Monday, April 13, 2020

চীনের ল্যাবেই তৈরি করা হয়েছিল করোনা ভাইরাস, মিলল তার প্রমাণ!

চীনের ল্যাবেই তৈরি করা হয়েছিল করোনা ভাইরাস, মিলল তার প্রমাণ!
 চীনের উহান থেকে আসা করোনা ভাইরাস গোটা বিশ্বে মহামারির আকার ধারণ করেছে। করোনা ভাইরাসের থাবায় কার্যত স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে গোটা বিশ্ব। বিশ্বের উন্নতশীল দেশগুলোও হিমশিম খাচ্ছে করোনা ভাইরাসের সঙ্গে মোকাবিলায়। করোনার সংক্রমণ রুখতে বিভিন্ন দেশে লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীরা।
একদিকে যখন করোনা ভাইরাসের সঙ্গে মোকাবেলায় হিমশিম খাচ্ছে গোটা বিশ্ব সেই সময় করোনা ভাইরাস নিয়ে উঠে এসেছে নানান রকম বিতর্ক। নভেল করোনাভাইরাস কি সত্যিই প্রকৃতি থেকে সৃষ্টি হয়েছে, নাকি চীনের ল্যাবেই তৈরি করা হয়েছে এই ভাইরাস! এটা নিয়ে বিতর্ক শুরু থেকে লেগেই রয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল, ও ইরান প্রথমেই দাবি করেছে, করোনা কোন ভাইরাস নয়, এটা চীনে উহানের ল্যাবে তৈরি করা মারাত্মক একটি জৈব রাসায়নিক বোমা। যদিও এটাকে “ষড়যন্ত্র” বলে উড়িয়ে দিয়েছে চীন।
এবার চীনের বিরুদ্ধে হাতে আসলো নতুন প্রমাণ যাতে দেখা যাচ্ছে, চীনের ল্যাব থেকেই ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাস। এটাকে অস্বীকার করার কোন উপায় নেই। সাম্প্রতিক প্রকাশ্যে আসায় বেশ কিছু প্রমাণ এই ইঙ্গিত দেয় যে নোবেল করোনাভাইরাস কোনোভাবেই প্রকৃতি থেকে সৃষ্টি হয়নি চীনের উহান শহরের একটি ভাইরোলজি ল্যাবেই তৈরি করা হয়েছিল এই ভাইরাস।
ন্যাশনাল রিভিউয়ের সিনিয়র সংবাদদাতার লেখা একটি দীর্ঘ নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। ডকুমেন্টারি নির্মাণের জন্য তিনি চলচ্চিত্র নির্মাতা এবং ইউটিউবারের সঙ্গে দীর্ঘদিন চিনে থাকেন। বিশদভাবে তদন্তও করেন বিষয়টি নিয়ে। সম্প্রতি তিনি এই নিয়ে বেশ কিছু ভিডিও আপলোড করে ইউটিউবে। যেখানে এই ভাইরাসটির উৎস সম্পর্কে শনাক্ত করতে পেরেছেন বলে দাবি করেন তিনি। এই ভিডিওতে ভাইরাসটির উৎস সম্পর্কে প্রচুর তথ্য রয়েছে।
এছাড়াও উহান ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজি কর্তৃক গত বছরের শেষের দিকে কাকতালীয়ভাবে দুটি সন্দেহজনক চাকরির অফার পোস্ট করা হয়। সেখানে বিজ্ঞানীদের “করোনাভাইরাস ও বাদুড়ের মধ্যে সম্পর্ক” নিয়ে গবেষণা করতে অনুরোধ করা হয় এবং জব অফারটিতে লেখা ছিল, “বাঁদুরকে গবেষণামূলক বিষয় হিসেবে গ্রহণ করে আমি মলিকুলার মেকানিজম এর মাধ্যমে এমনসব প্রক্রিয়ার উত্তর দেব যা দীর্ঘকাল ধরে কোনো রোগের সংক্রমন ছাড়াই ইবোলা এবং সার্স সম্পর্কিত করোনা ভাইরাস এর সঙ্গে অবস্থান করতে পারবে এবং এটি বেশি দিন বেঁচে থাকবে।
গত ২৪ শে ডিসেম্বর এই ল্যাবটি আরও একটি কাজের উদ্বোধন করে। যেখানে চাইনিজ বলতে পারা টাই দাবি করেছেন, “আমরা একটি নতুন এবং ভয়ানক ভাইরাস আবিষ্কার করেছি এবং এর সাথে মোকাবিলার জন্য লোক নিয়োগ করতে চাই। 
এছাড়াও করোনাভাইরাস এর সম্ভাব্য উৎস হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছিল, ভাইরাসটি সম্ভবত এমন একটি প্রাণী থেকে এসেছিল যেটা বাঁদুরের মতো দেখতে। কিন্তু কার্লসন উল্লেখ করেন , চীনে উহানের ৯০০ কিলোমিটারের মধ্যে বাদুড়ের কোন কলোনি নেই। এছাড়াও চীনের যেই সামুদ্রিক বাজারে বাদুর বিক্রি হয়েছিল বলে দাবি করা হয়েছে সেটার কোনো সত্যতা এখনো পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। করোনাভাইরাস যে চীনের ল্যাবেই তৈরী করা হয়েছে তা নিয়ে একাধিক ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে।

No comments: