Sunday, May 31, 2020

ভাত দেয়ার মুরোদ না থাকলে, কিল দেয়ার গোঁসাই হবেন না।

তিনবার তিনটে আলাদা আলাদা জায়গা থেকে চেক করলাম। সত্যিই একটা রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান শ্রমিক এক্সপ্রেসকে কোরোনা এক্সপ্রেস বলেছেন? রাজনীতি করতে গিয়ে নিজের রাজ্যের শ্রমিককে কোরোনার সঙ্গে তুলনা !!

ট্রেনের সোশ্যাল ডিস্টান্সিং বলছেন আর রাজ্যে লকডাউনের নামে কি চলছে এটা? এটাকে কি কোরোনা রাজ্য বলা হবে? কোরোনাকে পাশবালিশ করে শুতে বলছেন। কাদের পাশবালিশ থাকে? খোঁজ নিন শ্রমিক এক্সপ্রেসে যারা ফিরছে তাদের কাছে পাশবালিশ ও বিলাসিতা।

শ্রমিক এক্সপ্রেসে চেপে কারা পাগলের মতো বাড়ি ফেরার চেষ্টা করছে? কেডি সিংহ? সুদীপ্ত সেন? প্রশান্ত কিশোর? না সেই দিন আনে দিন খায় মানুষগুলো যারা বাংলায় কাজ না পেয়ে ভীনরাজ্যে দোকান, রেস্তোরাঁ, কল কারখানা, ইটভাটা, ফ্ল্যাটবাড়িতে ঠিকে কাজ করে উপার্জন করছিল।

আপনার কাছে হিসেব আছে দুর্গাপূজো বা ঈদের আগে ঠিক কতো শ্রমিক বাংলায় ফেরে? আপনার হিসেব আছে দিল্লিতে বা মুম্বাইয়ে ঠিক কতোগুলো বাজারে সব্জি-মাছ এমনকি ঝালমুড়ি ও বেচে দিনহাটা, মালদা বা মেদিনীপুরের লোকেরা? কাদের বাড়ি ফেরাকে হেয় করলেন?

কাদের অপমান করলেন? যারা প্রতিদিন একটা দশ ফুট বাই দশ ফুট ঘরে বাকি ২০জনের সাথে গাদাগাদি করে শুয়ে বাড়ির কথা মনে করে একা একা কাঁদে। ঘরের উঠোন, মায়ের হাতে আলুভাতে, পাড়ার বন্ধু, প্রিয় সাইকেল স্বপ্নে দেখতে পায়। ওরা শখে গেছিল রাজ্য ছেড়ে? সিঙ্গুর, শালবনী, নন্দীগ্রামে শিল্প হলে ঘরকুনো বাঙালি কখনো অত দূরে যায়?

ঝাড়খণ্ড নিজের পরিযায়ী শ্রমিকদের প্রাইভেট বিমানে ফিরিয়ে আনছে আর আরেকটা রাজ্য ঘরে ফিরতে চাইছে যে শ্রমিকরা তাদের ট্রেনকে বলছে কোরোনা এক্সপ্রেস। কে চেয়েছিল কোরোনা এক্সপ্রেস? বাংলা তো দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের পাশে টাটার কারখানা চেয়েছিল। পাশে গাড়ির সিট, টায়ার, নাট, বল্টু, সিটবেল্টের অনুসারী শিল্প। বাইরে থেকে লোক কাজ করতে এলে দোকান দরকার হবে, হোটেল দরকার হবে, প্লামবার, রাজমিস্ত্রী, ইলেক্ট্রিশিয়ান, মুটে, মজুর, অটোওয়ালা এমনকি কাজের লোক ও দরকার হবে। তা এই কোরোনা এক্সপ্রেসের যাত্রীরা দিল্লি উত্তর প্রদেশে না গিয়ে মালদা থেকে হুগলি আসতে পারতো না?

এদের বড় অংশ সব ভোটে অংশ নিতে পারেন না বলে এদের এভাবে বলবেন না। কোন বাঙালি বাংলার বাইরে থাকতে চায় না। অনেক মনখারাপ নিয়ে কাজ করতে যায়৷ ট্রেন বিহার থেকে বাংলার শস্যশ্যামলা অঞ্চলে ঢুকলে চোখ দিয়ে জল বেরিয়ে আসে অনেকের।

ভাত দেয়ার মুরোদ না থাকলে, কিল দেয়ার গোঁসাই হবেন না। হয়তো এরা এখন আসবে না আপনার ধমকে চমকে। বেঁচে থাকলে সব্বাই একসাথে ভোটের আগে আসবে এক একটা টাকা জমিয়ে। পাল্টে দিতে অনেক হিসেব। ঠিক কতো মানুষ বাংলাকে বৃদ্ধাশ্রম বানিয়ে বাইরে কাজের সূত্রে চলে যেতে বাধ্য হয়েছে  পরিসংখ্যান আছে নিশ্চয়ই!  

 (ময়ূখ রঞ্জন ঘোষের দেওয়াল থেকে সংগৃহিত ও সম্পাদিত)

স্মৃতি বড় বেঈমান।

স্মৃতি বড় বেঈমান। এই তো কয়েকদিন আগেই অজান্তে কেটে গেলো মে মাসের ৩০ তারিখ !!

অনিতা দেওয়ান- নামটা কি একটু চেনা চেনা ঠেকছে না? বিশেষ করে প্রবীণ প্রজন্মের কাছে?--- আচ্ছা, মনে পড়ছে না? ঠিক আছে, বান তলার কথা মনে পড়ছে? ৩০শে মে ১৯৯০ এর কথা .....?

ভুলে যাওয়াটাই খুব স্বাভাবিক...। মাঝে অনেকগুলো দিনের ব্যাবধান। হয়তো বা প্রজন্মেরও...।

তবে জেনে নিন, এক তথাকথিত সভ্য দেশের অসভ্য সরকারের পাশবিক ইতিহাস! 
বিচারের বানী যেখানে নিভৃতে কাঁদে, চোখের জল বাস্প হয়- আর্তনাদের হাহাকার বাতাসে গুমরে মরে!

৩০ মে, ১৯৯০। রেণু ঘোষ, উমা ঘোষ সহ আরও একজন অফিসার ও তার ড্রাইভার যখন সন্ধ্যে সাড়ে ছয়টা নাগাদ ফিরছিলেন। গোসাবায় একটি টীকাকরণ কর্মসূচী সেরে তাঁরা ফিরছিলেন কোলকাতায় । সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা নাগাদ যখন তারা ই.এম বাইপাসের কাছে বানতলায় পৌঁছান, তখন সিপিএমের পার্টি অফিসের কাছে জনা পাঁচেক মুসলমান যুবক, তাদের গাড়ি থামানোর চেষ্টা করলে, তাদের পাশ কাটাতে গিয়ে গাড়িটি উল্টে যায়। 

এসময় আরও ১০/১২ জন মানুষ, প্রত্যেকেই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের, ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। তারা সবাই মিলে গাড়িতে থাকা ড্রাইভার এবং স্বাস্থ্যকর্মী অনিতা দেওয়ান, উমা ঘোষ ও রেনু ঘোষকে টেনে হিঁচড়ে গাড়ি থেকে বের করে এবং গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। গাড়ি চালক তাদের বাধা দিতে গেলে তাকে মেরে তার পুরুষাঙ্গে আঘাত করে প্রায় থেঁতো করে তাকে অজ্ঞান অবস্থায় ফেলে রাখে। 

তিন হিন্দু যুবতী মেয়েকে ১৫/২০ জনে মিলে পার্টি অফিসের পাশের ধানক্ষেতে নিয়ে গিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। একজন মহিলা বাধা দিতে গেলে তাকে হত্যা করে এবং অন্য দুজনকে ধর্ষণ করে ফেলে রাখে।

রাত সাড়ে এগারোটার দিকে পুলিশ গিয়ে সম্পূর্ণ নগ্ন অবস্থায় তাদেরকে উদ্ধার ক'রে মেয়েদেরকে কলকাতা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজে এবং ড্রাইভারকে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করে। মেয়েদের অবস্থা এতটাই খারাপ ছিলো যে, প্রথমে ডাক্তাররা তিন মেয়েকেই মৃত মনে করেছিলো। কিন্তু তাদের মধ্যে দুজন বেঁচে ছিলো। 

হাসপাতালে নেওয়ার পরও জীবিত একজনের যোনীর মধ্যে ১২ ইঞ্চি সাইজের একটি ধাতব টর্চলাইট দেখে একজন মহিলা ডাক্তার অজ্ঞান হয়ে পড়ে যান। ড্রাইভারের দেহে ৪৩ টি আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছিলো এবং তার পুরুষাঙ্গ পিষে যাওয়ায়, সেটার কার্যক্ষমতা সর্ম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গিয়েছিলো। ঘটনার ৫ দিনের মাথায় ঐ ড্রাইভার মারা যান।

পশ্চিমবঙ্গের তৎকালীন স্বাস্থ্যমন্ত্রী, প্রশান্ত সূর, ধর্ষকদের রক্ষা করার জন্য বলেছিলো, "আক্রমণকারীরা তাদের শিশুপাচারকারী মনে করে আক্রমন করেছিলো।" 

কিন্তু প্রকৃত সত্য হচ্ছে, স্বাস্থ্য বিভাগের এই দল কিছু সংখ্যালঘু মেয়েকে জন্ম নিয়ন্ত্রণের উপকারিতা সম্পর্কে বুঝিয়েছিলো। এটাই ছিলো তাদের অপরাধ। জন্ম নিয়ন্ত্রণ ইসলামে নিষিদ্ধ। একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের পয়দা করে ফায়দা লুটে- ভারত দখলের পথে প্রধান বাধা; তাই এমন নৃশংসভাবে ধর্ষণ ও খুন করে শাস্তি দেয় ঐ তিন  মেয়ে এবং তাদের গাড়ির ড্রাইভার যুবককে। 

এবার দেখা যাক, পশ্চিমবঙ্গের জগদ্দল পাথর, মুসলমানদের তাড়া খেয়ে পূর্ব বঙ্গ থেকে পালিয়ে আসা পশ্চিমবঙ্গের মুসলমানপ্রেমী মূর্খমন্ত্রী জ্যোতি বসু এই ঘটনা সম্পর্কে কী বলেছিলো ? 

তিনি বলেছিলেন, "ধর্ষণের ঘটনা স্বাভাবিক, “এরকম ঘটনা তো কতই হয়”

তাহলে, তিনযুগ ধরে এঁদের হাতে ছিলো পশ্চিমবঙ্গের হিন্দুদের দেখভালের দায়িত্ব। 

ইতিহাস ভোলে না কিছুই।

Friday, May 29, 2020

হিন্দুর_কাছে_আগে_রাজনীতি_পরে_ধর্ম



"দেগঙ্গা
ক্যানিং
বাসন্তী
সমুদ্রগড়
মল্লিকপুর
ধুলাগড়
কাটোয়া
নৈহাটি-হাজিনগর
বসিরহাট-বাদুরিয়া
সাইঁথিয়া
চন্দ্রকোনা
খড়গপুর
জামুরিয়া
জাগুলিয়া
কালিয়াচক
ইসলামপুর
রায়গঞ্জ
আসানসোল -রানীগন্জ
ডায়মন্ড হারবার....
দত্তপুকুর..…
এখন ভদ্রেশ্বরের তেলানিপাড়া!

তালিকাটা বাড়বে বৈ কমবে না...
এটা কিসের তালিকা জানেন?.
2010 সাল হতে পশ্চিমবঙ্গে ইসলামিক জেহাদীদের করা একতরফা হিন্দু বিরোধী আক্রমণের স্বীকার হওয়া বিভিন্ন জায়গায় তালিকা।

অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগতে পারে তাহলে এর আগে কি পশ্চিমবঙ্গে হিন্দুদের আক্রমনের স্বীকার হতে হয়নি?.
হয়েছিল!
কিন্তু প্রচার পায়নি,কারন সো কল্ড হলুদ মিডিয়ার কারণে আর এখনকার মতো সোশ্যাল সাইট না থাকায়!
কিন্তু এখন সোশ্যাল সাইটে সব কিছুই প্রচার হয়ে যায়।
উপরোক্ত তালিকাটা পশ্চিমবঙ্গে নপুংসক হিন্দু বাঙ্গালীদের লজ্জার তালিকা।
পশ্চিমবঙ্গের বুকে জিহাদীদের করা জিহাদের এসিড টেস্ট এই তালিকায় রয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গে তো আগে এতো হিন্দুদের আক্রমনের স্বীকার হতে হয়নি, এখন কেন হচ্ছে?.
কারন শান্তির ধর্মের শতকরা হার যে 1/3 অংশ পার করেছে!
এখনই তো ওদের এসিড টেস্ট করার উপযুক্ত সময়, এবং ওরা তা করছে!

কিন্তু হিন্দুদের এসব শোনার ,বোঝার,জানার টাইম নাই।

হিন্দু কেন মার খায়?
কেউ জানেন?.
কারন হিন্দু অতীত ভুলে যায়!
কি অবিশ্বাস হচ্ছে?
যান,যতগুলো জায়গায় হিন্দুদের ঐ জেহাদীরা মেরেছে সেখানে সবকিছু ঠিকঠাক হয়ে যাবার পরে গিয়ে কিছু জিজ্ঞাসা করুন।
ওরা ঠিক আবার সেকুলারিজমের কাঁঠালের আমসত্ত্ব আপনাকে খাওয়াতে চাইবে।
মূর্খের দল এটা বোঝে না আবার ও ওদের উপর আক্রমণ হতে পারে!
তাই ওদের প্রস্তুতি রাখতে হবে!

দত্তপুকুরের হিন্দুরাও ভুলে যাবে!. ভুলে যাবে তাদের রাত জেগে মাটি, মানুষ আর মন্দির পাহারা দেওয়ার মূহূর্ত!
যেভাবে ভুলেছে হিন্দু অতীতে বর্তমানে ও তাই!
ফলাফল:ভুলে যাওয়া মহাভূল,সেই ভুলের মাশুল বড় ভয়াবহ হয় আর বাঙালি এবং পশ্চিমবঙ্গসহ সমগ্র ভারতের হিন্দুদের সাথে সেটাই হচ্ছে।

ভুলো না,ভুলিও না,ভোলাইও না।

বাঙালি হিন্দু মার খাচ্ছে, কেন?.
কারন একবার ফেল করার পর কোন পরিক্ষার্থী যদি পরেরবারের জন্য কঠোর পরিশ্রম এবং পরিকল্পনা না নেয় তবে তাকে ফেল করতেই হবে।

বাঙ্গালী হিন্দুও মার খাচ্ছে সেই কারণেই,কারন একবার মার খাওয়ার পর দ্বিতীয়বার যাতে মার খেতে না হয় তার কোন চিন্তা চেতনা বা আগাম প্রস্তুতি তারা রাখেনা!
তাই 1946-2020 
বাঙালি হিন্দু মার খাচ্ছে, এবং ততদিন খাবে যতদিন দ্বিতীয়বারের জন্য তারা নিজেরাই নিজেদের প্রস্তুত না করবে!

তাই বলি সকল হিন্দু এক হন.

Collected

Saturday, May 23, 2020

কোন হিন্দু ছাত্র যুবক পড়ার বাদ থাকলে, একটু কষ্ট করে পড়ুন#হিন্দু_গণহত্যার_ইতিহাস_জানুন:🗣🗣🗣🗣


#হিন্দু_গণহত্যার_ইতিহাস_জানুন:🗣🗣🗣🗣

এখনো পর্যন্ত প্রায় ৪০ কোটি হিন্দুর দেহ ক্ষতবিক্ষত হয়েছে, ইসলামের তলোয়ারের দ্বারা।বর্বর আরব জাতির ইসলামের সমর্থকেরা ৭১২ খ্ৰীষ্টাব্দ থেকেই মেতে উঠেছে, ‘কাফের’ হিন্দুদের গর্দান নামিয়ে দেওয়ার খেলায়। 

পেট্রোডলারের দাসত্ববৃত্তিকারীরা অনেক চেষ্টা করেও, শেষমেশ ৮ কোটি হিন্দুর গণহত্যার কথা মেনে নিতে বাধ্য হয়েছে। তাহলেও সেই গণহত্যাগুলিকে ‘অসাম্প্রদায়িক’ আখ্যা দিতে তারা সদা সচেষ্ট। 

কিন্তু বাস্তব এটাই যে,‘কাফের’ হিন্দুদের হত্যা করে, তাঁদের মহিলাদের ধর্ষণ ও মন্দিরগুলি ধ্বংস করে, সেই মন্দিরের প্রতিষ্ঠিত দেব-দেবতাদের মূর্তি দিয়ে মসজিদের সিঁড়ি (যাতে সেগুলি পায়ে মাড়িয়ে চরম শান্তি পায় বিশ্বাসী মুসলমানেরা) বানানোর খেলায় সর্বদাই মেতে থাকত মুঘল-সুলতানি বর্বরেরা। 

আসুন, এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক–সেই রক্তে ভারতভূমির মাটি কর্দমাক্ত হওয়ার ঘটনাক্রম।

১) মথুরার গণহত্যা : ১০১৮ সালে মহাওয়ান জেলায় প্রায় ৫০,০০০ হিন্দুদের জলে ডুবিয়ে ও তলোয়ারের কোপে হত্যা করা হয়। সেইসঙ্গে হয় সেই জেলার ১,০০০ হিন্দু মন্দিরের ধ্বংসসাধন।

২) সোমনাথ মন্দিরের গণহত্যা : ১০২৪ সালে গুজরাটের প্রভাস পাটনে ৫০,০০০-এর বেশি হিন্দু হত্যার পর গজনী’র বর্বর মেহমুদ গুজরাট লুট করে ধ্বংস করে সোমনাথ মন্দিরকে।

৩) ১১৯৩ খ্রীষ্টাব্দে ও ১১৯৬ খ্রীষ্টাব্দে যথাক্রমে আজমেঢ় ও গোয়ালিয়র দুর্গে মোট ২ লাখ হিন্দুহত্যা হয়। প্রথমটির তত্ত্বাবধায়ক ছিল মেহমুদ ঘোরী ও দ্বিতীয়টির নায়ক ছিল কুতুবউদ্দিন আইবক নামক নরপশু।

৪) ১১৯৭ খ্ৰীষ্টাব্দে নালন্দা জেলায় (বিহার) প্রায় ১০, ০০০ বৌদ্ধ ভিক্ষুকে হত্যা করে বখতিয়ার খিলজি।

৫) এর কিছুকাল পর ১২৬৫ খ্ৰীষ্টাব্দে নেওয়াতের প্রায় সব রাজপুতের (সংখ্যায় ১লাখ) নিধনযজ্ঞ সাধিত হয় গিয়াসুদ্দিন বলবন নামক উন্মত্ত জেহাদীর রক্তপিপাসা শান্ত করার জন্য।

৬) ১৩২৩ খ্ৰীষ্টাব্দে ১২,০০০ নিরীহ হিন্দুর রক্তে প্লাবিত হয় পান্ড্যরাজ বংশের রঙ্গনাথস্বামী মন্দির (শ্রীরঙ্গম)। ১২, ০০০ প্রার্থণারত হিন্দুদের জবাই করে মহম্মদ-বিন-তুঘলকের বর্বর সেনাবাহিনী। একই কায়দায় আজও চলছে অমরনাথ যাত্রীদের হত্যালীলা।

৭) ১৩৫৩ সালে বাংলার ১,৮০,০০০ হিন্দুদের শিরচ্ছেদের কারণে ফিরোজ শাহ তুঘলক তার পশুসম সেনাদের পুরস্কৃত করে।

৮) ১৩৬৬ সালে বিজয়নগরের পাশ্ববর্তী জেলাগুলিতে ঘটে এক বিভৎস হিন্দুমেধ যজ্ঞ। ৫,০০,০০০ হিন্দু হত্যা হয় বাহামনী’র মুসলিম সেনাবাহিনী দ্বারা। শুধু রায়চূড় দোয়াবেই ৭০,০০০ হিন্দুর (সব বয়সের) হত্যা হয়। রেহাই পাননি গর্ভবতী হিন্দু মহিলারাও। সেই জেলাগুলি পরিণত হয় ধ্বংসস্তুপে।

৯) ১৩৯৮ সালে হরিয়ানায় তিমুরের হিংস্র, বর্বর ও উন্মত্ত নরপশুসম সেনা প্রায় ৪৫ লাখ হিন্দুর শিরচ্ছেদ করে। শুনতে অবিশ্বাস্য লাগলেও ওই কথা খাঁটি সত্য। তিমুর নামক নরপশুর নিজেরই বয়ান অনুযায়ী তার প্রত্যেক সেনা অন্ততঃ ৫০ থেকে ১০০ হিন্দু হত্যা করেছিল। 

তাহলে, তার ৯০,০০০ লোকের/ নরপশুর সেনাবাহিনী অন্ততঃ যে ৪৫ লাখ হিন্দু হত্যা করেছিল, সেকথা জলের মতো স্পষ্ট। সত্যিই, বাস্তব বড় রূঢ়। 

১৩৯৮-এ এই তিমুর নামক নরপশু ভাটনের দুর্গের সব হিন্দুদের হত্যা করে। ঐ বছরের ডিসেম্বরে গাজিয়াবাদের লোনিতে প্রায় ১লাখ হিন্দু মহিলা ও শিশুদের বন্দী করে হত্যা করে এই একই নরপশু।

১৩৯৮ সালে দিল্লির প্রায় দেড় লাখেরও বেশি হিন্দুর গণহত্যা হয় তিমুরের হাতে। এই নরসংহার ও হিন্দুরক্ত দিয়ে হাোলি খেলার পর সেই নরপশু আনন্দ করে বলে, “মুসলিম সৈয়দ, উলেমা ও মুসলিম জনগণ ছাড়া পুরো শহরকে আমি ছারখার করেছিলাম”। 

তারপর দিল্লিতে হিন্দু মৃতদেহের খুলি দিয়ে পিরামিড বানানো হয়। বাকি জীবিত হিন্দুদের দাস বানিয়ে নেওয়া হয়। ১৩৯৯ খ্ৰীষ্টাব্দে মীরাটে ৩লাখ হিন্দুর রক্তবন্যা বয়ে যায় তিমুরের সেনাদের হাতে। 

কারণ কি ছিল জানেন? তিমুরের সেনারা হিন্দু মহিলাদের ধর্ষণ করতে চাইলে স্থানীয় হিন্দুরা প্রতিবাদ করেন। ‘গণিমতের মাল’-দের ধর্ষণের প্রতিবাদ ? ‘কাফের’-দের এতো সাহস ?

১০) ১৫২৭ -এর মার্চে উদয়পুর রাজ্যের খানুয়ায় ২লাখ হিন্দুর গণহত্যা হয়। এর মধ্যে ১লাখ রাজপুত বীরযোদ্ধা ছাড়াও ছিলেন সাধারণ নিরীহ হিন্দুরাও।
এই হত্যালীলার নায়ক-‘বর্বর বাবর’।

এরপর ১৫৬০-এ হয় গরহা-কাটাঙ্গা রাজ্যের ৪৮,০০০ হিন্দু চাষীর গণহত্যা। হত্যাকরী আর কেউ না।আমাদের ‘সেকু’ বুদ্ধিজীবীদের অত্যন্ত প্রিয় আকবর।

১১) ১৫৬৫ খ্ৰীষ্টাব্দে বিজয়নগর প্রত্যক্ষ করে ১লাখেরও বেশি হিন্দুর রক্তবন্যা। সুলতানি সেনারা এই সময়েই সেই শহরের অপূর্ব ভাস্কর্যমন্ডিত মন্দিরগুলির ধ্বংসসাধন করে। 

১৫৬৮-র ফেব্রুয়ারীতে উদয়পুর রাজ্যের চিতোর দুর্গে আকবরের নির্দেশে ৩০,০০০ হিন্দুর হত্যা হয়। 

৮,০০০ রাজপুত রমনী জেহাদী পশুদের থেকে নিজেদের দেহরক্ষার জন্য "জহরব্রত’ পালন করে ঝাঁপ দেন আগুনে। আর আজ কিনা হিন্দু বালিকারা পড়ছে ‘লাভ জিহাদ'-এর খপ্পরে? ছিঃ ছি! কি হল আমাদের সংস্কৃতির ?

১২) (১৬৬৮—১৭০৭) সালের মধ্যে সংঘটিত আজ পর্যন্ত হওয়া সমস্ত গণহত্যার সবচেয়ে কালো অধ্যায়। আমাদের এই ভারতভূমিতে। প্রায় ৪৬ লাখ হিন্দুর হত্যা হয় নরপশু ঔরঙ্গজেবের নির্দেশে।

এমনই এক হিন্দুগণহত্যা’র ঘটনা ঘটে বারানসীতে। সেখানে প্রায় ১,৫০,০০০ ব্ৰাহ্মণের নৃশংসভাবে হত্যা করার পর ঔরঙ্গজেব গঙ্গা ঘাট ও হরিদ্বারে হিন্দু ব্ৰাহ্মণের খুলি দিয়ে তৈরি করে এক পাহাড়,যা দেখা যেত ১০ মাইল দূর থেকেও! সত্যি, জানোয়ারেও যা করে না, ইসলামী জেহাদীরা তাও হাসতে হাসতে করে।

১৩) (১৭৩৮– ১৭৪০) সালে উত্তর ভারতে পারস্যের হামলাকারীরা ৩লাখের মতো হিন্দুর রক্তের হোলি খেলায় মেতে উঠেছিল।

১৪) লাহোরের কাছে ১৭৪৬-এ শিখদের দিতে হয়েছিল অমুসলিম হওয়ার মূল্য। প্রায় ৭,০০০ শিখদের হত্যা হয়েছিল জেহাদীদের হাতে। ১৭৬৩-তে পাঞ্জাবে প্রায় ৩০,০০০ শিখদের মেরে আফগান মুসলিম জেহাদীরা শিখ জনসংখ্যার প্রায় এক তৃতীয়াংশই নিশ্চিহ্ন করে দেয়।

১৫) ১৭৬১ সালে পানিপথের যুদ্ধে প্রায় ৭০,০০০ মারাঠী পুরুষ ও ২২,০০০ মারাঠী মহিলা ও শিশুদের দাস বানানো হয়।আফগান মুসলিমরা বড্ড মজা পেয়েছিল এত ‘গণিমতের মাল’ পেয়ে।

১৬) ম্যাঙ্গালোরে (শ্রীরঙ্গপত্তমে) প্রায় ৫,৬০০ দেশীয় খ্রীষ্টানদের হত্যা করা হয়েছিল টিপু সুলতান নামক নরপশুর নেতৃত্বে। এই নরপশুরাই কিন্তু ভারতীয় মুসলিমদের চোখে হিরো বা নায়ক। তাহলে এই হিরোর ফ্যানদের উদ্দেশ্য কি বুঝতে অসুবিধা হচ্ছে ভারতীয়দের হিন্দুরা ?

১৭) ১৯২২-এ মোপলা বিদ্রোহের সময় ১০,০০০ হিন্দুর হত্যা হয় কেরালার মালাবারে। প্রায় ১লাখ হিন্দুর বিতাড়নও হয় সেখান থেকে। এর কৃতিত্ব গান্ধীর খিলাফৎ আন্দোলনের মুসলিম নেতাদের। পরে এরাই দেশভাগ করেও এখানেই থেকে যায় অবশিষ্ট ভারতকেও পাকিস্তান বানাতে।

১৮) ১৯৪৬-এর ১৫ই আগষ্ট থেকে ১৭ই আগষ্টে হওয়া ‘দ্য গ্রেট ক্যালাকাটা কিলিং’-এর শিকার হন ১০,০০০ হিন্দু। কোলকাতায় হিন্দু হত্যা হয় পাইকারী রেটে। মুসলিম লীগের নরপশুরা কোলকাতার পর নোয়াখালিতেও সেপ্টেম্বর থেকে অক্টোবরে (১৯৪৬) ৫,০০০ হিন্দুর কোরবানী’ করে।

১লাখ হিন্দুর ঠাই হয় ‘রিলিফ ক্যাম্পে’। পরে ভারত ভাগের সময় ১৪ই এপ্রিল ও ১৫ই এপ্রিল-এই দুই দিনে শুধু দিল্লিতে হত্যা হয় প্রায় ২৫,০০০ হিন্দুর। সারা ভারতে এই সংখ্যা ছিল প্রায় ১লাখ ৪০ হাজার।কংগ্রেসী সেকুলার নেতারা তখন অহিংসার বুলি আউড়ে বেড়াচ্ছিল। অবশ্যই শুধু হিন্দুপ্রধান এলাকাগুলিতে!

১৯) ১৯৬৯-এ গুজরাতে বর্বর জেহাদীরা প্রায় ২০০ হিন্দুদের হত্যা করে। প্রত্যক্ষ মদতদাতা ছিল তৎকালীন কংগ্রেসের গুজরাত রাজ্য সরকার।

২০) একইভাবে হত্যা হয় ৫০০ বাঙালী হিন্দু শরণার্থীদের। স্থান ছিল ত্রিপুরার মান্তাই। সাল ১৯৮০।
২১) হাজারিবাগে ১৯৮৯-এর সেপ্টেম্বরে ৫৩ জন হিন্দুকে ও অক্টোবরে (১৯৮৯) প্রায় ৩৩১ জন হিন্দুকে জেহাদীরা হত্যা করে।

২২) ‘স্বাধীন’ ভারতে ১৯৯০ থেকে কাশ্মীরে শুরু করা হয় “হিন্দুমেধ যজ্ঞ”। প্রায় ৫০০ হিন্দুকে মারা হয় ও প্রায় ২লাখ কাশ্মীরী হিন্দু পন্ডিতদের বাধ্য করা হয় তাঁদের নিজের সম্পত্তি ত্যাগ করে কাশ্মীর ছাড়তে।

এরপর ১৯৯৮-এ ওয়ানাধামায় ২৩ জন হিন্দুকে গুলি করে মারা হয়। তারিখটা ছিল ২৫শে জানুয়ারী। 

ওই বছরেরই ১৭ই এপ্রিল মুসলিম সন্ত্রাসবাদীরা কাশ্মীরে (প্রাণকোটে), ২৬ জন হিন্দুকে আবারও হত্যা করে। না, এখানেই শেষ নয়। ১৯শে জুন (১৯৯৮) কাশ্মীরের চাপনারিতে আরও ২৫ জন হিন্দুর গণহত্যা হয় মুসলিম সন্ত্রাসবাদীদের দ্বারা।

১৯৯৮-তেই ৩৫ জন হিন্দুর (৩ রা আগষ্ট) হিমাচল প্রদেশের চম্বা জেলাতেও হত্যা হয়। 

১৯৯২-এর ডিসেম্বর মাস থেকে শুরু করে ১৯৯৩ সালের জানুয়ারী মাসে দেশের অর্থনৈতিক রাজধানী মুম্বাই প্রত্যক্ষ করে ২৭৫ জন হিন্দুর গণহত্যা। হত্যাকারীরা সেই জেহাদী নরপশুরাই।

ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি করা নেতারাও মুসলিম তোষণের জন্য হিন্দু হত্যায় মোটেই পিছুপা না। 

হিন্দু হত্যাই যে মুসলিম ভোট পাবার সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য চাবিকাঠি! তাই তো ১৯৯০ সালের ৩০শে অক্টোবর উত্তরপ্রদেশের রামজন্মভূমি অযোধ্যাতেও অসংখ্যা হিন্দুর মৃত্যু হয় ‘মৌলানা” মুলায়ম সিং যাদবের নির্দেশে পুলিশের গুলি চালনায়।

১৯৯৪ সালের (১ম-২য়) অক্টোবরেও মারা হয় একইভাবে গুলি করে আরো ৬ জন হিন্দুকে।

২৩) মুসলিম সন্ত্রাসবাদীরা ২০০০ সালের ১লা আগষ্ট ৩০ জন অমরনাথ যাত্রীদের নৃশংভাবে হত্যা করে। এই “স্বাধীন” ভারতেরই অঙ্গরাজ্য জম্মু ও কাশ্মীরে ২০০১ সালের ৩রা আগষ্ট কিশতোয়ার গণহত্যা কাণ্ডে শহীদ হতে হয় আরও ১৯ জন হিন্দুদের - সেই ইসলামীক জেহাদীদেরই হাতে।

২৪) আরও এক বর্বর ঘটনা ঘটে ২০০২ সালের ২৭শে ফেব্রুয়ারী। স্থান- গুজরাটের আহমেদাবাদ। 

গোধরায় ৫৯ জন হিন্দুদের কংগ্রেসের এক মুসলিম কাউন্সিলারের নেতৃত্বে জেহাদী ও উন্মত্ত সন্ত্রাসীরা জীবন্ত পুড়িয়ে মারে। এই কাজে ১০০০-২০০০ মুসলিমের মদত ছিল আর এই কাজে প্রত্যক্ষভাবে অংশগ্রহণ করে ৩১ জন জেহাদী মুসলিম।শুধু তাই না- এর পরদিন (২৮ শে ফেব্রুয়ারী) দাঙ্গায় মৃত্যু হয় আরও ৭৯০ জন হিন্দুর।

২৫) ২০০২ সালে জম্মু ও কাশ্মীরের রঘুনাথ মন্দিরে জেহাদী হামলা হয় ২ বার। ২৮শে ফেব্রুয়ারী আর ২৪শে নভেম্বর। প্রথম হামলায় ১৪ জন হিন্দুর মৃত্যু হয়। মোট আহত হন ৬৫ জন হিন্দু। ২০০২ সালের ১৩ই জুলাই জম্মু ও কাশ্মীরের কাশিমনগরে ২৯ জন হিন্দুর গণহত্যা হয় মুসলিম জেহাদীদের দ্বারা। 

ওই সালের ২৪শে সেপ্টেম্বর গুজরাটের অক্ষরধামে মন্দিরে হামলা করে জেহাদী নরপশুরা হত্যা করে ২৯ জন হিন্দুদের। আহত হন ৭৯ জন হিন্দু। ওই সালের ১৪ই মে-র হামলায় জম্মু ও কাশ্মীরের বালুচকে ভারতীয় সেনা ও হিন্দু জনতা মিলিয়ে হত্যা হয় ৩১ জনের।

২০০২ সালে এত জায়গায় এত হিন্দুর হত্যা হলেও মেকি সেক্যুলার বুদ্ধিজীবিরা শুধু গোধরা পরবতী কান্ড নিয়েই ব্যস্ত। এমনকি গোধরাতেও যে প্রায় ৮০০ জন হিন্দুর মৃত্যু হল তা নিয়ে তারা নির্বিকারে। হিন্দু প্ৰাণের কোন দামই যে নেই এই পেট্রেডলারের দাসত্ববৃত্তিকারীদের কাছে।

২৬) ২০০৬ সালে মার্চে বারানসীতে বোমা বিস্ফোরণ প্রাণ নেয় ২৮ জন হিন্দুর। সঙ্কটমোচন হনুমান মন্দিরে পূজারত, প্রার্থনায় ব্যস্ত ২০১ জন হিন্দু আহত হন।
মিলিয়ে দেখুন আগের ঘটনাগুলির সাথে। 

এদের পূর্বপুরুষেরা একইভাবে, একই কায়দায় সোমনাথ মন্দিরে হিন্দু হত্যা করেছিল। করেছিল অন্যান্য মন্দিরগুলিতেও | সেই ট্র্যাডিশন সমানে চলছে। আগে শুধু ব্যবহার হত তরবারী, আর এখন হচ্ছে বন্দুক আর বোমা।

২৭) ২০০৬ সালের এপ্রিলে জম্মু ও কাশ্মীরের ডোডায় হয় আরও এক গণহত্যা। ইসলামী জেহাদীরা হত্যা করে। ৩৫ জন নিরীহ হিন্দুকে।

২৮) ২০০৮-এর ২৬শে নভেম্বর মুম্বইয়ে পাকিস্তানী নরপশুরা ১৬৪ জন অ-মুসলিমদের হত্যা করে। আহত হন ৬০০-রও বেশি। ১১ জন ইসরায়েলি ইহুদীদের হত্যা করার আগে তাঁদের ওপর হয় অমানবিক অত্যাচার। যৌনাঙ্গ (তাঁদের) চিরে দেওয়া হয় ব্লেড দিয়ে। নিজেদের লুটেরা ও খুনী পূর্বপুরুষদের ঐতিহ্য সুন্দরভাবে ধরে রাখা একেই তো বলে!

২৯) ২০১২-য় আসামে কংগ্রেস সরকারের প্রশ্রয় পেয়ে বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারীরা জুলাই মাসে আসামের বোড়ো, খ্ৰীষ্টান ও হিন্দুদের ওপর আক্রমণ করে। নিহত হন ৭৭ জন। বহিরাগত মুসলিমদের (বাংলাদেশীদের) দিয়ে দেশের হিন্দু নাগরিকদের হত্যাও চলে এই ভোট ভিখারী নেতাদের দেশে।

৩০) ২০১৩-য় উত্তরপ্রদেশের মুজফফরনগরে মুসলিম দুষ্কৃতীরা এক হিন্দু মেয়ের সম্মান নিয়ে খেলা করলে, সেই মেয়ের ভাই প্রতিবাদ করায় তাকে খুন করে মুসলিমরা। ক্ষমা না চেয়ে (এই জঘন্য কাজের জন্য) বরং মুসলিমরাই দাঙ্গা বাধিয়ে ওই সালের ২৫শে আগষ্ট থেকে ১৭ই সেপ্টেম্বরের মধ্যে ২০ জন হিন্দুকে হত্যা করে। আহত ও গৃহহীন হন প্রায় ৯৩ জন। 

অখিলেশ যাদবের সমাজবাদী পার্টির সরকার নির্দেশ জারি করে যে, সরকারী হাসপাতালে চিকিৎসা হবে শুধু দাঙ্গাপীড়িত মুসলিমদেরই, দেশভক্ত ও শৌর্যবীর্যের প্রতীক হিন্দু জাতিদের সেখানে NO ENTRY। এইতো আমাদের দেশের ধর্মনিরপেক্ষতা। ওই রাজ্যেই ২০১৪ সালের ২৫শে জুলাই সাহারাননুর দাঙ্গায় ৩জনের (শিখ) মৃত্যু হয়।

এই লিস্ট কিন্তু Never ending। এই তো, অমরনাথ যাত্রীরা আবার শহীদ হলেন এই সেদিনও। তাই, হিন্দুদের ভাবতে হবেই যে, ৭১২ খ্ৰীষ্টাব্দ থেকে প্রায় ১৩০০ বছর ধরে যারা শুধু হিন্দু নিধনযজ্ঞে মেতে আছে, তাদের সাথে একসাথে থাকার আবার বৃথা চেষ্টা করবে নাকি শিবাজী, গুরু গোবিন্দ সিং-এর মতো দেশ, জাতি, ধর্ম ও সর্বোপরি নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার শেষ ও মরণপণ চেষ্টা করবে। 

সিদ্ধান্ত নিতে হবে খুব তাড়াতাড়ি। সময় কিন্তু বয়ে চলেছে। ইতিহাস থেকে যারা শিক্ষা নেয়না ইতিহাস তাদের কখনো ক্ষমা করে না। কারণ, History repeats itself। হিন্দুরা কি চায়? সোমনাথ মন্দির বা হিন্দুকুশের গণহত্যায় লক্ষ লক্ষ হিন্দুর হত্যা আবার হোক ? নিশ্চয় না। তাহলে কিংকর্তব্যবিমূঢ় না হয়ে থেকে এখন থেকেই হিন্দু রক্ষার দায়িত্ব হিন্দুদেরকেই নিজেদের কঁধে তুলে নিতে হবে।

কৃতজ্ঞতাঃ স্বদেশ সংহতি সংবাদ।
পূজা সংখ্যা ২০১৭; পৃষ্ঠা-২২.
(ধৈর্য্য সহকারে পুরোটা পড়ার জন্য 🙏🙏🙏
অবশ্যই জানাবেন আপনাদের মন্তব্য ধন্যবাদ।)

Saturday, May 16, 2020

হিন্দু ছেলেরা হিন্দু মেয়েদের বন্ধু হতে চাইলে ওদের ভাও বেড়ে যায়!

হিন্দু ছেলেরা হিন্দু মেয়েদের বন্ধু হতে চাইলে ওদের ভাও বেড়ে যায়! তখন তারা:
১। বন্ধু হতে চায় না।
২। ফোন নম্বর দিলে কথা বলতে চায় না।
৩। তারা ভাবে হিন্দু ছেলেদের সাথে বন্ধুত্ব করলে যদি তারা প্রেমে পড়ে যায়! আর সেইসঙ্গে ভাবে প্রেমে পড়লে যদি তাদের কেরিয়ার নষ্ট হয়ে যায়! তাই তারা হিন্দু ছেলেদের এড়িয়ে চলে।
৪। এইজন্য তার বন্ধু হিসেবে মুসলমান ছেলেদের বেছে নেয়। এদের সাথে ওরা খুব ভাল বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে তোলে।
৫। এইভাবে একসাথে চলতে চলতে একদিন বন্ধুত্ব প্রেমের রূপ নেয়| প্রেম থেকেই হয় বিয়ে এবং ধর্মত্যাগ! তখন কোথায় থাকে তাদের কেরিয়ার?
৬। তাই হিন্দু মেয়েদের বলছি, হিন্দু ছেলেদের সাথে বন্ধুত্ব করলে ক্ষতি কি? না হয় প্রেমই হল! তবু তো স্বধর্মের ছেলে! হোক না সে নিম্ন পরিবারের বা অন্য গোত্রের, তবু হিন্দু তো! 
ভুল করে বা কোন বিধর্মীদের মিথ্যা আশ্রয় নিয়ে নিজের ধর্ম ত্যাগ করবেন না। হিন্দু ধর্মই শ্রেষ্ঠ, এটিই প্রাচীন ও সত্য ধর্ম।


Tuesday, May 12, 2020

বিপন্ন রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ................. পর্ব 1



অামি মূর্খ বাংলাদেশী এক মদন হিন্দু।জ্ঞান অামার হাটুর নীচে বলতে পারেন। জানা শোনা?সে কচুপাতার উপর দু চার অক্ষরের বেশী নয়।তারপরেও চুলকানীর ব্যারাম ও অল্পবিদ্যের কামড়ানীতে লিখছি বাংলাদেশ থেকে পশ্চিমবঙ্গের বেশ কয়েকবার ঘুরে বেড়ানোর অভিজ্ঞতা থেকে লেখনি। সময় পেলে,মন চাইলে একটু পড়তে পারেন। ভাল লাগলে লাইক,কমেন্ট ও পোষ্টও করতে পারেন। তা দেখে গর্বে এ বেকুবের বুকটা ভরে যাবে।কথায় অাছে ছাগলের চরম সুখ কাঠাল পাতা চিবুনির মধ্যে।

পশ্চিম বাংলার রাজ্য ক্ষমতায় কে অাসছে ২০২১ সালে?মমতার তৃনমূল নাকি বি,জে,পি নাকি কংগ্রেস বা বামজোট?কংগ্রস,বামজোট অাপাতত ব্যাকফ্রন্টে। সামানে রয়েছে তৃনমূল ও বিজেপি। এ দুদলের কোন দল ক্ষমতায় অাসবে?এর উত্তরে অবশ্যই তৃনমূল।বিজেপি দ্বিতীয় অবস্থানে থাকবে।অামরা হিন্দুত্ববাদীরা যতই অাশা করছি বিজেপিকে রাজ্য ক্ষমতায় বাস্তবে তা বহুদুরে।পশ্চিম বাঙ্গলায় বিজেপির রাজ্য ক্ষমতা দখলের মত সাংগঠনিক শক্তি, রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্ব, প্রজ্ঞাবান নেতা নেই।মাঠ পর্যায়ে সকল জায়গায় জনগনের দোর গোড়ায় পৌছানোর মত নেতাকর্মীরও অভাব অাছে বিজেপিতে।বিজেপির সাংসদগন ও কিছু গ্রাম পন্চায়েত প্রধানগন জনগনের সফট কর্নার পেতে এখনও পারেনি।তাছাড়া রাজ্যে দীর্ঘ রাজনৈতিক কেরিয়ার করা নেতা,মমতার ধারে কাছেও কেউ নেই। রাজ্যের হাল ধরতে পারেন,মমতার থেকেও রাজ্যের উন্নতি করতে পারেন,জনগনের সুবিধা দিতে পারেন এমন অাস্থা বিজিপি পশ্চিম বাংলার সাধারন জনগনের মাঝে তৈরী করতে পারেনি এখনও।
তৃনমূল পর্যায়ে বিজেপি অবস্থান তৃনমূলের কাছে নিতান্তই দুর্বল বলে মনে করছি।যদিও লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি অর্ধেক সংখ্যক অাসন দখলে সক্ষম হয়েছিল কিন্তু NRC, CAA ইস্যু,বিজেপির বিরুদ্ধে অপপ্রচার বর্তমানে বিজেপির জনসমর্থনের কিছুটা কমতি তৈরী হয়েছে বলে ধারনা।বিজেপির মাঠ পর্যায়ে দলীয় কর্মকান্ড ও প্রচার প্রসার তৃনমূলের মত দলকে পশ্চিম বাংলায় টেক্কা দেবার জন্য যথেষ্ট নয়।তাছাড়া মমতার দীর্ঘ রাজনৈতিক প্রজ্ঞা,দীর্ঘ বছর ক্ষমতায় থাকার সুবাদে উন্নয়ন কর্মকান্ড,সংখ্যালঘু ৩০% ভোট ব্যাংক ও পশ্চিম বাংলার হিন্দুদের সেকুলার সংস্কৃতি ও মাঠ পর্যায়ের দলীয় সাংগঠনিক শক্তি ২০২১ সালে মমতাকে অাবারও রাজ্য ক্ষমতায় ফিরিয়ে অানবে বলে অামার শংকা।
মমতা ২০২১ সালে সেকুলার হিন্দুদের ২৫% ভোট অার মুসলিমদের ৩০% ভোট মোট ৬০% ভোট পেতে পারেন বলে ভাবছি।অার তা যদি হয়,তবে মমতা ব্যানার্জী একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়েই রাজ্য সরকার গঠনে সক্ষম হবেন।যদি তাই হয়,তবে পশ্চিম বাংলায় মুসলিম তোষনের মাত্রা বহুগুনে বৃদ্ধি পাবে সামনের দিনগুলোতে। যা ৩০% মুসলিম জনগোষ্ঠীকে অারও সংগঠিত করতে অারও শক্তিশালী করতে বিরাট সুযোগ তৈরী করে দেবে। এবং হিন্দুদেরকে রাজনৈতিক ভাবে,সামজিক ভাবে একপেষে করে ফেলতে কাজ করবে। পশ্চিম বাংলার রাজনীতিতে মুসলিম একটি বড় শক্তি হিসাবে দেখা দেবে। এবং হিন্দুদের উপর খবরদারি করা,হিন্দুদের মাথায় কাঠাল ভেঙ্গে খাওয়া এবং মুসলিম অধ্যসিত রাজ্য গড়ার সুযোগ মুসলিমেরা পেয়ে যাবে।রাজ্য মুসলিমদের প্রাধান্য এ ক্ষমতা বেড়ে যাবে।সকল প্রকার সুবিধা ও মূল্যায়ন পাবে মুসলিম জনগোষ্ঠী। যা পশ্চিম বাংলার হিন্দুদের অস্তিত্ব বিনাশকে ত্বরান্নিত করতে সহায়ক হবে। পশ্চিম বাংলা কাস্মীর হবার দিকে দ্রূতগতিতে এগিয়ে যাবে।মরবে বাঙ্গালী হিন্দু। যদি পশ্চিম বাঙ্গলার হিন্দুরা অাগামী নির্বাচনে বিচক্ষনতার পরিচয় না দেয় এবং বিজেপিকে সব বিচারের  বাইরে শুধু নিজেদের ভবিষ্যৎ বংশধরদের জাত,বংশ ও ধর্ম বাঁচাতে রাজ্য ক্ষমতায় না অানে,তবে হিন্দুদের কপালে কিয়ৎকাল পরেই মহা বিপদ ঘনিয়ে অাসবে বলে এ মূর্খের ধারনা। ওহে হিন্দু সেকুলারিজম ছেড়ে হিন্দুত্ববাদ গ্রহণ করো তাহলে সনাতনী জাতি ও ধর্ম রক্ষা করা যাবে...........

Monday, May 11, 2020

মালগাড়ীর তলায় 16 জন শ্রমিকের মৃত্যুর পরিপ্রেক্ষিতে নিম্নলিখিত প্রশ্নগুলির যথাযথ উত্তর চাই:-


1) হাইওয়ে না দিয়ে গিয়ে শ্রমিকরা রেল লাইনের ধার ধরে হাঁটছিলেন কেন ? আপনারা কোন জায়গা হেঁটে যেতে হলে পাকা সড়ক দিয়ে যান নাকি রেল লাইনের পাশ দিয়ে হাঁটেন ?

2) রেল লাইনের সাইড বরাবর 100 কিলোমিটার হাঁটলেন অথচ একটিও মালগাড়ী বা গুডস ট্রেন চলতে দেখেন নি এটা অবিশ্বাস্য। রেল লাইনের ধার দিয়ে হাঁটার সময় শ্রমিকরা নিশ্চয় একাধিক মালগাড়ী চলতে দেখেছেন। তার পরেও তাঁরা কি করে ধারণা করলেন রেল লাইনের উপরে ঘুমোনো নিরাপদ ?

3) রেল লাইনের উপরে পাথরের টুকরো ছড়ানো থাকে। কোন মানুষ ঘুমোলে রেল লাইনের পাশের জমিতে ঘুমোবেন। রেল লাইনের পাথরের টুকরোর উপরে কেউ ঘুমোবেন না। এক্ষেত্রে এতজন লোক কেন রেল লাইনের উপরে শুয়ে ঘুমোচ্ছিলেন ?

4) মালগাড়ী পাঁচ কিলোমিটার দূরে থাকলেও রেল লাইনে প্রবল কম্পন হয়। তাতে রেল লাইনে মাথা রাখা লোক অনেক আগেই বুঝতে পারবেন যে ঐ লাইনে কোন ট্রেন আসছে। এক্ষেত্রে এতজন লোক থাকা সত্ত্বেও কেউ কেন সজাগ ও সতর্ক হলেন না ?

যা ঘটেছে তা অত্যন্ত সন্দেহজনক এবং উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত প্রয়োজন। অনেকের সন্দেহ শ্রমিকদের আগেই খুন করে বা খাবারে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে অচেতন করে তাঁদের দেহ রেল লাইনে ফেলা হয়েছিল। এটা রাজনৈতিক চক্রান্ত হতে পারে। উদ্দেশ্য লক ডাউনের ফলে মানুষ মারা যাচ্ছেন এটা প্রমাণ করা এবং কেন্দ্রীয় সরকারকে বদনাম করা। সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করে লকডাউন তুলতে মরিয়া একটি বিশেষ গোষ্ঠী। তার জানে লকডাউন উঠে গেলে করোনা রোগ দেশে খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়বে। এটা করতে পারলে দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়বে এবং সরকার দিশাহারা হয়ে যাবে। কিন্তু এই চক্রান্ত কোন মতেই সফল হতে দেওয়া যাবে না। লক ডাউন কঠোরভাবে পালন করুন। করোনা থেকে বাঁচার এটাই আপাতত একমাত্র রাস্তা ।

Thursday, May 7, 2020

মিথ ও বাস্তব : টিপু সুলতান

       যাদের বয়স এখন ত্রিশের কোটায়, তারা ছোটোবেলাতে দেখেছে জনপ্রিয় টিভি সিরিয়াল "দ্য সোর্ড অব টিপু সুলতান"। দেশপ্রেমে ভরপুর এক রূপকথার নায়ক। জাতীয়তাবাদী মহিমাতে উজ্জ্বল। ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের নক্ষত্র। 
       ভারতের ইতিহাস চর্চা ইউরোপীয় ও বামপন্থী ঐতিহাসিক ভাবাদর্শে চলে আসছে চিরকাল। তাই পদে পদে বিকৃতি। যদুনাথ সরকার বা রমেশ চন্দ্ররা ব্রাত্য এখানে  ইরফান হাবিব বা রোমিলা থাপারেরা যা গেলায় আমরাও তাই গিলি। চলুন, টিপুচর্চা করা যাক।

       টিপু সুলতান ১৭৫০ সালের ২০ নভেম্বর বর্তমান ব্যাঙ্গালোর থেকে ৩৩ কি.মি দূরে “দিভানাহালি ” নামক স্থানে জন্ম গ্রহন করেন। তার পিতা হায়দার আলী মহীশূর রাজ্যের সেনাপতি ছিলেন৷
          ১৭৮০ সালে টিপু সুলতান নিজেকে মহীশূরের বাদশাহ হিসেবে ঘোষণা করেন এবং মোঘল সম্রাটের মুদ্রা বাতিল করে নিজের নামে মুদ্রা প্রচলন করেন।
         এইচ ডি শর্মার মতে, টিপু সুলতান ভারতকে ইসলামী সাম্রাজ্যে রুপান্তরের জন্য আফগান সম্রাট জামান শাহ এর সহায়তা চান এবং তাকে ভারত আক্রমণের আমন্ত্রণ জানান। টিপু সুলতান হিন্দু এবং খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের জোর করে মুসলমান ধর্মে ধর্মান্তর করেন।
         ১৭৮৮ সালে তিনি কালিকট-এর গভর্নর শের খানকে চিঠি দিয়ে হিন্দুদের মুসলমান ধর্মে ধর্মান্তর করার নির্দেশ দেন। সেই বছরের জুলাই মাসে প্রায় ২০০ জন ব্রাহ্মনকে জোর করে মুসলমান ধর্মে ধর্মান্তর করা হয় এবং গরুর মাংস খাওয়ানো হয়।
         ১৭৯০ সালের ১৯ জানুয়ারি বেকাল (Bekal) এর গভর্নর “বুদরুজ্জুমান খান” কে লেখা চিঠির মাধ্যমে তিনি মালাবার বিজয়ের এবং ৪ লক্ষ হিন্দুকে মুসলিম ধর্মে ধর্মান্তর করার সংবাদ দেন।
       টিপু সুলতান ২৭টি ক্যাথলিক চার্চ ধ্বংস করার নির্দেশ দেয়। এর ভেতর উল্লেখযোগ্য হচ্ছেঃ
ম্যাঙ্গালোরের Church of Nossa Senhora de Rosario Milagres, Fr Miranda’s Seminary at Monte Mariano, ওমজুড় এর Church of Jesu Marie Jose, বোলার এর Chapel, উল্লাল এর Church of Merces, মুলকি’র Imaculata Conceiciao, পেরার এর San Jose, কিরেম এর Nossa Senhora dos Remedios, কর্কাল এর Sao Lawrence, বার্কুর Rosario, বাইর্নুর এর Immaculata Conceciao, হষ্পেট এর The Church of Holy Cross

    টিপু সুলতান ইসলামী আদলে রাজ্যগুলোর পুনঃ নামকরণ করেন।
যেমনঃ- দিভানহলি থেকে ইউসুফাবাদ,
             মহীশূর থেকে নাসারবাদ, 
             চিত্রদূর্গা থেকে ফারুখিয়া হিসার, 
             গট্টি থেকে ফয়েজ হিসার, 
             ম্যাঙ্গালোর থেকে জালালাবাদ, 
             কন্নড় থেকে কাশানাবাদ, 
             বেপুর (ভৈপুরা) থেকে সুলতানপত্তম/ 
                                                          ফারুকি, 
             ধরওয়াদ/ধার্বাদ থেকে কার্শেদ সওয়ার,
             রত্নাগিরি থেকে মুস্তফাবাদ,
            ডিন্দিগুল থেকে খালিকাবাদ, এবং
            কালিকট থেকে ইসলামাবাদ।

         টিপু সুলতান তার রাজত্বে শিক্ষা ও সরকারি-ব্যবসায়িক কাজকর্মের জন্য ফার্সি এবং উর্দু ভাষার প্রচলন করে। যার ফলে এখনও দক্ষিণ ভারতের কেরালা, তামিলনাড়ু এবং কর্ণাটকের মুসলমানেরা উর্দু ভাষার চর্চা করে।
        টিপু সুলতানের ৪ জন স্ত্রী, ১৫ জন পুত্র এবং কমপক্ষে ৮ জন কন্যা সন্তান ছিল। ১৭৯৯ সালের ৪ই মে ৪৮ বছর বয়সে টিপু সুলতান ব্রিটিশদের হাতে নিহত হন।

     রাজা রাজ্যজয় করবে। শত্রুপক্ষকে হত্যা করবে। এতে অস্বাভাবিকত্ব কিছু নেই। টিপুও শত্রু হত্যা করত। সমস্যা অন্যত্র। শত্রু হত্যার পাশাপাশি বিধর্মীর মুখে গোমাংস পুরে দেওয়া, জোর করে ধর্মান্তর, মন্দির ধ্বংস ( শত্রুপক্ষের মসজিদ অক্ষত, কিন্তু মন্দির ধ্বংস।) ইত্যাদি গুণাবলী টিপুকে বানিয়েছে নিছক এক জেহাদী।


Tuesday, May 5, 2020

মুমিনদের জন্য খুব কষ্ট হয়

হিশাম ইবনে উরওয়া (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘নবী করিম (সা.)-এর মদিনায় হিজরতের তিন বছর আগে খাদিজা (রা.)-এর ইন্তেকাল হয়। তারপর দুই বছর বা এর কাছাকাছি সময় অতিবাহিত হওয়ার পর তিনি আয়েশা (রা.)-কে বিয়ে করেন। তখন তিনি ছিলেন ছয় বছরের বালিকা। তারপর ৯ বছর বয়সে বাসর যাপন করেন।’(সহিহ বুখারি, হাদিস : ৩৮৯৬)

আয়েশা (রা.)-এর মাতা-পিতা  স্বপ্রণোদিত হয়ে তাঁকে মহানবী (সা.)-এর সঙ্গে বিয়ে দিয়েছিলেন। সে সময়ের কোনো মুসলিম কিংবা অমুসলিম এ বিয়ের প্রতিবাদ করেনি।  ওহির মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা তাঁকে বিয়ে করার জন্য নির্দেশ দিয়েছিলেন। আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, মহানবী (সা.) তাঁকে বলেছেন, দুইবার তোমার চেহারা আমাকে স্বপ্নে দেখানো হয়েছে। আমি দেখলাম, তুমি একটি রেশমি কাপড়ে আবৃতা এবং (জিবরাইল) আমাকে বলছেন, ইনি আপনার স্ত্রী, আমি ঘোমটাটা সরিয়ে দেখলাম। দেখি ওই নারী তো তুমিই। তখন আমি ভাবছিলাম, যদি তা আল্লাহর পক্ষ থেকে হয়ে থাকে, তাহলে তিনি তা বাস্তবায়িত করবেন। (বুখারি, হাদিস নং : ৩৮৯৫, ৫০৭৮, ৫১২৫, ৭০১১; মুসলিম, হাদিস নং : ২৪৩৮)।
মুমিনদের জন্য খুব কষ্ট হয়😭
মুমিনদের জন্য খুব কষ্ট হয়😭

Monday, May 4, 2020

এ_কেমন_বুদ্ধিজীবী_এবং_বিশ্ব_মানবতার_বিচার


১। ৩৬০টি মূর্তি ভেঙে মক্কা দখল করা হয়েছে সেই ইতিহাস সারা বিশ্বে গৌরবের সহিত প্রচার করা হচ্ছে এবং ধর্মীয় গ্রন্থে পড়ানো হচ্ছে। মূর্তি ভাংচুর করার কথা বলা তাদের বাক স্বাধীনতা!!! আর এতে মূর্তি পূজারী হিন্দু, বৌদ্ধ, ইহুদি,খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের অনুভূতিতে আঘাত লাগতেই পারে না!!!

২। আফগান ডাকাত মুহাম্মদ গজনি ১৭ বার ভারতবর্ষ আক্রমণ করে লুটপাট করেছে। না ভাই এটা ভারতের ইতিহাস গ্রন্থে লজ্জাজনক ইতিহাস হিসেবে স্থান পায়নি   বরং ভারতের  ইতিহাস গ্রন্থে গৌরবের সহিত পড়ানো হয়।

৩। উজবেকিস্তানের আরেক ডাকাত  তৈমুর লং যিনি একদিনে ১ লক্ষ হিন্দু হত্যা করেছিল, সে ভারতের ইতিহাস গ্রন্থে বিশ্ব খুনি নয় বরং বিশ্ব নায়ক হিসেবে স্থান পেয়েছে।  তৈমুর নামটি মুসলিমরা ঘৃণা নয় বরং গৌরবের সহিত সন্তানের নামকরণ করে তৈমুর।

৪। উজবেকিস্তানের ডাকাত বংশধর মুঘলরা ৫শ বছর খুন, লুটপাট এবং ধর্ষণ করে অবৈধভাবে ভারতবর্ষ দখল করেছিল সেজন্য তাদের উত্তরাধিকার কেউ লজ্জিত নয় বরং তারা গর্বিত এবং মুঘলরা ভারতবর্ষের ইতিহাস গ্রন্থে নায়ক হিসেবে স্থান পেয়েছে😆😆😆

৫। কিন্তু হাজার হাজার হিন্দুর রক্তের উপর তৈরি এক  বাবরী মসজিদকে হিন্দুরা ভেঙ্গেছে কেন সেজন্য ভারত সাম্প্রদায়িক দেশের তকমা পেল!!!এক বাবরী মসজিদ ভাঙ্গলো কেন সেজন্য অনেক সেকুল্যার হিন্দু নিজেদের হিন্দু বলতে লজ্জা পাচ্ছে,ছি ছি করছে। কিন্তু বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং ভারতের একজন মুসলিমও মুহাম্মদ গজনি, তৈমুর লং এবং মুঘলদের কুকর্মের জন্য নিজেদের মুসলিম বলতে লজ্জা পায় না,ছি ছি করেনা বরং গর্বিত মনে করে।

শুধু তাই নয় গজনি, তৈমুর এবং মুঘলদের কুকর্মের দায় কোন মুসলিমের নয় কিন্তু বাবরি মসজিদ ধ্বংসের দায় শুধু ভারতের হিন্দুদের নয় বরং বাংলাদেশের ও পাকিস্তানের হিন্দুদেরও । সেজন্য বাংলাদেশের শান্তি প্রিয় মুসলিমরা বাবরি মসজিদ ধ্বংসের অযুহাতে  ১৯৯২ সালে মাত্র কয়েক মাস  হিন্দুদের উপর  অত্যাচার চালিয়ে ১৫% থেকে ১০% এ নামিয়ে দিয়েছে ১৯৯৩ সালে।

 তারপরও ভারত সাম্প্রদায়িক দেশ😢😢😢 এবং বাংলাদেশ ও পাকিস্তান অসাম্প্রদায়িক দেশ 😆😆😆😆
এ কেমন বুদ্ধিজীবী এবং বিশ্ব মানবতার বিচার???
জবাব চাই?? জবাব চাই?? জবাব চাই??

Sunday, May 3, 2020

বিনা খরচে অনলাইন ইনকাম এর সুযোগ দিচ্ছে, কোনো প্রকারের প্রতারণা নেই ,এটার জন্য কোনো খরচ লাগে না,

বিনা খরচে অনলাইন ইনকাম এর সুযোগ দিচ্ছে, কোনো প্রকারের প্রতারণা নেই ,এটার জন্য কোনো খরচ লাগে না, আপনার কোনো বন্ধুদের প্রয়োজন থাকলে তাদের জন্য সঠিক application, এই application এ অসংখ্য মানুষের জীবন পাল্টে যেতে পারে,📲সকলের জন্য দারুন একটি ইনকামের সুযোগ📲
🔰প্রিয় বন্ধু whatsapp ,facebook এগুলো তো অনেক দিন ধরে ব্যবহার করছেন,কিন্তু আজ পর্যন্ত কি কিছু পেয়েছেন,শুধু শুধু এগুলো করে আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট করবেন না, তার চাইতে আসুন আমাদের সাথে অনলাইনে মোবাইলের মাধ্যমে প্রতিদিন 1-2 ঘন্টা কাজ করুন।
💰মাসিক ইনকাম 5,000/- থেকে 30,000/-💰
কাজটি শুরু করতে কোনো টাকা লাগবে না।
কিভাবে শুরু করবেন?
👇👇👇👇
📲সবার প্রথমে নিচের লিংকেhttps://m91.co/POU_r ক্লিক করে  আপনার মোবাইলের Playstore  থেকে  Mall91 appsটি ইনস্টল করুন।
👉ইন্সটল হয়ে গেলে open করে Whatsapp মোবাইল নম্বর এবং Refer code- 3NUWB3L  এটা  দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করে নিলেই কাজ শুরু করে দিতে পারবেন।
💰এই app থেকে যা ইনকাম করবেন সেই টাকা মোবাইল রিচার্জ করে,শপিং করে এমনকি ইনকাম এর টাকা bankএকাউন্ট ,paytm, upi এর মাধ্যমে ট্রান্সফার করে নিতে পারবেন।
   Note:- (কাজটি কিভাবে করবেন? এবং ইনকাম কিভাবে হবে? এই সব ডিটেলস আপনার WhatsApp নম্বরে অডিও ভিডিওর মাধ্যমে পেয়ে যাবেন তাই অবশ্যই রেজিস্ট্রেশন করার সময়  Whatsapp নম্বর দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করবেন।).....

Friday, May 1, 2020

সমাবর্তন উৎসবে মানুষটার জন্য একটা চেয়ার অবধি রাখা হয়নি। অথচ পদাধিকার বলে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য, সমস্ত রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য তাঁরই অধীনে।

সমাবর্তন উৎসবে মানুষটার জন্য একটা চেয়ার অবধি রাখা হয়নি। অথচ পদাধিকার বলে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য, সমস্ত রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য তাঁরই অধীনে।

লোকটা রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান। লোকটা অপমানিত বোধ করেছিল।

তার মনে হয়েছিল এটা তার ব্যক্তিগত কোনো অপমান নয়। চেয়ারটা, আমাদের সংবিধান-প্রদত্ত যে চেয়ারটা---তার অপমান।

তবুও, লোকটা সেটা নিজের অপমান বলেই মেনে নিয়েছিল। 

এরপরেও লোকটা অপমানিত হয়েছে।

যখনই দেখেছে প্রশাসনের কোনো স্তরে কমিউনিকেশনের অভাব, নির্লজ্জ দলতন্ত্র জাঁকিয়ে বসেছে, যখনই তা নজরে এসেছে, সে রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানকে চিঠি লিখে জানিয়েছে, এবং যথারীতি ফল না মেলায় অপমানিত বোধ করেছে।

লোকটা অপমানিত হয়েছে। তা নিয়ে মিম নেমেছে, তা নিয়ে ঠাট্টা হয়েছে, তা নিয়ে প্রচুর খিল্লি হয়েছে। 

কিন্তু লোকটা থামেনি।

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েও লোকটাকে অসম্মানিত হতে হয়েছিল।তখন কিন্তু লোকটা বলেনি যে অপমানিত বোধ করছি। বলেছিল, ওরা ছাত্রছাত্রী, আমার ছেলেমেয়ের মতো। আমি ওদের সঙ্গে বসতে রাজী, ওদের সব কথা শুনতে রাজী।

কী দরকার ছিল বলুন তো? আগের সব রাজ্যপালদের মত চুপচাপ চেয়ারে বসে, ফিতে কেটে, দু-চারটে মিটিং করে , সব ফাইল হাসিমুখে সই করে কাটিয়ে দিতে পারত তো। কী দরকার ছিল?

কিন্তু না।

লোকটা ভেবেছিল, এই রাজ্যটার নাম পশ্চিমবঙ্গ। #বাঙ্গালীর_রাজ্য। একদা গোপালকৃষ্ণ গোখলে বলেছিলেন, "What Bengal thinks today, India thinks tomorrow." লোকটা সেই কৃষ্টি, সেই সংস্কৃতিকে উপলব্ধি করতে এসেছিল। লোকটা ভেবেছিল, 

#বাঙ্গালীর_রাজ্যে_এসে_নতুন_কিছু_শিখবে। অনেক কিছু শিখবে, অনেক কিছু জানবে।

কিন্তু লোকটা আজ দেখছে এই অবস্থা। যেখানে তথ্য লুকিয়ে রাখা হচ্ছে, যেখানে কোদালকে কোদাল বলা যায়না। বললে পুলিশের বাড়ি খেতে হয়।

লোকটা এসব দেখে অপমানিত বোধ করেছে। লোকটা ভেবেছে, এটা #বাঙ্গালার_সংস্কৃতির_অপমান। সেটা তার নিজেরই অপমান ভেবেছে লোকটা।

আজও যখন এই মহামারীর সময়ে তথ্য লুকিয়ে রাখা হচ্ছে, লোকটা বসে থাকেনি। লোকটা চিঠির পর চিঠি লিখে যাচ্ছে। বারবার চিৎকার করছে, কেন্দ্রীয় দলকে এভাবে আপনি আটকাতে পারেন না। এভাবে ডাক্তার এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষার বিষয়টি অবহেলা করতে পারেন না। আপনি চূড়ান্ত ব্যর্থ, নিজের অপদার্থতা লুকিয়ে রাখতে আপনি অন্যদের দোষারোপ করছেন। নিজের দায়িত্ব পালন করুন ।

এবং, অপমানিত বোধ করছে। নিজের জন্য নয়। আমার, আপনার জন্য। লোকটা ভবিষ্যতেও অপমানিত বোধ করবে।

আপনারা খিল্লি করতে থাকুন। মিম বানাতে থাকুন। লোকটা সীমিত ক্ষমতার মধ্যে তার নিজের যতটুকু কাজ সেটা করেই যাবে। সংবিধানের আওতায় থেকেই।

শ্রদ্ধা নেবেন, মাননীয় রাজ্যপাল জগদীশ ধনখড়ে।
(সংগৃহীত)

বিষয়: হিন্দু (HINDU) লিখেছেন শ্রী জগদীশ রায়। মতুয়া চিন্তক এবং বিশিষ্ট লেখক।

বিষয়: হিন্দু (HINDU) লিখেছেন শ্রী জগদীশ রায়। 
মতুয়া চিন্তক এবং বিশিষ্ট লেখক।

            ভারত বর্ষের সব থেকে বড় ধর্ম হচ্ছে হিন্দু ধর্ম ।এদেশের বেশীর ভাগ জনগণ হিন্দু ধর্ম বলম্বী । তারা তাদের ধর্মকে বিশ্বাস করে আবার অনেকে নিজেকে ‘হিন্দু’ বলে গর্ববোধ ও করেন । যেটা স্বাভাবিক ।
এখানে এই আলোচনায় কারো ব্যক্তিগত বিশ্বাসে আঘাত করার উদ্দেশে নয় । আর আঘাত লাগলে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি । কারন কখনও কখনও বিশ্বাসে আঘাত লাগাটাও স্বাভাবিক হয়; যখন সেটাকে যুক্তি-তর্ক দিয়ে বিচার-বিশ্লেষণ করার চেষ্টা না করা হয় । অথবা সুদীর্ঘ  দিনের বিশ্বাসকে এক ঝটকায় ছুড়ে ফেলা অতসহজ নয় । তবুও বিশ্বাসের পাথরকে মূ্র্তিতে রূপান্তরিত করতে হলে যুক্তি-তর্ক-তথ্য ও বিশ্লেষণের ছেনি ও হাতুড়ি দিয়ে সতর্ক ভাবে কাটার চেষ্টা করলে মূ্র্তি তৈরী হ’তে পারে । যেটা তখন বিশ্বাসের পাথর না হয়ে একটা মূ্র্তিতে রূপান্তরিত হবে । 
আমি কেবলমাত্র  সেই বিশ্বাসের পাথরকে মূ্র্তিতে রূপান্তরিত করার চেষ্টা করছি। মূ্র্তি হবে কি না সেটা জানি না, কারণ সেটা পাঠকরা বলতে  পারবেন । তবে আমি আবার বলছি –কারো ব্যক্তিগত বিস্বাসে আঘাত করা আমার উদ্দেশ্য নয় । উদ্দেশ্য সঠিক তথ্যকে আপনাদের সামনে তুলে ধরা ।

হিন্দু শব্দের উৎপত্তি ও অর্থ:

প্রথমেই আমরা চেষ্টা করি হিন্দু শব্দের উৎপত্তি ও অর্থ সম্পর্কে জানতে। হিন্দু শব্দটি হচ্ছে পার্শি শব্দ । যার অর্থ হীন্ বা নীচতা । যদি হিন্দু শব্দের লম্বা উচ্চারণ করা হয় তাহলে দেখা যাবে হিন্-ন্-ন্ –ন্ –দু । এখানে হিন্ শব্দটি প্রধান । আর হীন্ মানে নীচ্ বোঝায় । ‘হিন্দু’ শব্দটি কিন্তু ব্রাহ্মণদের কোন ধর্ম গ্রন্থে নেই । শ্রুতি,পুরাণ,  বেদ,গীতা রামায়ণ, মহাভারতে অর্থাৎ সংস্কৃতের কোন মৌলিক গ্রন্থে । ‘হিন্দু’ শব্দটি নেই ।

ভারতীয়দের কেন হিন্দু নাম দেওয়া হ’ল?

     ভারতবর্ষে ৭তম শতাব্দি থেকে ১২ম শতাব্দি পর্যন্ত বিশেষ করে মুসলমানদের আক্রমন হয় । আক্রমনকারী মুঘলরা ভারতবর্ষ জয় করার পর এদেশে তাদের রাজত্ব স্থাপিত হয় । এদেশে শাসন কার্জ পরিচালনা করতে গিয়ে তারা দুটো প্রধান সমস্যার সম্মুখিন হয়। 
       প্রথমত:-তারা ভাবল যে আমরা বিজেতা, আমরা এখানের লোকদের পরাজিত করেছি, সুতরাংপরাজিতদের সংঙ্গে আমাদের যেন নসল্ (রক্ত ও সংস্কৃতি) মিশে না যায় । কারণ যারা পরাজিত হয় তারা হীন তো হয়। তাদের সংঙ্গে আমাদের সংস্কৃতি ও রক্ত মিশে যাওয়া উচিত নয় । এটা হ’ল মিশ্রনের সমস্যা ।
দ্বিতীয়ত:- এই পরাজিতদের পৃথক রাখার জন্য তাদের নতুন পরিচয় দেওয়া । এটা স্বভাবিক যে পরাজিতদের কেউ ভাল নাম দেবে না । তাই আত্রমনকারী মুঘলরা এদেশের জনগনকে ‘হিন্দু’(পরাজিত,হীন্,নীচ্)নাম দিল । যেমন- ব্রাহ্মণরা ভারতের মূলনিবাসীদের নাম দিয়েছে-দাস, দস্যু, দানব, রাক্ষস ইত্যাদি ।পরবর্তিতে এরা SC, ST OBC দের ENCOUNTER করার জন্য নাম দিল –হরিজন,গিরিজন,বনবাসি ও দলিত ।
এবিষয়ে বাবা সাহেব Dr. B.R AMBEDKAR ,ANNIHILETION OF CASTE এ বলেছেন-
`সর্ব প্রথম এই চরম সত্যকে অবশ্যই স্বীকার করতে হবে যে, হিন্দু সমাজ একটি পৌরানিক কাহিনী । হিন্দু নামটা একটা বিদেশী নাম । ‘হিন্দু’ শব্দটা (আক্রমনকারী) মুসলমানদের দেওয়া নাম। স্থানীয় অধিবাসী  এবং মুসলমানদের মধ্যে স্বাতন্ত্র বোঝানোর জন্য তারা স্থানীয় অধিবাসীদের ‘হিন্দু’ নামে অভিহিত করেছিল । ভারতে মুসলমানদের আক্রমনের পূর্বেকার সময়ে সংস্কৃত ভাষার লেখকদের ‘নেশন’(জাতি) সম্বন্ধে কোন ধারনা ছিলনা । তারা ভারতীয় অধিবাসীদের একটি সাধারণ নামকরনের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেনি। তাই হিন্দু সমাজের  বাস্তবে কোন অস্তিত্ব নেই । এটা শুধু জাতিগুলির একটি সমষ্টিগত নাম ।
The first and foremost thing that must be recognized is that Hindu Society is a myth. The name Hindu is itself a foreign name. It was given by the Mohammedans to the natives for the purpose of distinguishing themselves. It does not occur in any Sanskrit work prior to the Mohammedan invasion. They did not feel the necessity of a common name because they had no conception of their having constituted a community. Hindu society as such does not exist. It is only a collection of castes.’ 

ব্রাহ্মণরা নিজেদের হিন্দু বলে স্বীকার করেনি কেন?

ঐ সময়ের ব্রাহ্মণরা নিজেদের হিন্দু বলে মেনে নিতে অস্বীকার করে । তারা বলল, যদি তোমরা পরাজিতদের ‘হিন্দু’ অভিহিত করো তাহলে আমরা ‘হিন্দু’ নই । যেভাবে তোমরা আক্রমণকারী এবং বিজেতা  ঠিক একইভাবে আমরাও  আক্রমণকারী এবং আক্রমণ করে আমরাও  এখানকার লোকদের পরাজিত করেছিলাম । তাই তোমরা যদি পরাজিতদের ‘হিন্দু’ অভিহিত করো তাহলে আমরা ‘হিন্দু’ নই । এর প্রমান হচ্ছে – মুসলমান শাসকরা যখন জিজিয়া কর অর্থাৎ ধর্ম কর(RELIGIOUS TAX) চালু করেছিল সেটাতে ব্রাহ্মণদের ছাড় (EXEMPTION) ছিল । ব্রাহ্মণদের এই যে ছাড় ছিল যা প্রমান করে তারা নিজেদের হিন্দু বলে মেনে নিতে স্বীকার  করত না ।
বর্ণাশ্রমে বেষ্টিত ভারতীয়দের হিন্দু বলে প্রমানিত করার রাস্তাটা প্রসারিত হতে শুরু করে 1921সাল নাগাদ। প্রকৃত পক্ষে ব্রাহ্মণরা এখনও নিজেদের হিন্দু মনে করেনা ।এর কারন পরে বলছি । 1922 সালে তারা নাসিকে ‘হিন্দু মহাসভা’ এর স্থাপন করে । কিন্তু কেন? সে ইতিহাস ধাপে ধাপে প্রকাশ করছি । তার অগে আমরা দেখছি রাজা রামমোহন রায় 20 আগষ্ট 1828 সালে ‘ব্রাহ্ম সমাজ’ স্থাপন করেন । দয়ানন্দ সরস্বতী 1875 সালে ‘আর্য সমাজ’ স্থাপন করেন । এই ‘আর্য সমাজ’ স্থাপনের পিছনেও একটা ষড়যন্ত্র আছে । কে এই দয়ানন্দ সরস্বতী ? যিনি গুজরাটি ব্রাহ্মণ। তিনি রাজকোট জেলার টংকারা নামক স্থান থেকে  বম্বে (মুম্বাই) আসেন । বোম্বেতে কেন ? কারণ  1873 সালে মহারাষ্ট্রে মহাত্মা জ্যোতিরাও ফুলে ‘সত্যশোধক’ সমাজ’-এর স্থাপণ করেন । ‘সত্যশোধক’ অর্থাৎ সত্য কলুষিত হয়েগিয়েছিল ব্রাহ্মণদের ষড়যন্ত্রে, তাই তাকে শোধন করা দরকার পড়ে । কিন্তু শয়তানের ষড়যন্ত্রের অভাব হয় না । তাই ।‘সত্যশোধক’ কে ENCOUNTER কারার জন্য এই ‘আর্য সমাজ’-এর স্থাপন ।
এখানে একটা জিনিস আমরা দেখতে পাচ্ছি যে কেউই হিন্দু সমাজ স্থাপন করেননি  । অর্থাৎ 1921 সালের পূর্ব পর্যন্ত ব্রাহ্মণ নামেরই সংগঠণ নির্মান হয়েছে । তারা হিন্দু নামের কোন সংগঠণের নির্মান করেনি । অর্থাৎ হিন্দু নামকে স্বীকার করেনি ।

ব্রাহ্মণরা নিজেদেরকে কখন ও কেন হিন্দু বলে মেনে নিল বা হিন্দু বলে প্রচার শুরু করল ?

ইংলন্ডে 1917-18সাল নাগাদ প্রাপ্ত বয়ষ্কের ভোটাধীকারের আন্দোলন শুরু হয় । কারণ ইংলন্ডেও সকল প্রাপ্ত বয়ষ্কদের  ভোটাধীকার ছিল না । ওখানে যারা Tax দিত এবং যারা লেখাপড়া শেখা লোক ছিল  তাদেরই ভোটাধীকার  ছিল ।আন্দোলন ইংলন্ডে শুরু হয় আর বিপদের ঘন্টা ভারতের ব্রাহ্মণরা শুনতে পায় । কেন? কারন ঐসময় ভারত ছিল ব্রিটিশদের অধীন। ভারেতর ব্রাহ্মণরা মনে করল যে, ইংলন্ডে যদি বয়ষ্কদের ভোটাধীকার চালু হয়ে যায়, তাহলে তো সেটা ভারতেও লাগু হবে । কারন ব্রিটেনে যে আইন পাশ হবে  ভারতেও  সেটা যেকোন সময় লাগু হতে পারে । আর ভারতে যদি  বয়ষ্কদের  ভোটাধীকার আইন লাগু হয় , তাহলে ভারতে যে শুদ্র (OBC) ও অতিশুদ্ররা (SC & ST) আছে এদের সংখ্যা অনেক গুন বেশী; আর ভোটাধীকার হিসাবে নির্বাচণ হলে যাদের সংখ্যা বেশী রাজ ক্ষমতা তাদেরই হবে । ব্রাহ্মণরা ব্রাহ্মণ হিসাবে ভোট চাইলে সব ব্রাহ্মণও যদি এক জনকে ভোট দেয়  সেটা 3.5% ই হবে । ফলে তারা কোন নির্বাচণ ক্ষেত্রেই জিততে পারবেনা । এর ফলে তাদের যে হাজারো বছর ধরে শাসন প্রনালী চলে আসছিল সেটার সমুহ বিপদ ঘনিয়ে আসবে । কিন্তু হিন্দু নামের সংগঠন হলে নেতা ব্রাহ্মণই হবে, আর সমস্ত SC,ST, OBC দেরকে নিজেদের CONTROL এ রাখতে পারবে। এই ভাবনা থেকে তারা 1922 সালে নাসিকে ‘হিন্দু মহাসভা’ এর স্থাপন করে । আর 1925 সালে R.S.S. অর্থাৎ রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ-এর স্থাপন করে । এই হিন্দু শব্দ হচ্ছে ব্রাহ্মণদের একটা রণ কৌশলের মাধ্যম । তাই তারা প্রচার করছে ‘গর্ব করে বল আমি হিন্দু' । 

ব্রাহ্মণরা সত্যি সত্যি কি নিজেদের হিন্দু বলে মনে করে ? 

এবার ভাবুন ব্রাহ্মণরা সত্যি সত্যি কি নিজেদের হিন্দু বলে মনে করে ? যদি করে তবে তারা ব্রাহ্মণ ছাড়া অন্য জাতির মেয়েকে বিবাহ করে না  কেন? ব্যতিক্রম ২/১ টা ধরার মধ্যে নয় । কিন্তু কখনও  তাদের মেয়েকে অন্য জাতের ছেলের সঙ্গে যখন বিবাহ দেয় , সেটাও রণকৌশল হিসাবে । কারন অন্য জাতের ছেলেটি যদি মেধাবী হয় তাহলে সে যাতে তার সমাজ নিয়ে না ভাবে ,তাকে তাদের গোলাম বানিয়ে রাখার জন্য তুলে নেয় । ব্রাহ্মণরা শুধু ‍SC,ST, OBC দের সামনে এসে বলে যে তারাও হিন্দু । কিন্তু লোক গননায়ও তারা নিজেদের ধর্ম ও যাত দু’টোই ব্রাহ্মনবলে লেখায় বেশীর ভাগ ।

ব্রাহ্মণদের অনুসারে ‘হিন্দু ’শব্দের ব্যাখ্যা কি?

 ব্রাহ্মণরা প্রচার করছে ‘গর্ব করে বল আমি হিন্দু ’। এই ভাবে বহুজনদের কাছে এসে শ্লোগান দেয় । কারণ এটা ওদের কথা । ওদের  আশঙ্কা শুরু হয়েছে যদি কেউ জানতে চায় যে, কিসের ভিত্তিতে গর্ব করা হবে ? ‘হিন্দু’ নাম তো আক্রমনকারী মুসলমানদের দেওয়া ?  তাই তারা প্রচার করছে ইতিহাসের পাতায় পাতায় যে, সিন্ধু থেকে হিন্দু হয়েছে । কিভাবে ? মুসলমানরা ফার্সি ভাষায় কথা বলত । ফারসিতে ‘স’ ‘হ’ –এর মত উচ্চারিত হয়  বা তারা ‘স’ কে ‘হ’ বলত, তাই সিন্ধু থেকে হিন্দু হয়েছে ।  কিন্তু এদের কথা তর্কের খাতিরে মেনে নিলেও ,সেটাতো মুসলমানদের দেওয়া নাম । তা নিয়ে হিন্দুদের  গর্ব করা কি করে সম্ভব ? কারণ হিন্দুত্ববাদীরাতো সব সময় মুসলমানদের বিরোধীতা করছে । 
যদি সিন্ধু থেকে হিন্দু হয়ে থাকে তবে সেটা শুধু সিন্ধু অববাহিকা অঞ্চলে বসবাসকারী লোকদের   ক্ষেত্রে হিন্দু শব্দ প্রযোজ্য হওয়া উচিত ছিল । সম্পূর্ণ ভারতবর্ষের লোকদের ক্ষেত্রে হিন্দু নামাঙ্কণ হওয়ার দরকার পড়ে না । সম্পূর্ণ ভারতবর্ষের লোকদের ক্ষেত্রে হিন্দু নামে চিহ্নিত হওয়ার কারণ,সারা ভারতে মুসলমান শাসন কায়েম ছিল । তাই হিন্দু শব্দের প্রসার সারা ভারতব্যাপী হয়েছিল । আর একটা কথা সিন্ধু থেকে হিন্দু হয়ে থাকলে শুধুমাত্র সিন্ধু অঞ্চলে এই নাম সীমাবদ্ধ থাকা উচিত ছিল ।এতে প্রমাণ হয় সিন্ধু থেকে হিন্দু হয়নি । আরও একটা কথা ‘স’ কে যদি ‘হ’ বলত তাহলে ‘স’ দিয়ে আরও যে সব শব্দ আছে সেগুলোরও পরিবর্তন হওয়া উচিত ছিল। কিন্তু সেটা তো হয়নি । যেমন মুসলমান উচ্চারণ "মুহলমান" হয়নি। পার্সি "পার্হি" শিয়া "হিয়া" সুন্নি "হুন্নি" বা সুলেমান "হুলেমান" হয়নি।
যদি সিন্ধু থেকে হিন্দু হয়ে থাকে তাহলে হিন্দুধর্ম অনুসারে‘গঙ্গা’নদীর পরিবর্তে সিন্ধু নদীকে পবিত্র হিসাবে মানা উচিত ছিল। কিন্তু সেটা মানা হয় না। অতএব সিন্ধু থেকে হিন্দু হয়েছে একথাটি মিথ্যা প্রমানিত হল। 

মুসলমানরা কি তলোয়ারের জোরে হিন্দুদের মুসলমান ধর্ম গ্রহন করতে বাধ্য করে ছিল ? যদি করে থাকে তখন ব্রাহ্মণরা কি করছিল ?

       ইতিহাস অনুসারে আমরা জানতে পারি যে, ৩য় শতাব্দীর পর বর্ণ- ব্যবস্থা জাতি ব্যবস্থায়  রূপান্তরিত হয়েছে । জাতি-ব্যবস্থার সঙ্গে ব্রাহ্মণরা অস্পৃশ্যতার সৃষ্টি ও প্রয়োগ করে । তাদের কট্টর বিরেধীদের তারা অস্পৃশ্য ঘোষণ করল । ৭ম শতাব্দীতে আমরা ইসলামের অনুগামী সুফি-সন্তদের কেরালা অঞ্চলের  আশে পাশে দেখতে পাই । এই সময় কেরালায় প্রথম মসজিদ স্থাপিত হয় । ইসলাম কেরালার মাধ্যমে সর্বপ্রথম ভারতে আসে । সুফি-সন্তদের মাধ্যমে ইসলামের প্রচার ভারতে শুরু হয়েছিল । পরবর্তীকালে ইসলামের অনুগামীরা রাজত্ব করার মানসে ভারতে আসতে থাকে । তারা এদেশের মানুষদের যুদ্ধে পরাজিত করে ।
ভারতের ব্রাহ্মণরা বলেছে যে, মুসলমানরা তরবারির শক্তিতে ভারতীয়দের ইসলাম ধর্মে পরিবর্তিত করেছে । এটা কতটা সঠিক ? না কি তারা নিজেদের অপদার্থতাকে লুকিয়ে রাখার জন্য এই চালাকি করছে ? আমরা এটা জেনেছি যে, ব্রাহ্মণ্য ধর্ম দেশের সাধারণ জনগনকে নীচ্ মনে করত, শিক্ষা,সম্পত্বি ও অস্ত্রের অধিকার হরণ করেছিল । উল্টা এদেশের মূলনিবাসীদের কে অস্পৃশ্য বলে ঘোষণা করেছিল । এবং পাশবিক অত্যাচার করত তাদের সঙ্গে । এই সব পাশবিক অত্যাচার থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য লোকেরা ধর্মান্তর করে ইসলাম ধর্মকে গ্রহন করেছিল । তর্কের খাতিরে যদি ধরে নেওয়া হয় যে মুসলমানরা তরবারির জোরে এদেশের জনগনকে ইসলাম ধর্মে  ধর্মান্তরিত করেছিল । প্রশ্ন হচ্ছে যে, তখন ব্রাহ্মণরা কি করছিল ? ব্রাহ্মণরা তাদের ধর্ম রক্ষা করার জন্য কোন সংগ্রাম বা আত্মত্যাগ বা আত্মবলিদান করেছিল কি? যদি করে থাকে তাহলে অন্তত: দু’চার জনতো সহিদ হয়ে থাকবে ? কিন্তু তার কোন নাম গন্ধ আজ পর্যন্ত কোথাও খুঁজে পাওয়া যায়নি। খুঁজে পাওয়া যাবে কি করে, থাকলে তবে তো ।যদিও গীতায় ব্রাহ্মণ লিখে রেখেছে-‘ধর্ম রক্ষোতি রক্ষম’ । অর্থাৎ তুমি ধর্মকে রক্ষা কর, ধর্ম ‍তোমাকে রক্ষা করবে ।সুতরাং জীবন দিয়ে ব্রাহ্মনদেরকে এই ধর্ম পরিবর্তন বন্ধ করা উচিৎ ছিল এবং তার জন্য আত্মবলি দেওয়া উচিৎ ছিল । কিন্তু ভারতের ইতিহাসে ধর্ম পরিবর্তন বন্ধ করার জন্য ব্রাহ্মণরা কোনপ্রকার আত্মত্যাগ করেছে এরকম কোন নিদর্শন পাওয়া যায় না । 
    আশ্চর্য জনক কথা হচ্ছে যে, যাদের উপর তরবারির জোরে ধর্ম পরিবর্তন করার আরোপ লাগানো হয়েছে ,তাদের প্রশাসন পরিচালনার দায়িত্ব ছিল ব্রাহ্মণদের হাতে ।ঔরঙ্গজেবের উপদেষ্টা ছিল শ্রীধর কুলকার্ণী নামক ব্রাহ্মণ । উল্টা ব্রাহ্মণরা ছত্রপতি শিবাজী মহারাজার বদনাম করে বলেছে ,তিনি ‘হিন্দবী’ অর্থাৎ হিন্দু স্বরাজ স্থাপন করেছিলেন । তিনি না থাকলে সকলের ছুন্নত করেদিত মুসলমানরা । কিন্তু ইতিহাস বলছে তিনি বিশেষ কোন ধর্মের জন্য পক্ষ্য পাতিত্ব কখও করেননি । কারণ তাঁর প্রশাসনে তার পরামর্শ দাতা ছিল কাজী হায়দর নামের একজন মুসলমান । বাংলায় নবাব হুসেন শাহ্-এর সময়ে  ধর্মান্তর ঘটেছে । কিন্তু তখন তার মন্ত্রী ছিলেন সুবুদ্ধি রায় নামের ব্রাহ্মণ । জানিনা তিনি কি সুবুদ্ধি দিতেন ! 
তবে একটা জিনিস খুব গুরুত্ব পূর্ণ হচ্ছে যে, অবিভক্ত ভারতের 99% মুসলমান CONVERTED FROM SC, ST AND OBC.
Collected from Prasanta Roy blogs.