Friday, March 20, 2020

খোদ নজরুলের জীবনেই এক বৃন্তে আর দুটি কুসুম রইল না, আল্লাহের শাসনে একবৃন্তে যথারীতি একটাই কুসুম জায়েজ - তার নাম মুসলমান, কেবলমাত্র মুসলমান।


"মোরা একই বৃন্তে দুটি কুসুম. হিন্দু-মুসলমান"!

-এই ঢপের কীর্তনটির রচয়িতা কবি নজরুল ইসলাম নিজেই তার থিয়োরীকে নিজের জীবনে মানেন নি। জীবনের দ্বিতীয় বিয়ে করার সময় যখন সেনগুপ্ত পরিবারের মেয়ে প্রমীলার সঙ্গে বিয়ের কথা পাকা হল, তখন নজরুলকে প্রমীলার ধর্ম অটুট রাখতে তৎকালীন স্পেশাল বিবাহ আইন (যা ১৯৫৪ র Special Marriage Act এর পূর্বসূরী মাত্র) অনুসারে বিবাহ করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছিল। নজরুল তা প্রত্যাখ্যান করে বলেছিলেন, "আমি অস্বীকার করতে পারি না যে আমি মুসলমান। আমার শিরায় শিরায় প্রতি ধমনীতে মুসলমানী রক্ত বইছে।" মাকু হার্মাদগুলো অনেক সময়ে মানুষের ব্লাড গ্রুপ নিয়ে আঁতলেমি করে, তাদের জন্য নজরুলের এই বক্তব্য একটি ঠাটানো থাপ্পড়।

যাই হোক, প্রমীলা সেনগুপ্তকেই অগত্যা মসজিদে কলেমা পড়ে প্রমীলা কাজী হতে হয়েছিল। মানে খোদ নজরুলের জীবনেই এক বৃন্তে আর দুটি কুসুম রইল না, আল্লাহের শাসনে একবৃন্তে যথারীতি একটাই কুসুম জায়েজ - তার নাম মুসলমান, কেবলমাত্র মুসলমান।

এখানেই শেষ নয় ,জীবনের শেষ দিনগুলো কাটে ঢাকার “পিজি হাসপাতালে”। মৃত্যুর আগে তার একটি কবিতায় বলেছিলেন:

মসজিদেরই পাশে আমায় কবর দিয়ো ভাই
যেন গোরের থেকে মুয়াজ্জিনের আযান শুনতে পাই

এই কবিতায় তার অন্তিম ইচ্ছা প্রকাশ পেয়েছে। তার এই ইচ্ছাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে কবিকে সমাধিস্থ করা হয়।

No comments: