Tuesday, May 12, 2020

বিপন্ন রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ................. পর্ব 1



অামি মূর্খ বাংলাদেশী এক মদন হিন্দু।জ্ঞান অামার হাটুর নীচে বলতে পারেন। জানা শোনা?সে কচুপাতার উপর দু চার অক্ষরের বেশী নয়।তারপরেও চুলকানীর ব্যারাম ও অল্পবিদ্যের কামড়ানীতে লিখছি বাংলাদেশ থেকে পশ্চিমবঙ্গের বেশ কয়েকবার ঘুরে বেড়ানোর অভিজ্ঞতা থেকে লেখনি। সময় পেলে,মন চাইলে একটু পড়তে পারেন। ভাল লাগলে লাইক,কমেন্ট ও পোষ্টও করতে পারেন। তা দেখে গর্বে এ বেকুবের বুকটা ভরে যাবে।কথায় অাছে ছাগলের চরম সুখ কাঠাল পাতা চিবুনির মধ্যে।

পশ্চিম বাংলার রাজ্য ক্ষমতায় কে অাসছে ২০২১ সালে?মমতার তৃনমূল নাকি বি,জে,পি নাকি কংগ্রেস বা বামজোট?কংগ্রস,বামজোট অাপাতত ব্যাকফ্রন্টে। সামানে রয়েছে তৃনমূল ও বিজেপি। এ দুদলের কোন দল ক্ষমতায় অাসবে?এর উত্তরে অবশ্যই তৃনমূল।বিজেপি দ্বিতীয় অবস্থানে থাকবে।অামরা হিন্দুত্ববাদীরা যতই অাশা করছি বিজেপিকে রাজ্য ক্ষমতায় বাস্তবে তা বহুদুরে।পশ্চিম বাঙ্গলায় বিজেপির রাজ্য ক্ষমতা দখলের মত সাংগঠনিক শক্তি, রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্ব, প্রজ্ঞাবান নেতা নেই।মাঠ পর্যায়ে সকল জায়গায় জনগনের দোর গোড়ায় পৌছানোর মত নেতাকর্মীরও অভাব অাছে বিজেপিতে।বিজেপির সাংসদগন ও কিছু গ্রাম পন্চায়েত প্রধানগন জনগনের সফট কর্নার পেতে এখনও পারেনি।তাছাড়া রাজ্যে দীর্ঘ রাজনৈতিক কেরিয়ার করা নেতা,মমতার ধারে কাছেও কেউ নেই। রাজ্যের হাল ধরতে পারেন,মমতার থেকেও রাজ্যের উন্নতি করতে পারেন,জনগনের সুবিধা দিতে পারেন এমন অাস্থা বিজিপি পশ্চিম বাংলার সাধারন জনগনের মাঝে তৈরী করতে পারেনি এখনও।
তৃনমূল পর্যায়ে বিজেপি অবস্থান তৃনমূলের কাছে নিতান্তই দুর্বল বলে মনে করছি।যদিও লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি অর্ধেক সংখ্যক অাসন দখলে সক্ষম হয়েছিল কিন্তু NRC, CAA ইস্যু,বিজেপির বিরুদ্ধে অপপ্রচার বর্তমানে বিজেপির জনসমর্থনের কিছুটা কমতি তৈরী হয়েছে বলে ধারনা।বিজেপির মাঠ পর্যায়ে দলীয় কর্মকান্ড ও প্রচার প্রসার তৃনমূলের মত দলকে পশ্চিম বাংলায় টেক্কা দেবার জন্য যথেষ্ট নয়।তাছাড়া মমতার দীর্ঘ রাজনৈতিক প্রজ্ঞা,দীর্ঘ বছর ক্ষমতায় থাকার সুবাদে উন্নয়ন কর্মকান্ড,সংখ্যালঘু ৩০% ভোট ব্যাংক ও পশ্চিম বাংলার হিন্দুদের সেকুলার সংস্কৃতি ও মাঠ পর্যায়ের দলীয় সাংগঠনিক শক্তি ২০২১ সালে মমতাকে অাবারও রাজ্য ক্ষমতায় ফিরিয়ে অানবে বলে অামার শংকা।
মমতা ২০২১ সালে সেকুলার হিন্দুদের ২৫% ভোট অার মুসলিমদের ৩০% ভোট মোট ৬০% ভোট পেতে পারেন বলে ভাবছি।অার তা যদি হয়,তবে মমতা ব্যানার্জী একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়েই রাজ্য সরকার গঠনে সক্ষম হবেন।যদি তাই হয়,তবে পশ্চিম বাংলায় মুসলিম তোষনের মাত্রা বহুগুনে বৃদ্ধি পাবে সামনের দিনগুলোতে। যা ৩০% মুসলিম জনগোষ্ঠীকে অারও সংগঠিত করতে অারও শক্তিশালী করতে বিরাট সুযোগ তৈরী করে দেবে। এবং হিন্দুদেরকে রাজনৈতিক ভাবে,সামজিক ভাবে একপেষে করে ফেলতে কাজ করবে। পশ্চিম বাংলার রাজনীতিতে মুসলিম একটি বড় শক্তি হিসাবে দেখা দেবে। এবং হিন্দুদের উপর খবরদারি করা,হিন্দুদের মাথায় কাঠাল ভেঙ্গে খাওয়া এবং মুসলিম অধ্যসিত রাজ্য গড়ার সুযোগ মুসলিমেরা পেয়ে যাবে।রাজ্য মুসলিমদের প্রাধান্য এ ক্ষমতা বেড়ে যাবে।সকল প্রকার সুবিধা ও মূল্যায়ন পাবে মুসলিম জনগোষ্ঠী। যা পশ্চিম বাংলার হিন্দুদের অস্তিত্ব বিনাশকে ত্বরান্নিত করতে সহায়ক হবে। পশ্চিম বাংলা কাস্মীর হবার দিকে দ্রূতগতিতে এগিয়ে যাবে।মরবে বাঙ্গালী হিন্দু। যদি পশ্চিম বাঙ্গলার হিন্দুরা অাগামী নির্বাচনে বিচক্ষনতার পরিচয় না দেয় এবং বিজেপিকে সব বিচারের  বাইরে শুধু নিজেদের ভবিষ্যৎ বংশধরদের জাত,বংশ ও ধর্ম বাঁচাতে রাজ্য ক্ষমতায় না অানে,তবে হিন্দুদের কপালে কিয়ৎকাল পরেই মহা বিপদ ঘনিয়ে অাসবে বলে এ মূর্খের ধারনা। ওহে হিন্দু সেকুলারিজম ছেড়ে হিন্দুত্ববাদ গ্রহণ করো তাহলে সনাতনী জাতি ও ধর্ম রক্ষা করা যাবে...........

No comments: