Tuesday, April 26, 2022

নেচার'কে 'নাটুরে' (Nature) বলে উচ্চারণ করছে!

বাড়িতে পড়ানোর সময় অভিভাবক খেয়াল করলেন যে, তাঁদের ছেলে 'নেচার'কে 'নাটুরে' (Nature) বলে উচ্চারণ করছে!

কার কাছ থেকে উচ্চারণটি শিখেছে জানতে চাইলে ছেলে জানাল - স্কুলের ইংরেজি শিক্ষকের কাছ থেকে।

ইংরেজি শিক্ষকের কাছে গিয়ে অভিভাবক বিষয়টি জানতে চাইলেন।

তিনি দুঃখ ভারাক্রান্ত কণ্ঠে জানালেন, "চিন্তার কোনও কারণ নেই, ছাত্ররা একটু 'মাটুরে' (Mature) হলেই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।"

বিষম খেয়ে অভিভাবক প্রধান শিক্ষকের কাছে নালিশ করলেন - "কী ধরনের বিদ্যাপীঠ এটা, স্যার! ছাত্র বলে 'নাটুরে', শিক্ষক বলেন 'মাটুরে'!"

শুনে প্রধান শিক্ষক উদাস হয়ে বললেন, "সবাই শুধু বড় বড় কথা বলে। একজনও ভাল 'লেকটুরে' (Lecture) দিতে পারে না।"

ক্ষিপ্ত অভিভাবক এবার উত্তেজিত হয়ে দেখা করলেন স্কুলের গভর্নিং বডির সভাপতির সঙ্গে।

সভাপতি একটু হতাশ কণ্ঠে বললেন, "আমিও বুঝি। কিন্তু কী করবেন বলুন? এটাই যে এই অঞ্চলের 'কালটুরে' (Culture)।"

অভিভাবকের মাথা এবার বোঁ-বোঁ করে ঘুরতে শুরু করল। তিনি কোনওমতে লোকাল কাউন্সিলরের সঙ্গে দেখা করলেন।

তিনি সব কিছু শুনে প্রবল চিৎকার, চেঁচামেচি করতে করতে বললেন, "আমি জানতাম, আমি আগেই জানতাম, এই স্কুলটার কোনও 'ফুটুরে' (Future) নেই !"

অভিভাবক কাঁপতে কাঁপতে পড়ে গিয়ে মাথা ফাটিয়ে ফেললেন। জ্ঞান হারানোর ঠিক আগে শুনতে পেলেন, কে যেন বলছে, "এটা ফেসবুকে দেব... একটা ‘পিকটুরে’ (Picture) তুলে দে!"
🤦🏻‍♂️😝🤭😆🤣🤠

বর্ন প্রথা


🌺🌺🌺🌺 🙏🚩

 আচ্ছা মাগো বল দেখি
 চন্ডাল কারে কয় ।🤔
আমারা নাকি নিচু জাতি ,
ইতিহাসের পাতায় ।।🙇‍♀️

মানুষের মধ্যে উচু নীচু 
কেমন করে হয় ,।🤔
মানুষ শ্রেষ্ঠ ব্রাহ্মণ জাতি।
বলেন মহাশয়।।😏

মা হেসে কয় শোনরে খোকা 
চন্ডাল মোরা নয়।🧟‍♂️
নোংরা শাস্ত্র লিখেছে যারা 
চন্ডাল তারা হয়।।👆

আমরা কোনো কালেই
 ছিলাম না চন্ডাল। 🧟‍♂️
কিংবা কোনো পশু পাখি 
কুকুর শেয়াল ।।🐕

কুটিল যত শাস্ত্র লিখে 
বানিয়েছে নরকের দ্বার। 🧟‍♂️
বলেছে মোদের অস্পৃশ্য অসূচি 
কেড়েছিলো শিক্ষার অধিকার। ।✍

আমার মতে বলি শোন
নিচু জাতি কারা।🤨
বর্ন প্রথার সৃষ্টি করে
বিভেদ করেছে যারা ।।🤨

অসহায় মানুষ কে পশু বানিয়ে 
যারা বলি দেয় ।😥
বলতো তারা কেমন করে
মানুষ শ্রেষ্ঠ হয় ।।😥

অন্ধ বিশ্বাসে বোকা বানিয়ে 
যুগের পর যুগ। 😓
কত অত্যাচার আর লাঞ্ছনা দিয়ে
পেয়েছে তারা সুখ।।😤

ভক্ত বাঞ্ছা কল্পতরু 
হরিচাঁদ আমার ।🙏
দয়া করে পতিত জাতিকে 
করিলেন উদ্ধার। ।🙏🚩

গুন ও কর্ম বিচার করে
যদি হয় ব্রাহ্মণ। 👉
তবে আমার হরিচাঁদ 
পাবেন শ্রেষ্ঠাসন । 🙏🚩

Monday, April 25, 2022

গায়ত্রী কে? আর সন্ধ্যাদেবীও বা কে?


#গায়ত্রী_মন্ত্ররুপা
======================================

        গায়ত্রী কে? আর সন্ধ্যাদেবীও বা কে?
শাস্ত্র বলছে,
     'যা সন্ধ্যা সা তু গায়ত্রী দ্বিধাভূত্বা প্রতিষ্ঠিতা'

অর্থাৎ যে সন্ধ্যা সেই ই গায়ত্রীদেবী৷ গায়ত্রী বা সন্ধ্যা দেবীর মাহাত্ম্য অস্বীকারের জায়গা নেই৷ কি সৌরী, কি গাণপত্য, শৈব, বৈষ্ণব বা শাক্ত৷ সন্ধ্যাদেবী সকলের আরাধ্যা৷ ইষ্ট ব্যাতীতও সন্ধ্যার উপাসনা করতেই হবে৷
          কেন করতে হবে?
শাস্ত্রানুযায়ী এই সন্ধ্যা বা গায়ত্রী হলেন দেবগণের আদিমাতা৷ বেদেও গায়ত্রী আছেন৷ তাই তাঁকে বেদমাতাও বলা হয়৷ আবার তন্ত্রশাস্ত্রেও তিনি আছেন৷ গায়ত্রী সর্বত্র৷
       আমার কথাগুলি কিছুজনের কাছে কটু লাগতেই পারে৷ তথাপি এগুলি আমার কথা নয়৷ এ শাস্ত্রবাক্য৷ বেদবাক্য৷ তন্ত্রশাস্ত্র ও স্বীকৃত৷ তাই অস্বীকারের জায়গা নেই৷
     ব্রাহ্মণের ব্রাহ্মণত্ব ও দ্বিজের দ্বিজত্ব বা অভিষিক্তের পদমর্যাদা ধরে রাখতে সন্ধ্যার উপাসনা করতেই হবে৷ বিকল্প পথ নাই দ্বিতীয়৷
    এই যে আমরা দেখি হাটে ঘাটে মাঠে বাজারে আজকাল বহুজনই পূজা করেন৷ তা ভালো কথা৷ এবং জনসমাজে একটা ভ্রান্ত মত রয়েছে বা প্রবাদ রয়েছে৷ 'চেনা বামুনের পৈতে লাগেনা'৷
কথাটা কি আদৌ যুক্তিসঙ্গত? যারা এ কথা বলে তাদের কি পৈতে বা শাস্ত্রের শুদ্ধভাষায় যাকে যজ্ঞোপবীত বলা হয়, সেটির মাহাত্ম্য কি জানা আছে? এই পৈতেটা কি খালি একগাছা সাদা সুতো? এটা কি চাইলে যেকেউ গলিয়ে নিয়ে পুজো করতে পারে? এতোটাই সস্তা কি সব জিনিস????
  আসলে যে বা যারা বলে তারা কখনো জানতেই চায়নি এই একগাছা সাদা সুতোর জন্য সারাজীবন কি ত্যাগ করতে হয়৷ কতটা করতে হয়৷ যদি জানত তবে এই উক্তি খাটত না৷ যদিও কথাটি একটি প্রবাদবাক্য৷ তথাপি অবজ্ঞার সুরেই এটি অনেকে বলেন৷
    যাই হোক, উপনয়ন বলে একটি সংস্কার রয়েছে সনাতনধর্মে৷ বৈদিক আচারে ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য, বর্ণের উপনয়নের বিধান আছে৷ আবার তন্ত্রশাস্ত্র অনুযায়ী ব্রাহ্মণ আদি চতুর্বর্ণেরই তন্ত্রোক্ত সংস্কার নিয়ে উপনয়নের বিধান আছে৷ দুটি পদ্ধতি আলাদা হলেও আখেরে ঐ সাদা সুতোর জন্য নিয়মপালন একই৷ বর্তমানে বৈদিকাচারে ক্ষত্রিয় ও বৈশ্যের বিশেষ উপনয়ন পদ্ধতি কেউ পালন না করায় ব্রাহ্মণবর্ণের উপনয়ন সংস্কার লক্ষ্য করা যায়৷ একজন ব্রাহ্মণের ঔরসে ও ব্রাহ্মণীর গর্ভে জন্মগ্রহণ করলে সেই সন্তান ব্রাহ্মণবর্ণের হয়৷ এবং নির্দিষ্ট সময়ে তার উপনয়ন সংস্কার দিতে হয়৷
এবার বিষয়টি হল একজন ছেলে ব্রাহ্মণ হয়ে জন্মালেই কি সে যজন অর্থাৎ নিজের ঘরে পূজোপাঠ ও যাজন অর্থাৎ অন্যের ঘরে ঘরে গিয়ে পুজো করতে পারবে?
   একদমই নয়৷ ব্রাহ্মণ হয়ে জন্মগ্রহণ করলেও তাকে উপযুক্ত উপনয়ন সংস্কার নিতে হবে৷ যখন উপনয়ন হল তখন তাকে বলা হবে 'দ্বিজ'৷ অর্থাৎ দ্বিতীয়বার জন্ম হওয়া বা জাত হওয়া৷ দ্বিজ হলে তখন সে যজন ও যাজনের অধিকার পাবে৷
এবার এখানেও আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়৷ সে উপনয়ন পেলে বা দ্বিজ হয়ে গেলেই কি যজন যাজনের অধিকারী? নাহ৷ তারজন্যও সেখানে একটি গুরুত্বপূর্ণ কর্তব্য আছে৷ তা পালন না করলে পূজো করার অধিকারী হবেনা‌৷ সেটি হল নিত্যসন্ধ্যাবন্দনা৷ কোন উপনীত ব্রাহ্মণ বা একই ক্ষেত্রে অভিষিক্ত কোন সাধক যদি নিত্যসন্ধ্যাবন্দনা না করে তবে সে পতিত৷ বা শুদ্রের অধম৷ যিনি প্রাতঃকৃত্য করেন না, যিনি সন্ধ্যাহ্নিক করেন না তিনি শুদ্রের অধম৷ তাই তিনি ব্রাহ্মণ হলেও বা অভিষিক্ত সাধক হলেও তিনি কোন পূজাপাঠের অধিকারী হবেন না৷ সন্ধ্যাহীন ব্যক্তি কোন কার্য্যেই অধিকারী না৷ এই ত্রিসন্ধ্যার ওপর ব্রাহ্মণ্য অধিষ্ঠিত৷ অতএব বুঝলেন আশা করি যে ব্রাহ্মণ হয়ে কেবল জন্ম নিলেই হবেনা৷ যথাযোগ্য কর্মের দ্বারা তার ব্রাহ্মণ্য রক্ষাও করতে হবে৷
    যে ব্রাহ্মণ কোনদিন ভোরে উঠে প্রাতঃকৃত্যাদি সন্ধ্যাহ্নিক করেন না৷ তিনি অন্যের বাড়ি পূজা করলে বা নিজের বাড়ি করলে অভিচার স্বরুপ৷ তা কোন কাজেই লাগবেনা৷ বৈদিক উপনীত ব্রাহ্মণের কয়েকটি পর্ব্বদিনে ও শ্রাদ্ধদিনে সায়ংসন্ধ্যা নিষেধ হলেও তান্ত্রিক সন্ধ্যা কোনদিনই বন্ধ করা যায়না৷ সংস্কারের দিন থেকেই আজীবন আমৃত্যু সন্ধ্যা কর্তব্য৷ নচেৎ নিত্যকর্ম বা নৈমিত্তিক কর্মে কোন অধিকার হবেনা৷
     
হর হর মহাদেব শ্রীদুর্গা কালী কালী৷৷ 🌺🌺

Sunday, April 24, 2022

পৃথিবীতে যত ধর্ম মত ও পথ আছে, প্রত্যেক ধর্মের মধ্যে কিছু কিছু ভাল সাধু , বুদ্ধিমান ও পবিত্র ব্যক্তি আছে

জয় শ্রী হরি।

"নিম্ন বিষয় টি পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ"

পৃথিবীতে যত ধর্ম মত ও পথ আছে, প্রত্যেক ধর্মের মধ্যে কিছু কিছু ভাল সাধু , বুদ্ধিমান ও পবিত্র ব্যক্তি আছেণ, এবং তাদের ই শত কর্ম ও মানবিক চিন্তা ধারার জন্য নিজ নিজ ধর্ম গুলি আজ ও চলছে। যেমন শ্রী হরি চাঁদ ঠাকুর তার দ্বাদশ বাণীর  মধ্যে একটা বাণীতে বলেছেন " চরিত্র পবিত্র ব্যক্তির প্রতি জাতি ভেদ করিবে না " । ভারতে এর একটা জ্বলন্ত উদাহরণ, ডাক্তার আব্দুল কালাম জি, বিশাল ভারত ভূমির প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি, তিনি জাতিতে মুসলমান ছিলেন, কিন্তু তার পবিত্রতার, এবং সাধু কর্মের জন্য সমস্থ মানুষের কাছে বরণীয় ছিলেন আজ ও আছে। ঠিক তেমনি শ্রী গুরু চাঁদ ঠাকুরের সময় ছিলেন ডক্টর সি.এস. মিড , ডিক সাহেব, এবং পাঁচ কড়ি মিয়াঁ । তারা সকলেই বরণীয় এবং স্বরোনীয়।
ঠীক তেমনি একটা স্বরোনীয়  ঘটনা আমার  সঙ্গে ঘটে ছিল, যখন জীবনে প্রথমবার বাংলাদেশে  নিজের মানুষদের খুজে বের করবো এবং  মতুয়া তীর্থ রাজ ওড়াকান্দি দর্শন করবো সেই উদ্দেশ্যে গিয়েছিলাম।
ইং:২০১৮, এপ্রিল মাসের ৩০ তারিক দার্জিলিঙ এবং সিকিম পরিবার সহ ঘুরে এসে , কোলকাতায় বসে হঠাৎ সিদ্ধান্ত করলাম পরিবার কে কলকাতা রেখে আমরা ছেলেরা বাংলাদেশ যাবো। কারন প্রথমবার যাবো তাই পরিবার সঙ্গে নিয়ে কোথায় উঠবো, কারন 48 বৎসর পর জীবনে প্রথমবার বাংলাদেশে যাচ্ছি, আত্মীয় স্বজন কেউ কে চিনি না, বাবা মায়ের মুখে যে টুকু শুনেছে সেই জ্ঞান নিয়ে সাহস করে আমরা চারজন  আমি,  দুজন শিক্ষক  তারা হলেন শ্রী কৃষ্ণ প্রসাদ বিশ্বাস, শ্রী বিনয় কৃষ্ণ সরকার, মৃণাল চন্দ্র হালদার (ভাগ্নে) উক্ত তরিকে বোনগা পেট্রাপোল বোর্ডার দিয়ে যাত্রা করলাম।
মাজে একটু বলে যাই, আন্দামান দ্বীপ থেকে যাত্রা করার ৬ মাস আগে দুজন মুসলমান ভদ্রলোক আন্দামান সফরে এসেছিলেন এবং তারা আন্দামানের রাজধানি পোর্ট ব্লেয়ার স্থিত রিপিল রিসর্ট নামে এক হোটেলে  দুদিনের জন্য ছিলেন। সেই দু ভদ্রলোকের সঙ্গে আমার এবং ভাগ্নে মৃণালের সঙ্গে ঘন্টাখানীক আলাপ হয়ে ছিল, তখন তিনি কথা প্রসঙ্গে আমন্ত্রণ করলেন যে বাংলাদেশ আসলে ঢাকা স্থিত তার বাস ভবনে একবার যাওয়ার জন্য এবং একটা ভিসিটিং কার্ড ও আমাকে দিয়েছিল। কিন্তু সে সময় স্বপনেও ভাবি নাই যে বাংলাদেশ যাবো।
মজার ব্যপার হল যখন ভিসা করবো, ঐ ভিসা তে যার বাড়িতে যাবো সেই লোকের নাম এবং ঠিকানা সহ মোবাইল নম্বর দিতে হয়। কিন্তু আমাদের কাছে কেউর  সঠিক ঠিকানা জানা ছিল না, তখন আমি সেই ব্যক্তির দেওয়া ভিসিটিং কার্ড টা দিয়ে তার নাম দিয়ে ভিসা বের করি, তখন ঐ ভদ্র লোকের নাম টা পড়লাম,তার নাম হল ফির্দোজ আলি খান  ঠিকানা বিশ্ব কুড়ির রোড, ঢাকা।
মনের ভিতর একটা আসঙ্ক্ষ হচ্ছিল, যে নূতন আজানা যায়গা, তবু ও মন কে সংযত করে  বাবা মা ও শ্রী হরি গুরু চাঁদের নাম স্বরণ করে বাকি তিন জন কে নিয়ে পাড়ি দিলাম বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে । সর্বদা মনের ভিতরে দুটি গানের লাইন অন্তরে অন্তরে গেয়ে চলেছিল সে হল " শ্রী হরি চাঁদের রূপে নয়ন দিয়ে আজ ঘরের বাহির হয়েছি"  আর " শ্রীধাম ওড়াকন্ধি চল যাই,এমন দিন আর হবে না ভাই "। 
আর বেশী হৃদয় বিদীর্ণ হচ্ছিল যে আজ থেকে 48 বৎসর পূর্বে ছোট্ট একটা শিশু রাতের আধারে মা বাবা তাঁকে বুকে আক্রে ধরে ভারতে চলে এসেছিলেন । ধীরে ধীরে তাদের আচলে বড় হলাম, আজ ফেলে আসা সেই সোনার দেশে যাচ্ছি কিন্তু আজ তারা সঙ্গে নেই, তারা আমাদের রেখে সেই আজানার দেশে চলে গেছে, সেই শিশু আমি অধম, আজ আমি বাবা হয়েছি এবং আপন জনদের খুজে পাওয়ার উদ্দেশ্য যাত্রা করলাম বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে ।

লিখতে গেলে বড় হয়ে যায় কেউ পড়তে চায় না, তাই সংক্ষেপে বলছি।।আত্মীয় স্বজনদের খুব কষ্ট করে খুজে বের করলাম। যেখানে আমার জন্ম হয়েছিল সেই পিতৃ ভিটা জিকে বাড়ির (গোপাল গঞ্জ) মাটিতে স্নেহের দায়ে বহু সম্মানে বারেক ঠেকান মাথা,অস্রুসিক্ত নয়নে জন্ম ভিটার একটু মাটি সঙ্গগ্রহ করলাম , এবং মায়ের মুখে শুনেছিলাম যে ঘরের কোনায় একটা গাব গাছ ছিল , সত্যি দেখলাম সেই গাব গাছটি আজ দাড়িয়ে রয়েছে, চোখে জল আর রুক্ষতে পারলাম না, মা বলে তাঁকে একটা প্রণাম করলাম এবং তাঁকে স্বাক্ষী রেখে এলাম যে আমি এসেছিলাম সেই দুঃখীনি মায়ের বাড়িতে , যেখানে এই অধোম জন্ম গ্রহণ করে ছিল। ঘাটে মাঠে বাটে কয়েকদিন কাটিয়ে যাত্রা করলাম ঢাকার উদ্দেশ্যে সেই শ্রী ফির্দোস আলি খান দাদার বাড়িতে, শুনেছি মা বাবার মুখে স্বপনের ঢাকা শহরের কথা, তাই মন টা বড় চঞ্চল হয়ে উঠেছিল ঢাকা যাবো। ভিসিটিং কার্ডের ঠিকানা অনুসারে মোবাইল ফোন যোগে শ্রী ফির্দোস আলি দাদার সঙ্গে যোগযোগ করে  বললাম আমরা ঢাকা আসছি, শুরুতে উনি অবাক হলেন পরে খুব বিনয়ী ও উত্সাহের সঙ্গে আমাদের আমন্ত্রণ এবং অধির আগ্রহে প্রতীক্ষা করছিলেন। এবং তিনি  , কিভাবে কোথায় ঢাকা পৌছাতে হবে সমস্থ বিবারণ বলে দিলেন। তখন পবিত্র রাম যান মাস চলছিল। মনের ভিতর ভয় হচ্ছিল, কিন্তু কেউ কে প্রকাশ করিনি কারন বাকি তিন জন আমার উপর ভরসা করে আমার সাথে এসেছে। মুক্সুদ্পুর থেকে বাসে করে , উনি যে ভাবে বলেছেন, ঠিক  সেই ভাবে একটা স্টেশনে নামলাম, তখন বাজে বিকেল 4 টা , দেখি দুজন যুবক ছেলে একটা গাড়ী নিয়ে দাড়িয়ে আছে, নামতেই ওরা জিগস্সা করল, আপনি কি সুধীর বিশ্বাস ?।হ্যা বলতেই আমাদের বেদীং সব গড়িতে তুলে সকলে এক সঙ্গে ঐ গাড়িতে গেলাম। গাড়ী টা খুব আধুনিক এবং খুব সুন্দর, পরে শুনলাম বহুদামী গাড়ী (70 লখ্য টাকার গাড়ী) । ধীরে ধীরে বিশ্ব কুড়ির রোডের পাশে গাড়ি দাড়  করানোর সাথে সাথে আর চার জন লোক এসে আমাদের লিপ্টে করে একটা দশ মঞ্জিলা বিল্ডিং নিয়ে গেলেন, খুব ভয় হচ্ছিল , একে তো অচেনা ব্যক্তি, দেখি লীপটের সামনে আলি দাদা  দাড়িয়ে আমাদের কে স্বজত্নে ভিতরে নিয়ে গেলেন, তখন সন্ধ্যা 6 টা। বাকি দুজন খুব ভয়ে ভয়ে কথা বলছে , আমি ওদের সান্তণা দিয়ে বললাম ভয় নেই বাবা গুরু চাঁদ রয়েছেন । সঙ্গে সঙ্গে ফির্দোস দাদা, বয়স 55 yrs হবে, বললেন এসো আমরা একসঙ্গে ইফতার করবো। বিভিন্ন ধরনের ফল বড় বড় থালায় সাজিয়ে আমাদের দিলেন এবং নিজে ও খেলেন। তিনি রোজা রাখেন নি ,কারন ওনার সুগারের রোগ আছে বলল। সেখান থেকে পাশেই একটা তিন তারা হোটেল কাম রেস্টুরেন্ট এ আমাদের দুটি রূম দিলেন।।এবং রাত্রের খাবার আমরা ঐ হোটেলে করলাম। এক এক রাত একট একটা রুমের ভাড়া 10 হাজার  টাকা করে।  আমরা একটু চিন্তিত হলাম,কিন্তু আমি বললাম কোনো চিন্তা করো না,যা হবে দেখা যাবে, মন টা শক্ত করে আনন্দ করো। এই ভাবে অতি যন্ত ও ভক্তির সহিত তিন দিন সম্পূর্ণ ঢাকা শহর আমাদের দাদার নিজের দামিয় গাড়ী দিয়ে ঘুরালেন, যেমন ঢাকেশ্বরী মায়ের মন্দির, শহিদ বেদি, বঙ্গ বন্ধুকে যে ঘরে হত্যা করেছিল, এবং আর দার্শনিক পর্যটক স্থল, বড় বড় মল ইত্যাদি ইত্যাদি । তখন কেবল মাত্র পদ্ম সেতু নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছিল সেই সব বিশিষ্ট স্থানে আমাদের ঘুড়ালেণ।

আসার একদিন আগে শ্রী ফির্দোস আলি খান  দাদার সম্পর্কে জানলাম যে, উনি বাংলাদেশের কয়েক জন ধনি ব্যক্তির মধ্যে একজন, উনি হিন্দু মুসলিম সমস্থ মানুষের জন্য একজন উপকারী বন্ধু, উনি 12 জন গরিব হিন্দু ছেলেদের বিদেশে ডাক্তারি (MBBS)পড়ার জন্য নিজে তাদের ব্যঙ্কে সিকিউরিটির টাকা জমা  দিয়েছেন। বাংলাদেশে ফির্দোস দাদার " Standard ব্যাঙ্ক"  নামে  170 টি শাখা চলছে। মুসলিম ভাইদের জন্য ৮ কোটি টাকা দিয়ে একটা সুন্দর  মর্জিদ বানিয়ে দিয়েছেন। 20 টা দেশের মন্ত্রী ভিভাগদের কোট সেলাই করার টেন্ডার পেয়েছেন। তার ঢাকা শহরে দশ তলার বহু বিল্ডিং রয়েছে, সেখানে ফিল্ম আর্টিস্ট, ক্রিকেট খেলোয়ারা ভাড়া থাকেন।
এত বড় ধনি ব্যক্তি কিন্তু তার সাজ পোশাক কথা বার্তা অতি সাধারন মানুষের মত। কোন গরিমা নেই, অনেক মুসলমান ভাইয়েরা আমাকে জিগস্সা করেছিলেন যে  , উনি আপনাদের কি হন ?  আমি বললাম আমার দাদা, কিন্তু তারা বলে আপনি ত হিন্দু ?
সত্যি উনি একজন সাধু ব্যক্তি, যানি না আমার মধ্যে উনি কি খুজে পেয়েছেন,  হয়ত এটা ও শ্রী গুরু চাঁদের ইচ্ছা।
একদিন রাত্রে  আমি শ্রী ফির্দোস  আলী দাদা কে ধীরে ধীরে  আমাদের মতুয়া দর্শন সম্মন্ধে বললাম  । শ্রী তিন কড়ি মিয়াঁর কথা, শ্রী সি.এস.মিড সাহেবের কথা অতি ভক্তির সঙ্গে বললাম। উনি খুব মন যোগ দিয়ে শুনলেন। অবশেসে আমি ওনাকে বললাম " দাদা আপনি আমার বাবা হরি চাঁদের লীলা ভূমি ,শ্রী ওড়াকান্দি ধামে এসে এমন কিছু একটা সুন্দর কাজ করে দেবেন যা চিরদিন আমরা তিন কড়ি মিয়াঁর মত আপনাকে মনে করবো।"  শ্রী ফির্দোস আলী  দাদা আমার মুখের দিকে তাকিয়ে কিছুক্ষণ পরে বললেন, "ভাই সুধীর তুমি যখন বলছ  তুমি আবার যখন বাংলাদেশ আসবে আমি অবশ্য তোমার সাথে শ্রীধাম ওড়াকান্দি যাবো "।  আমি শুনে খুব ভাবুক হলাম এবং দু নয়নে জল ছল ছল করছিল।
আমরা ঢাকায় যাওয়ার একদিন আগে  শ্রী ওড়াকান্দি ধামে গিয়েছিলাম।  তাই বড় আশা করে আছি, এবার বাংলাদেশ গেলে শ্রী ফির্দোস আলি দাদা কে নিয়ে শ্রীধাম ওড়াকন্ধি যাব।
তিনদিন ঢাকা শহরে ছিলাম, আশার আগের দিন রাত্রে ফির্দোস দাদা এবং তার পরিবার সকলে এসে আমাদের চার জন কে নূতন বস্ত্র দিলেন। এবং অস্রুসিক্ত নয়নে একে অপরে আলিঙ্গন করলাম।  পরদিন সকালে আমরা হোটেলের থাকা ও খাবারের পয়সা/ বিল দিতে গেলাম, হোটেল মালিক বললেন আপনাদের বিল স্বং ফির্দোস দাদা দিয়ে গেছেন, আমি বললাম সেটা কেন হবে, কিন্তু ফির্দোস দাদা কোন কথা শুনলেন না,  তিনি তিনদিনে 50 হাজার টাকা বিল হয়েছিল সেটা নিজে আমাদের অজান্তে দিয়ে দিয়েছিলেন। এবং যশোরে আসার জন্য চার টি অতি আধুনিক বাসের টিকিট আমার হাতে খুজে দিয়ে নিজের সেই গাড়িতে  করে, আমাদের বাসে উঠিয়ে দিলেন। আসার সময় উনি কেদে দিলেন এবং সেই সঙ্গে আমি ও খুব ভাবুক হয়ে গিয়েছিলাম।
বাসে আসার সময় মনটা উদাস হয়ে বার বার প্রশ্ন জাগছিল , এটা কি হল, কেন হল, কে করাল, বাবা হরি চাঁদ সে নিজে তার ভক্তদের এই ভাবে সম্মান দিল, বাসে বসে একা একা খুব কান্না করলাম এবং সেই সাথে  বার বার মায়ের কথা মনে পড়ছিল আর নয়নে অশ্রু জল ঝড়ে ঝড়ে পড়ছিল।
এই হল আমার জীবনে একটা বড় পাওয়া। আর সেই দিনের অপেখা করছি , কবে শ্রী ফির্দোস দাদা কে নিয়ে শ্রীধাম ওড়াকান্দি  যাবো।  কিছু ছবি নিম্নে দিলাম।

একটু ধর্জ্য ধরে পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

জয় শ্রী হরি।

সুধীর, আন্দামাণ দ্বীপ
23/4/2022

Tuesday, December 1, 2020

মোবাইল চার্জের সাথে এক্সের তুলনা

কারেন্ট নেই জেনেও ফোন চার্জে দেওয়াকে বলে "সরলতা"

কারেন্ট আসার পর ফোনে চার্জ হচ্ছে মনে করা হলো "বিশ্বাস"

তিন ঘণ্টা পর এসে দেখলাম ভুলে সুইচ দেইনি এইটা হলো "বোকামি"

যা হয়েছে বাদ দিয়ে আবার সুইচ দেওয়াকে বলে "ক্ষমা"

সুইচ দেওয়ার সাথে আবার কারেন্ট যাওয়া কে বলে "মন ভাঙ্গা"

কারেন্ট আবার আসতে দেরি হবে ভেবে ফোন সাথে নিয়ে বাহিরে যাওয়া হলো "কনফিডেন্ট"

তিন ঘণ্টা পর বাড়িতে  এসে শুনলেন বেরিয়ে যাওয়ার পরপরই কারেন্ট এসেছে , এইটা হলো "কাটা ঘায়ে নুনের ছিটা"😹😹😹

আবার তড়িঘড়ি করে চার্জে লাগানোর সাথে কারেন্ট যাওয়াকে বলে "ছ্যাকা"

কারেন্ট আসতে পারে ভেবে তিনঘন্টা বাড়িতে  বসে থাকা হলো "অপেক্ষা"

তিনঘন্টা অপেক্ষা করে নিজের উপর বিরক্ত হয়ে মন খারাপ করাকে বলে "ডিপ্রেশন"

মোড়ে কারেন্ট আছে, ওখানে চার্জ দেওয়া যাবে ভেবে বাড়ির থেকে বেরিয়ে যাওয়া হলো "বিকল্প ব্যবস্থা"

মোড়ে যাওয়ার অর্ধেক রাস্তায় গিয়ে বুঝলেন কারেন্ট এসেছে , একে বলে "প্রাক্তন ফিরে আসা"

বাড়িতে যাবেন কিনা মোড়ে যাবেন এইটা চিন্তা করা হলো "কনফিউস

বাড়ির কাছাকাছি আসতেই আবার কারেন্ট যাওয়াকে বলে "প্রাক্তনকে বিশ্বাস করে বাঁশ খাওয়া"

এরপর মোড়ে যাওয়ার পর কারেন্ট আসা দেখেও বাড়িতে না আসা হলো "প্রাক্তনকে বিশ্বাস না করা"

রাত বারোটা পর্যন্ত মোড়ে বসে থেকে বাড়িতে এসে যখন শুনলেন আর কারেন্ট যায় নি, এটাই "এক্সকে বিশ্বাস না করে ভুল করা"

এত কিছুর পর করেন্টকে মনে মনে গালি দেওয়া হলো "এক্সের পরিণতি"
😂😂😂😂

Wednesday, November 25, 2020

বিশ্বের_সবচেয়ে_বড়_ও_অদ্ভূত_রান্নাঘরঃ-


জগন্নাথ পুরী মন্দিরের রান্নাঘরকে বলা হয় পৃথিবীর অদ্ভুত ও বড় রান্নাঘর । কেন এই রান্নাঘর অদ্ভুত তা আপনাদের কাছে সংক্ষিপ্তভাবে তুলে ধরছি ।
পুরীতে আমরা কম বেশী সবাই যাই তাই তার রান্নাঘরের লীলা আমরা কম বেশি সবাই জানি । এখানে আরও বিশদে আলোচনা করা হলো।
-----------------------------------------------------------------------------------
১. এই রান্নাঘরে বিবিধ দ্রব্য রান্না করার জন্য কোন বিদ্যুৎ বা যন্ত্র ব্যবহার করা হয় না । উন্মুক্ত কাঠের আগুনের উপর অনেকগুলো তেলের ল্যাম্প বা বাতি ঝুলিয়ে রাখা হয় আর তার নিচেই সেবকরা এসেই রান্না কার্য সম্পন্ন করে ।
.
২. এ রান্নাঘরে এত দ্রুত রান্না করা হয় যে শুধুমাত্র একদিনের প্রস্তুতিতে একসাথে প্রায় দশ হাজার লোক বসে প্রসাদ পায় । আর এমনিতে পাঁচ হাজারের উপর দর্শনার্থী প্রসাদ পেয়ে থাকে ।
.
৩. এই রান্নাঘরটি ৯টি ভাগে বিভক্ত । যাদের দুটি ভাগ ২৫০০ বর্গফুট করে এবং বাকি ৭টি ভাগ এ দুটির চেয়ে একটু ছোট হবে । এ রান্নাঘরে রয়েছে ৭৫২টি মাটির তৈরি চুলা যার প্রত্যেকটি দৈর্ঘ্যে তিন বর্গফুট করে এবং উচ্চতায় প্রায় ৪ ফুটেরও বেশি ।
.
৪. চুলাগুলোতে একটির উপর একটি পাত্র বসানো হয় এভাবে প্রায় নয়টি পাত্র থাকে । শুধুমাত্র এ পাত্রগুলোর নিচে অবস্থিত আগুনের মাধ্যমেই উপরের পাত্র থেকে শুরু করে শেষে নিচের পাত্রটির রান্না অদ্ভুদ ভাবে সম্পন্ন হয় । এই রান্নাঘরের সার্বিক তত্ত্বাবধানে নিয়োজিত রয়েছে এক হাজার সেবক । তার মধ্যে ৫০০ সেবক রয়েছে কেবলমাত্র চুলাতে রান্না করার জন্য সহায়ককারী হিসেবে ।
.
৫. এখানে কোন পুরাতন পাত্রে রান্না করা হয় না, প্রতিদিন নতুন নতুন পাত্রে রান্না করা হয়, তাই একদল খালি মাটি দিয়ে পাত্র বানায়, আরেক দল তা সরবরাহ করে রান্নাঘরে নিয়ে যায় । আরেকদল পাত্রগুলো ধৌত করে, আরেকদল পাত্রে জলভর্তি করে চুলাতে নিয়ে যায় |
.
৬. রান্না করার জন্য এখানে গঙ্গা আর সরস্বতী নদী (এটা একটা রূপক, পাথর বাঁধানো জলের দুটি নালী, যা সারা দিন নদীর ন্যায় ক্রমাগত জল পরিবহন করে) রান্নাঘরের ভিতর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে যা বাহির থেকে দেখা যায় না যা সত্যিই অদ্ভুত !!!!
.
৭. কেউ কেউ সব্জি ধৌত করছে আর কেউ কেউ সব্জি কাটছে আর কেউ মসলা তৈরি করছে । রান্নাঘরে যে সেবকরা থাকে তাদের বয়স যখন ১২ বছর হয় তখন থেকে তারা ট্রেনিং এ নেমে পড়ে এভাবে তারা বংশানুক্রমে প্রাপ্ত নির্দিষ্ট সেবা সারাজীবন ধরে অর্থাৎ মৃত্যুর আগ পর্যন্ত করে থাকে ।
.
৮. এই রান্নাঘরে ১০০টির উপর আইটেম রান্না করা হয় যা দুটি ভাগে বিভক্ত । এ দুটি ভাগকে পাক্কা এবং সুক্কা নামে ডাকা হয় । পাক্কা বলা হয় সে খাবারগুলো যেগুলো সিদ্ধ করা যেমন ডাল, চাল, খিচুরী এবং সমস্ত রকমের সবজি । অপরদিকে সুক্কা বলা হয় বিস্কিট, মিষ্টান্ন আর বিভিন্ন ধরনের পিঠা ।
.
৯. জগন্নাথের জন্য যেসমস্ত ফল ও সবজি ব্যবহার করা হয় সেগুলো দু হাজার বছর ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে । শুধুমাত্র স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত সবজি ও ফলই জগন্নাথের জন্য ব্যবহৃত হয় । অন্য কোন অঞ্চল থেকে উৎপাদিত দ্রব্য জগন্নাথের জন্য ব্যবহার করা হয় না ।
.
জগন্নাথ দেব আর লক্ষ্মী দেবীর কৃপায় ধন্য এই রান্না ঘর । তাইতো পুরীর এ রান্নাঘরকে অদ্ভুত রান্নাঘর বলেই অভিহিত করা হয় ।

*** জয় জগন্নাথ ***

Sunday, November 1, 2020

পশ্চিমবাংলার তৃতীয় শ্রেনীর ছাত্রছাত্রীদের নাস্তিক হিন্দুরা দেখেন কি শিখাচ্ছে( নিম্নের ছবিতে প্রদর্শিত হল) । এদের থেকে সনাতন ধর্ম কিভাবে রক্ষা পাবে? মানুষ কেন বিধর্মী বা নাস্তিক হবে না।মেয়েরা কেন লাভ জিহাদের স্বীকার হবে না???

 পশ্চিমবাংলার তৃতীয় শ্রেনীর ছাত্রছাত্রীদের নাস্তিক হিন্দুরা দেখেন কি শিখাচ্ছে( নিম্নের ছবিতে প্রদর্শিত হল) । এদের থেকে সনাতন ধর্ম  কিভাবে রক্ষা পাবে? মানুষ কেন বিধর্মী বা নাস্তিক হবে না।মেয়েরা কেন লাভ জিহাদের স্বীকার হবে না???  আজ এভাবে সমস্ত নাস্তিকের অপ শিক্ষা পদ্ধতির জন্য সনাতন ধর্ম ধ্বংসের মুখে।

উত্তরঃ

🚩সনাতন ধর্ম মানুষের তৈরি কোন বিশ্বাস নয়।এটি একটি বিজ্ঞান।যার আলোচনা আপনাকে এ ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল করবে।প্রকৃত ধর্ম মনুষ্য সৃষ্ট হতে পারে না।শ্রীমদ্ভাগবতে বলা হচ্ছে -
"ধর্ম তু সাক্ষাৎ ভগবৎ প্রনীতং"

অনুবাদঃধর্ম ভগবানের প্রনীত বিধান।

যেমন একটি দেশ সংবিধান অনুসারে চলে,ঠিক তেমনই ভগবানের দ্বারাই ধর্ম ও শাস্ত্র প্রদত্ত হয়েছে।

🚩সনাতন ধর্ম মানে একটি বিশ্বাস নয়।এটি একটি ব্যবহারিক বিষয়।যার অনুশীলনে প্রত্যক্ষ জ্ঞান আপনি পেতে পারেন।

🚩যেমন  কুরুক্ষেত্রের রনাঙ্গনে ভগবান কৃষ্ণ অর্জুনকে গীতার জ্ঞান প্রদান করেন, তা এখনো বর্তমান।

🚩আমাদের সনাতন ধর্ম বেদ,গীতা, উপনিষদের উপর দন্ডায়মান।

🔷তাহলে এখানে মনুষ্যসৃষ্ট কি হতে পারে??????

🚩 এসমস্ত নাস্তিক মানুষগুলো    হিন্দুদের কেন তীরবিদ্ধ করে???? কারন ওরা জানে হিন্দুরা ধর্ম সম্পর্কে অনভিজ্ঞ।তারা তো মুসলমান নয়, যে ধর্মকে অবমাননা করলে আমাদের গলা কাটতে আসবে ,রক কাটতে আসবে ।

🚩 হে  তথাকথিত পন্ডিত নাস্তিক,আপনি সনাতন ধর্মকে নয়,মুসলিম,খ্রীষ্টান ধর্মকে নিয়ে  এ মন্তব্য করুন,তাদের মোল্লা,ফাদার নিয়ে করেন,একচেটিয়া একটা ধর্মকে নয়।দেখেন বাপ দাদা চোদ্ধ গুষ্টিকে ঐ মোল্লারা 
শশ্মানে পাটিয়ে দিবে।অথবা দিন দুপরে আপনার আত্মীয়ের গলা কেটে দিবে।এ নাস্তিকতা শুধু ভারতে খাটবে।

🏆 এখনো সারা পৃথিবীর মানুষ ভারতকে তীর্থ ভুমি হিসেবে জানে,কেননা এখানে জন্ম নিয়েছেন,ভগবান শ্রীকৃষ্ণের বিভিন্ন অবতার।

⭐⭐ রামচন্দ্র আবির্ভাব স্থান অযোধ্যা, শ্রীকৃষ্ণের আবির্ভাব স্থান মথুরা এখনো বর্তমান।এছাড়া আরো অনেক তীর্থ ( দ্বারকা,বৃন্দাবন,নৈমিষারণ্য অহবিলা ইত্যাদি)

🚩গলা যদি মাথায় না রাখতে চান,তাহলে দয়া করে এসমস্ত বিষয়   ইসলাম ধর্ম বা অন্য ধর্মকে নিয়ে লিখেন।দেখেন আপনার মাথা দেহে আছে কিনা???  

🚩পরিশেষে সনাতন ধর্ম কখনও জল্পনা কল্পনার বিষয় নয়। এটি একটি   চিরন্তন সত্য ও ব্যবহারিক বিষয়।যার সত্য ও অভ্রান্ততা এ জগতে আমরা দেখতে পাই।তাই সনাতন ধর্ম একটি বিজ্ঞান।জীবের শ্বাশত সনাতন ধর্ম নিয়ে নাস্তিক বিজ্ঞানীদের জল্পনা-কল্পনার অবকাশ এ জগতে নেই।

          
               🚩 জয় শ্রীকৃষ্ণ, জয় শ্রীরাম  🚩