ছবিটা থাক। ছবিটা গুরুত্বপূর্ণ!


আজ থেকে ৩৫ বছর আগে ৮ই জুন মানে গতকালকের তারিখে বাংলাদেশে  রাষ্ট্র ধর্ম হিসাবে ইসলাম জাতীয় সংসদে পাস হয়।

১৯৮৮ সালের ৭ই জুন বাংলাদেশের সংসদে সংবিধানের অষ্টম সংশোধনী পাশ হয়। সেখানেই রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে ইসলাম স্বীকৃতি পায়।

কেন দিলাম এটা? অনেকেই জানেন এটা। কিন্তু আবার অনেকেই জানেন না‚ স্পেশালি অরাজনৈতিক লোকজন যারা। সেটা হল যে বাংলাদেশ এর রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম। অর্থাৎ বাংলাদেশে হিন্দুরা সাংবিধানিকভাবেই দ্বিতীয় শ্রেনীর নাগরিক। এবং তারপর তথাকথিত ধর্মনিরপেক্ষ দল ওই রাষ্ট্রে ক্ষমতায় এসেছে। কিন্তু রাষ্ট্রধর্ম পালটায়নি। কারণ ওদের কাছে ধর্ম আগে। রাজনীতি পরে। 

যারা যারা বাংলাদেশ শুনেই আহ্লাদে আটখানা হয়ে অর্গ্যাজম পেতে শুরু করে‚ তা সে দ্যাশের বাড়ির জন্যই হোক‚ বাংলা (!!) ভাষার জন্যই হোক বা অন্য যেকারণেই হোক‚ তাদের ছোট্ট করে মনে করিয়ে দেওয়া হোক যে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় ও তার সহকর্মীদের বহু সংগ্রামের ফলে তৈরী এই সীমান্তটি পেরোলেই কিন্তু আপনি সাংবিধানিকভাবেই দ্বিতীয় শ্রেনীর নাগরিক! দ্বিতীয় শ্রেনীর নাগরিক বোঝেন?  বোঝেন না? বুঝিয়ে দিচ্ছি। 

ব্রিটিশরা যেমন লিখে রাখত Dogs and Indians are not allowed! সেটা ছিলো ভারতীয়দের দ্বিতীয় শ্রেনীর নাগরিক হিসাবে ট্রিট করা। আবার বাংলাদেশে যেমন রাষ্ট্রধর্ম হিসাবে একটি ধর্মকে স্থান দেওয়া হয়েছে‚ রাষ্ট্র যেখানে একটি মাত্র ধর্মেরই পৃষ্ঠপোষকতা করে তখন অন্যরা হয়ে যায় দ্বিতীয় শ্রেনীর নাগরিক! 

বোঝা গেল? 

ইয়ে পাকিস্তান আর বাংলাদেশে কোনো অমুসলিম রাষ্ট্রপতি হতে পারে না রাষ্ট্রধর্মের কারণে। এটা জানতেন? 

'৪৭ এ ভারত দুই ভাগে ভাগ হল। অন্য খন্ডটা আবার দুই ভাগ হয়ে নিজেদের রাষ্ট্রধর্ম বানিয়ে নিল। আর হিন্দুরা কী পেল? বাবাজি কা ঠুল্লু? :)

Comments

Popular posts from this blog

গুরুচাঁদ চরিত পর্ব :- 97 নিখিল বঙ্গ নমঃশূদ্র সম্মেলন বা খুলনা কনফারেন্স

Hindus are on the verge of extinction in the Grass of the Python, according to the helpless affectionate.

the sacrifice of Sri Guru Gurchand Thakur's whole life, I am trying to raise my mind