Thursday, April 9, 2020

বাঁচতে চাই অরুণ বিশ্বাস

বাঁচতে চাই
অরুণ বিশ্বাস
বিশ্ব জুড়ে লকডাউন, বাংলাদেশ ও তেমন,
বাঁচতে করোনা থেকে, এই বিধি প্রচলন ।
মহামারি করোনা ভাইরাস, সবার আতঙ্ক !
বাছেনা গরিব ধনী, বায়ু তার যোগ অঙ্ক ?

খেতে পেলে বাঁচবো সবে,এর বিকল্প নাই,
সকল কাজ বন্ধ এখন, যাবো কার ঠাই ?                                                                                                                                                                                                            
পয়সা যাদের বেশি, খাদ্য করেছে মজুদ !
দিন মজুরী রিক্সা চালক, তাদেরি আপদ !

সরকার বন্টনে খাবার, মেটেনা চাহিদা--
ধনী জনে বিলি করে, যাঁর যেমন সওদা ।
ভাইরাস উপেক্ষা করে,সেবা দিচ্ছে যে জন,
মরণ কে বরণ করে, চালায় সেবা রণ !

ডাক্তার সেবা দিদি, উপেক্ষা করে স্বাস্থ্য বিধি !
আক্রান্ত হয়ে তাঁনারা, ঘরে রয় নিজে বন্ধি ।
কতো শতো প্রতিষ্ঠান, বিধি বার্তা সচেতন,
সকল গণ মাধ্যমে,বার্তা পৌছে করে চেতন ।

পাড়ায় পাড়ায় মাইকিং, করলো সযতনে,
বাঁচার মহা রণ, পৃথিবী দেখলো নয়নে ।
বাজি রেখে নিজ জীবন,করে মানব সেবা,
জগত জুড়ে মহামানব,খ্যাতি দেবে সভা ।

ভাত নুন পেলে, তবে- বাঁচবে মহা জীবন !
থাকবো ঘরে অন্তরীণ, সুরক্ষা দেহ পণ ।
বিস্তারে ভাইরাস, যদি- সমগ্র জনপদ,
নিস্তার পাবেনা কেহ, হবে সমূহ বিপদ !

 শাক অন্নে জীবন রাখি, থাকি সবাই ঘরে,
বন্ধ আজি দোকান যান,জীবন সব উপরে ।
গোলা ভরা ধান আছিলো, চাউল শূণ্য ঘর,
ধান চাটাই কল বন্ধ, ঢেঁকির নাই খবর ।

পড়শি আজি পর করে, করোনা ভাইরাস !
সুস্থ্য থাকে যে যাঁর বাড়ি,এটাই মনে আশ ।
করোনা মহামারি, রূপ যুদ্ধাপেক্ষা ভিষন !
ঘরে থাকি বুকে আশা,যতো শিঘ্র অবসান ।

থাকতে পারে অর্থ ঘরে,তাতে দেবেনা খাবার,
ধনি গরিব এক জমাতে, নাই মত আচার । 
মতবাদে লালনিছে, কতো বিভেদের বাণী,
মানুষ-ই এক জাতি, শুনি তাঁরি পদধ্বনি ।
তারিখ ৯।৪।২০২০

Wednesday, April 8, 2020

লক ডাউনের আজ ১২০ দিন পড়লো। বাংলায় আক্রান্তের সংখ্যা আজ ২ কোটি ছাড়িয়েছে। সারা ভারতে ৪১ কোটি। মৃত প্রায় ১.৫ কোটি।

পড়ে দেখার অনুরোধ রইলো
দারুন লেখা....😢😢😢😢😢
২৫/০৭/২০২০
সকাল  ১০ টা

লক  ডাউনের আজ ১২০ দিন পড়লো। বাংলায় আক্রান্তের সংখ্যা আজ ২ কোটি ছাড়িয়েছে। সারা ভারতে ৪১ কোটি। মৃত  প্রায় ১.৫ কোটি। 

