Saturday, April 25, 2020

তিতুমীরের_আসল_সত্য



তিতুমীরের_আসল_সত্য
ছোটোবেলায় খুব সম্ভবত ক্লাস ৪ কি ৫ এ একটা গল্প পড়তে হত বাঁশের কেল্লা নামে! স্বাভাবিক। তখন বামফ্রন্টের আমল! বাম না বলে বামাতি বলাই ভালো। প্রত্যেক শাসকগোষ্ঠীই চায় শিশুদের মস্তিষ্কে তাদের আইডিওলোজি ঢুকিয়ে দিতে। ওরাও তার ব্যতিক্রম ছিলো না। যে কারণে তীতুমীর কে রীতিমতো স্বাধীনতা সংগ্রামী বানিয়ে হিরো ওয়ারশিপের ব্যবস্থা করা হয়েছিল আরকি! 

তো সেইসময় গল্পটা পড়তে গিয়ে একটা খচখচানি হত। এত বড় বীর ‚ এত বড় যোদ্ধা ! কিন্তু ছাগলের মতো বাঁশের কেল্লা বানিয়ে কামানের বিরুদ্ধে লড়তে গেলো কেন?  যদিও বড় হয়ে এর উত্তর ভালোভাবে পেয়ে গেছিলাম- মক্কা থেকে ফেরার পর তীতুমীরের ফাজলামি দেখে আম পাবলিক ওকে  যে পরিমাণ বাঁশ দিয়েছিল তাতে সেগুলো দিয়ে আস্ত একটা  বাঁশের কেল্লা খাড়া করে দেবে এতে আর আশ্চর্যের কি আছে? 

যাকগে আসল কথায় আসি। তীতুমীর সম্পর্কে একটা লেখা পড়লাম ১৮৭০ সালে প্রকাশিত “The Calcutta review, Volume 51” গ্রন্থের “The Wahhabis In India” তে। সেখানে তীতুমীর সম্পর্কে যা যা বলা আছে একটু শর্টে পয়েন্ট করে দিই বরং! যদি আপনাদের জানা কিছু মিথ ভাঙ্গে এটা পড়ে। 

১- তীতুমীর প্রথম জীবনে কিছুদিন জমিদারের লাঠিয়ালের কাজ করত। সেখানে জমিদারের হয়ে বড়সর গোলমাল পাকিয়ে কিছুদিন জেলও খেটেছিল ! খুব সম্ভবত তীতুমীরের ভ্যানগার্ড ইমেজটা রক্ষার জন্য এই অংশটা সযত্নে এড়িয়ে যাওয়া হয়।

২ - তীতুমীর কখনোই গরীব কৃষক সন্তান ছিলোনা!  তাদের ছিলো বনেদী বংশ! বিবাহসূত্রে মুনশী আমির নামে এক ধনকুবেরের সাথে তার আত্মীয়তা হয়। অর্থাৎ দরিদ্র সে কখনোই ছিলো না। এই টাও নিশ্চয়ই আপনারা জানেন না?  কারণ পূর্বোল্লিখিত। 

৩ - তীতুমীর কোনো কৃষক বিদ্রোহ ঘটায়নি। সে ঘটিয়েছিলো ধর্মীয় আন্দোলন । সে তার অনুগামীদের দাড়ি রাখতে ‚ স্থানীয় কাফের দের সাথে না মিশতে নির্দেশ দিতো। 

৪ - তাই বলে তীতুমীর কে আবার মুসলিম দের মুখ বলে ভাবলেও ভুল হবে। তীতুমীরের বাড়াবাড়িতে স্থানীয় দরিদ্র মুসলিম কৃষক ‚ যারা হানাফি নামে পরিচিত ছিলো ‚তারা জমিদারের কাছে নালিশ করে। 
তারপরই জমিদার তীতুর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়। 
অর্থাৎ সেই তথাকথিত কৃষক বিদ্রোহের ঘ্যানঘ্যানি ন্যারেটিভও জাস্ট বোগাস। 

৫ - যেহেতু তীতুমীরের অনুগামীদের দাড়ি রাখা বাধ্যতামূলক ছিলো ‚ সেইজন্য জমিদার কিষেন রায় (খুব সম্ভবত কৃষ্ণ রায় ‚ ইংলিশ উচ্চারণে বিকৃত হয়ে গেছে ) প্রজাদের  দাড়ির উপর উচ্চহারে ট্যাক্স বসায়। যাতে টাকা দেওয়ার ভয়ে কেউ তীতুমীরের দলে ভীড় না করে। 

অর্থাৎ গড়ে যে বলা হয় জমিদার মুসলিম দের দাড়ির উপর ট্যাক্স বসিয়েছিলো ‚ মানে সেই মুসলিম দের উপর হিন্দু দের সাম্প্রদায়িক অত্যাচারের যে ছবি সর্বত্র দেখানো হয় সেটাও একটা  মিথ্যে প্রোপাগান্ডা মাত্র।

৬ - এখানে একটা টুইস্ট। সরফরাজপুর বলে এক অঞ্চলে কিষেন রায়ের লোক ট্যাক্স আদায় করতে গেলে ব্যাপক দাঙ্গা হাঙ্গামা বাঁধে তিতুমীর এর অনুগামী দের সাথে। একটি মসজিদ ভাংচুরও করা হয়। যাকে পুঁজি করে  তীতুমীরের দলবল গ্রামে গ্রামে ইসলাম বিপন্ন টাইপ হাউকাউ করে বেড়াতে শুরু করে। 

যদিও পরে কোর্ট রায় বেরোয় যে তীতুমীরের দলবলই গ্রাম জ্বালিয়ে ‚ মসজিদ ভেঙ্গে পাবলিক খেপানোর তাল করেছিলো। 

৭- যে দারোগা এই ঘটনার তদন্তের দায়িত্বে ছিলো মাসকয়েক পর সে ওয়াহাবী দের হাতে ধরা খায়!  
তীতুমীরের অনুগামীরা তাকে ধরে খুচিয়ে মারে তদন্তের ফল তার পক্ষে না দেওয়ার অপরাধে।

৮- ৬ই নভেম্বরের দিকে শপাঁচেক তীতু-অনুগামী  লাঠিসোটা নিয়ে পূর্ণিয়া গ্রামে  আক্রমনে চালায়।  একটি ব্রাহ্মনকে পিটিয়ে মারা হয় , দুইটি গরু ছিনিয়ে নিয়ে হিন্দুদের মন্দিরে জবাই করে গরুর রক্তে মন্দির ভাসিয়ে দেয়া হল। দেবতার মূর্তির গায়ে গরুর মাংস ঝুলিয়ে রাখা হয় । দোকানপাটে পাইকারি লুটপাট চলে , স্মিথ নামে একটি নিরীহ খ্রিস্টানকে অকারনে থাবড়ানো হয় আর  হানাফি মুসলমানদের অপমান করা হয়!

..#এখানে শেষ পয়েন্ট টা কিন্তু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ!  বিশেষত বাংলাদেশী জামাতি বা পশ্চিমবঙ্গে তাদের শাখাগুলো তীতুমীরকে মুসলিম দের মসীহা বলে দেখাতে চায় ! কিন্তু মজা হল তীতুমীরের নিজের আর মিশকিন শাহ বলে এক ফকিরের অনুগামী যোগ করে মোটামুটি হাজার জন মত লোক ছিলো তার পক্ষে। বাকি সব মুসলিম গ্রামবাসীই কিন্তু ছিলো তার বিপক্ষে!

৯- পরের দিন ভোরে তারা নদেয়ার লাউঘাট গ্রামে ঢোকে। সেখানেও তারা আগেরদিনের মতো মন্দির গরুর রক্তে ভাসিয়ে দেবার ধান্দা করার সময় স্থানীয় হিন্দুর দল বাধা দেয়। শুরু হয় রায়ট। গ্রামের মাতব্বর তার ভাইসহ খুন হয়, নিহত হয় আরো অনেক গ্রামবাসী।
.
১০-  এরপরে তারা নারকেলবেড়িয়ার কেল্লায় ফিরে যায়। পরের কয়দিন কাটে রামচাঁদপুর আর হুগলীর গ্রামে তান্ডব করে, হিন্দুদের জোর করে ধর্মান্তরিত করে। 

১১- ১৪ তারিখে তারা শেরপুরের এক সম্ভ্রান্ত #মুসলমান ব্যক্তি ‚ যে কিনা তীতুমীরের বিরোধী ছিলো ‚ তার ঘর লুট করে, আর তার কন্যাকে উঠিয়ে নিয়ে যায়।
অর্থাৎ এখানেও সেই একই কথা।শুধু হিন্দুরা না ভদ্র মুসলিমরাও তীতুমীরের শিকার হয়েছিল! 

১২ - একবার তারা হামলা করে হুগলী কুঠি। ম্যানেজার আর তার পরিবারকে বাঁশের কেল্লায় নেওয়া হল, ম্যানেজার কানে ধরে বললেন ইংরেজ নয় তিতুমীরই দেশের রাজা। তিতুমীরের হয়ে নীলচাষ করার দৃঢ় শপথ ব্যক্ত করেন তিনি। খুশি হয়ে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়, আর ঘাটে ঘাটে খবর পৌঁছে দেবার ব্যবস্থা করা হয় যেন দেশের রাজা তিতুমীরকে সবাই মান্য করে চলে। 

নীলচাষের পয়েন্ট টা খেয়াল করুন।সেই নীলচাষ মা নিয়ে একদিন আগুন জ্বলেছিলো বাংলায়! তাহলে কি মনে হচ্ছে তীতুকে? কৃষক বিদ্রোহের নেতা? কৃষকের মসীহা? ভাবুন ভাবুন ‚ ভাবা প্র্যাকটিস করুন।

যাকগে এবার ক্লাইম্যাক্সে আসি। এর আগে কিছু খুচরো সংঘর্ষে পিটানি খাওয়ার পর ( নিজেদের অতি অহংকারের জন্যই খেয়েছিল ) অবশেষে ব ঘোড়াচালিত কামানবাহী দশম রেজিমেন্ট কিছু সৈন্যসহ বারাসাতে ব্রিটিশ বাহিনীর  সাথে যোগ দেয়। নারিকেলবাড়িয় পৌঁছে তারা দেখে ় উন্মুক্ত মাঠে ইউরোপীয় সৈন্যের লাশ সামনে ঝুলিয়ে ওয়াহাবীরা অপেক্ষা করছে। । সাথে সাথেই তাদের দিক লক্ষ্য করে কামান দাগা হয়। তরবারি আর পাকা বাঁশের লাঠি সম্বল করে ওয়াহাবীরা ফাইট দিতে থাকে। ( এর আগে কয়েকটা খুচখাচ লড়াইতে জিতে ওরা ভেবেছিল আল্লাহ তাদের প্রতি ইম্প্রেসড! তাই কামানের গোলার সামনে বাঁশের লাঠি নিয়ে লড়তে গেছিল! বলদের বলদ ! 
 যাইহোক খুব বেশিক্ষন এই সার্কাস চলেনা ়।কিছুক্ষণের ভেতরেই বাঁশের কেল্লা ভেঙ্গে পড়ে। 
গুনে দেখা যায় ষাট সত্তর জন মারা গেছে মাত্র। অর্থাৎ মোটমাট এই কজনই ছিলো তীতুমীরের বাঁশের কেল্লায়। তবে
ভেতরে প্রচুর বন্দী উদ্ধার করা হয়, আর পাওয়া যায় প্রচুর লুটের মাল। 

তিতুমীরের সেনাপতি গোলাম মাসুমকে বন্দী করা হয় ও পরে আলীপুরে ফাঁসীতে ঝুলানো হয়। আর নাটের গুরু তিতুমীর ক্রসফায়ারেই  মারা পরে।

✍️সৌভিক দত্ত

Friday, April 24, 2020

প্রেম করে পালিয়ে যাওয়া মেয়ের প্রতি এক বাবার বেদনা দায়ক চিঠি📨 😥😥😒😒

(প্রেম করে পালিয়ে যাওয়া মেয়ের প্রতি এক বাবার বেদনা দায়ক চিঠি📨 😥😥
😒😒👇🏽👇🏽

মা'রে,!
শুরুটা কিভাবে করবো বুজে উঠতে পারছিলাম না। 
যেদিন তুই তোর মায়ের অস্তিত্ব ছেড়ে ভূমিষ্ঠ হয়েছিলি সেদিন থেকে তোকে মা বলে ডাকতে শুরু করলাম। তোকে মা ডাকতে গিয়ে আমার নিজের মা হারানোর ব্যাথাটা'ই
ভুলে গিয়েছিলাম।
তোর মা ও তোকে মা ছাড়া 
অন্য নামে কখনো ডাকেনি।

বিদ্যালয়ে প্রথম দিন 
শিক্ষক তোর নাম জিজ্ঞেস করেছিলেন।
তোকে মা বলে ডাকতে ডাকতে
তোর ডাক নামটাও ভুলে গিয়েছিলাম।
আমি তোর নাম বলতে না পারায় সবাই আমাকে নিয়ে হাসতে ছিলো..

তাই চিঠির উপরে তোর নামের জাগায় মা লিখেছি।

হঠাৎ করে তুই এভাবে চলে যাবি আমি তা বুজতেই পারিনি...!

ছেলেটা যেদিন বাইরে ব্যাগ হাতে তোর জন্য অপেক্ষা করছিল 
যে কখন তুই দরজা খুলে
বাইরে বের হয়ে আসবি।
আমি তখন ভেতরে বসে 
রবের কাছে প্রার্থনা করছিলাম 
আর ভাবছিলাম যে
আর কতটা ভালবাসতে পারলে তুই আমাকে ছেড়ে চলে যাবি না।
অপরদিকে 
তুই ঘরে বসে ভাবছিলি আজ 
যেতে না পারলে ছেলেটার কাছে ছোট হয়ে যাবি।
আর আমি ভাবছিলাম তুই চলে গেলে সমস্ত পিতৃজাতীর কাছে কি করে মুখ দেখাব...!

জানিস মা তুই তোর তিন বছরের ভালবাসা খুজে পেয়েছিস।
কিন্তু আমার জীবন থেকে বিশ বছরের ভালবাসা হারিয়ে গেছে..!

মা'রে প্রত্যেকটা বাবা জানে রক্ত জল করে গড়ে তোলা মেয়েটা একদিন অন্যের ঘরে চলে যাবে..!

তারপরও একটুও কৃপণতা থাকেনা বাবাদের ভেতরে!
বাবাদের ভালবাসা শামুকের খোলসের মতো 
মা-রে!
বাবাদের ,বাহিরটা শক্ত হলেও ভেতরটা কিন্তু খুব নরম হয়ে থাকে।

বাবারা সন্তানদের কতটা ভালবাসে তা বুঝাতে পারেনা,
তবে অনেকটা ভালবাসতে পারে।

জানি মা আমার লেখাগুলো পড়ে তোর খারাপ লাগতে পারে।

কি করবো বল?
তোরা তো যৌবনে পা রাখার পর চোখ, নাক, কান সবকিছুর প্রতি বিবেচনা করে প্রেম করিস।
কিন্তু যেদিন জানতে পারলাম তুই তোর মায়ের গর্ভে অবস্থান করেছিস সেদিন বুজতে পারিনি তুই কালো না ফর্সা হবি, ল্যাংড়া না বোবা হবি,কোন কিছুর অপেক্ষা না করেই 
তোর_প্রেমে_পরেছিলাম 
তাই এতকিছু লিখলাম।

আমি জানি মা তোদের সব সন্তানদের একটা প্রশ্ন বাবারা কেন তাদের ভাললাগাটাকে সহজে মানতে চায় না।

উত্তর টা তোর ঘাড়ে তোলা থাকলো, তুই যেদিন মা হবি সেদিন নিজে নিজে উত্তর টা পেয়ে যাবি..!

তোরা যখন একটা ছেলের হাত ধরে পালিয়ে যাস তখন ওই ছেলে ছাড়া জীবনে কারও প্রয়োজন বোধ করিস না।
কিন্তু একটা বাবা বুঝে তার জীবনে নিজের মেয়েটার কতটা প্রয়োজন..!

যেদিন তোর দাদুর কাছ থেকে তোর মাকে গ্রহন করেছিলাম
সেদিন প্রতিজ্ঞা করেছিলাম যে,
যদি মেয়ে হয় তাহলে,
মেয়েটাকে তার স্বামীর হাতে 
নিজের হাতে তুলে দিয়ে
তবে'ই দায়িত্ব থেকে নিজেকে হালকা করবো।
তাই তোর প্রতি এত অভিমান।

মারে বাবার উপর রাগ করিসনা..!

তোরা যদি অল্প দিনের ভালবাসার জন্য ঘর ছেড়ে পালাতে পারিস,

তবে আমরা বিশ বছরের ভালবাসার জন্য বেপরোয়া হব না কেন??

বাবারা মেয়ে সন্তানের জন্মের পর চিন্তা করতে থাকে নিজের মেয়েটাকে সুপাত্রের হাতে তুলে দিতে পারবে তো।

তারা যৌবনে পা রাখার পর চিন্তা করে কোন প্রতারনার ফাঁদে পরে পালিয়ে যাবে না তো!
তাই মেয়েদের প্রতি প্রত্যেকটা বাবার এতটা নজরদারী থাকে।

যদি মন কাঁদে..... 
চলে আসিস....!
বুক পেতে দেব........!
ঠিক আগে যেভাবে ভালো বেসেছিলাম.........
সেভাবেই বাসবো........!
অপেক্ষায় """""" থাকলাম '''''''

হয়তো তোর মায়ের মতো তোকে পেটে ধরিনি, তবে
পিঠে ধরার যন্ত্রণাটা সহ্য করতে পারছিনা। খুব কস্ট হচ্ছে রে...
খুব কস্ট হচ্ছে.....!😭😭😭😭

ইতি
তোর জন্মদাতা "পিতা"

বিঃদ্রঃ-
(এই চিঠিটা পড়ে অন্তত 
একটি মেয়ে বা ছেলেও যদি
তাদের সিদ্ধান্ত থেকে ফিরে আসে তবে মন্দ কি?)
আপনার বন্ধুদের কাছেও শেয়ার করেন 
💞💞💞💞💕💕💕💕

💞💞💞💞💕💕💕💕
সংগ্রহীত

Thursday, April 23, 2020

পশ্চিমবঙ্গে থাকেন, মমতা ব্যানার্জীর শাসনে? জ্বর, গলা ব্যাথা, শ্বাসকষ্ট হচ্ছে? আপনার সাথে কী হবে, তার ক্রনোলজি রইল।

পশ্চিমবঙ্গে  থাকেন, মমতা ব্যানার্জীর শাসনে? জ্বর, গলা ব্যাথা, শ্বাসকষ্ট হচ্ছে? আপনার সাথে কী হবে, তার ক্রনোলজি রইল।

১. বরানগরের বাসিন্দা, ছাত্র৷ বয়স ২০। গতকাল থেকে জ্বর, শ্বাসকষ্ট,  গলায় ব্যাথা। নিজের এবং পরিবারের উদ্যোগে এলাকার থানায় যোগাযোগ করে হাসপাতালে যেতে চায়। কোভিড টেস্টের জন্য।  সারা সকাল হেল্প লাইনে ফোন করে, কেউ ধরে নি। গাড়ির ব্যবস্থা করে। বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে পৌঁছে যায় বেলা বারোটার মধ্যে।
২. বেলেঘাটা আইডিতে কী কী উপসর্গ হচ্ছে জেনে নেওয়া হয়। এম আর বাঙুর  হাসপাতালে রেফার করা হয়। রেফারেন্স লেটারটি লেখার সময়ে নাম, ঠিকানা, ফোন নম্বর ইত্যাদি জরুরি তথ্যগুলিকে ভয়ানকভাবে বিকৃত করা হয়। রোগী ও বাড়ির লোক বারবার বলা সত্ত্বেও সঠিক বানান, পিন কোড, বাসস্থানের অঞ্চল লেখা হয় নি।
৩. এরপর রুগীর জায়গা আইডির ওপিডিতে। অনির্দিষ্টকালের অপেক্ষা। আশেপাশে অজস্র কাশতে,  হাঁচতে, শ্বাসকষ্টে হাঁপাতে থাকা রুগী। খোলামেলা। কোনো শারীরিক দূরত্বের অবকাশ রাখা হয় নি। অধৈর্য্য হয়ে রোগী ও বাড়ির লোক পুলিশকে জিজ্ঞেস করে, কখন বাঙুরে নিয়ে যাওয়া হবে, উত্তর আসেঃ "চুপ চাপ থাকো। যখন সময় হবে, নিয়ে যাওয়া হবে।"
৪. একটা অ্যাম্বুলেন্স আসে ঘন্টা দেড়েক বাদে। এম আর বাঙুর পোঁছায় ওরা। গেটেই রুগীকে নামিয়ে চালক বলেন, ডিপার্টমেন্ট খুঁজে নিতে। বিঃদ্রঃ প্লিজ চালককে অমানবিক ভাববেন না। বিন্দুমাত্র রক্ষাকবচ ছাড়া উনি সারাদিন রুগী নিয়ে যাতায়াত করছেন। সরকার ওনার কোনো দায়িত্ব নেয় নি। ওনারও বাড়িতে বাবা মা, স্ত্রী, সন্তান আছে। 
৫. পুরো ওয়ার্ড জুড়ে রুগীদের হাহাকার। কেউ শ্বাসকষ্টএ ভুগে চলেছেন আর অপেক্ষা করে চলেছেন কখন ডাক্তার আসবে। ছেলে আর বাবা, মা'কে নিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা চিকিৎসার অপেক্ষায়। কাঁদছেন রীতিমতো।  দক্ষিণ চব্বিশের দুই রুগীর মৃত্যু সংবাদ এসেছে ইতিমধ্যে। প্রথমে লেখা হয়েছে কোভিড ১৯. তারপর মৃত্যুর কারণ লেখা নতুন কাগজ এসেছে হৃদরোগ, ফুসফুসের অসুখ ইত্যাদি। এই গোটাটা রুগী আর রুগীর বাড়ির লোক দেখছেন। 
৬. ডাক্তারের ডাক এলো। "আমায় আইডি থেকে রেফার করা হয়েছে এখানে", বছর কুড়ির রুগী জানাল। ডাক্তারের স্পষ্ট উত্তর " এতো কথা জানতে বসে নেই এখানে। রোগ হলে বলো, চিকিৎসা করব". ছেলেটি জানাল যাবতীয় উপসর্গ। শরীরের উষ্ণতা মাপা হল। বলা হল "কিছুই হয় নি। বাড়িতে থাকো। যে ওষুধ লিখে দিচ্ছি, খাও।" রুগী তখনো শ্বাসকষ্টে হাঁপাচ্ছেন। গলায় ব্যাথা। 
৭. এই ছেলেটি জেদ করে, টেস্ট করাবোই, কোন ভরসায় বাবা-মার কাছে ফিরব নাহলে? পরিবারের বাকীদেরই বা কী হবে! অসুস্থ শরীরে হাসপাতালে অনেক ঘোরাঘুরি করে জানতে পারে, রাজারহাটে চিত্তরঞ্জন ক্যান্সার হস্পিটালের দ্বিতীয় চত্ত্বরে টেস্ট হচ্ছে। 
৮. গাড়িটা নিয়ে এবার রাজারহাট। জ্বর, শ্বাসকষ্ট,  গলা ব্যাথা নিয়ে বাবা মা সহ- সিঁথি থেকে বেলেঘাটা আইডি, তারপর এম আর বাঙুর, এবার রাজারহাট।  এখানে পৌঁছে দৃশ্যটা ভয় শুকিয়ে যাওয়ার মতো। খান পাঁচেক লাইন। এক, হাসপাতাল থেকে যাদের হোম ক্যুওরিন্টিন দিয়ে অ্যাম্বুলেন্সে করে এখানে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে, তারা লাইন দিয়ে অপেক্ষা করছেন,  আবার কোনো সরকারি গাড়ি তাদের বাড়ি পৌঁছে দেবে। আর কোনো উপায় নেই বাড়ি ফেরার। সকাল থেকে লম্বা লাইন। দুই, যারা টেস্ট করতে চান, সকাল থেকে লাইনে। সন্ধ্যে সাতটা অবধিও ডাক আসেনি। ওখানেই শুয়ে পড়েছেন জ্বর-শ্বাসকষ্টের দরুন৷ তিন, যাদের সরকারিভাবে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে,  যেমন করোনায় মৃত মায়ের সন্তান ও পরিবার,  এরা অপেক্ষা করছেন, কোথায় আইসোলেশনে রাখা হবে তার ব্যবস্থার। এই গোটাটায় "শারীরিক দূরত্ব" একটা স্ট্যান্ড আপ কমেডি। 
৯. রাত আটটার একটু আগে, শারীরিক ধকল আর নিতে না পেরে, বিনা টেস্টে ছেলেটি বাড়ি এসেছ। সাথে বাবা মাও। ওষুধ খাবে। বাড়িতে থাকবে। শুধু জানে না ওর করোনা হয়েছে কিনা। বাড়িতে মা বাবা দুজনেই উচ্চরক্তচাপের রুগী। সাথে মায়ের বেশ কিছু সমস্যা আছে। 
সাড়ে ছয় ঘন্টা  কলকাতা শহরে মোট ৬৪ কিলোমিটার ঘুরে বিনা চিকিৎসায়, বিনা টেস্টে ফেরৎ এসেছে। 
এটা আমাদের রাজ্য সরকারী স্বাস্থ্য পরিষেবা, করোনা আতংক চলাকালীন।

Are you from West Bengal, under Mamata Bannerjee’s rule? Suffering from fever, throat ache and breathing ailments? How will you be treated???
Here lies a chronology of events you'll have to face.

1. A student from Baranagar, aged 20 is suffering from fever, breathing ailment and throat ache. He himself and the family had contacted the local police so that he could be taken to hospital for his Covid 19 test. Throughout the morning his family tried to seek help by dialing the govt helpline but none responded. Anyhow they hired a car and reached Beleghata ID by 12 noon.
2. No help could be done by Beleghata ID as they further referred him to M R Bangur. While writing the reference letter- patient name, address and phone numbers were deliberately twisted by the officials. On requesting several times by the patient as well as the family members regarding the correction of name, pin code, and address no heed was paid by the officials.

3. Then the patient was asked to wait at the OPD  of Beleghata ID. After waiting for several hours amidst patients coughing, sneezing, suffering from breathing ailments in open without any physical distance, the patient as well as his family asked the police regarding their transportation to Bangur, to which the police replied " stay quiet, you will be taken when time comes" in a harsh tone.

4. An ambulance arrives after almost 1.5 hours, they reach Bangur. The ambulance driver drops them at the gate and asks them to find the department by themselves. P. S- Please don't judge him on this behaviour since he is toiling day and night for patients without any safety of his own. The govt hasn't yet taken the responsibility of people like him. After all, he too has a family back at home.
5. On reaching the ward they witnessed the plight of several patients like them. Patients are suffering from breathing problems and eagerly waiting for the doctor to arrive. Patients' families are waiting for hours hoping for some treatment, the condition is so horrifying that even some people have started losing faith and are crying. In the mean time news arrives that two people from South 24 Parganas have died. On the official documents the cause of death was stated as Covid 19. Then and there the documents were changed and the new documents read heart and lung ailments as the reason of their death. This was witnessed by the 20 year old patient as well as his family.
6. His turn came. "I am referred by Beliaghata ID", said the patient. An abrupt response from the doctor in charge was: " we are not here for any extra non sense. We are here to treat your problems, that’s all". The boy informed about the symptoms.  His temperature was taken. Finally, "you are fine! Have these medicines and get yourself home quarantined ". He is still having spasm and throat ache.
7. He was stubborn to have the test done. He realised the vulnerability of returning to his family without tests. Bearing all the pains and troubles, he managed getting to know about tests being done in Rajarhat. It is the second campus of Chittaranjan Cancer Hospital, as informed by the Bangur staffs.
8. Reached Rajarhat. He was encountered with five different long queues.  One, Govt Ambulance has dropped a bunch of people at this place who are asked to get home quarantined.  They are waiting for the next commute to come and take them home. It has been hours that they are waiting.  Two, queue of those aspiring for a Covid test to be done. No one showed up a face so far 7 in evening. Patients with severe asthma couldn’t help but lying on the floor. Three, the families of deceased Corona patients, sent for government isolation, have no clues where to go and stay. This queue includes babies, elderly people and so on. However, 
Physical distancing is a hoax over this place.
9. They have returned at around 8. He could no more take the hectic schedule at this condition.  He is home without test, treatment.  His parents as well. Both his parents are high BP patients, clueless about the coming consequences; especially the mother has got a number of more health hazards.

They roamed over the city travelling 64 km. No tests. No treatments. 

This is how Health Service appears during Corona during Pandemic.
Ahana Ganguly 'র ওয়াল থেকে...

Wednesday, April 22, 2020

☆এটি কি সত্যযুগ ☆क्या यह सत्य युग है☆Is this Satya Yuga☆

☆"এটি কি " সত্যযুগ" ☆
☆☆ লকডাউন☆☆
 1- রবিবার কেটে যাওয়ার কোন চিন্তা নেই ☆
 2- সোমবার আসার ভয় নেই ☆
 3- অর্থ উপার্জনের লোভ নেই ☆
 4-ব্যয় করার ইচ্ছা নেই ☆
 5- হোটেলে খাবার  ইচ্ছা নাই ☆
 6-ভ্রমণের কোন আনন্দ নেই ☆
 7.নাই কোন সোনার-রৌপ্য মুগ্ধতা 
 8-টাকার লোভ নেই ☆
 9-কোনও নতুন জামাকাপড় উত্তেজনা নেই ☆
 10-ভাল পোষাক সম্পর্কে কোন উদ্বেগ নেই ☆
 ☆ আমরা কি মোক্ষের দ্বারে এসে পৌঁছেছি ?
 ☆ মনে হচ্ছে কলিযূগ শেষ হয়ে গেছে এবং সত্যযুগ এসে গেছে ☆

 11- উপাসনা, উপবাস, রামায়ণ, মহাভারত।
 12-দূষণমুক্ত পরিবেশ।
 13-দৌড় ভাগের জীবন শেষ
 14-সাধারণ জীবন
  15. সকলে সাধারন খাবার খাচ্ছেন
 16-সমতা এসে গেছে,
 17- কোন চাকর নেই, সবাই বাড়িতে এক সাথে কাজ করে।
 18- কেউ দামি পোশাক পরে না
 19- কেউ গহনা পরে না
 20 - 24 ঘন্টা ঈশ্বর কে স্মরণ। 
 21-লোকেরা দানও করছে।
 22-অহংকারও শেষ হয়ে গেছে
 23 - লোকেরা সহযোগিতা করছে।
  24-সমস্ত সন্তানেরা বাইরে থেকে তাদের বাড়িতে এসে তাদের বাবা-মার কাছাকাছি থাকতে শুরু করেছে।
 25- বাড়িতে ভজন কীর্তন পরিবেশিত হচ্ছে।
 ☆ সত্যযূগ না হলে আর কী ?
◆◆◆◆◆◆◆◆◆◆◆◆◆◆◆◆◆◆◆◆◆◆◆
☆ "क्या यह" सत्य युग  "है" ☆
☆☆ लॉकडाउन ☆☆
 1- रविवार को काटने की कोई चिंता नहीं 
 2- सोमवार को आने से न डरें
 3- पैसे का लालच नहीं है
 4-खर्च करने की कोई इच्छा नहीं
 5- मैं होटल में खाना नहीं चाहता
 6-यात्रा में कोई आनंद नहीं है
 7. सोने-चांदी का कोई आकर्षण नहीं
 8-मनी लालच नं
 9- कोई नए कपड़े की उत्तेजना
 10-अच्छी पोशाक के बारे में कोई चिंता नहीं 
 क्या हम मोक्ष के द्वार पर पहुँच गए हैं?
 ऐसा लगता है कि कलियुग खत्म हो गया है और सत्य युग आ गया है

 11- उपासना, उपवास, रामायण, महाभारत।
 12-प्रदूषण मुक्त वातावरण।
 13-रेस डिवीजन का जीवन समाप्त हो गया है
 14-सादा जीवन
  15. सभी साधारण भोजन खा रहे हैं
 16-समानता आ गई है,
 17- कोई नौकर नहीं हैं, हर कोई घर पर एक साथ काम करता है।
 18- किसी ने महंगे कपड़े नहीं पहने हैं
 19- कोई भी गहने नहीं पहनता है
 भगवान को याद करने के लिए 20 - 24 घंटे।
 21-लोग भी दे रहे हैं।
 २२-अभिमान भी छूट गया
 23 - लोग सहयोग कर रहे हैं।
  24-सभी बच्चे बाहर से अपने घर आ गए हैं और उनके माता-पिता पास में ही रह रहे हैं।
 25- घर में भजन गायन किया जा रहा है।
 अगर सत्य युग  नहीं तो और क्या है?
◆◆◆◆◆◆◆◆◆◆◆◆◆◆◆◆◆◆◆◆◆◆◆
☆"Is this"  Satya Yuga"☆
☆☆ Lockdown ☆☆
 1- No worries about cutting Sunday 
 2- Don't be afraid to come on Monday 
 3- There is no greed to earn money
 4-No spending wishes
 5- The hotel does not want food
 6-There is no joy in travel
 7. No gold-silver charm
 8-Money Greed No
 9-No new clothes excitement
 No worries about 10-well dress 
 Have we reached the door of salvation?
  It seems that Kali Yuga is over and Satya Yuga has come

 11- Worship, Fasting, Ramayana, Mahabharata.
 12-Pollution-free environment.
 The 13-race race is over
 14-Simple life
  15. Everyone is eating normal food
 16-equality has arrived,
 17- There are no servants, everyone works together at home.
 18- No one is wearing expensive clothes
 19- No one wears jewelry
 20 - 24 hours to remember God.
 21-People are also donating.
 22-Pride is also gone
 23 - People are cooperating.
  24-All the children came to their homes from outside and started living near their parents.
 25- Bhajan kirtan is being served at home.
 If not the Satya Yuga  , what else?

বিষন্ন নববর্ষ অরুণ বিশ্বাস

বিষন্ন নববর্ষ
অরুণ বিশ্বাস
বাঙলা দেখছে এক নতুন বৈশাখ ।
প্রকৃতি হরে নিলো মানবের শখ ।।
দিনমনি পূর্ব ভালে উদয় যেমন ।
পাখিদের কলতান শুনিছি তেমন ।।

নতুন পললব  দোলে নতুন শাখে ।
 মলয় বাতাসে ফাগুনের রঙ আঁকে ।।
ফুঁটেছে কাননে তেমনি বাহারি ফুল ।
কালো আভা মনে,তরী যাবে কোন কূল ।।

বন্ধ হোলো সকলি আজি কে যাবে পারে ।
ফিরে যাও ওগো পথিক ! শঙ্কা গোচরে ।।
প্রকৃতি আজি বধির করি গোটা বিশ্ব ।
কে ডাকে ওরে ! বাঁচাও আমার সর্বস্ব !।

চিকিৎসা দেবে ডাক্তার সেবিকা দিদি ।
সুরক্ষা পোষাক ছাড়া, হরে প্রাণ ‍যদি ।।
ভাসে না নৌকা নদী বক্ষে, তোলেনা পাল ।
রাজপথ খাঁখাঁ করে, সাঙ্গ কোলাহল ।।

নাহি ছোটে বাস, রেল, যাবে মোংলা ঢাকা ।
ঘুম পরি এসে যেনো বন্ধ করে চাকা ।।
  কুকুর গুলো ঘুমিয়ে মাছের বাজারে ।
যেথা বিকি কিনি সরগমে হাঁক পাড়ে ।।

বদল হবে দিন শুধু  নিত্য যেমন ।
হবে না নববর্ষ ঘটা করে পালন ।।
সুচি হোক ধরণী নির্মল সুবাতাসে ।
বাঁধি সবে মনে আশা শুভ দিন আসে ।।
তারিখ ১৩।৪।২০২০

সময়ের গীতি গাঁথা অরুণ বিশ্বাস

সময়ের গীতি গাঁথা
অরুণ বিশ্বাস

সূর্য জাগে ‍পূর্ব ভালে আলো ঝলমল ।
মিষ্টি স্বরে কতো পাখি করে কোলাহল ।।
মৃদুমন্দ ভোরের বাতাস ঝিরি ঝিরি ।
বয়ে চলে মধুমতি গ্রাম গঞ্জ ছাড়ি ।।

গাছে গাছে নব পত্র করে নাচানাচি ।
ফোঁটে উদ্যানে কতনা রঙে পুষ্পরাজি ।।
বসন্তেরি কোকিল ডাকছে কুহুতানে ।
গুটি আম ঝরে পড়ে আম্র কাননে ।।

