য
বিবাহিত হিন্দু নারীদের সিঁথিতে সিঁন্দুর পড়া আনুমানিক ৫,০০০ বছর প্রাচীন হিন্দু ঐতিহ্যময় সংস্কৃতি। প্রাচীন রামায়ণে মাতা সীতা এবং মহাভারতে দ্রৌপদী সিঁথিতে সিঁন্দুর ব্যাবহারের স্পস্ট প্রমাণ আছে। রামায়ণে শ্রীরাম যখন মাতা সীতা কে বিবাহ করেন তখন তিনি মাতা সীতার সিঁথিতে সিঁন্দুর দান করেছিলেন, একই প্রমাণ আছে হরিবংশ পুরাণে যখন শ্রীকৃষ্ণ রুক্মিনীদেবী কে বিবাহ করেন তখন তিনিও রুক্মিনীদেবী সিঁথিতে সিঁন্দুর দান করেছিলেন, এই পরম্পরাই এখনও অবদি হিন্দু বিবাহতে চলে আসছে। যেখানে স্বামী তার স্ত্রী কে সিঁথিতে সিঁন্দুর দান করিয়ে স্ত্রী হিসাবে তাকে গ্রহণ করে। এছাড়া বেশকিছু ঐতিহাসিক এটা স্বিকার করে থাকেন প্রাচীন হরপ্পা সভ্যতাতেও নারীরা সিঁন্দুর ব্যাবহার করতো।
সিঁন্দুরের গুরুত্বের সবচেয়ে ভালো ব্যাখা আছে “ললিতা সহস্রনামে”। এটা ব্রহ্মান্ডপুরাণের অংশ বিশেষ, দেবী ললিতা যিনি মা দূর্গা বা মা শক্তির অপর নাম তার মাহাত্ম্য বর্ণনা করা হয়েছে। এখানে ললিতাদেবীর সিঁথির সিঁন্দুর কে শ্রীলক্ষীর প্রতিক হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে, অর্থ্যাৎ একজন বিবাহিত নারীকে এই সিঁন্দুরই তাকে শ্রীলক্ষীর স্বরূপ হিসাবে সমাজের সামনে তুলে ধরে। হিন্দু সংস্কারে নারীকে লক্ষী হিসাবে গণ্য হয় এবং বিবাহিত নারী কে শ্রী+লক্ষী=শ্রীলক্ষী হিসাবে গণ্য করা হয় কারণ একজন বিবাহিত নারী সংসার 
হিন্দুধর্মে সিঁদুর বিবাহিতা নারীর প্রতীক। অবিবাহিত মেয়েরা সিঁথিতে সিঁদুর পরে না, কপালে সিঁদুরের মতো লাল টিপ পরে। বিধবাদের সিঁদুর ব্যবহার শাস্ত্রমতে নিষিদ্ধ। হিন্দুদের পূজানুষ্ঠানের সময়ও সিঁদুর ব্যবহৃত হয়।
সিঁদুরের ইতিহাস অতি প্রাচীন বলে ধারণা করা হয়। হিন্দু ধর্মমতে এটি স্বামীর দীর্ঘজীবন বয়ে আনে বলে বিবাহিত হিন্দু নারীরা সিঁদুর ব্যবহার করেন। এর রঙ লাল, কারণ এটি শক্তি ও ভালোবাসার প্রতীক।
বিবাহের সময়ে একজন নারীর প্রথম কপালে সিঁদুর দিয়ে চিহ্ন আঁকা হয়। বৈবাহিক আচার হিন্দু মতে বিবাহের সর্বশেষ শাস্ত্রীয় রীতি হল বর (স্বামী) কর্তৃক কন্যার (নববধু) কপালে সিঁদুর লেপন। বাঙালি হিন্দু নারীরা স্বামীর মঙ্গল কামনায় পুরো বৈবাহিক জীবনে সিঁদুর পরে থাকেন।
সিঁদুর খেলা : সিঁদুর খেলা পূজা সংশ্লিষ্ট একটি হিন্দু সংস্কার। পূজার প্রতিমাকে সিঁদুর দিয়ে বরণ করে নেয়ার পর এই খেলা শুরু হয়। ভুরিভোজনের মধ্য দিয়ে এই অনুষ্ঠানের সমাপ্তি।
গণগোর ব্রত : এই ব্রতে সিঁদুর পরানোর চল আছে। হিন্দু পূরাণে আছে সাধারণ নারীদের ওপর “পার্বতী সিঁদুর ছড়িয়ে দিয়েছিলেন।” এরপর কুলীন স্ত্রীরা পূজার জন্য এলে পার্বতী নিজ অঙ্গলী ( আংগুল) চিরে রক্ত দিয়ে এদের সিঁথিতে সিঁদুর পরিয়ে দিয়েছিলেন।

শিব কে ? শিবের পরিচয় কি ? Who is Shiva? What is the identity of Shiva?

শিব কে ? 
শিবের পরিচয় কি ?
পরমেশ্বর শিবকে প্রনাম জানিয়ে শুরু করছি আজকের আলোচিত বিষয় । প্রথমে জানবো শিব শব্দের অর্থ , শিব শব্দের শাব্দিক অর্থ হচ্ছে  কল্যাণকারী  বা  মঙ্গল।  ভগবান শিবের পাঁচটি মুখ রয়েছে , এই পাঁচ মুখ দিয়ে তিনি জগতের মঙ্গল করে থাকেন , তাই তিনি কল্যাণকারী বা শিব নামে পরিচিত । 

 পাঁচ মুখ যথাক্রমে বামদেব , কালাগ্নি , দক্ষিনেশ্বর , ঈশান এবং কল্যাণ সুন্দরম্ । আবার কোথাও একে ঈশান , তৎপুরুষ , অঘোর , বামদেব এবং সদ্যোজাত নামেও উল্লেখিত হয়েছে । শিবের দ্বিতীয় অর্থ হচ্ছে  চিত্তিশক্তি  যা সকল প্রকার বন্ধন থেকে মুক্ত । শিবের তৃতীয় অর্থ  সদাশিব  । 

 ব্রহ্মের সাকার এবং সগুণ রুপকে বলা হয় সদাশিব । তিনি আনুমানিক সাত হাজার বছর পূর্বে অবতরিত হয়েছেন । পরব্রহ্মের নানা শক্তির নানা অভিব্যাক্তিকে বলা হয়েছে দেবতা কিন্তু শিব এইসব দেবতাদেরও দেবতা । তাই তার এক নাম  মহাদেব । যাকে পরব্রহ্ম বলা হয়েছে যিনি নিরাকার এবং নির্গুণ তিনিই ' শিব ' নামে বিখ্যাত । যা সৃষ্টির মূলতত্ত্ব তাই শিবতত্ত্ব । বিভিন্ন শাস্ত্রে একমাত্র শিবকেই ' ঈশ্বর ' রূপে মানা হয়েছে । ভগবান শিবই এই সম্পূর্ণ সৃষ্টির অনাদি দেব । যার মহিমা বেদ , পুরাণ , দর্শন , যোগ , তন্ত্র ইত্যাদি সাহিত্যে সর্বত্র বর্ণিত হয়েছে । 

 ভারতের জন মানস যতটুকু বৈষ্ণব ধর্মে প্রভাবিত তার থেকে অনেক বেশি প্রভাবিত শৈবধর্মে । ভগবান শিব যোগী , ভক্ত , তান্ত্রিক , বেদান্তি , কর্মকাণ্ডী , উপাসক এবং দার্শনিক সকলের কাছে পূজনীয় । তিনিই জ্ঞান , কর্ম এবং ভক্তির আদি দেবতা । তিনিই পরমপুরুষ পরমব্রহ্ম । শিব এবং শক্তি মিলেই ব্রহ্ম তাই শিবকে ' অর্দ্ধনারীশ্বর ' বলা হয় । 

 তার দক্ষিণ অঙ্গ শিব স্বরূপ এবং বাম অঙ্গ শক্তিরূপ । মহাভারতে শ্রীকৃষ্ণ পরমেশ্বর শিবের স্তুতি করেছেন । মহাভারতের অনুশাসন পর্বে ( 15/11 ) লিখিত হয়েছে --- শিবের সমান দেব নেই , শিবের সমান গতি নেই , শিবের সমান দাতা নেই , শিবের সমান বীর নেই । বন্ধুরা শিব কে ? শিবের পরিচয় কি ? এর যথার্থ বর্ণনার শেষ নেই , এর আদি অন্ত নেই । 
সবাইকে নমস্কার , 
ওঁ নমঃ শিবায়
--------------------------------------------------------------
Who is Shiva?
What is the identity of Shiva?
I am starting to declare Parameswara Shiva as the subject of discussion today. First of all we will know the meaning of Shiva, the literal meaning of Shiva is welfare or good. There are five faces of Lord Shiva, with these five faces he brings goodness to the world, hence he is known as Kalyani or Shiva.

 The five faces are Bamdev, Kalagani, Dakshineswar, Ishaan and Kalyan Sundaram respectively. On the other hand, it is also referred to as Ishan, Tattupuras, Aghor, Bamdev and Swayajata. The second meaning of Shiva is the mind power which is free from all kinds of bondage. The third meaning of Shiva is Sadashiv.

 The sakara and the virtuous form of Brahman are called sadashiva. He was estimated to have arrived about seven thousand years ago. Various expressions of the various powers of Parabrahm have been called gods but Shiva is also the god of these gods. So his name is Mahadev. The one who is called Parbrahm, who is formless and unmanageable, is the one who is known as Shiva. What is the origin of creation is Sivatva. In the various scriptures, only Shiva is considered as 'God'. Lord Shiva will give eternality to this whole creation. The glory of which is mentioned in the Vedas, Puranas, Darshans, Yoga, Tantras, etc., everywhere.

 The people of India are much more influenced by childhood than those affected by Vaishnavism. Lord Shiva is worshiped by Yogi, devotees, Tantrik, Vedanta, karmic workers, worshipers and philosophers. He is the original god of knowledge, action and devotion. He is the Supreme Being. Shiva and Shakti are Brahma so Shiva is called 'Ardhanarishwar'.

 His southern limb is in the form of Shiva and the left limb is in the form of strength. In the Mahabharata, Sri Krishna praised Parameswara Shiva. In the discipline period of Mahabharata (15/11) it is written - There is no god like Shiva, there is no equal speed of Shiva, there is no equal donor to Shiva, there is no hero equal to Shiva. Friends Shiva Who? What is the identity of Shiva? There is no end to its true description, it has no end.
Hello everyone,
Ohm namo: Shiva

হ্যাঁ আমিই ব্রাহ্মণ Yes I am a Brahmin হ্যাঁ আমিই ক্ষত্রীয় Yes I am a Kshatriyaহ্যাঁ আমিই বৈশ্য Yes I am Vaishyaহ্যাঁ আমিই শূদ্র Yes I am shudra


Yes, I am a Brahmin when I gain knowledge and worship the Creator. With all these four qualities, we are engaged in the service of the animal family - Aryan traditional Hindu ---- the word Aryan means the Son of God. The children of nature, according to the Vedic, not all animals are Aryans, non-Aryan words, Vedic, all of which have been added later to break Hinduism; Hindu words have different meanings, if Hindu words mean Arabic, Persian, Urdu to find in discernment Then it means lucha, laphanga, thief, robber and many more because the Hindu word is given to them but according to the Vedic word, Hindu word means free race of consciousness ---------------------- ---------------------------------- And that is why we are Aryans, the children of nature - facing nature in lockdown. It's about to regain its appearance. Nature is forced to do something in its own right so that nature can sustain its existence from the corruption created by man. Where is Mulla now? Where is Mulla Mosque? Where did the mighty Creator go to lock the door of the Ka'ba? Now who will release him?
The hospice of religion businessmen closed.
The miraculous God is a prisoner.
God doesn't know,
When will be his release?
Author: - rajib mukherjee
---------------------------------------------------------
হ্যাঁ, আমিই ব্রাহ্মণ যখন আমি জ্ঞান অর্জন করি এবং স্রষ্টার আরাধনা করি, হ্যাঁ, আমিই ক্ষত্রীয় যখন আমি ধর্মের নিমিত্তে অর্থাৎ ন্যায় প্রতিষ্ঠা কারার জন্যে লড়ায় করি, হ্যাঁ, হ্যাঁ আমিই বৈশ্য যখন আমি পেটের প্রয়োজনে অন্য সংস্থানে বেড়ই, হ্যাঁ আমিই শূদ্র যখন আমি নানা ভাবে প্রানি কূলের সেবাই নিজেকে নিযুক্ত রাখি-- এই চার গুণ নিয়েই আমরা আর্য সনাতনী হিন্দু---- আর্য শব্দের অর্থ ঈশ্বরের পুত্র অর্থাৎ প্রকৃতির সন্তান, বৈদিক মতে সমস্ত প্রাণীকুলই আর্য, অনার্য শব্দ বৈদিক নয়, এই সমস্ত গুলি হিন্দুত্ব কে ভাঙার জন্যে পরে সংযোজিত করা হয়েছে, সনাতনী শব্দের অর্থ স্বাধীন স্বত্বার অধিকারী, অর্থাৎ আমরা স্বাধীন ব্যক্তি স্বত্বায় বিশ্বাসী, অন্যের মত অর্থাৎ গুরুবাদে নয় নিজ জ্ঞানে বিশ্বাসী, হিন্দু শব্দের বিভিন্ন অর্থ রয়েছে, হিন্দু শব্দের অর্থ যদি আরবি, ফার্সি, উরদ্ধু ডিস্কনারিতে খুঁজতে যান তাহলে তার অর্থ লুচ্চা, লাফাঙ্গা, চোর, ডাকাত আরও বহু কিছু কারন হিন্দু শব্দটি তাদেরই দেওয়া কিন্তু বৈদিক মতে হিন্দু শব্দের অর্থ হীন চেতনা মুক্ত জাতি--------------------------------------------------------  আর এই কারনেই আমরা আর্য অর্থাৎ প্রকৃতির সন্তান-- বর্তমান পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়ে লকডাউনে প্রকৃতি তার স্বরূপ ফিরে পেতে চলেছে।। প্রকৃতি তার নিজ প্রয়োজনেই এমন কিছু করতে বাধ্য হয় যাতে মানুষ সৃষ্ট কলুষিত হওয়া থেকে প্রকৃতি নিজ অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে পারে।। এখন কোথায় মুল্লা ? কোথায় মুল্লার মসজিদ ? কাবার দরজায় তালামেরে কোথায় গেলেন সেই মহাশক্তিশালী স্রষ্টা ? এখন কে উনাকে মুক্ত করবে ?
ধর্ম ব্যাবসায়িদের ধর্মশালা বন্ধ।
অলৈকিক ঈশ্বর বন্দি ।
ঈশ্বর জানেনা,
কবে হবে তার মুক্তি।

লেখক :- rajib mukherjee

Tuesday, April 14, 2020

বঙ্গাব্দের চক্রান্ত

বঙ্গাব্দের চক্রান্ত
স্মৃতিলেখা চক্রবর্তী
গত বছরের কথা। বঙ্গাব্দ নিয়ে আকবর তত্ত্বে ছেয়ে গেছিল পশ্চিমবঙ্গের বাংলা কাগজ গুলো। তারই মধ্যে একটা বিখ্যাত পোর্টাল একটু অন্যরকম ভাবে এই বিষয়ে একটি লেখা বের করে। শিরোনামটা বেশ বিস্ফোরক। "বাঙালিদের কোনও কৃতিত্ব নেই। পয়লা বৈশাখের সূচনা করেছিলেন মহামতি আকবর"! শুধুমাত্র এই শিরোনামের জন্যই, লেখাটা আমার সব থেকে বেশি ভাল লেগেছিল। কোন লুকোলুকির ব্যাপার নেই। একদম সোজা-সাপ্টা স্বীকার করে নেওয়া  হয়েছে আসল লক্ষ্য কি। বঙ্গাব্দে "বাঙালিদের কোন কৃতিত্ব নেই", এটা যে কোন ভাবে প্রমাণ করাটাই এদের একমাত্র কামনা। 

 আকবরের বঙ্গাব্দ চালু করার কোন ইতিহাস না থাকলেও, বঙ্গাব্দের আকবর তত্ত্বের কয়েক দশকের ইতিহাস আছে। ঘটনার সূত্রপাত পাকিস্তানি আমলে।  পাকিস্তান পন্থী বুদ্ধিজীবীরা চেয়েছিলেন বাঙালির থেকে তার ইতিহাস, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য কেড়ে নিয়ে  বাঙালিকে অন্যদের মানসিক দাসে পরিণত করতে। সেজন্যই দরকার ছিল বাংলার বাইরের কোন ব্যক্তিকে বঙ্গাব্দের কৃতিত্ব দেবার। তাই ১৯৬৬ সালে পূর্ব পাকিস্তানে এমন একটি কমিটি গঠিত হয়, যার লক্ষ্য ছিল আকবরকে বঙ্গাব্দের প্রবর্তক হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা। সরকারি ভাবে এই কমিটির নাম ছিল "পঞ্জিকা সংস্কার কমিটি"।

দায়িত্ব পেয়েই এই বিষয়ে একটি সুদীর্ঘ রচনা লিখে ফেলেন কাজী দীন মোহাম্মদ। এই রচনার মূল বক্তব্য ছিল আকবর প্রবর্তিত বর্ষপঞ্জি তারিখ-ই-ইলাহীই হল বাঙালির বঙ্গাব্দ। এবং বঙ্গাব্দের গণনা পদ্ধতি নাকি আরবি বছর হিজরীর সাথে সঙ্গতি পূর্ণ। এরকম উদ্ভট এবং হাস্যকর দাবি কাজী দীন মোহাম্মদই প্রথম তোলেন। এরপরে ওই অসঙ্গতি পূর্ণ লেখাটিকে প্রামাণ্য তত্ত্বের রূপ দিতে ডাক পড়ল জনাব গোলাম সামদানীর। লেখাটি ছেপে বেরোল জনাব গোলাম সামদানীর বাংলা একাডেমি পত্রিকায়। ধীরে ধীরে পূর্ণতা পেতে লাগল বঙ্গাব্দকে বাঙালির থেকে কেড়ে নেবার চক্রান্ত।

 এরপরেই আসরে নামেন মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ। এই শহীদুল্লাহ ছিলেন মুসলিম রাষ্ট্র পাকিস্তানের অন্যতম সমর্থক। বাংলায় কথা বলা মুসলমান যে কোনোভাবেই বাঙালি নয়, এটা শহীদুল্লাহ মনে মনে ঠিকই জানতেন। তাই ইনি মনে করতেন মুসলিম দেশের রাষ্ট্রভাষা বাংলা বা উর্দু না হয়ে আরবী হওয়াই উচিত। কারণ "মুসলমানের জাতীয় ভাষা আরবী"-ই। ফলে কাজী দীন মোহাম্মদের লেখাটা মোহাম্মদ শহীদুল্লাহর বিশেষ ভাবে পছন্দ হয়। কারণ ওই লেখাতে আরবি বর্ষপঞ্জি হিজরীর সাথে বঙ্গাব্দ গণনা পদ্ধতির মিল দেখানোর চেষ্টা করা হয়। তাই পঞ্জিকা সংস্কার কমিটির প্রধান হিসেবে মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ সুপারিশ নং ৪-এর মাধ্যমে মোগল সম্রাট আকবরকেই বঙ্গাব্দের জনক হিসেবে প্রতিষ্ঠা করে দেন।

 মজার ব্যাপার হল, আকবরের রাজসভায় লিখিত আকবরনামা বা আইন-ই-আকবরীর কোন অংশেই বাংলার জন্য আলাদা বছর চালুর কথা লেখা নেই। এমন কি, খুব পরিষ্কার ভাষায় আইন-ই-আকবরীতে লেখা রয়েছে যে আকবর একটিই বর্ষ চালু করেন, যার নাম "তারিখ ই ইলাহী"! এবং এই তারিখ-ই-ইলাহীও কিন্তু আরবের হিজরী সালের গণনা অনুযায়ী তৈরি হয়নি। কারণ, আকবর হিজরী সন পছন্দ করতেন না। সেজন্যই আকবর প্রবর্তিত তারিখ-ই-ইলাহী তৈরি হয় "মালিকী সাল"-এর গণনা পদ্ধতির সাথে মিলিয়ে। 

 অথচ বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবীরা আকবর, হিজরী এবং বঙ্গাব্দকে মিলিয়ে মিশিয়ে একটা কাল্পনিক খিচুড়ি বানিয়ে ফেলেছেন। তাঁদের বানানো গল্পটা হল এরকম। আকবর সিংহাসনে বসেন ইংরেজি ১৫৫৬ খ্রিস্টাব্দে। ওই বছর ছিল ৯৬৩ হিজরী সাল। সিংহাসনে বসার সনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে বাংলায় বঙ্গাব্দ চালু করেন আকবর। এবং যেহেতু সেই বছরটি ছিল ৯৬৩ হিজরী, তাই প্রথম বঙ্গাব্দটিও হয় ৯৬৩ বঙ্গাব্দ! এই আকবর তত্ত্বের সবথেকে বড় মুশকিল হচ্ছেন আকবর নিজে। আইন-ই-আকবরীতে বেশ গোদা গোদা অক্ষরে লেখা রয়েছে যে আকবর হিজরী সন পছন্দ করতেন না বলেই তারিখ-ই-ইলাহী চালু করেন। তো যিনি হিজরী সন পছন্দই করতেন না, তিনি সেই হিজরী গণনা অনুযায়ী বঙ্গাব্দ বানাবেন কেন?

তাছাড়া আইন-ই-আকবরীতে আরো লেখা রয়েছে, তারিখ-ই-ইলাহির প্রথম বছর সেটাই, যেই বছর আকবর সিংহাসনে বসেন। অর্থাৎ ইংরেজি ১৫৫৬ খ্রিস্টাব্দই হল তারিখ-ই-ইলাহী ১ম বছর। অর্থাৎ ইংরেজির ২০২০ খ্রিস্টাব্দে হবে তারিখ ই ইলাহী (২০২০-১৫৫৬) ৪৬৪ অব্দ। অথচ এই বছর পূর্ণ হবে ১৪২৭ বঙ্গাব্দ। আকবর যদি তারিখ-ই-ইলাহী এবং বঙ্গাব্দ এই দুটোই চালু করে থাকেন, তাহলে বর্ষের সংখ্যাতে মিল থাকা অবশ্যই উচিত ছিল। 

আরো আশ্চর্যের বিষয়, তারিখ-ই-ইলাহীর মাসের নামের সাথেও বাংলা বছরের মাসের নামের কোন মিল নেই। তারিখ-ই-ইলাহির প্রথম মাসটি হল "ফরোয়ার মাহ ই ইলাহী"! অথচ বাংলার প্রথম মাস বৈশাখ। ভারতের অন্যান্য সমস্ত রাজ্যের হিন্দু পঞ্জিকাতেই তাই। দ্বিতীয় মাসটি যেমন অর্ধিবিশত মাহ-ই-ইলাহী। বাংলার দ্বিতীয় মাস হল জৈষ্ঠ্য। এইভাবে তারিখ-ই-ইলাহির বাকি মাসের নামগুলো সবই ওই "মালিকি সাল" থেকে নকল করা। একজন বাদশা তার সাম্রাজ্যের সমস্ত অংশে তারিখ-ই-ইলাহী চালু করবেন, আর শুধুমাত্র বাংলার জন্য বঙ্গাব্দ চালু করবেন, এ কি হয়? 

আকবর তত্ত্বে সমস্যা আরো আছে। আকবর নিজের সাম্রাজ্যকে ১২ টি সুবা (রাজ্য) তে ভাগ করেন। বাংলা, বিহার, উড়িষ্যাকে নিয়ে তৈরি হয় সুবা-ই-বাঙ্গাল। যদি ধরেও নিই, আকবর শুধুমাত্র বাংলার জন্যই বঙ্গাব্দ বানান, তাহলেও সেটা হবে সুবা-ই-বাঙ্গালের জন্য। অর্থাৎ বাংলা, বিহার এবং উড়িষ্যার জন্য। বিহার বা উড়িষ্যাতে বঙ্গাব্দের প্রচলন আছে বা ছিল, এরকম অদ্ভুত কথা কেউ কখনো শুনেছেন? অতএব তারিখ-ই-ইলাহী এবং বঙ্গাব্দের মাসের নাম, গণনা পদ্ধতি, কত তম সাল এসবে কোন মিলই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। বরং বিপক্ষে প্রমাণই মিলছে ভুরি ভুরি।

তবে সংস্কৃতির দখলদাররা এসবে দমে যাবার পাত্রই নয়। পূর্ব পাকিস্তান নাম বদলে বাংলাদেশ হবার এক দশক পর ক্ষমতায় বসেন কর্নেল হুসেন মোহাম্মদ এরশাদ। ক্ষমতায় বসেই তার ধ্যানজ্ঞান হয়ে ওঠে বাংলা বর্ষপঞ্জির গণনা পদ্ধতি বদলে দেওয়া। একে সরকারিভাবে "পঞ্জিকা সংস্কার" নাম দেওয়া হলেও, আসল লক্ষ্য ছিল বঙ্গাব্দের থেকে আদি এবং প্রকৃত বাঙালির শেষ চিহ্ন টুকু মুছে দেওয়া। তারই অংশ হিসেবে মোহাম্মদ শহীদুল্লাহর কমিটির সুপারিশ নং ৪-কে মান্যতা দেন রাষ্ট্রপতি কর্নেল এরশাদ। সুপারিশ নং ৪ অর্থাৎ "বঙ্গাব্দের প্রতিষ্ঠাতা আকবর"! এক কলমের খোঁচায় প্রতিষ্ঠা হয়ে গেল এত বড় ভিত্তিহীন মিথ্যা। 

 এই নতুন তত্ত্বকে জনপ্রিয় করার বিপুল চেষ্টা হয় বাংলাদেশে। ওই দেশের সংখ্যাগুরু জনগণ এবং আকবর সমধর্মী হওয়ায় বিপুল ভাবে সমাদৃত হয় এই তত্ত্ব। এরপর ধীরে ধীরে চেষ্টা করা হয়, বাঙালির শেষ আশ্রয় পশ্চিমবঙ্গে এই তত্ত্ব আমদানি করার। 

পশ্চিমবঙ্গে এই তত্ত্ব আমদানি করার প্রধান নায়ক হলেন অমর্ত্য সেন। যিনি সংখ্যাগুরু মুসলমানের হাতে পূর্ব পাকিস্তানে বেঁচে থাকা ২২% আদি বাঙালির গণহত্যাকে বলেছিলেন "স্বতঃস্ফূর্ত ভুমিসংস্কার"। অমর্ত্য সেনের আকবর ভক্তির সমর্থনে যোগ দেয় আনন্দবাজার, Scroll, News18 বাংলা ইত্যাদি বাম মানসিকতার মিডিয়া গ্রূপ। লক্ষ্য একটাই। বাঙালিকে বোঝানো যে "বাঙালির আসলে কোন কৃতিত্ব নেই"! বাঙালির নববর্ষ, তার সংস্কৃতি-গণনা পদ্ধতি কোন কিছুই তার নিজের নয়। 

কোন মানুষের থেকে তার সম্পদ চুরি করা একটা অপরাধ। কিন্তু কোন জাতির থেকে তাদের সম্পদ কেড়ে নেওয়া আরো বড় অপরাধ। কিন্তু ক্ষমাহীন অপরাধ হল নিজেদের জাতীয় সম্পদ বিনা বাধায় অন্যকে কেড়ে নিতে দেওয়া। সেই ক্ষমাহীন অপরাধ আমরা এতদিন ধরে করে এসেছি। বঙ্গাব্দের চক্রান্ত একদিনে হয়নি, বহু বছর ধরে হয়েছে। একটু একটু করে ওরা এগিয়েছে আর আমরা চোখ দুটোকে বন্ধ করে রেখেছি। এখনই সময় প্রতিবাদ করার, মহারাজ শশাঙ্ক প্রবর্তিত বঙ্গাব্দে আমাদের একমাত্র অধিকার প্রতিষ্ঠা করার। 

জয় বঙ্গ, জয় শশাঙ্ক। 

তথ্যসূত্র: 

১) "বাঙালির কোন কৃতিত্বই নেই"- https://www.google.com/amp/s/bengali.news18.com/amp/news/features/not-bengalees-but-akbar-the-great-initiated-poila-boisakh-299715.html  

২) আইন-ই-আকবরী:- https://persian.packhum.org/main?url=pf%3Fauth%3D7%26work%3D002

আজ যে বাঙালীরা বেঙ্গল কেমিক্যাল নিয়ে লাফাচ্ছে বেঙ্গল কেমিক্যাল বিক্রি করার খবর শুনেও খুব একটা কারো মনে দোলাচল হয়নি,

হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন (Hydroxychloroquine) ওষুধ নিয়ে এখন গোটা বিশ্ব তাকিয়ে রয়েছে ভারতের দিকে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই ওষুধকে করোনার প্রতিষেধক হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে, ভারতের কাছে চাইছে এই ওষুধ। কিন্তু সঞ্জীবনী এই ওষুধের উৎপত্তিস্থল আসলে কোথায়? গোটা ভারতবর্ষের মধ্যে সর্বপ্রথম পশ্চিমবঙ্গের কলকাতাতেই তৈরি হয় হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন ওষুধ। আর তা প্রথম তৈরি হয় আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায়ের প্রতিষ্ঠিত বেঙ্গল কেমিক্যালসে।১৯০১ সালে এই সংস্থাটি তৈরি করেছিলেন আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়।

আমি শুনেছি উনি জমিদার বংশের ছেলে হয়েও কি সরল সাধারন জীবন যাপন করতেন। পরনে থাকত সস্তার মোটা ধুতি, চাদর, গেঞ্জি অথবা গায়ে একটি কোট। দাড়িগোফ মুখে অবিন্যস্ত চুল।
১৮৬১ সালের ২ আগস্ট (বাংলা ১২৬৮ সালের ১৮ শ্রাবন) খুলনা জেলার পাইকগাছা উপজেলার রাঢ়ুলি গ্রামে তাঁর জন্ম। ডাক নাম ফুলু। ফুলুর সেই আদি জমিদার বাড়ি আজও আছে বাংলাদেশে।
এরপর কলকাতায় হেয়ার স্কুল,অ্যালবার্ট স্কুল,মেট্রোপলিটন কলেজে ভর্তি হন বিদ্যাসাগরের প্রচেষ্টায়। এরপর প্রেসিডেন্সি কলেজ, স্কটল্যান্ডের এডিনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতে যান। পি এইডডি আরো আরো।
বাঙালীকে উদ্যোগী শিল্পের দিশা দেখান বাংলায় ফিরে এসে এই আদ্যপান্ত বাঙালী ভদ্রলোকটি। তিনি শিল্পাদ্যোক্তা,কবি,দেশপ্রেমী, শিক্ষক,গবেষক।
ব্রিটিশ সরকার ১৯৩০ সালে তাকে নাইট উপাধিতে ভূষিত করেন।

আজীবন অকৃতদার তিনি। নিজের তৈরী ছাত্রছাত্রীকেই নিজের সন্তান ভেবেছেন। দুই বাংলাতেই তিনি ওষুধ শিল্প গড়ে তুলেছেন।
কিন্তু আমরা তাঁর জন্মদিনটা মনে রাখিনি। লোকনাথ,অনুকুল,হনুমান জয়ন্তী পালন করি আমরা কিন্তু আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায়ের জন্মদিনটাই জানিনা। আজ প্রাণের টান পড়ায় তাঁর আবিস্কৃত ঔষধ দরকার হচ্ছে আমাদের।
আজ যে বাঙালীরা বেঙ্গল কেমিক্যাল নিয়ে লাফাচ্ছে বেঙ্গল কেমিক্যাল বিক্রি করার খবর শুনেও খুব একটা কারো মনে দোলাচল হয়নি,কেউ কি খবর রাখো --- ( গপিনাথ বেদান্তী )

বেদকে জানুন বেদকে মানুন তবেই হিন্দু তথা ভারত ধর্মীয় বৈদিক রা বিশ্বজয়ী হবে


গতকাল বহু মাতা কে নীল ষষ্টি পালন করার জন্যে খুদ্র, খুদ্র মন্দিরে এই লক ডাউনের মুহূর্ত কে অমান্য করে একত্রিত হতে দেখলাম, এটা আমদের ধর্ম নয়, কুসংস্কার ---- বেদ অর্থ জ্ঞান, এই বেদ হইতেই বিদ্যা শব্দের উৎপত্তি , আমরা হিন্দুরা মূলত দুই ভাগে বিভক্ত ১) বৈদিক সনাতনী মতে ২) পুরাণ মতে---------    বেদের সংস্কিত শব্দ গো শব্দের অর্থ সূর্যের কিরন-- গরু নয়, শিব -শিবা্ধাতু থেকে যার অর্থ মঙ্গল ময় বা শুভ -- লিঙ্গ শব্দের অর্থ চিন্হ বা প্রতীক --যৌন অঙ্গ নয়,, কোটি শব্দের অর্থ প্রকার সংখ্যা নয়,,   ভাবুনতো একবার  বেদকে উপেক্ষা করে মূর্খের মোতো আজগুবি চিন্তাভাবনা করে কি বিপদেই না ফেলেছে পুরানকারেরা ও বর্তমানের হিন্দু ধর্ম গুরুরা -- হিন্দু তথা সর্বপ্রাচীন (ভারত ধর্মীয়) বৈদিক হিন্দু দের  জাতিকে কতটা লাঞ্চিত কোরেছে,,৷ এখন যদি পুরানের কথা মেনে নিয়ে কোনো অহিন্দু কোনো হিন্দু গুরুকে প্রশ্ন করে ৩৩ নয় মাত্র ১ কোটি দেবতার নাম বলুন তবে কি এই পৃথিবীতে একটা গুরুও আছে যে তার উত্তর দেবে....  বেদকে জানুন বেদকে মানুন তবেই হিন্দু তথা ভারত ধর্মীয় বৈদিক রা বিশ্বজয়ী হবে জানতে পারবেন আমাদের অতীত গৌরবের কারন এবং নিজেদেরও আবার পুনঃস্থাপন কোরতে পারবেন,, নচেৎ লাঞ্চিত অপমানিতই হোতে হবে যেটা ১১০০ বছর ধরে হোচ্ছেন,,  এবার সিদ্ধান্ত আপনার পুরান কে আকরে ধোরবেন নাকি বেদ বানী পরিবর্তন মেনে নেবেন সম্পূর্ণ আপনার সিদ্ধান্ত,,, ( ভারত সূর্যের এক নাম)  ওঁ...ওঁ


লেখক :- rajib mukherjee
https://www.facebook.com/rajib.mukherjee.35912

অনুকূলচন্দ্রকে ভগবান বললে আগম, নিগম, রামায়ণ, মহাভারত, গীতা, ভাগবত সবই অশুদ্ধ হয়।

যারা ধৈর্য নিয়ে পড়তে পারবেন তারাই পড়ুন।

লেখা- জীবনানন্দ গোস্বামী

একদা পাকিস্তান, বর্তমান বাংলাদেশের হিমাইতপুর পাবনা জিলার অধিবাসী অনুকূলচন্দ্র চক্রবর্ত্তী আজকাল ভগবান হিসাবে পরিচিত হচ্ছেন। শুধু তিনি নিজে নন, তাঁর বংশধরেরাও সবাই ভগবান। পাকিস্তানী মোল্লাদের ভয়ে নিজের বিয়ে করা বউ ফেলে পালানো এক অপদার্থকে আজকাল কয়েক কোটি লোকে ভগবান বলে বিশ্বাস করে। তিনি ভক্তদের রক্ষা করবেন এই আশায় নিয়মিত তাঁর বংশধরদের পয়সা দেয়। সম্প্রতি শুনছি এই অনুকূলচন্দ্র নাকি ব্রহ্মা, বিষ্ণু, শিব, কালী, দূর্গা সবাইকে সৃষ্টি করেছেন। নিজের পিতামাতাকেও তিনিই সৃষ্টি করেছেন এটাই শুধু শুনতে বাকি।
আজগুবি কথায় বিশ্বাস করার লোক দুনিয়াতে চিরকালই ছিল। কাজেই অনুকূলচন্দ্রকে কেউ ভগবান বলে বিশ্বাস করতেই পারে। অন্তত এখনকার শিক্ষিত হিন্দুদের মতে অনুকূলকে কেউ ভগবান বললে মহাভারত অশুদ্ধ হয়না। তাই ব্যাপারটা নিয়ে তাদের তেমন মাথাব্যথা নেই।

কিন্তু সত্যিই কি মহাভারত অশুদ্ধ হয়না? যদি কেউ মহাভারত পড়ে দেখেন তাহলেই বুঝবেন অবশ্যই অশুদ্ধ হয়। কেবল মহাভারত বললে কম বলা হবে। অনুকূলচন্দ্রকে ভগবান বললে আগম, নিগম, রামায়ণ, মহাভারত, গীতা, ভাগবত সবই অশুদ্ধ হয়।

এই স্বঘোষিত ঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের সবচেয়ে দামী তত্বটা হচ্ছে মানুষ তৈরির তত্ব। যেভাবে আমরা জেনেটিক গুণাবলী বেছে উন্নত গরু-ছাগল-মুরগি তৈরি করি, অনুকূল সেইভাবে উন্নত মানুষ তৈরির ব্যবস্থাপত্র দিয়েছেন। যে তত্বটার বাস্তব প্রয়োগ হচ্ছে উচ্চ জাতির পুরুষের সাথে নিম্ন জাতির কন্যাদের বিবাহ দিয়ে উন্নত সন্তানের জন্ম দেওয়া। এই তত্ব কিন্তু হিন্দুধর্মের অবিনাশী আত্মা এবং জন্মান্তর তত্বকে সরাসরি অস্বীকার করছে। জন্মান্তর তত্বমতে একটি মানব সন্তানের উন্নত হওয়া বা না-হওয়া নির্ভর করে সেই আত্মাটির পূর্বজন্মের সুকৃতি এবং আত্মশক্তির উপর। অনুকূলচন্দ্রের বিধান মোতাবেক পিতার চরিত্রের উপরে নয়। অন্যদিকে অনুকূল দাবী করেছেন যে জেনেটিক বাছাইয়ের মাধ্যমে মানুষকে মুরগির মতো বিবর্তন ঘটানো যায়। তাই প্রথমতঃ অনুকূলকে ভগবান মানলে জন্মান্তর তত্ব অশুদ্ধ হয়।

এবারে আসা যাক মহাভারতে। যারাই মহাভারত পড়েছেন তাঁরা জানেন যে কৌরব বংশটি আদতে লোপ পেতে বসায় ব্রাহ্মণসন্তান কৃষ্ণদ্বৈপায়ন ব্যাস এসে ক্ষত্রিয় রাজার দুই রাণীর গর্ভে ধৃতরাষ্ট্র ও পাণ্ডু নামের দুই পুত্রের জন্ম দিয়েছিলেন। অনুকূলের প্রতিলোম বিবাহের তত্ব অনুসারে এরা ক্ষত্রিয় না হয়ে ব্রাহ্মণ হবার কথা ছিল। কিন্তু মহাভারতের লেখক বরাবরই এদেরকে ক্ষত্রিয়ই বলে এলেন। দুর্যোধনও নিজেকে চিরকাল ক্ষত্রিয় বলেই গর্ব করে গেল। শুধু এটাই নয়, পান্ডুর বংশ পঞ্চপান্ডব সকলেই ছিলেন দেবতাদের সন্তান। সেই হিসাবে তাঁদের মধ্যে দেবগুণের সঞ্চার হওয়া এবং দেবতা হিসাবেই পরিচিত পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তা আদৌ হয়নি। এমনকি মহাজ্ঞানী সত্যবাদী যুধিষ্ঠির নিজেকে ক্ষত্রিয় বলেই পরিচয় দিয়েছেন। তাই অনুকূলের তত্বটি মহাভারতের বিরুদ্ধে যায়। অনুকূলকে ভগবান মানলে মহাভারত অশুদ্ধ হয়। একইভাবে গীতাও অশুদ্ধ হয়, কারণ গীতায় ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বরাবরই অর্জুনকে ক্ষত্রিয় বলেছেন। একবারও পিতার নাম টেনে দেবতা বলেননি। দুর্যোধনদের একশত আর পান্ডবদের পঞ্চ ভ্রাতার কারোও মধ্যেই ব্রাহ্মণের গুণাবলী প্রকট ছিলোনা। তারা কেউ পিতার পরিচয়ে ব্রাহ্মণ বা দেবতা ছিল না। তারা সকলেই জেনেটিক মাতৃকূলের গুণই পেয়েছিল এবং সকলেই ক্ষত্রিয় ছিল।

মহাভারত গেল, গীতা গেল। এবারে রামায়ণে আসা যাক। রামায়ণ যারা পড়েছেন তাঁরা জানেন যে রাবণের গুষ্টির সবাই ছিল রাক্ষস। যদিও রাবণের পিতা ব্রাহ্মণ ছিলেন তবুও উচ্চ জাতির পিতার কারণে রাবণ ব্রাহ্মণ হয়নি, মাতৃকুলের পরিচয়ে রাক্ষসই হয়েছিল। যেটা অনুকূলের তত্বের পুরোপুরি বিরোধী। তাই অনুকূলকে ভগবান মানলে রামায়ণ অশুদ্ধ হয়।

আরো একটু প্রাচীন কথায় যাওয়া যাক। কশ্যপ ঋষির দুই পত্নী ছিলেন, দিতি আর অদিতি। এই একই পিতার সন্তানেরা কিন্তু আদৌ গুণাবলীতে এক ছিল না। দিতির সন্তানেরা দৈত্য আর অদিতির সন্তাদেরা আদিত্য নামে পরিচিত হয়েছিল। এই দিতিরই এক পুত্রের নাম হিরণ্যকষিপু, যার দৈত্যগিরি পুরাণে বিখ্যাত হয়ে আছে। মাতৃকূলের গুণাবলী লাভ করে তারা একেবারেই আলাদা স্বভাবের হয়েছিল। এই পৌরাণিক কাহিনী অনুকূলের তত্বের একেবারেই উলটো কথা বলছে। তাই অনুকূলকে ভগবান মানলে পুরাণ অশুদ্ধ হয়।

এবারে একেবারে আদিতে, অর্থাৎ বেদ এবং তন্ত্র। ব্রহ্মা রচিত বেদ এবং মহাদেব শিব রচিত তন্ত্রে খুবই পরিষ্কারভাবে জানানো আছে যে সন্তানের মধ্যে পিতা ও মাতা উভয় কূলেরই গুণ সঞ্চারিত হয়। এই দুই আদিশাস্ত্রও অনুকূলের তত্বের বিরুদ্ধে। অনুকূলকে ভগবান নামতে গেলে আগম-নিগম অশুদ্ধ হয়।
অবশেষে ঋষিবাক্য। পৃথু রাজার কাহিনীতে আছে, লোকপাল বেণ তাঁর মাতা সুনীতির কুলদোষে বেদবিদ্বেষী হয়েছিলেন। ঋষিগণ তাঁকে নরানাং মাতুলক্রমঃ বলে অভিহিত করেছেন। নরানাং মাতুলক্রমঃ অর্থাৎ মনুষ্যপুত্র তাহার মাতুলের অনুরূপ হইয়া থাকে, তাহার মধ্যে মাতুল-কুলের গুণই প্রকাশ পায়। এই ঋষিবাক্য সরাসরি দাবী করে যে নরের মধ্যে পিতামাতা উভয়ের গুণ থাকলেও মাতৃকুলের গুণই প্রকট হয়। যা কিনা অনুকূলের তত্বের একেবারে বিপরীত। অর্থাৎ অনুকূলকে ভগবান বললে ঋষিবাক্য অশুদ্ধ হয়।

অতএব আমরা দেখলাম যে অনুকূলকে সত্য বলে মানতে চাইলে সনাতন ধর্মের মূল ভিত্তি বলে যা পরিচিত সেই আগম, নিগম, পুরাণ, রামায়ণ, মহাভারত এবং ঋষিবাক্য অশুদ্ধ হয়। সোজা কথায়, অনুকূলের কারণে পুরো সনাতন ধর্মই অশুদ্ধ হয়। আধুনিক জেনেটিক্স বিজ্ঞান যে অশুদ্ধ হয় সেটা আলাদা করে বলার দরকারই নেই।

অনেকের মনেই প্রশ্ন আসবে যে অনুকূল চক্রবর্ত্তী এইসব তত্বগুলি পেলেন কোথায়? এই ইউজেনিক্স তত্বটির মূল উৎস নিহিত আছে ভারতের বাইরে একদল বর্বর মরুদস্যুর আড্ডায়। যাদের আক্রমণে ভারতের সংস্কৃতি বারেবারে আহত হয়েছে। এমনিতেই বৌদ্ধ যুগে ভারতের বর্ণপ্রথা প্রায় মুছে যেতে বসেছিল। এরপর প্রথমে কুই-সাং জাতির (যাকে আমরা কুষাণ বলে ডাকি) এরপর হিউং-নূ বা হান (যাদের আমরা হূন বলে ডেকে থাকি) আক্রমণে ভারতের গোলমাল অবস্থা। সেই গোলমালে ব্রাহ্মণ সমর্থক গুপ্ত সম্রাটদের আমলেই একদল বামুন নিয়ে একটি কমিটি তৈরি করা হয়, যাদের কাজ ছিল লুপ্ত সনাতনী শাস্ত্রকে পুনরুদ্ধার করা, আর এই কমিটির সভাপতি ছিলেন সুমতি ভার্গব। এনারা অনেক খাটাখাটি করে সারাদেশ ঘুরে গুরুদের কাছে স্মৃতির সাহায্য নিয়ে সনাতনী বিধানগুলি সংগ্রহ ও সংহত করেন, তারই নাম স্মৃতি-সংহিতা। যেমন মনুস্মৃতি, যাজ্ঞবল্ক্য স্মৃতি ইত্যাদি। এই সংহিতা লেখার সময়েই তাঁরা অষ্পৃষ্যতা সমর্থনে, নারীশিক্ষার বিরুদ্ধে, বিধবা বিবাহের বিরুদ্ধে এবং বামুনদের সুবিধায় বেশকিছু লেখা এতে ঢুকিয়ে দেন। যেগুলোকে বর্তমানের গবেষকরা ভার্গব-প্রক্ষেপ বলে চিহ্নিত করেছেন। এই গবেষকদের মধ্যে সুকুমারী ভট্টাচার্যের নাম করা যায়।
এই ইউজেনিক্স বা পিতার জিনের দ্বারা উচ্চজাতির সৃষ্টির তত্বটি আমদানি হয়েছিল সেইসব বর্বর দস্যুদের থেকে। এই মরুদস্যুদেরই বর্তমান শাখা হচ্ছে আব্রাহামিক ধর্মগুলো। মঙ্গোলিয়ার হূণ বা হান-রাই ইসলামের ছায়ায় এসে খান হিসাবে পরিচিত হয়। এই ইসলামী দস্যুদের ধর্মীয় বিধানই আছে কাফেরদের কোতল করে তাদের মেয়েগুলোকে বিয়ে করা আর সাচ্চা ইসলামী সন্তানের জন্ম দেওয়া। এইভাবে তাদের বিশ্বাসমতে উচ্চ জাতি মুসলিম ছাড়া আর সব জাতিকে লুপ্ত করে দেওয়াটাই ছিল তাদের চোখে উন্নত সমাজ গড়ার একমাত্র পথ। এই তত্বটা ইসলাম আসার বহু আগে থেকেই মরুদস্যুদের মধ্যে ছিল। হিটলারও এই তত্বটা বাস্তবায়ন করতে চেয়েছিল তার আব্রাহামিক ঈশ্বরের নির্দেশে জার্মান ছাড়া আর সব ছোটোলোকের জাতকে লুপ্ত করে দিয়ে; অন্তত তার আত্মজীবনী মেইন ক্যাম্ফ পড়লে সেটাই পাওয়া যায়। সনাতনী শাস্ত্রে সব বর্ণকে নিয়েই সমাজ চালাতে বলা হয়েছে, কখনোই নিচু জাতের অবলুপ্তি ঘটিয়ে সমাজকে উন্নত করার বিধান দেওয়া হয়নি। এই তত্ব সনাতনের অংশ আদৌ নয় বরং বিদেশি মরুদস্যুদের তত্ব। যা এখন কোরানে পাওয়া যায়। নিজেকে রাসুল মহম্মদের অবতার দাবী করা অনুকূলচন্দ চক্রবর্ত্তী সেখান থেকেই এটা পেয়েছেন। এবং তাঁর খুবই পছন্দও হয়েছে। এই পছন্দের কারণটাও জেনেটিক তত্বের মধ্যে পাওয়া যাবে, তবে সেটা আমাদের আলোচনার বিষয় নয়। নিতান্তই কেউ জানতে চাইলে বোঝার চেষ্টা করবেন যে অনুকূলের বাচ্চারা নাহয় জেনেটিক নিয়মেই ভগবানের বাচ্চা ভগবান হয়েছে, কিন্তু অনুকূলের মধ্যে ভগবান এল কোন জেনেটিক নিয়মে? অনুকূলেরই তত্ব অনুসারে তো সাধারণ মানুষ শিবচন্দ্র চক্রবর্তীর জেনেটিক পুত্র অনুকূল ভগবান হতে পারেনা।

আমরা আলোচনা করব ভগবানের বংশ নিয়ে। সনাতনী ধর্মের কোনো অবতারেরই বংশধরদের ভগবান হিসাবে ধরা হয়না। রামের, কৃষ্ণের, বুদ্ধের সন্তানেরা কেউই ভগবান বা অবতার নয়। এই বংশগত অবতারের তত্বটাও আব্রাহামিক ধর্মের দান। বাইবেলের এবং কোরানেরও মধ্যে পাওয়া যাবে, আব্রাহামিক গড তাঁর প্রফেট ইশাক বা আইজ্যাককে বর দিয়েছেন যে ভবিষ্যতে যত প্রফেট বা পয়গম্বর জন্মাবে সবই তার বংশে জন্মাবে। এই কারণেই প্রফেট আইজ্যাকের বংশের মধ্যে প্রফেটের জিন ঢুকে গেছে।, যেমন অনুকূলের বাচ্চারা সবই জেনেটিক্যালি ভগবান।

একজন হিন্দু ছেলে কেনো স্বামী হিসেবে আদর্শ ? যদি একজন হিন্দু মেয়েকোনো মুসলিম ছেলেকে বিয়ে করে,তাহলে সেই মেয়ের জীবনে কি সমস্যা হয়Why is a Hindu boy so ideal as a husband? If a Hindu girlMarries a Muslim boy,So what is the problem in that girl's life?

একজন হিন্দু ছেলে কেনো স্বামী হিসেবে আদর্শ ?
১. একজন হিন্দু ছেলে কখনো দ্বিতীয়
বিয়ে করবে না এবং এ ব্যাপারে কখনো সে
চিন্তাও করবে না।
২. সে কখনো আপনাকে ডিভোর্স দেবে
না এবং এ ব্যাপারে ভাবতেও ভয় পাবে।
৩. স্বামীর সংসারে আপনিই একমাত্র রাণী এবং
আপনার সংসার আপনারই আজীবনের রাজত্ব;
সেখানে আপনার দাসী হওয়ার ভয় নেই,
তালাকপ্রাপ্তা হয়ে নিজ সংসার থেকে বিতাড়িত
হওয়ার ভয় নেই, পর্দার নামে আপনার ব্যক্তি
স্বাধীনতাকে হরণ করা হবে না, চাকরি করতে
চাইলে পাবেন অবাধ স্বাধীনতা।
৪. আপনার একবারই বিয়ে হবে এবং সেটা লাইফ
গ্যারান্টি।
৫. একটি হিন্দু পরিবার মেয়েদের জন্য
পৃথিবীতে সবচেয়ে নিরাপদ এবং সুখময় স্থান।
এর বিপরীতে, যদি একজন হিন্দু মেয়ে
কোনো মুসলিম ছেলেকে বিয়ে করে,
তাহলে যা যা হয়-
১. মেয়েটিকে হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করতে হয়,
ফলে সে নিজ পরিবার থেকে বিতাড়িত হয়।
২. পিতা-মাতা, ভাই-বোনের আত্মীয়-স্বজনের
অভিশাপ নিয়ে তাকে সংসার জীবন শুরু করতে
হয়, যার পরিণতি কখনো শুভ হয় না।
৩. ইসলামিক কালচার নতুন করে শিখতে হয়, গরুর
মাংস খেতে হয়।
৪. স্বামীর চার বিয়ের ধর্মীয় অধিকারের
কারণে সব সময় সতীনের ভয়ে থাকতে হয়।
৫. স্বামী আরেকটা বিয়ে করলে নিজ সংসারে
দাসীর মতো থাকতে হয়।
৬. মুসলিম সমাজের তালাক প্রথার কারণে সব সময়
তালাকের ভয়ে থাকতে হয়।
৭. অবশেষে তালাক হলে তাকে পথে বসতে
হয়।
৮. কোনো কারণে স্বামীর বাড়ি থেকে
বিতাড়িত হলে সে বাপের বাড়িতেও যেতে
পারে না, তাই শেষ পর্যন্ত তাকে আত্মহত্যা
করতে হয় বা অন্যপুরুষের সাথে পুনঃবিবাহ,
তালাকের চক্করে একটা জঘন্য জীবন যাপন
করতে হয়, যা কোনো আত্মমর্যাদাসম্পন্ন
নারী কখনোই মেনে নিতে পারে না।
জীবন আপনার, সিদ্ধান্তও আপনার; স্বজাতি
হিসেবে আমি শুধু আপনাকে সচেতন করতে
পারি, সেই চেষ্টাটা করলাম।
ঈশ্বর আপনার মঙ্গল করুক।
জয় হিন্দু -জয় শ্রীরাম, জয় শ্রীকৃষ্ণ।
----------------------------------------------------------------
Why is a Hindu boy so ideal as a husband?
1. A Hindu boy is ever second
Will not get married and never will
Don't worry.
2. He will ever divorce you
No and you would be afraid to even think about it.
3. You are the only queen in the husband's world
Your family is the realm of your life;
There is no fear of being your maid,
Divorced from her family by divorce
Fear not, your person in the name of the screen
Freedom will not be taken away, to be employed
If you want to get free freedom.
4. You get married once and that's life
Guarantee.
5. A Hindu family is for girls
The safest and happiest place on earth.
On the contrary, if a Hindu girl
Marries a Muslim boy,
So whatever it is -
1. The girl has to renounce Hindu religion,
As a result, he was expelled from his family.
2. Parents, relatives of siblings
Curse him to start the life of the world
Either way, the consequences are never auspicious.
3. Islamic culture has to be re-learned, cow
Meat is to eat.
4. The husband's four marriages belong to religious rights
Due to the fear of satin all the time.
5. If the husband marries another, in his own world
Have to stay like a maid.
6. Due to the divorces of the Muslim community all the time
There is a fear of divorce.
7. Finally get her divorced when she gets in the way
Either.
8. From the husband's house for some reason
If deported, he would go to his father's house
Can't, so she finally committed suicide
To remarry or remarry with another man,
A vicious life in the cycle of divorce
Which has to do with self-esteem
Women can never accept.
Life is yours, your decision is yours; Tribe
So I just wanted to make you aware
Well, I tried that.
May God bless you
Joy Hindu-Jai Sriram, Joy Sri Krishna.
---------------------------------------------------------------
एक हिंदू लड़का एक पति के रूप में इतना आदर्श क्यों है?
1. एक हिंदू लड़का कभी दूसरा होता है
शादी नहीं होगी और कभी नहीं होगी
चिंता मत करो।
2. वह तुम्हें कभी तलाक देगा
नहीं और आप इसके बारे में सोचने से भी डरेंगे।
3. आप पति की दुनिया में एकमात्र रानी हैं
आपका परिवार आपके जीवन का क्षेत्र है;
तुम्हारी नौकरानी होने का कोई डर नहीं है,
तलाक देकर अपने परिवार से अलग हो गई
डर नहीं, स्क्रीन के नाम पर आपका व्यक्ति
स्वतंत्रता को छीन नहीं लिया जाएगा, नियोजित किया जाएगा
अगर आप आज़ादी पाना चाहते हैं।
4. आप एक बार शादी कर लें और यही जीवन है
गारंटी।
5. एक हिंदू परिवार लड़कियों के लिए है
पृथ्वी पर सबसे सुरक्षित और खुशहाल जगह।
इसके विपरीत, अगर एक हिंदू लड़की
एक मुस्लिम लड़के से शादी करती है,
तो जो भी है -
1. लड़की को हिंदू धर्म त्यागना होगा,
परिणामस्वरूप, उन्हें अपने परिवार से निकाल दिया गया।
2. माता-पिता, भाई-बहनों के रिश्तेदार
उसे दुनिया के जीवन की शुरुआत करने के लिए शाप देना
किसी भी तरह से, परिणाम कभी भी शुभ नहीं होते हैं।
3. इस्लामिक संस्कृति को फिर से सीखना होगा, गाय
मांस खाना है।
4. पति के चार विवाह धार्मिक अधिकारों से संबंधित हैं
हर समय साटन के डर के कारण।
5. अगर पति अपनी ही दुनिया में दूसरी शादी करता है
नौकरानी की तरह रहना है।
6. हर समय मुस्लिम समुदाय के तलाक के कारण
तलाक का डर है।
7. अंत में रास्ते में मिलने पर उसका तलाक करवा दें
है।
8. किसी कारणवश पति के घर से
यदि निर्वासित किया जाता, तो वह अपने पिता के घर जाता
नहीं कर सकता, इसलिए उसने आखिरकार आत्महत्या कर ली
किसी अन्य व्यक्ति के साथ पुनर्विवाह या पुनर्विवाह करने के लिए,
तलाक के चक्र में एक शातिर जीवन
जिसे आत्मसम्मान के साथ करना है
महिलाएं कभी स्वीकार नहीं कर सकतीं।
ज़िन्दगी आपकी है, फ़ैसला आपका है; लोग
इसलिए मैं सिर्फ आपको जागरूक करना चाहता था
खैर, मैंने कोशिश की।
भगवान आपका भला करे
जॉय हिंदू-जय श्रीराम, जॉय श्री कृष्णा।

Monday, April 13, 2020

চীনের ল্যাবেই তৈরি করা হয়েছিল করোনা ভাইরাস, মিলল তার প্রমাণ!

চীনের ল্যাবেই তৈরি করা হয়েছিল করোনা ভাইরাস, মিলল তার প্রমাণ!
 চীনের উহান থেকে আসা করোনা ভাইরাস গোটা বিশ্বে মহামারির আকার ধারণ করেছে। করোনা ভাইরাসের থাবায় কার্যত স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে গোটা বিশ্ব। বিশ্বের উন্নতশীল দেশগুলোও হিমশিম খাচ্ছে করোনা ভাইরাসের সঙ্গে মোকাবিলায়। করোনার সংক্রমণ রুখতে বিভিন্ন দেশে লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীরা।
একদিকে যখন করোনা ভাইরাসের সঙ্গে মোকাবেলায় হিমশিম খাচ্ছে গোটা বিশ্ব সেই সময় করোনা ভাইরাস নিয়ে উঠে এসেছে নানান রকম বিতর্ক। নভেল করোনাভাইরাস কি সত্যিই প্রকৃতি থেকে সৃষ্টি হয়েছে, নাকি চীনের ল্যাবেই তৈরি করা হয়েছে এই ভাইরাস! এটা নিয়ে বিতর্ক শুরু থেকে লেগেই রয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল, ও ইরান প্রথমেই দাবি করেছে, করোনা কোন ভাইরাস নয়, এটা চীনে উহানের ল্যাবে তৈরি করা মারাত্মক একটি জৈব রাসায়নিক বোমা। যদিও এটাকে “ষড়যন্ত্র” বলে উড়িয়ে দিয়েছে চীন।
এবার চীনের বিরুদ্ধে হাতে আসলো নতুন প্রমাণ যাতে দেখা যাচ্ছে, চীনের ল্যাব থেকেই ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাস। এটাকে অস্বীকার করার কোন উপায় নেই। সাম্প্রতিক প্রকাশ্যে আসায় বেশ কিছু প্রমাণ এই ইঙ্গিত দেয় যে নোবেল করোনাভাইরাস কোনোভাবেই প্রকৃতি থেকে সৃষ্টি হয়নি চীনের উহান শহরের একটি ভাইরোলজি ল্যাবেই তৈরি করা হয়েছিল এই ভাইরাস।
ন্যাশনাল রিভিউয়ের সিনিয়র সংবাদদাতার লেখা একটি দীর্ঘ নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। ডকুমেন্টারি নির্মাণের জন্য তিনি চলচ্চিত্র নির্মাতা এবং ইউটিউবারের সঙ্গে দীর্ঘদিন চিনে থাকেন। বিশদভাবে তদন্তও করেন বিষয়টি নিয়ে। সম্প্রতি তিনি এই নিয়ে বেশ কিছু ভিডিও আপলোড করে ইউটিউবে। যেখানে এই ভাইরাসটির উৎস সম্পর্কে শনাক্ত করতে পেরেছেন বলে দাবি করেন তিনি। এই ভিডিওতে ভাইরাসটির উৎস সম্পর্কে প্রচুর তথ্য রয়েছে।
এছাড়াও উহান ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজি কর্তৃক গত বছরের শেষের দিকে কাকতালীয়ভাবে দুটি সন্দেহজনক চাকরির অফার পোস্ট করা হয়। সেখানে বিজ্ঞানীদের “করোনাভাইরাস ও বাদুড়ের মধ্যে সম্পর্ক” নিয়ে গবেষণা করতে অনুরোধ করা হয় এবং জব অফারটিতে লেখা ছিল, “বাঁদুরকে গবেষণামূলক বিষয় হিসেবে গ্রহণ করে আমি মলিকুলার মেকানিজম এর মাধ্যমে এমনসব প্রক্রিয়ার উত্তর দেব যা দীর্ঘকাল ধরে কোনো রোগের সংক্রমন ছাড়াই ইবোলা এবং সার্স সম্পর্কিত করোনা ভাইরাস এর সঙ্গে অবস্থান করতে পারবে এবং এটি বেশি দিন বেঁচে থাকবে।
গত ২৪ শে ডিসেম্বর এই ল্যাবটি আরও একটি কাজের উদ্বোধন করে। যেখানে চাইনিজ বলতে পারা টাই দাবি করেছেন, “আমরা একটি নতুন এবং ভয়ানক ভাইরাস আবিষ্কার করেছি এবং এর সাথে মোকাবিলার জন্য লোক নিয়োগ করতে চাই। 
এছাড়াও করোনাভাইরাস এর সম্ভাব্য উৎস হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছিল, ভাইরাসটি সম্ভবত এমন একটি প্রাণী থেকে এসেছিল যেটা বাঁদুরের মতো দেখতে। কিন্তু কার্লসন উল্লেখ করেন , চীনে উহানের ৯০০ কিলোমিটারের মধ্যে বাদুড়ের কোন কলোনি নেই। এছাড়াও চীনের যেই সামুদ্রিক বাজারে বাদুর বিক্রি হয়েছিল বলে দাবি করা হয়েছে সেটার কোনো সত্যতা এখনো পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। করোনাভাইরাস যে চীনের ল্যাবেই তৈরী করা হয়েছে তা নিয়ে একাধিক ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে।

Sunday, April 12, 2020

বিস্ময়কর কিছু তথ্য, যেখানে ধর্ম আর বিজ্ঞান পরস্পরের মেলবন্ধনে মিলেমিশে একাকার।

#বিস্ময়কর কিছু তথ্য, যেখানে ধর্ম আর বিজ্ঞান পরস্পরের মেলবন্ধনে মিলেমিশে একাকার।

নিচের মন্দিরগুলির দিকে খেয়াল করুন- 
১। কেদারনাথ, উত্তরাখন্ড।
২। কালহস্তী, অন্ধ্রপ্রদেশ।
৩। একাম্বরনাথ, কাঞ্চি।
৪। থিরুবনমালী।
৫। থিরুবনইকবাল।
৬। চিদাম্বরম নটরাজ।
৭। রামেশ্বরম।
৮। কালেশ্বরম, তেলেঙ্গানা, উত্তর ভারত।

কোন সম্পর্ক খুঁজে পেলেন কি ? কোন সম্পর্ক এদের মধ্যে আদৌ আছে কিনা, ধারনা করতে পারেন ? একটা সম্পর্ক হল এগুলো সবই শিব মন্দির। আর কোন সম্পর্ক এদের মধ্যে নেই ?

তাহলে আসুন দেখা যাক এসব মন্দিরের মধ্যে আর কোন সম্পর্ক আছে কিনা ! আশ্চর্যজনক ভাবে সত্যি এটাই যে, এই মন্দিরগুলি সবই একই ৭৯° দ্রাঘিমা রেখায় অবস্থিত। বিস্ময়কর হল, কোন প্রকার স্যাটেলাইট প্রযুক্তি, জিএসপি বা অনুরূপ কৌশল ছাড়াই তখনকার স্থপতিরা শত শত কিলোমিটার দূরবর্তী এতগুলো মন্দিরকে একই দ্রাঘিমারেখায় কিভাবে স্থাপন করেছিলেন ! প্রত্যেকটি মন্দিরের পৃথক দ্রাঘিমাংশের দিকে খেয়াল করুন -
১। কেদারনাথ: ৭৯.০৬৬৯°।
২। কলহস্তী: ৭৯.৭০৩৭°।
৩। একাম্বরনাথ: ৭৯.৭০৩৬°।
৪। তিরুবনমালী: ৭৯.০৭৪৭°।
৫। থিরুবনইকবাল: ৭৮.৭১০৮।
৬। চিদাম্বরম নটরাজ: ৭৯.৬৯৫৪°।
৭। রামেশ্বরম: ৭৯.৩১২৯°।
৮। কালেশ্বরম: ৭৯.৯০৬৭°।

নিচের ছবিটি দেখুন। সবগুলো মন্দিরই একটি সরলরেখায় অবস্থিত। আশ্চর্যজনক হল, তখনকার স্থপতিরা কত উন্নত মানের প্রযুক্তির অনুশীলন করতেন, যা এই যুগেও আমাদের কাছে সহজবোধ্য নয়।

আরো আশ্চর্যজনক হল, এই সবগুলো মন্দিরই প্রকৃতির ৫টি চিরন্তনী বিষয়কে উপস্থাপন করে, যাদের একত্রে " পঞ্চতত্ব" বা "পঞ্চভূত" বলা হয়। এগুলো হল ভূ বা পৃথিবী, বারি বা জল, পাবক বা আগুন, পবন বা বায়ূ এবং ভূত বা স্থান বা মহাশূন্য। এই পাঁচটি বিষয় দ্বারা উপরের আটটির মধ্যে পাঁচটি শিব মন্দিরকে এইভাবে  উপস্থাপন করা হয়েছে যে -
১। তিরুবনমালী মন্দিরকে জল দ্বারা,
২। থিরুবনইকবাল মন্দিরকে অগ্নি দ্বারা,
৩। কলহস্তী মন্দিরকে বায়ূ দ্বারা, 
৪। একাম্বরনাথ মন্দিরকে পৃথিবী দ্বারা এবং
৫। চিদাম্বরম মন্দিরকে মহাশূন্য দ্বারা উপস্থাপন করা হয়েছে। এই পাঁচটি মন্দির একত্রে বাস্তু, বিজ্ঞান এবং বেদ এর মহামিলনকে উপস্থাপন করে।

এই মন্দিরগুলোর মধ্যে আরো কিছু ভূতাত্ত্বিক বিশেষত্ব আছে। এই পাঁচটি মন্দির আসলে যোগ বিজ্ঞানের সাহায্যে পরস্পরের প্রতি এক বিশেষ ভৌগলিক অবস্থানে নির্মিত, যার সাথে বিজ্ঞান এবং মানবশরীরবৃত্তীয় বিষয়াদির সাথে সম্পর্ক রয়েছে।

এই মন্দিরগুলো আজ থেকে অন্তত চার হাজার বছর আগে নির্মাণ করা হয়েছিল। সে সময় এসব স্থানের অক্ষাংশ বা দ্রাঘিমাংশ মাপার মত কোন স্যাটেলাইট প্রযুক্তি বা জিপিএস ছিলনা। সেই সময়ে এতগুলি মন্দির এত নির্ভুলভাবে একটি সরলরেখায় কিভাবে স্থাপন করা হয়েছিল তা ঈশ্বরই জানেন। 

এই সরলরেখাটিকে বলা হচ্ছে "শিবশক্তি অক্ষ রেখা"। এই রেখাটির ৮১.৩১১৯° পূর্ব অক্ষাংশে রেখে কৈলাশের সবগুলো শিব মন্দির নির্মিত হয়েছে। কেন তা ঈশ্বর জানেন।

মহাকালের সাথে শিবজ্যোতির্লিঙ্গম এর আরো বিশেষ কিছু সম্পর্ক রয়েছে ! সনাতন ধর্মে জ্যোতির্বিজ্ঞান চর্চার জন্য উজ্জয়ন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি স্থান। এই উজ্জয়ন থেকে বিভিন্ন জ্যোতির্লিঙ্গম সমূহের মধ্যবর্তী দূরত্বওগুলি দেখুন কতটা চমকপ্রদ -
উজ্জয়ন থেকে সোমনাথ ৭৭৭ কিলোমিটার।
উজ্জয়ন থেকে ওঙ্কারেশ্বর ১১১ কিলোমিটার।
উজ্জয়ন থেকে ভীমাশঙ্কর ৬৬৬ কিলোমিটার।
উজ্জয়ন থেকে কাশী বিশ্বনাথ ৯৯৯ কিলোমিটার।
উজ্জয়ন থেকে মল্লিকার্জুন ৯৯৯ কিলোমিটার।
উজ্জয়ন থেকে কেদারনাথ ৮৮৮ কিলোমিটার।
উজ্জয়ন থেকে ত্র্যম্বকেশ্বর ৫৫৫ কিলোমিটার।
উজ্জয়ন থেকে বৈজুনাথ ৯৯৯ কিলোমিটার।
উজ্জয়ন থেকে রামেশ্বরম ১৯৯৯ কিলোমিটার। 
উজ্জয়ন থেকে নৌশেশ্বর ৫৫৫ কিলোমিটার।

সনাতন ধর্মতত্বে কোন কিছুই অপ্রয়োজনীয় ছিল না এবং বিনা কারনে কোন কিছুই করা হয়নি। অতীতে সনাতন ধর্মে উজ্জয়নকে বিবেচনা করা হত বিশ্বের (ভূ-গোলকের) কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে। সেই হিসেবে এখানে প্রায় ২০৫০ বছর পূর্বে ভূ-তত্ব, সূর্য এবং জ্যোতির্বিজ্ঞানের সনাতন ধর্মীয় বিভিন্ন পরিমাপের জন্য হস্তচালিত কিছু যন্ত্রপাতি উদ্ভাবন করা হয়েছিল। পরবর্তীতে, আনুমানিক ১০০ বছর আগে ব্রিটিশ বিজ্ঞানীরা যখন ভূ-গোলকের মাঝামাঝি একটি কাল্পনিক রেখা টানেন, তখনও এর কেন্দ্রীয় এলাকা ছিল ঐ উজ্জয়ন। বর্তমান সময়েও বিশ্বের অধিকাংশ বিজ্ঞানী সূর্য ও মহাকাশ নিয়ে গবেষণার কাজ করতে উজ্জয়নেই আসেন।

শিবলিঙ্গ পূজার মধ্যে কোনও অশ্লীলতা নেই

শিবলিঙ্গ পূজার মধ্যে কোনও অশ্লীলতা নেই

‘শিব’ শব্দের অর্থ ‘মঙ্গল’ আর ‘লিঙ্গ’ শব্দের অর্থ প্রতীক বা চিহ্ন। শাস্ত্র ‘শিব’ বলতে নিরাকার সর্বব্যাপি পরমাত্মা বা পরমব্রহ্মকে বোঝায়। তাই ‘শিবলিঙ্গ’ হচ্ছে মঙ্গলময় পরমাত্মার প্রতীক। অনেকে যে একে পুরুষাঙ্গের পূজা হিসেবে ব্যাখ্যা করে অশ্লীলতা বলে মনে করেন, তা একেবারেই ভুল ব্যাখ্যা। তা ছাড়া, হিন্দু ধর্মে শিবকে নিরাকার বলে মনে করা হয়। কাজেই তাঁর লিঙ্গ যে একেবারেই প্রতীকী বিষয়, তা বোঝা প্রয়োজন।
৪. স্বামী বিবেকানন্দের ব্যাখ্যা:-
স্বামীজী ‘অথর্ববেদ’-এর শ্লোক উদ্ধৃত করে শিবলিঙ্গকে আদি ব্রহ্মের স্বরূপ বলে ব্যাখ্যা করেছিলেন। তাঁর মতে, আদি ও অন্তহীন ব্রহ্মের প্রতীক হল শিবলিঙ্গ।শিবলিঙ্গের বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা:-
শিবলিঙ্গের দিকে তাকালে দেখা যাবে এর লম্বাকৃতি অংশটিতে পরপর তিনটি খাঁজ কাটা রয়েছে। বিজ্ঞানী নিলস বোরের ব্যাখ্যা অনুযায়ী এই তিনটি খাঁজ আসলে অণুর তিনটি উাপাদান— প্রোটন, নিউট্রন ও ইলেকট্রনের প্রতীক। এই তিনটি উপাদান দিয়েই তৈরি হয়েছে বিশ্বব্রহ্মাণ্ড। অর্থাৎ কার্যত ব্রহ্মাণ্ডের গঠনের প্রতীক হল শিবলিঙ্গ।
৬. শিবলিঙ্গের বৈদিক ব্যাখ্যা:-
শিবলিঙ্গ যেহেতু ব্রহ্মাণ্ডের প্রতীক সেহেতু শিবলিঙ্গ পূজা করার অর্থ, আদি শক্তির সঙ্গে চৈতন্যের মিলনকে স্মরণে রাখা। এই ‘মিলন’-এর অর্থ অবশ্য শারীরিক মিলন নয়, বরং এ এক অতিপ্রাকৃত মিলন। প্রসঙ্গত এ কথাও বলা প্রয়োজন যে, সংস্কৃত ভাষায় ‘লিঙ্গ’ শব্দটির অর্থ কিন্তু পুরুষাঙ্গ নয়, বরং চিহ্ন। নির্গুণ শক্তি যখন সগুণ শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করা শুরু করে তখন লিঙ্গই হয়ে ওঠে সেই ওঠে সেই রূপান্তরের চিহ্ন।
৭. শিবলিঙ্গের গায়ে যে সাপটি থাকে তা আসলে সুপ্ত চেতনার প্রতীক:
শিবলিঙ্গের গায়ে অনেক সময়ে যে সাপটি প্যাঁচালো অবস্থায় দেখা যায়, সেটি আসলে কুলকুণ্ডলিনীর প্রতীক। এই শক্তির জাগরণকে চিহ্নিত করে শিবলিঙ্গ।

হর হর মহাদেব

Thursday, April 9, 2020

বাঁচতে চাই অরুণ বিশ্বাস

বাঁচতে চাই
অরুণ বিশ্বাস
বিশ্ব জুড়ে লকডাউন, বাংলাদেশ ও তেমন,
বাঁচতে করোনা থেকে, এই বিধি প্রচলন ।
মহামারি করোনা ভাইরাস, সবার আতঙ্ক !
বাছেনা গরিব ধনী, বায়ু তার যোগ অঙ্ক ?

খেতে পেলে বাঁচবো সবে,এর বিকল্প নাই,
সকল কাজ বন্ধ এখন, যাবো কার ঠাই ?                                                                                                                                                                                                            
পয়সা যাদের বেশি, খাদ্য করেছে মজুদ !
দিন মজুরী রিক্সা চালক, তাদেরি আপদ !

সরকার বন্টনে খাবার, মেটেনা চাহিদা--
ধনী জনে বিলি করে, যাঁর যেমন সওদা ।
ভাইরাস উপেক্ষা করে,সেবা দিচ্ছে যে জন,
মরণ কে বরণ করে, চালায় সেবা রণ !

ডাক্তার সেবা দিদি, উপেক্ষা করে স্বাস্থ্য বিধি !
আক্রান্ত হয়ে তাঁনারা, ঘরে রয় নিজে বন্ধি ।
কতো শতো প্রতিষ্ঠান, বিধি বার্তা সচেতন,
সকল গণ মাধ্যমে,বার্তা পৌছে করে চেতন ।

পাড়ায় পাড়ায় মাইকিং, করলো সযতনে,
বাঁচার মহা রণ, পৃথিবী দেখলো নয়নে ।
বাজি রেখে নিজ জীবন,করে মানব সেবা,
জগত জুড়ে মহামানব,খ্যাতি দেবে সভা ।

ভাত নুন পেলে, তবে- বাঁচবে মহা জীবন !
থাকবো ঘরে অন্তরীণ, সুরক্ষা দেহ পণ ।
বিস্তারে ভাইরাস, যদি- সমগ্র জনপদ,
নিস্তার পাবেনা কেহ, হবে সমূহ বিপদ !

 শাক অন্নে জীবন রাখি, থাকি সবাই ঘরে,
বন্ধ আজি দোকান যান,জীবন সব উপরে ।
গোলা ভরা ধান আছিলো, চাউল শূণ্য ঘর,
ধান চাটাই কল বন্ধ, ঢেঁকির নাই খবর ।

পড়শি আজি পর করে, করোনা ভাইরাস !
সুস্থ্য থাকে যে যাঁর বাড়ি,এটাই মনে আশ ।
করোনা মহামারি, রূপ যুদ্ধাপেক্ষা ভিষন !
ঘরে থাকি বুকে আশা,যতো শিঘ্র অবসান ।

থাকতে পারে অর্থ ঘরে,তাতে দেবেনা খাবার,
ধনি গরিব এক জমাতে, নাই মত আচার । 
মতবাদে লালনিছে, কতো বিভেদের বাণী,
মানুষ-ই এক জাতি, শুনি তাঁরি পদধ্বনি ।
তারিখ ৯।৪।২০২০

Wednesday, April 8, 2020

লক ডাউনের আজ ১২০ দিন পড়লো। বাংলায় আক্রান্তের সংখ্যা আজ ২ কোটি ছাড়িয়েছে। সারা ভারতে ৪১ কোটি। মৃত প্রায় ১.৫ কোটি।

পড়ে দেখার অনুরোধ রইলো
দারুন লেখা....😢😢😢😢😢
২৫/০৭/২০২০
সকাল  ১০ টা

লক  ডাউনের আজ ১২০ দিন পড়লো। বাংলায় আক্রান্তের সংখ্যা আজ ২ কোটি ছাড়িয়েছে। সারা ভারতে ৪১ কোটি। মৃত  প্রায় ১.৫ কোটি। 

ভ্যাপসানি গরমে একটু ঠান্ডা বাতাস পাওয়ার জন্য তপ্ত দুপুরে জানলার ধারে বসে আছি। সারা দিনে এখন ওই ঘন্টা তিনেক বিদ্যুৎ পাওয়া যায়। শুনেছি পাওয়ার স্টেশন গুলোতে কাজ করতে যাবার লোক নেই। অল্প একটু টিভিতে নিউজ দেখতে পাই । নিউজ বলতে শুধু আক্রান্ত আর মৃতের সংখ্যাটা দেখায়।খবর পড়ে শোনানোর এখন কেউ নেই। 

আমাদের পাড়াটা আজ থেকে দেড় মাস আগেও কেমন গমগম করত আর এখন, মানুষের গলার আওয়াজ পাওয়া যায় না। অদ্ভুত এক নিস্তব্ধতা!! আছেই বা কে পাড়াতে । শশ্মান এ নিয়ে যাবারও কেউ নেই পাড়াতে। অধিকাংশই তো বাড়ির উঠনেই, গর্ত খুঁড়ে !
 
এই কদিন খাবার পাওয়াটাও খুব কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।কদিন আগেও একটা গাড়ি এসে পাড়ায় যে কজন বেঁচে আছে তাদেরকে ভাত আর ডাল দিয়ে যেত এই দুদিন তারাও আর আসে না। হয়তো তারাও !!! কোনরকমে শুধু সেদ্ধ ভাত খেয়ে বেঁচে আছি, কিন্তু কদিন ?? মুদির দোকানও সব বন্ধ। গোনাগুন্তি যে কজন সুস্থ আছে, ভয়ে তারাও দোকান খুলছে না আর। দু একটা ঔষধের দোকান কদিন দু এক ঘন্টার জন্য খুলেছিল এখন শুনছি আর কোন মেডিসিনই দোকানে আসছে না। সব বন্ধ।হাসপাতাল গুলোর অবস্থা আরও খারাপ।শুনেছি চিকিৎসা করতে করতে,অধিকাংশ ডাক্তার নার্সরাই আজ আক্রান্ত। যে কজন আছেন কোন মতে চালাচ্ছেন। হয়তো হাসপাতালটাও বন্ধ হয়ে যাবে। অনেক আগেই বন্ধ করে হয়ে গেছে ইন্টারনেট পরিষেবা। বন্ধ ফোন কোম্পানি গুলোও। দু একটা ব্যাংক কয়েকদিন চলেছিল বটে কিন্তু এখন শাট ডাউন হয়ে গেছে সব ব্যাংক।
কিছু দিন আগেও যে পুলিশ আপ্রাণ চেষ্টা করছিল সবাইকে বাঁচাতে এখন আর তাদেরকেও সেভাবে দেখা যায় না। 

কেমন অবাক লাগছে !! এই তো মাস দেড়েক আগেও কেমন ছিল আমার গ্রাম টা !! আর আজ ? মনে হচ্ছে না কোন মানুষ আছে এখানে। চারদিকে শুধু নিস্তব্ধতা আর ভ্যাপসা গন্ধ। 

কি ভুলটাই করেছি, তখন যদি সরকারের কথা শুনতাম !! আড্ডা মারা, তাস খেলা যদি বন্ধ করে দিতাম!!
ওই ওই,,,,,,, আরো বাড়ল মৃতের সংখ্যা। একটা এম্বুলেন্সের সাইরেন অনেকক্ষন ধরে বেজেই চলেছে।

ঘটনা কাল্পনিক হলেও এই অবস্থায় পৌঁছাতে সময়ও লাগবে না বেশি দিন আবার বাঁচার জন্য আমাদের হাতে সময়ও আছে কয়েকটা দিন। তাই প্রশাসনের লক ডাউন মেনে চলা ছাড়া বেঁচে থাকার দ্বিতীয় কোন রাস্তা আমাদের কাছে খোলা নেই। আসুন শত  কষ্ট হলেও দাঁতে দাঁত চেপে ঘরের মধ্যেই থাকি। পরিবারকে বাঁচাই, দেশকে বাঁচাই।🙏🙏

#সংগৃহীত

একটা মিথ্যা সাজানো গল্প সত্যি হয়ে গেল। সারাদেশে হৈ হৈ পড়ে গেল ট্রাম্প মোদীকে হুমকি দিয়েছে।

গত দুদিন ধরে একটা খবরে ছেয়ে গেছে দেশের সমস্ত মিডিয়া। খবরটা বেশ মুখরোচক, যদি ভারত আমেরিকাকে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন না দেয় তাহলে ভারতের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে আমেরিকা এই রকমই হুমকি দিয়েছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সাথে একটা দু'ঘণ্টা লম্বা ভিডিওর থেকে কয়েক সেকেন্ডের ক্লিপ দেখানো হচ্ছে তাতে ট্রাম্পবাবু বলছেন "রেটালিয়েশন তো হতেই পারে, কেন হবেনা"। ব্যাস আর কি চাই? খবরের সাথে সাথে তার সত্যতা যাচাই করার জন্য ভিডিও ক্লিপিংও রয়েছে। সারাদেশের মিডিয়া, দেশের মোদিবিরোধী জনতা, এমনকি বিজেপি এবং মোদির সাপোর্টাররাও ট্রাম্পের বিরুদ্ধে রে রে করে উঠলেন এই বিষয়ে। কেউ এই খবরটা এই ভিডিওটার আসল গল্প খুঁজে বার করার চেষ্টাও করলেন না। বিজেপির আইটি সেল ইদানিং রভিশ কুমারের দয়ায় খুব নাম করেছে। কিন্তু তাদের মধ্যেও কাউকে দেখলাম না এত বড় একটা মিথ্যা প্রচার এর বিরোধীতা করতে। সকাল থেকে যাদের যাদেরকে আমি এই বিষয়ে বলতে গেছি তারাই দেখেছি এই বিষয়ে বিশেষজ্ঞ মতামত নিয়ে তেড়ে এসেছেন। "ট্রাম্প বলেছে তো, ভিডিও আছে। তুমি দেখনি ? দাড়াও তোমায় পাঠাচ্ছি।"

ঘটনাটা ভারতের সবথেকে প্রথম রিপোর্ট করে এনডিটিভি। ওদের এটাই কাজ, দেশবিরোধী কথা প্রচার করাতে ওদের বিশেষ পারদর্শিতা আছে। পরে, তাদের দেখাদেখি প্রিন্ট, অয়ার, এবিপি, মানি কন্ট্রোল ইত্যাদি মোটামুটি সব রকম নিউজ পোর্টালে এই খবরটা ছড়িয়ে পরলো। কিছু বিদেশী মিডিয়া হাউসঅ এই বিষয়টা নিয়ে বেশ রসিয়ে কয়েক পাতা লিখে ফেলল। কিন্তু কেউই আসল গল্প জানতে চাইল না বা জানলেও লিখল না। "Media Distortion Examples" বলে যদি গুগলে সার্চ করেন তাহলে এই ধরনের অনেক উদাহরণ দেখতে পাবেন। এইটাও বোধহয় পরবর্তীকালে এই সার্চ এর রেজাল্ট হিসাবে দেখতে পাওয়া যাবে।

এবার আসা যাক কাজের কথায়। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একটি সাংবাদিক সম্মেলনে সাংবাদিকদের তরফ থেকে আসা প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছিলেন এক এক করে। সেখানে এক সাংবাদিক তাকে এই প্রশ্নটা করেন: "Are you worried about retaliation to your decision to ban export of medical goods like Indian Prime Minister Modi's decision to not export Hydroxychloroquine to the United States and other countries?"
এটার বাংলা মানে করলে দাঁড়ায়,

ঠিক যেমন প্রাইম মিনিস্টার মোদী হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন আমেরিকা এবং অন্যান্য দেশে রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন তেমনি আপনি যে চিকিৎসা সংক্রান্ত দ্রব্যাদি বিদেশে রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে রেখেছেন, তার বিরুদ্ধে প্রতিশোধস্পদ পদক্ষেপ নিয়ে চিন্তিত ?

উত্তরের ট্রাম্প বাবু অনেক কথাই বলেন। বলেন মোদীজির সাথে তার কি কি কথা হয়েছে তিনি কেন আশাবাদী যে প্রাইম মিনিস্টার মোদী তাঁকে এই ওষুধগুলো পাঠাবেন। তারপর উত্তরের শেষের দিকে তিনি বলেন আর Retaliation, সে তো হতেই পারে, কেন হবেনা।

এখানে প্রশ্ন ছিল, তাঁর স্বাস্থ্য সম্বন্ধীয় সামগ্রী অন্য দেশে না পাঠাবার সিদ্ধান্তের জন্য আজ আমেরিকা ভুক্তভুগি হতে পারে কিনা সেই বিষয়ে। তিনি উত্তরে বলেন হ্যাঁ, সে তো হতেই পারে। এনডিটিভি যখন প্রথম এই বিষয়টা রিপোর্ট করে তখন এনডিটিভি ওই সাংবাদিকের প্রশ্ন করার যে অংশটুকু ছিল ওটা বাদ দিয়ে দেয়। শুধু ট্রাম্পের উত্তরটাই শোনা যায় এবং তাতে শেষের দিকে তিনি বলছেন "Retaliation, সে তো হতেই পারে, কেন হবেনা"। ব্যাস, একটা মিথ্যা সাজানো গল্প সত্যি হয়ে গেল। সারাদেশে হৈ হৈ পড়ে গেল ট্রাম্প মোদীকে হুমকি দিয়েছে। এই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী অফিসের তরফ থেকে কোনরকম সাফাই দেয়া হয়নি কারণ তারা বিশ্বব্যাপী মহামারী নিয়ে যৎপরোনাস্তি ব্যস্ত আছেন। কিন্তু লোকাল বিজেপি, রাজ্য বিজেপি, বিজেপির মুখপত্ররা এই বিষয়ে কেন কিছু বলতে পারলো না তার উত্তর আমার কাছে নেই।

এখন ভারত এই ওষুধ আমেরিকা ও অন্যান্য দেশে পাঠাবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেটাকেও "ট্রাম্পের হুমকির পরে ভারত ওষুধ পাঠাতে বাধ্য হলো" বলে প্রচার করা হচ্ছে। নেপথ্যে কি কি ঘটে গেল সেগুলো এখনও দেশের মিডিয়া কাউকে জানানোর প্রয়োজন মনে করেনি।

যা যা ঘটলো :

আমেরিকা ভারতের কাছে #হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন চেয়ে পাঠানোর পর ভারত আমেরিকার কাছে কতকগুলি শর্ত রাখে | শর্তগুলি হলো : ১) আমেরিকায় ভারতীয় কোম্পানির নিঃশুল্ক বানিজ্য করতে পারবে।
২) ভবিষ্যতে, ভারতীয় কোনো কোম্পানিকে FDA ব্যান করতে পারবেনা |
৩) বর্তমানে যে সমস্ত ভারতীয় ফার্মা কোম্পানি গুলোর উপর FDA ব্যান আছে তা যতশীঘ্র সম্ভব তুলে নিতে হবে |

আমেরিকা এই সমস্ত শর্তই মেনে নিয়েছে এবং আমেরিকার মার্কেট ভারতের কোম্পানির জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছে । ৩ সপ্তাহ আগেই ভারতের বড় ওষুধ তৈরির কোম্পানি Ipca Laboratories Limited আর Zydus Cadila কে অ্যন্টিম্যালেরিয়ার ড্রাগ হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন বানাতে ভারত সরকার অর্ডার দিয়েছিলো এই COVID-19 এর কারনে গোটা বিশ্বের প্রয়োজন পরতে পারে জেনেই‌ । কোম্পানি দুটি আগামী মাসের মধ্যেই ৪(চার) মেগাটন থেকে ৩০ মেগাটন আমেরিকার মার্কেটে পাঠাবে । Intas Pharmaceuticals Ltd, McW Healthcare Pvt Ltd, Macleods Pharmaceuticals Ltd., Cipla, Lupin, Abbott India Ltd., Unichem, Laurus Labs Limited, Sun Pharma ছাড়াও প্রায় ১০০ টা কোম্পানিতে হয় প্রোডাকশন চলছে কিংবা তারা যথেষ্ট পরিমাণে বাজারজাত করবার জন্য তৈরি করে নিয়েছে। বাস্তবতা হলো ভারতীয় ছোট থেকে বড় সব কোম্পানির ব্যাপকভাবে তাদের কাছে পর্যাপ্ত এই হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন আছে। ফলে আমাদের দেশের মানুষদের জন্য কখনোই এই মেডিসিন কম পরবে না । এরপর বেশি উৎপাদন করে তার সঠিক ভাবে ব্যবসায়িক লাভের বিষয় মোদীজীর মাথায় যথেষ্ট আছে । মাত্র ২৪ ঘন্টায় মোদীজীর শর্ত মেনে নিলো আমেরিকা। Ministry of External Affairs, Government of India বিশ্বজুরে মহামারীর জন্য নিজের দেশের জন্য পর্যাপ্ত মেডিসিন রেখেই আমেরিকা ছাড়াও বিশ্বের ৩০ টি দেশ যারা মহামারীর প্রকোপে ক্ষতিগ্রস্ত তাদেরকেও এই ওষুধ সাপ্লাইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে যা ব্যবসায়িক উন্নতির কারন তো অবশ্যই, সাথে মানবিকতার নিদর্শনও। এই সাহায্যের ফলে বিশ্বের কাছে ভারতের মর্যাদা বাড়বে এবং দেশ গুলোর সাথে সম্পর্কের উন্নতি হবে। যদি আজ ভারত এই দেশ গুলোকে সাহায্য না করে তবে এদের আবার চিনের কাছে সাহায্য চাইতে হবে। ফলে চিনের আধিপত্য কম করা সম্ভব হবেনা। হ্যাঁ এই সংকটময় পরিস্থিতিতেও ভারত সরকার ভবিষ্যতের জন্য সারা বিশ্বে ভারতীয় ফার্মা কোম্পানির জন্য এক বিশাল অর্থনৈতিক সুবিধার সুযোগ তৈরি করে নিলো। এটা একমাত্র মোদীজির বিচক্ষণতা আর উত্কৃষ্ট লিডারশিপের জন্যই সম্ভব হলো |

১) https://youtu.be/-C3OvkhtGW4

2)https://www.thepharmaletter.com/in-brief/brief-coronavirus-woes-see-us-fda-lift-ban-on-ipca-plants-in-india?fbclid=IwAR0LjwTgt-Y0FzNoaBgRWTAw07Ophj9hV33MJe7ucks-ipNoHBtVFXSCQdI

3)https://economictimes.indiatimes.com/industry/healthcare/biotech/pharmaceuticals/fda-lifts-curbs-on-indian-maker-of-malaria-touted-by-donald-trump-as-a-covid-counter/articleshow/74786575.cms?fbclid=IwAR2a4FwWNfS677IWKEjAANoZ2LMMKE8ZxI8_JQmHtCdB2wdsBIFNERL9AVs&from=mdr

Credits Anindya Nandi