সময়ের গীতি গাঁথা অরুণ বিশ্বাস
সময়ের গীতি গাঁথা
সূর্য জাগে পূর্ব ভালে আলো ঝলমল ।
মিষ্টি স্বরে কতো পাখি করে কোলাহল ।।
মৃদুমন্দ ভোরের বাতাস ঝিরি ঝিরি ।
বয়ে চলে মধুমতি গ্রাম গঞ্জ ছাড়ি ।।
গাছে গাছে নব পত্র করে নাচানাচি ।
ফোঁটে উদ্যানে কতনা রঙে পুষ্পরাজি ।।
বসন্তেরি কোকিল ডাকছে কুহুতানে ।
গুটি আম ঝরে পড়ে আম্র কাননে ।।
ছোট লিচু ভারে তার শাখা বেশ ভারি ।
ফল ধরে বেশ তাই চাষি মন ভরি ।।
বোরো ধান শ্যামল ক্ষেতে বাতাসে নাচে ।
ব্যস্ত কৃষানি বধু পরিচর্যা কাজে ।।
জল সেচে বুনছে এখন সোনালি পাট ।
বৃষ্টির সঙ্গে দেখা নাই মাটি ফেঁটে কাঠ ।।
তিল ক্ষেতে সবুজ চারা, কী কথা বলে ।
মধুকর আসবে উড়ে ফুল ফুঁটলে ।।
আম গাছে বাঁকা শাখে বেধেছে মৌচাক ।
মধু সংগ্রে ফুলে ফুলে ঘুরে খায় পাক ।।
চলে যেনো সব কিছু আগের মতন ।
আপন ঘরে নিজে বন্ধি শঙ্কা চেতন ।।
একাত্তরে যুদ্ধ হোলো বাংলাদেশ ভুমি ।
লুকিয়ে আছি অরন্যে রক্ষা করো স্বামী ।।
যুদ্ধ করে মুক্তিফৌজ প্রাণ বাজি ধরে ।
জীবনটা যাবে হরে কে জানতে পারে ।।
যুদ্ধ চলে অঘোষিত গোটা বিশ্ব জুড়ে ।
ভাইরাস করোনা মারণ অস্ত্র ধরে ।।
কোন দেশ করে দোষ না বলতে পারে ।
বাঁচে প্রাণ কোন পথে সে পথ উদ্ধারে ।।
ঝলমল শহর আজ মৃত নগরী ।
জরুরী যান ছাড়া বন্ধ সকল গাড়ি ।।
সবে সুস্থ্য থাকে চায় প্রতি সরকার ।
রাখতে ঘরে টহল চলে বার বার ।।
জনহীন পথ ঘাট কোলাহল বন্ধ ।
প্রতিকার নাহি যেনো সব চোখ অন্ধ।।
চলেনা নৌযান নদী তোলেনা তরঙ্গ ।
কবে জানি হবে সেই শঙ্কা ঘুম ভঙ্গ ।।
জন শূন্য পথে নেই খাদ্যের দোকান ।
ডাক ছাড়ে সারমেয় করুণ রোদন ।।
অলস জীবন কখনো লাগেনা ভালো ।
অবসাদে ভরা মন সবে করি আলো ।।
ঘরে বসে সবে মোরা হাতে ধরি কাজ ।
পারিনা যে কাজটি শিখি সবার মাঝ ।।
বেশি করে বই পড়ে পাঠ করি শেষ ।
খুললে স্কুলে পরীক্ষা ফল হবে বেশ ।।
মাতা পিতা ভগিনী ভাই আছে যাঁনরা ।
ছোটদের দেখাশুনা করিবেন তাঁরা ।।
খেলা ধুলা ঘরে বসে দেই হাতে তালি ।
ছড়া বলি গান করি বেলা যাবে চলি ।।
আসবে সুদিন তবে কেনো করি ডর ।
মিলিবে মিলন মেলা সকলে আমার ।।
তারিখ ১১।৪।২০২০
Comments