ছোট লিচু ভারে তার শাখা বেশ ভারি ।
ফল ধরে বেশ তাই চাষি মন ভরি ।।
বোরো ধান শ্যামল ক্ষেতে বাতাসে নাচে ।
ব্যস্ত কৃষানি বধু পরিচর্যা কাজে ।।

জল সেচে বুনছে এখন সোনালি পাট ।
বৃষ্টির সঙ্গে দেখা নাই মাটি ফেঁটে কাঠ ।।
তিল ক্ষেতে সবুজ চারা, কী কথা বলে ।
মধুকর আসবে উড়ে ফুল ফুঁটলে ।।

আম গাছে বাঁকা শাখে বেধেছে মৌচাক ।
মধু সংগ্রে ফুলে ফুলে ঘুরে খায় পাক ।।
চলে যেনো সব কিছু আগের মতন ।
আপন ঘরে নিজে বন্ধি শঙ্কা চেতন ।।

একাত্তরে যুদ্ধ হোলো বাংলাদেশ ভুমি ।
লুকিয়ে আছি অরন্যে রক্ষা করো স্বামী ।।
যুদ্ধ করে মুক্তিফৌজ প্রাণ বাজি ধরে ।
জীবনটা যাবে হরে কে জানতে পারে ।।

যুদ্ধ চলে অঘোষিত গোটা বিশ্ব জুড়ে ।
ভাইরাস করোনা মারণ অস্ত্র ধরে ।।
কোন দেশ করে দোষ না বলতে পারে ।
বাঁচে প্রাণ কোন পথে সে পথ উদ্ধারে ।।

ঝলমল শহর আজ মৃত নগরী ।
জরুরী যান ছাড়া বন্ধ সকল গাড়ি ।।
সবে সুস্থ্য থাকে চায় প্রতি সরকার ।
রাখতে ঘরে টহল চলে বার বার ।।

জনহীন পথ ঘাট কোলাহল বন্ধ ।
প্রতিকার নাহি যেনো সব চোখ অন্ধ।।
চলেনা নৌযান নদী তোলেনা তরঙ্গ  ।
কবে জানি হবে সেই শঙ্কা ঘুম ভঙ্গ ।।

জন শূন্য পথে নেই খাদ্যের দোকান ।
ডাক ছাড়ে সারমেয় করুণ রোদন ।।
অলস জীবন কখনো লাগেনা ভালো । 
অবসাদে ভরা মন সবে করি আলো ।।

ঘরে বসে সবে মোরা হাতে ধরি কাজ ।
পারিনা যে কাজটি শিখি সবার মাঝ ।।
বেশি করে বই পড়ে পাঠ করি শেষ ।
খুললে স্কুলে পরীক্ষা ফল হবে বেশ ।।

মাতা পিতা ভগিনী ভাই আছে যাঁনরা ।
ছোটদের দেখাশুনা করিবেন তাঁরা ।।
খেলা ধুলা ঘরে বসে দেই হাতে তালি ।
ছড়া বলি গান করি বেলা যাবে চলি ।।

আসবে সুদিন তবে কেনো করি ডর ।
মিলিবে মিলন মেলা সকলে আমার ।।

তারিখ ১১।৪।২০২০

মতুয়া বাউল অরুণ বিশ্বাস

মতুয়া বাউল
অরুণ বিশ্বাস
সোনার দেহে মন মা‌লি সাঁই পরা‌লো কতো সাজ।
মা গো জ্বালো সন্ধ্যা প্রদীপ আসলো নেমে সাঁঝ ।।

উথাল পাথাল এই তরী যে ডুবলো কতো বার ।
স‌ঙ্গে ছি‌লে মা গো তুমি  তাই কেটেছে আঁধার ।
আমার বলে থাকে কিছু এই দুনিয়ার মাঝ ।।

স্নেহের আচল বিছায়ে রেখেছো সবুজ ধান ক্ষেতে ।
চরণ দুখানি নিয়েছো টানি বহিছে অঙ্গ স্বেদে ।
নয়ন জুড়ালো দেখে তোমার কী অপরূপ সাজ ।।

শ্রান্ত দেহে ক্লান্ত মনে গা‌হি জীবনের জয় গান ।
ঠাই দিও তোমার কোলে করি তোমাতে অবস্থান ।
যাবো রিক্ত হাতে অশ্রু পাতে বাজে অন্তিম সাঝঁ ।।

ক‌তোনা সা‌ধের দেহ তরী কাল হ‌রে বিন্দু বিন্দু ক‌রি  ।
 যায় না  তাঁ‌কে প‌রিহ‌রি ভা‌সে সাগ‌রে ক্ষীণ তরী।
 গোধু‌লি বেলা আবছা ছায়া নে‌মে আসে জীবন সাঁঝ ।।

                শুভ‌দিন স‌বে যায় ফু‌রি‌য়ে
               ঝ‌রে স্বপ্ন রা‌শি অত‌লে খ‌সি‌য়ে ।
মন ছু‌টে‌ছে অসীম আকা‌শে উদাসী হাওয়ায় ধূসর মেঘ আজ ।।

আমি বা কার কে আমার দেখাও তোমার নিশানা ।
জানার মধ্যে কিছুই ছিলনা বুঝি সকলি অজানা ।
করো ত্রাণ অরুণ গোপেষ দাঁড়িয়ে আজ পরাও তব সাজ ।।

তারিখ ১৫।৪।২০২০