মালগাড়ীর তলায় 16 জন শ্রমিকের মৃত্যুর পরিপ্রেক্ষিতে নিম্নলিখিত প্রশ্নগুলির যথাযথ উত্তর চাই:-


1) হাইওয়ে না দিয়ে গিয়ে শ্রমিকরা রেল লাইনের ধার ধরে হাঁটছিলেন কেন ? আপনারা কোন জায়গা হেঁটে যেতে হলে পাকা সড়ক দিয়ে যান নাকি রেল লাইনের পাশ দিয়ে হাঁটেন ?

2) রেল লাইনের সাইড বরাবর 100 কিলোমিটার হাঁটলেন অথচ একটিও মালগাড়ী বা গুডস ট্রেন চলতে দেখেন নি এটা অবিশ্বাস্য। রেল লাইনের ধার দিয়ে হাঁটার সময় শ্রমিকরা নিশ্চয় একাধিক মালগাড়ী চলতে দেখেছেন। তার পরেও তাঁরা কি করে ধারণা করলেন রেল লাইনের উপরে ঘুমোনো নিরাপদ ?

3) রেল লাইনের উপরে পাথরের টুকরো ছড়ানো থাকে। কোন মানুষ ঘুমোলে রেল লাইনের পাশের জমিতে ঘুমোবেন। রেল লাইনের পাথরের টুকরোর উপরে কেউ ঘুমোবেন না। এক্ষেত্রে এতজন লোক কেন রেল লাইনের উপরে শুয়ে ঘুমোচ্ছিলেন ?

4) মালগাড়ী পাঁচ কিলোমিটার দূরে থাকলেও রেল লাইনে প্রবল কম্পন হয়। তাতে রেল লাইনে মাথা রাখা লোক অনেক আগেই বুঝতে পারবেন যে ঐ লাইনে কোন ট্রেন আসছে। এক্ষেত্রে এতজন লোক থাকা সত্ত্বেও কেউ কেন সজাগ ও সতর্ক হলেন না ?

যা ঘটেছে তা অত্যন্ত সন্দেহজনক এবং উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত প্রয়োজন। অনেকের সন্দেহ শ্রমিকদের আগেই খুন করে বা খাবারে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে অচেতন করে তাঁদের দেহ রেল লাইনে ফেলা হয়েছিল। এটা রাজনৈতিক চক্রান্ত হতে পারে। উদ্দেশ্য লক ডাউনের ফলে মানুষ মারা যাচ্ছেন এটা প্রমাণ করা এবং কেন্দ্রীয় সরকারকে বদনাম করা। সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করে লকডাউন তুলতে মরিয়া একটি বিশেষ গোষ্ঠী। তার জানে লকডাউন উঠে গেলে করোনা রোগ দেশে খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়বে। এটা করতে পারলে দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়বে এবং সরকার দিশাহারা হয়ে যাবে। কিন্তু এই চক্রান্ত কোন মতেই সফল হতে দেওয়া যাবে না। লক ডাউন কঠোরভাবে পালন করুন। করোনা থেকে বাঁচার এটাই আপাতত একমাত্র রাস্তা ।

Comments

Popular posts from this blog

কাঁদে নিদারাবাদ

জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়ার মতো শক্তিশালী একটি লেখা।

ভারতবর্ষে হিন্দু গণহত্যা-১১ Hindu massacre in India- 11