Saturday, November 4, 2023

শ্রীশ্রীহরিলীলামৃত পর্ব :- 2



আদি খণ্ড
------গ্রন্থারম্ভ-----
প্রথম তরঙ্গ
অথ মঙ্গলাচরণ।

হরিচাঁদ চরিত্রসুধা প্রেমের ভাণ্ডার।
আদি অন্ত নাহি যার কলিতে প্রচার।।
সত্য ত্রেতা দ্বাপরের শেষ হয় কলি।
ধন্য কলিযুগ কহে বৈষ্ণব সকলি।।
তিন যুগ পরে কলি যুগ এ-কনিষ্ঠ।
কনিষ্ঠ হইয়া হৈল সর্ব্বযুগ শ্রেষ্ঠ।।
এই কলিকালে শ্রীগৌরাঙ্গ অবতার।
বর্ত্তমান ক্ষেত্রে দারুব্রহ্মরূপ আর।।
যে যাঁহারে ভক্তি করে সে তার ঈশ্বর।
ভক্তিযোগে সেই তার স্বয়ং অবতার।।
হয়গ্রীব অবতার কপিলাবতার।
অষ্টাবিংশ অবতার পুরাণে প্রচার।।
মৎস্য কুর্ম্ম বামন বরাহ নরহরি।
ভৃগুরাম রঘুরাম রাম অবতরি।।
ঈশ্বরের অংশকলা সব অবতার।
প্রথম পুরুষ অবতার রঘুবর।।
নন্দের নন্দন হ’ল গোলোকের নাথ।
সংকর্ষণ রাম অবতার তাঁর সাথ।।
সব ঈশ্বরের অংশ পুরাণে নিরখি।
বর্ত্তমান দারুব্রহ্ম অবতার কল্কি।।
সব অবতার হ’তে রাম দয়াময়।
দারুব্রহ্ম দয়াময় কৃষ্ণ দয়াময়।।
পূর্ণব্রহ্ম পূর্ণানন্দ নন্দের নন্দন।
সেই নন্দসুত হ’ল শচীর নন্দন।।
যে কালে জন্মিল কৃষ্ণ পূর্ণব্রহ্ম নয়।
পূর্ণ হ’ল যেকালে পড়িল যমুনায়।।
শচীগর্ভে জন্ম ল’য়ে না ছিলেন পূর্ণ।
দীক্ষাপ্রাপ্তে পূর্ণ নাম শ্রীকৃষ্ণ চৈতন্য।।
তখন হইয়া পূর্ণ সন্ন্যাস করিলে।
আটচল্লিশ বর্ষ পরে মিশিলা উৎকলে।।
সকল হরণ করে তাঁরে বলি হরি।
রাম হরি কৃষ্ণ হরি শ্রীগৌরাঙ্গ হরি।।
প্রেমদাতা নিত্যানন্দ তাঁর সমিভ্যরে।
হরিকে হরয় সেই হরিভক্ত দ্বারে।।
নিত্যানন্দ হরি কৃষ্ণ হরি গৌর হরি।
হরিচাঁদ আসল হরি পূর্ণানন্দ হরি।।
এই হরিচাঁদ লীলা সুধার সাগর।
তারকেরে কর হরি তাহাতে মকর।।

শ্রীশ্রীহরিলীলামৃত পর্ব :- 1



আদি_খণ্ড
------গ্রন্থারম্ভ-----
প্রথম তরঙ্গ 

#বন্দনা
জয় জয় হরিচাঁদ জয় কৃষ্ণদাস।
জয় শ্রীবৈষ্ণব দাস জয় গৌরীদাস।।
জয় শ্রীস্বরূপ দাস পঞ্চ সহোদর।
পতিত পাবন হেতু হরি অবতার।।
জয় জয় গুরুচাঁদ জয় হীরামন।
জয় শ্রীগোলোকচন্দ্র জয় শ্রীলোচন।।
জয় জয় দশরথ জয় মৃত্যুঞ্জয়।
জয় জয় মহানন্দ প্রেমানন্দময়।।
জয় নাটু জয় ব্রজ জয় বিশ্বনাথ।
নিজ দাস করি মোরে কর আত্মসাৎ।।

Tuesday, June 13, 2023

স্বামী VS স্ত্রী

🤷‍♂️স্বামী VS স্ত্রী🤷‍♀️

স্বামী : 💁‍♂️
শুনছো নাকি গেলে কোথায় ?
অফিস থেকে এলাম ,
দশটা মিনিট হয়ে গেল
না চা , না জল পেলাম,
কি যে কর সারাটা দিন
টিভি সুধুই দেখো ,
বরটা এসে বসে আছে
একটু খেয়াল রাখো ।

স্ত্রী : 💁‍♀️
ঘুমোচ্ছিলাম বুঝলে সোনা
তেল টা দিয়ে নাকে,
ঘুম ভেঙে এই উঠে এলাম
মিষ্টি তোমার ডাকে,
বলতে পারো সারা টা দিন
এমনি বসে থাকি,
রাজ্যের কাজ ফেলে রেখে
টিভি সুধুই দেখি।

সকাল বেলা বেরিয়ে যাও ,
রাতে ফেরো ঘরে,
খোঁজ কি রাখো সারাদিনের
কাজ এতো কে করে ?
ভোর থেকে সেই উঠে কখন
শুরু যে হয় পালা ,
ঘরে দুটো হনুমান
তাদের হাজার জ্বালা ,,
রান্না বান্না , দোকান বাজার ,
সবার আসা যাওয়া ,
পড়াশুনা হাজার ঝক্কি
মাথায় ওঠে খাওয়া,
এটা চাই , ওটা কোথায় ?
সকলের ফরমাশ ,
মানুষ বলে ভাবো আমায় ?
খাটাও বারোমাস।

স্বামী : 💁‍♂️
কাজ তো তুমি একাই কর
আমি ঘুরে আসি,
সকাল বেলা বেরিয়ে পড়ি
পার্কে গিয়ে বসি,
আড্ডা মারি , Movie দেখি ,
Lunch এ খাই বিরিয়ানী,
মাসের শেষে গাছ নাড়িয়ে
টাকা ঘরে আনি,
ট্রেনে, বাসে বাদুর ঝোলা
তাতেই নাজেহাল,
ঘেমে নেয়ে ঘরে ফিরে
খাও বৌ এর গাল ।

স্ত্রী : 💁‍♀️
বৌ কিছু বলতে গেলেই
হবেই তো মানহানি,
এই কথা যদি মা বলতো
হয়ে যেত বানী ।

স্বামী: 💁‍♂️
এই তো এবার পথে এসো,
আসল কথা বল,
ভাবছো আমি বুঝিনা কি ?
কার ভাবনায় চল ?

স্ত্রী : 💁‍♀️
ভাবনা করার সময় কোথায়?
করি ঝি এর কাজ,
পান থেকে চুন খসে তো
পড়বে মাথায় বাজ,
মায়ের কথায় একটুতেই
জ্বালা ধরে যাবে,
বৌ ? ওতো পরের মেয়ে
তার কথা কে ভাবে?

স্বামী :💁‍♂️
ভাবিনা তো ? বেশ ভাবিনা,
কার জন্য খাটি ?
বাদ দাওগে ভালো লাগে না
রোজ ঝগড়া ঝাটি ।

স্ত্রী : 💁‍♀️
ঝগড়া তো রোজ আমিই করি,
তুমি সাধু লোক,
বাজারে তো সুনাম আছে
আর কিছু না হোক ।
অফিস আছে , আড্ডা আছে ,
আরো আছে তাস,
হাজার একটা মেয়েবন্ধু ,
আমার সর্বনাশ।

স্বামী :💁‍♂️
হাজার একটা ? হায় মালিক !
একটাও নেই মোটে,
তোমার মতো এক পিস্ তো
আমার কপালে জোটে,
তার সাথে শাশুড়ী আর
হিড়িম্বা ঐ শালী,
হাড়ে আমার হলুদ দিল
জীবন হল কালি,
ওকি হল কাঁদছো নাকি ?
করছিলাম joke ,
আচ্ছা ছাড়ো ওসব কথা ,
মোছো এবার চোখ ।
মাইগ্ৰেনটা খুব বেড়েছে
জ্বালাচ্ছে খুব আজ,
সারাটা দিন তার মধ্যে
বড্ড ছিল কাজ।

স্ত্রী : 💁‍♀️
এমা আমি বুঝিনি গো,
দাঁড়াও ওষুধ আনি,
আজ যে তোমার ধরবে মাথা
কালকে রাতেই জানি,
কালকে যখন স্নান করলে
তখন কতো রাত,
অবেলায় ঢেলো না জল
সাইনাসের ধাত,
চা দেব ? না কফি নেবে ?
আদা দেব চায়ে ?
এই দেখোনা পায়েল টা সেই
পড়েছি আজ পায়ে,

স্বামী :💁‍♂️
আর সেজোনা বুঝলে ম্যাডাম
একই আছো আজও ,
আজও দেখে ক্যাবলা যে হই
যখন তুমি সাজো,

স্ত্রী :💁‍♀️
ভাগো যতো বাজে কথা
কলেজ দিনের মতো ,
হচ্ছে কি সব আদিখ্যেতা
বাড়ছে বয়স যতো ,

হ্যাঁ গো তোমার মনে পড়ে
সেই কবেকার কথা ?
কতো কতো লিখতে চিঠি
গোছা গোছা পাতা !
লুকিয়ে লুকিয়ে স্কুল পথে
সাইকেলে যাওয়া,
একসাথে পাশাপাশি
প্রথম ফুচকা খাওয়া!
চাকরি পেয়ে প্রথম মাসে
যেদিন দিলে শাড়ি ,
কিংবা যখন প্রথম বার
গেলাম তোমার বাড়ি ?
মোবাইল নেই , ফেসবুক নেই
তবুও হতো দেখা ,
চিঠিগুলো তবে এখন
বড্ড লাগে ন্যাকা !

স্বামী :💁‍♂️
প্রথম প্রথম লিখতে হয়
ওসব অনেক কিছু ,
অকারণ চক্বর মারা
হাঁটা পিছু পিছু ,
বোসেদের মলয়টা তো
তক্বে তক্বে ছিল ,
ভয় হতো এই বুঝি
তোমায় তুলে নিলো,
তুমি ও ছিলে তেমনি ন্যাকা
করতে দাদা দাদা ,
দেখতে তো ঐ ক্যাবলা গনেশ
নাম্বার ওয়ান হাঁদা !

স্ত্রী : 💁‍♀️
তুমিই বা কোন্ উত্তম কুমার ?
তোমার কেসও জানি ,
শ্রাবন্তী কে লাগতো ভালো
হালে পাওনি পানি !

স্বামী :💁‍♂️
ওই তো তুমি করতে শুধু
আর কি ছিল কাজ ?
তোমার দাদার রটানো সব
বলে দিলাম আজ ,
ঈর্ষা ছিল আমার ওপর
ভরতো তোমার কান,
সবই জানি বোনের ওপর
আছে কতই টান !

স্ত্রী :💁‍♀️
সব কথাতেই তুমি দেখি
বাপের বাড়ি টানো,
ঘুরে ফিরে শুধুই আমার
বোন দাদা কে আনো,
তোমার তো ঐ একটাই বোন ,
একলা একেশ্বরী ,
একটুতে তার নাকি কান্না
আসবে বাপের বাড়ি,
জ্বালিয়ে খেলো গুষ্টিশুদ্ধ
যে যেখানে আছে ,
হাড় জুড়োবে যেদিন আমি
যাবো যমের কাছে !

স্বামী :💁‍♂️
অতটা সুখ নেই গো আমার
পুরোই কপাল পোড়া ,
এর চাইতে জুটতো বউ
বোবা, কালা, খোঁড়া,
রূপ না হয় কমই হতো
বুদ্ধিতেও বোকা,
আমার শালা কপাল দেখো
সব কিছুতেই ধোঁকা !

স্ত্রী :💁‍♀️
বলবেই তো , আমি বলেই
তোমার এ ঘর করি,
সকাল বিকেল কথা শুনেও
তোমার পায়েই পড়ি,
এসব ছেড়ে একদিন ঠিক
যাবো কোথাও চলে,
সামলিও সব একাই তখন
আগেই দিলাম বলে !

স্বামী :💁‍♂️
ওকি, ওকি, আবার শুরু
করলে যে ফোঁস ফোঁস !
আচ্ছা বাবা মেনে নিলাম
ছিল আমার দোষ ,
এবার একটু শান্ত হয়ে
বোসো দেখি পাশে ,
এতো জল কোত্থেকে যে
তোমার চোখে আসে ,
রাগ করেছো তাই না খুব ?
বলছো না যে কথা ,
হচ্ছে বয়স , একটুতে তাই
গরম যে হয় মাথা ।

স্ত্রী :💁‍♀️
মাথার আর দোষ কি বল ?
আমারই ভুল Sorry ,
তুচ্ছ কথায় রেগে গিয়ে
কেন এমন করি ।

স্বামী:💁‍♂️
তোমার আর দোষ কি আছে
করছো খাটা খাটি ,
আমিই এসে এমন করি
দিন টাই হয় মাটি ।

স্ত্রী :💁‍♀️
তুমি হলে বড্ড গোঁয়ার ,
বলছি আমার ভুল ,
ছোট্ট একটা ব্যাপার নিয়ে
ছিঁড়ছো মাথার চুল,
তোমারই বা কম কি জেদ ?
যা বলবে সেটাই ?
সারাজীবন উল্টো বল
বলবো আমি যেটাই ।

স্বামী :💁‍♂️
উল্টো বলি ? বেশ বলি ,
করলে কেন বিয়ে ?
ডিভোর্স দিয়ে দাঁড়াও আবার
ছাদনাতলায় গিয়ে !

স্ত্রী :💁‍♀️
পাগল নাকি ? ন্যাড়া ক বার
বেলতলাতে যায় ?
দিল্লি কা ঐ লাড্ডু  আবার
সাধ করে কেউ খায় ?

স্বামী :💁‍♂️
আচ্ছা ম্যাডাম ভুল হয়েছে ,
এবার করো ক্ষমা ,
যতো তোমার মধুর বচন
এখন রাখো জমা ।

স্ত্রী :💁‍♀️
এই তো শুরু , এখনও তো
অনেক আছে বাকি ,
এক দিনে সব ঝগড়া করে
এমনি দেবে ফাঁকি ?

স্বামি:💁‍♂️
যাই বলগো রাগলে তোমায়
আজও Sweet লাগে ,
আজও তেমন লাল হয়ে যাও
যেমনি যেতে আগে !
রাতের মেনু কি Darling ?
হলো অনেক রাত,
চলো এবার Dinner করি
খতম করো বাত ।

👫👫👫👫👫👫

Sunday, June 11, 2023

ছবিটা থাক। ছবিটা গুরুত্বপূর্ণ!


আজ থেকে ৩৫ বছর আগে ৮ই জুন মানে গতকালকের তারিখে বাংলাদেশে  রাষ্ট্র ধর্ম হিসাবে ইসলাম জাতীয় সংসদে পাস হয়।

১৯৮৮ সালের ৭ই জুন বাংলাদেশের সংসদে সংবিধানের অষ্টম সংশোধনী পাশ হয়। সেখানেই রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে ইসলাম স্বীকৃতি পায়।

কেন দিলাম এটা? অনেকেই জানেন এটা। কিন্তু আবার অনেকেই জানেন না‚ স্পেশালি অরাজনৈতিক লোকজন যারা। সেটা হল যে বাংলাদেশ এর রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম। অর্থাৎ বাংলাদেশে হিন্দুরা সাংবিধানিকভাবেই দ্বিতীয় শ্রেনীর নাগরিক। এবং তারপর তথাকথিত ধর্মনিরপেক্ষ দল ওই রাষ্ট্রে ক্ষমতায় এসেছে। কিন্তু রাষ্ট্রধর্ম পালটায়নি। কারণ ওদের কাছে ধর্ম আগে। রাজনীতি পরে। 

যারা যারা বাংলাদেশ শুনেই আহ্লাদে আটখানা হয়ে অর্গ্যাজম পেতে শুরু করে‚ তা সে দ্যাশের বাড়ির জন্যই হোক‚ বাংলা (!!) ভাষার জন্যই হোক বা অন্য যেকারণেই হোক‚ তাদের ছোট্ট করে মনে করিয়ে দেওয়া হোক যে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় ও তার সহকর্মীদের বহু সংগ্রামের ফলে তৈরী এই সীমান্তটি পেরোলেই কিন্তু আপনি সাংবিধানিকভাবেই দ্বিতীয় শ্রেনীর নাগরিক! দ্বিতীয় শ্রেনীর নাগরিক বোঝেন?  বোঝেন না? বুঝিয়ে দিচ্ছি। 

ব্রিটিশরা যেমন লিখে রাখত Dogs and Indians are not allowed! সেটা ছিলো ভারতীয়দের দ্বিতীয় শ্রেনীর নাগরিক হিসাবে ট্রিট করা। আবার বাংলাদেশে যেমন রাষ্ট্রধর্ম হিসাবে একটি ধর্মকে স্থান দেওয়া হয়েছে‚ রাষ্ট্র যেখানে একটি মাত্র ধর্মেরই পৃষ্ঠপোষকতা করে তখন অন্যরা হয়ে যায় দ্বিতীয় শ্রেনীর নাগরিক! 

বোঝা গেল? 

ইয়ে পাকিস্তান আর বাংলাদেশে কোনো অমুসলিম রাষ্ট্রপতি হতে পারে না রাষ্ট্রধর্মের কারণে। এটা জানতেন? 

'৪৭ এ ভারত দুই ভাগে ভাগ হল। অন্য খন্ডটা আবার দুই ভাগ হয়ে নিজেদের রাষ্ট্রধর্ম বানিয়ে নিল। আর হিন্দুরা কী পেল? বাবাজি কা ঠুল্লু? :)

Wednesday, April 19, 2023

মহিলাদের চেয়ে পুরুষের লজ্জা বেশী!


একবার এক স্কুলে স্থানীয় মহিলারা একটি সাধারণ সভার আয়োজন করেছিলেন।
সেখানে কথা বলতে যেয়ে এক মহিলা বললেন যে, "মহিলাদের চেয়ে পুরুষের লজ্জা বেশী।"
কথাটা শেষ করতে না করতেই একজন ভদ্রমহিলা উঠে দাঁড়ালেন। প্রতিবাদের সুরে বললেন, 'দিদি, আপনার কথাটা মানতে পারলাম না। পুরুষ মানুষের আবার লজ্জা দেখলেন কোথায়?
ওরা তো বেশরম- বেলাজ।
প্রথম মহিলা দ্বিতীয় মহিলাকে থামিয়ে বললো, "দিদি, আপনি কি করেন?
তিনি বললেন, এই স্কুলে শিক্ষকতা করি।
প্রথম মহিলা বললেন, কয়জন পুরুষ আর কয়জন মহিলা শিক্ষক আছেন এই স্কুলে?
তিনি বলেন, আমরা সমান সমান- চার জন পুরুষ চার জন মহিলা। হাসি মুখে উত্তর দিলেন ভদ্রমহিলা।
প্রথম মহিলা বললেন, "দিদি আপনি কি কোন দিন আপনার পুরুষ সহকর্মীদের পেট-পিঠ দেখেছেন?"
ভদ্রমহিলা ভ্রু কুচকে তাকালেন।
বললেন তার মানে..?
প্রথম মহিলা বললেন, "দেহ প্রদর্শন করা নির্লজ্জতা। কিন্তু এই কাজটা সাধারণত পুরুষেরা করে না। আপনার যদি কখনো ইচ্ছে হয়, আপনার কোন পুরুষ সহকর্মীর পেট কিংবা পিঠ দেখবেন, তাহলে তাকে ডেকে বলতে হবে ভাই আপনার শার্ট কিংবা পাঞ্জাবীটা একটু উপরে তুলুন তো, আমি আপনার পেট কিংবা পিঠ তা একটু দেখব।
সেই ভাই তখন নির্ঘাত আপনাকে পাগল মনে করবে।
আর আপনার পেট-পিঠ কতভাবে কত এ্যাংগেলে কত শত পুরুষ- মহিলা দেখছে তার কি কোন হিসাব আছে?

পুরুষেরা পেট/পিঠ বের করা পোষাক পরে বাইরে কিংবা অফিস-আদালতে যাবে না, এটা তাদের স্বাভাবিক লজ্জা। যা থাকা উচিত ছিল মেয়েদের। অথচ মেয়েরা কিভাবে গলাটা আর একটু বড় করে কাঁধ এবং বুকের উপরি অংশ বের করা যাবে, কিভাবে জামার হাতার উপরি অংশ কেটে মাসেল দেখানো যাবে- সেই
চেষ্টা করে।

লজ্জাহীনতা মেয়েদের অস্থিমজ্জায় এমনভাবে ঢুকে গেছে যে, এ বিষয়টাকে তারা লজ্জার বিষয় বলে মনেই করে না!

অনুগল্প : লজ্জা

Monday, April 10, 2023

মুশকিল হয়েছিল, শ্মশানে তাঁর পাদুটো কিছুতেই পুড়ছিল না!

তিনি হলেন আটচল্লিশ ইঞ্চি ছাতিওয়ালা ফুটবলার গোষ্ঠ পাল।
খালি পায়ে ফুটবল খেলতেন।
অপর দিকে ইংরেজ খেলোয়াড়রা খেলত বুট পরে।
ইংরেজ খেলোয়াড়রা  গোষ্ঠ পালের দুর্ভেদ্য চীনের প্রাচীর,  কিছুতেই ভেদ করতে পারত না।
 লাথি মেরে বল উড়িয়ে দিত গোষ্ঠ পাল ইংরেজদের দিকে।
শোনা যায়,ছোটবেলায় স্বামী বিবেকানন্দের বাণী  পড়ে ফুটবল খেলার অনুপ্রেরণা পেয়েছিলেন।
স্বামীজি বলেছিলেন,
গীতা পাঠের চেয়ে ফুটবল খেলা ভাল।
তাই গোষ্ঠ পালের মনে হল বলে লাথি মেরে ইংরেজের পদাঘাতের জবাব  দিতে হবে।
এভাবেই গোষ্ঠ পালের ফুটবলে মিশে গিয়েছিল ফুটবল আর দেশপ্রেম।
বিশিষ্ট রাজনৈতিক  নেতা অতুল্য ঘোষ একসময় বলেছিলেন যে, 
গোষ্ঠ পাল স্বাধীনতা সংগ্রাম না করেই  একজন  স্বাধীনতা সংগ্রামী। 
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রথম আলাপে  সস্নেহে বলেছিলেন, 
তুমিই তাহলে চীনের প্রাচীর গোষ্ঠ পাল! 
১৯৬২ সালে ভারতবর্ষে  তিনিই ফুটবলে  প্রথম পদ্মশ্রী সম্মান লাভ করেন।
তিনি ছিলেন একজন মনেপ্রাণে বাঙালি।
রাষ্ট্রপতির হাত থেকে পুরস্কার নিতে যাওয়ার আগে রাষ্ট্রপতির আপ্তসহায়ক নির্দেশ পাঠালেন, গোষ্ঠ পাল যেন গলাবন্ধ কোট পরে আসেন।
গোষ্ঠ পাল জানিয়ে দিলেন তিনি কোট পরবেন না।  
ধুতি পাঞ্জাবী পরে পুরস্কার নেবেন।
রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে গোষ্ঠ পালের কথাই মেনে নেওয়া হল।
এই হলেন গোষ্ঠ পাল!
 গোষ্ঠ পাল মারা যাওয়ার পর শ্মশানে নিয়ে যাওয়া হল।
আগুনে মৃতদেহের  সব পুড়ে গেল।
কিন্তু  আগুনে  গোষ্ঠ পালের পা দুটো কিছুতেই পুড়ছে না দেখে গোষ্ঠ পালের ছেলে শৌরীশ পাল নিমতলা শ্মশানে উপস্থিত  ফুটবলার শৈলেন মান্নাকে বললেন,  বাবার পা দুটো  পুড়ছে না কেন? 
 শৈলেন মান্না তখন বলে উঠলেন,  গোষ্ঠদার পা যে " সোনার পা।" 
অত সহজে কি পোড়ে?
গতকাল ছিল বিখ্যাত ফুটবলার গোষ্ঠ পালের প্রয়াণ দিবস ( ১৮৯৬ - ১৯৭৬)।  
আমাদের গভীর শ্রদ্ধা রইল।

© পীযূষ দত্ত
তথ্যসূত্রঃ
গোষ্ঠ পালের জীবন নিয়ে নানা লেখা  ও পত্রিকার প্রতিবেদন।
এর ওপর ভিত্তি করে আমার এই লেখা।

Follow অহর্নিশ - Ahornish

শ্রীশ্রী গুরুচাঁদ ঠাকুরের বাণী


১. নির্বোধ সরল জাতি মূল নাহি বোঝে।
যে যাহা বলিয়া যায় তাই শুনে মজে।
কি বলিব দুঃখের কথা বুক ফেটে যায়, 
শত্রু কি বান্ধব এরা চেনে নাকো হয়।।

২.বোকা যদি নমঃশূদ্র নীতি নাহি জানে 
শ্রাদ্ধ বিবাহে ব্যয় করে অকারণে।।

৩. ব্রাহ্মণের দুর্নীতি শুরু হলো জানা 
ব্রাহ্মণ্যবাদের প্রতি জেগে ওঠে- ঘৃণা। 
ব্রাহ্মণ রচিত সব অভিনব গ্রন্থ 
ব্রাহ্মণ প্রধান মার্কা বিজ্ঞাপন যন্ত্র।।
ব্রাহ্মণের স্বার্থে তারে শাস্ত্র লেখে তারা।
শাস্ত্রের বিধান মানে অব্রাহ্মণ যারা।।
ব্রাহ্মণ কি অধিকারী দীক্ষাগুরু যারা।
ফাঁকি দিয়ে প্রণামী টাকা নেয় তারা।।
ব্রাহ্মণ প্রধান মার্কা যত শাস্ত্র গ্রন্থ 
সবাই জানিবে শুধু শোষণের যন্ত্র।। 

৪. ভেগধারী বৈষ্ণবের ভিক্ষা নাহি দিবে।
ভিক্ষা দিলে ব্যাভিচার বাড়িয়া  চলিবে।।

৫. স্বর্গের চাবি রাখে ব্রাহ্মণ সুজন ,
পদধুলি দানে করে পাপের মোক্ষন।
জন্ম মৃত্যু বিবাহ আদি কিছু ফাঁক নাই, 
পদে পদে বিপ্র পদে কিছু দেয়া চাই।।

৬.দেবতা মন্দির সবে গড় ঘরে ঘরে।
নিত্যপূজা কর সেথা সরল অন্তরে।।
এইখানে বলি আমি এক সমাচার।
দেবতা মন্দিরে পূজা করিবে কাহার।।
বিশ্বভরে এই নীতি দেখি পরস্পর।
যে যারে উদ্ধার করে সেই তার ঈশ্বর।।
ক্ষত্রগনে রামচন্দ্র রক্ষা করেছিল।
রামকে ঈশ্বর বলি ক্ষত্রিয় মানিল।।
খৃষ্ট আসি জন্মিল খৃষ্টানের ঘরে।
যতেক খৃষ্টান তারা তাঁর পূজা করে।।
এইরূপে খৃষ্ট, কৃষ্ণ কিংবা মহম্মদ।
বিভিন্ন জাতির তারা পরম সম্পদ।।
তোমাদের এইকুলে হরি অবতার।
দয়াকরে নমঃশুদ্রে করিল উদ্ধার।।
তাঁর পূজা কর সবে তাঁর ভক্ত হও।।
নিজ ঘরে ভগবান ফেলে কোথা যাও।।

৭. নরাকারে ভূমন্ডলে যত জাতি আছে ,
এক জাতি বলে মান্য পাবে মোর কাছে।।
       শ্রীশ্রী গুরুচাঁদ চরিত।