Wednesday, November 25, 2020

বিশ্বের_সবচেয়ে_বড়_ও_অদ্ভূত_রান্নাঘরঃ-


জগন্নাথ পুরী মন্দিরের রান্নাঘরকে বলা হয় পৃথিবীর অদ্ভুত ও বড় রান্নাঘর । কেন এই রান্নাঘর অদ্ভুত তা আপনাদের কাছে সংক্ষিপ্তভাবে তুলে ধরছি ।
পুরীতে আমরা কম বেশী সবাই যাই তাই তার রান্নাঘরের লীলা আমরা কম বেশি সবাই জানি । এখানে আরও বিশদে আলোচনা করা হলো।
-----------------------------------------------------------------------------------
১. এই রান্নাঘরে বিবিধ দ্রব্য রান্না করার জন্য কোন বিদ্যুৎ বা যন্ত্র ব্যবহার করা হয় না । উন্মুক্ত কাঠের আগুনের উপর অনেকগুলো তেলের ল্যাম্প বা বাতি ঝুলিয়ে রাখা হয় আর তার নিচেই সেবকরা এসেই রান্না কার্য সম্পন্ন করে ।
.
২. এ রান্নাঘরে এত দ্রুত রান্না করা হয় যে শুধুমাত্র একদিনের প্রস্তুতিতে একসাথে প্রায় দশ হাজার লোক বসে প্রসাদ পায় । আর এমনিতে পাঁচ হাজারের উপর দর্শনার্থী প্রসাদ পেয়ে থাকে ।
.
৩. এই রান্নাঘরটি ৯টি ভাগে বিভক্ত । যাদের দুটি ভাগ ২৫০০ বর্গফুট করে এবং বাকি ৭টি ভাগ এ দুটির চেয়ে একটু ছোট হবে । এ রান্নাঘরে রয়েছে ৭৫২টি মাটির তৈরি চুলা যার প্রত্যেকটি দৈর্ঘ্যে তিন বর্গফুট করে এবং উচ্চতায় প্রায় ৪ ফুটেরও বেশি ।
.
৪. চুলাগুলোতে একটির উপর একটি পাত্র বসানো হয় এভাবে প্রায় নয়টি পাত্র থাকে । শুধুমাত্র এ পাত্রগুলোর নিচে অবস্থিত আগুনের মাধ্যমেই উপরের পাত্র থেকে শুরু করে শেষে নিচের পাত্রটির রান্না অদ্ভুদ ভাবে সম্পন্ন হয় । এই রান্নাঘরের সার্বিক তত্ত্বাবধানে নিয়োজিত রয়েছে এক হাজার সেবক । তার মধ্যে ৫০০ সেবক রয়েছে কেবলমাত্র চুলাতে রান্না করার জন্য সহায়ককারী হিসেবে ।
.
৫. এখানে কোন পুরাতন পাত্রে রান্না করা হয় না, প্রতিদিন নতুন নতুন পাত্রে রান্না করা হয়, তাই একদল খালি মাটি দিয়ে পাত্র বানায়, আরেক দল তা সরবরাহ করে রান্নাঘরে নিয়ে যায় । আরেকদল পাত্রগুলো ধৌত করে, আরেকদল পাত্রে জলভর্তি করে চুলাতে নিয়ে যায় |
.
৬. রান্না করার জন্য এখানে গঙ্গা আর সরস্বতী নদী (এটা একটা রূপক, পাথর বাঁধানো জলের দুটি নালী, যা সারা দিন নদীর ন্যায় ক্রমাগত জল পরিবহন করে) রান্নাঘরের ভিতর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে যা বাহির থেকে দেখা যায় না যা সত্যিই অদ্ভুত !!!!
.
৭. কেউ কেউ সব্জি ধৌত করছে আর কেউ কেউ সব্জি কাটছে আর কেউ মসলা তৈরি করছে । রান্নাঘরে যে সেবকরা থাকে তাদের বয়স যখন ১২ বছর হয় তখন থেকে তারা ট্রেনিং এ নেমে পড়ে এভাবে তারা বংশানুক্রমে প্রাপ্ত নির্দিষ্ট সেবা সারাজীবন ধরে অর্থাৎ মৃত্যুর আগ পর্যন্ত করে থাকে ।
.
৮. এই রান্নাঘরে ১০০টির উপর আইটেম রান্না করা হয় যা দুটি ভাগে বিভক্ত । এ দুটি ভাগকে পাক্কা এবং সুক্কা নামে ডাকা হয় । পাক্কা বলা হয় সে খাবারগুলো যেগুলো সিদ্ধ করা যেমন ডাল, চাল, খিচুরী এবং সমস্ত রকমের সবজি । অপরদিকে সুক্কা বলা হয় বিস্কিট, মিষ্টান্ন আর বিভিন্ন ধরনের পিঠা ।
.
৯. জগন্নাথের জন্য যেসমস্ত ফল ও সবজি ব্যবহার করা হয় সেগুলো দু হাজার বছর ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে । শুধুমাত্র স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত সবজি ও ফলই জগন্নাথের জন্য ব্যবহৃত হয় । অন্য কোন অঞ্চল থেকে উৎপাদিত দ্রব্য জগন্নাথের জন্য ব্যবহার করা হয় না ।
.
জগন্নাথ দেব আর লক্ষ্মী দেবীর কৃপায় ধন্য এই রান্না ঘর । তাইতো পুরীর এ রান্নাঘরকে অদ্ভুত রান্নাঘর বলেই অভিহিত করা হয় ।

*** জয় জগন্নাথ ***

Sunday, November 1, 2020

পশ্চিমবাংলার তৃতীয় শ্রেনীর ছাত্রছাত্রীদের নাস্তিক হিন্দুরা দেখেন কি শিখাচ্ছে( নিম্নের ছবিতে প্রদর্শিত হল) । এদের থেকে সনাতন ধর্ম কিভাবে রক্ষা পাবে? মানুষ কেন বিধর্মী বা নাস্তিক হবে না।মেয়েরা কেন লাভ জিহাদের স্বীকার হবে না???

 পশ্চিমবাংলার তৃতীয় শ্রেনীর ছাত্রছাত্রীদের নাস্তিক হিন্দুরা দেখেন কি শিখাচ্ছে( নিম্নের ছবিতে প্রদর্শিত হল) । এদের থেকে সনাতন ধর্ম  কিভাবে রক্ষা পাবে? মানুষ কেন বিধর্মী বা নাস্তিক হবে না।মেয়েরা কেন লাভ জিহাদের স্বীকার হবে না???  আজ এভাবে সমস্ত নাস্তিকের অপ শিক্ষা পদ্ধতির জন্য সনাতন ধর্ম ধ্বংসের মুখে।

উত্তরঃ

🚩সনাতন ধর্ম মানুষের তৈরি কোন বিশ্বাস নয়।এটি একটি বিজ্ঞান।যার আলোচনা আপনাকে এ ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল করবে।প্রকৃত ধর্ম মনুষ্য সৃষ্ট হতে পারে না।শ্রীমদ্ভাগবতে বলা হচ্ছে -
"ধর্ম তু সাক্ষাৎ ভগবৎ প্রনীতং"

অনুবাদঃধর্ম ভগবানের প্রনীত বিধান।

যেমন একটি দেশ সংবিধান অনুসারে চলে,ঠিক তেমনই ভগবানের দ্বারাই ধর্ম ও শাস্ত্র প্রদত্ত হয়েছে।

🚩সনাতন ধর্ম মানে একটি বিশ্বাস নয়।এটি একটি ব্যবহারিক বিষয়।যার অনুশীলনে প্রত্যক্ষ জ্ঞান আপনি পেতে পারেন।

🚩যেমন  কুরুক্ষেত্রের রনাঙ্গনে ভগবান কৃষ্ণ অর্জুনকে গীতার জ্ঞান প্রদান করেন, তা এখনো বর্তমান।

🚩আমাদের সনাতন ধর্ম বেদ,গীতা, উপনিষদের উপর দন্ডায়মান।

🔷তাহলে এখানে মনুষ্যসৃষ্ট কি হতে পারে??????

🚩 এসমস্ত নাস্তিক মানুষগুলো    হিন্দুদের কেন তীরবিদ্ধ করে???? কারন ওরা জানে হিন্দুরা ধর্ম সম্পর্কে অনভিজ্ঞ।তারা তো মুসলমান নয়, যে ধর্মকে অবমাননা করলে আমাদের গলা কাটতে আসবে ,রক কাটতে আসবে ।

🚩 হে  তথাকথিত পন্ডিত নাস্তিক,আপনি সনাতন ধর্মকে নয়,মুসলিম,খ্রীষ্টান ধর্মকে নিয়ে  এ মন্তব্য করুন,তাদের মোল্লা,ফাদার নিয়ে করেন,একচেটিয়া একটা ধর্মকে নয়।দেখেন বাপ দাদা চোদ্ধ গুষ্টিকে ঐ মোল্লারা 
শশ্মানে পাটিয়ে দিবে।অথবা দিন দুপরে আপনার আত্মীয়ের গলা কেটে দিবে।এ নাস্তিকতা শুধু ভারতে খাটবে।

🏆 এখনো সারা পৃথিবীর মানুষ ভারতকে তীর্থ ভুমি হিসেবে জানে,কেননা এখানে জন্ম নিয়েছেন,ভগবান শ্রীকৃষ্ণের বিভিন্ন অবতার।

⭐⭐ রামচন্দ্র আবির্ভাব স্থান অযোধ্যা, শ্রীকৃষ্ণের আবির্ভাব স্থান মথুরা এখনো বর্তমান।এছাড়া আরো অনেক তীর্থ ( দ্বারকা,বৃন্দাবন,নৈমিষারণ্য অহবিলা ইত্যাদি)

🚩গলা যদি মাথায় না রাখতে চান,তাহলে দয়া করে এসমস্ত বিষয়   ইসলাম ধর্ম বা অন্য ধর্মকে নিয়ে লিখেন।দেখেন আপনার মাথা দেহে আছে কিনা???  

🚩পরিশেষে সনাতন ধর্ম কখনও জল্পনা কল্পনার বিষয় নয়। এটি একটি   চিরন্তন সত্য ও ব্যবহারিক বিষয়।যার সত্য ও অভ্রান্ততা এ জগতে আমরা দেখতে পাই।তাই সনাতন ধর্ম একটি বিজ্ঞান।জীবের শ্বাশত সনাতন ধর্ম নিয়ে নাস্তিক বিজ্ঞানীদের জল্পনা-কল্পনার অবকাশ এ জগতে নেই।

          
               🚩 জয় শ্রীকৃষ্ণ, জয় শ্রীরাম  🚩