ভ্যাপসানি গরমে একটু ঠান্ডা বাতাস পাওয়ার জন্য তপ্ত দুপুরে জানলার ধারে বসে আছি। সারা দিনে এখন ওই ঘন্টা তিনেক বিদ্যুৎ পাওয়া যায়। শুনেছি পাওয়ার স্টেশন গুলোতে কাজ করতে যাবার লোক নেই। অল্প একটু টিভিতে নিউজ দেখতে পাই । নিউজ বলতে শুধু আক্রান্ত আর মৃতের সংখ্যাটা দেখায়।খবর পড়ে শোনানোর এখন কেউ নেই। 

আমাদের পাড়াটা আজ থেকে দেড় মাস আগেও কেমন গমগম করত আর এখন, মানুষের গলার আওয়াজ পাওয়া যায় না। অদ্ভুত এক নিস্তব্ধতা!! আছেই বা কে পাড়াতে । শশ্মান এ নিয়ে যাবারও কেউ নেই পাড়াতে। অধিকাংশই তো বাড়ির উঠনেই, গর্ত খুঁড়ে !
 
এই কদিন খাবার পাওয়াটাও খুব কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।কদিন আগেও একটা গাড়ি এসে পাড়ায় যে কজন বেঁচে আছে তাদেরকে ভাত আর ডাল দিয়ে যেত এই দুদিন তারাও আর আসে না। হয়তো তারাও !!! কোনরকমে শুধু সেদ্ধ ভাত খেয়ে বেঁচে আছি, কিন্তু কদিন ?? মুদির দোকানও সব বন্ধ। গোনাগুন্তি যে কজন সুস্থ আছে, ভয়ে তারাও দোকান খুলছে না আর। দু একটা ঔষধের দোকান কদিন দু এক ঘন্টার জন্য খুলেছিল এখন শুনছি আর কোন মেডিসিনই দোকানে আসছে না। সব বন্ধ।হাসপাতাল গুলোর অবস্থা আরও খারাপ।শুনেছি চিকিৎসা করতে করতে,অধিকাংশ ডাক্তার নার্সরাই আজ আক্রান্ত। যে কজন আছেন কোন মতে চালাচ্ছেন। হয়তো হাসপাতালটাও বন্ধ হয়ে যাবে। অনেক আগেই বন্ধ করে হয়ে গেছে ইন্টারনেট পরিষেবা। বন্ধ ফোন কোম্পানি গুলোও। দু একটা ব্যাংক কয়েকদিন চলেছিল বটে কিন্তু এখন শাট ডাউন হয়ে গেছে সব ব্যাংক।
কিছু দিন আগেও যে পুলিশ আপ্রাণ চেষ্টা করছিল সবাইকে বাঁচাতে এখন আর তাদেরকেও সেভাবে দেখা যায় না। 

কেমন অবাক লাগছে !! এই তো মাস দেড়েক আগেও কেমন ছিল আমার গ্রাম টা !! আর আজ ? মনে হচ্ছে না কোন মানুষ আছে এখানে। চারদিকে শুধু নিস্তব্ধতা আর ভ্যাপসা গন্ধ। 

কি ভুলটাই করেছি, তখন যদি সরকারের কথা শুনতাম !! আড্ডা মারা, তাস খেলা যদি বন্ধ করে দিতাম!!
ওই ওই,,,,,,, আরো বাড়ল মৃতের সংখ্যা। একটা এম্বুলেন্সের সাইরেন অনেকক্ষন ধরে বেজেই চলেছে।

ঘটনা কাল্পনিক হলেও এই অবস্থায় পৌঁছাতে সময়ও লাগবে না বেশি দিন আবার বাঁচার জন্য আমাদের হাতে সময়ও আছে কয়েকটা দিন। তাই প্রশাসনের লক ডাউন মেনে চলা ছাড়া বেঁচে থাকার দ্বিতীয় কোন রাস্তা আমাদের কাছে খোলা নেই। আসুন শত  কষ্ট হলেও দাঁতে দাঁত চেপে ঘরের মধ্যেই থাকি। পরিবারকে বাঁচাই, দেশকে বাঁচাই।🙏🙏

#সংগৃহীত

একটা মিথ্যা সাজানো গল্প সত্যি হয়ে গেল। সারাদেশে হৈ হৈ পড়ে গেল ট্রাম্প মোদীকে হুমকি দিয়েছে।

গত দুদিন ধরে একটা খবরে ছেয়ে গেছে দেশের সমস্ত মিডিয়া। খবরটা বেশ মুখরোচক, যদি ভারত আমেরিকাকে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন না দেয় তাহলে ভারতের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে আমেরিকা এই রকমই হুমকি দিয়েছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সাথে একটা দু'ঘণ্টা লম্বা ভিডিওর থেকে কয়েক সেকেন্ডের ক্লিপ দেখানো হচ্ছে তাতে ট্রাম্পবাবু বলছেন "রেটালিয়েশন তো হতেই পারে, কেন হবেনা"। ব্যাস আর কি চাই? খবরের সাথে সাথে তার সত্যতা যাচাই করার জন্য ভিডিও ক্লিপিংও রয়েছে। সারাদেশের মিডিয়া, দেশের মোদিবিরোধী জনতা, এমনকি বিজেপি এবং মোদির সাপোর্টাররাও ট্রাম্পের বিরুদ্ধে রে রে করে উঠলেন এই বিষয়ে। কেউ এই খবরটা এই ভিডিওটার আসল গল্প খুঁজে বার করার চেষ্টাও করলেন না। বিজেপির আইটি সেল ইদানিং রভিশ কুমারের দয়ায় খুব নাম করেছে। কিন্তু তাদের মধ্যেও কাউকে দেখলাম না এত বড় একটা মিথ্যা প্রচার এর বিরোধীতা করতে। সকাল থেকে যাদের যাদেরকে আমি এই বিষয়ে বলতে গেছি তারাই দেখেছি এই বিষয়ে বিশেষজ্ঞ মতামত নিয়ে তেড়ে এসেছেন। "ট্রাম্প বলেছে তো, ভিডিও আছে। তুমি দেখনি ? দাড়াও তোমায় পাঠাচ্ছি।"

ঘটনাটা ভারতের সবথেকে প্রথম রিপোর্ট করে এনডিটিভি। ওদের এটাই কাজ, দেশবিরোধী কথা প্রচার করাতে ওদের বিশেষ পারদর্শিতা আছে। পরে, তাদের দেখাদেখি প্রিন্ট, অয়ার, এবিপি, মানি কন্ট্রোল ইত্যাদি মোটামুটি সব রকম নিউজ পোর্টালে এই খবরটা ছড়িয়ে পরলো। কিছু বিদেশী মিডিয়া হাউসঅ এই বিষয়টা নিয়ে বেশ রসিয়ে কয়েক পাতা লিখে ফেলল। কিন্তু কেউই আসল গল্প জানতে চাইল না বা জানলেও লিখল না। "Media Distortion Examples" বলে যদি গুগলে সার্চ করেন তাহলে এই ধরনের অনেক উদাহরণ দেখতে পাবেন। এইটাও বোধহয় পরবর্তীকালে এই সার্চ এর রেজাল্ট হিসাবে দেখতে পাওয়া যাবে।

এবার আসা যাক কাজের কথায়। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একটি সাংবাদিক সম্মেলনে সাংবাদিকদের তরফ থেকে আসা প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছিলেন এক এক করে। সেখানে এক সাংবাদিক তাকে এই প্রশ্নটা করেন: "Are you worried about retaliation to your decision to ban export of medical goods like Indian Prime Minister Modi's decision to not export Hydroxychloroquine to the United States and other countries?"
এটার বাংলা মানে করলে দাঁড়ায়,

ঠিক যেমন প্রাইম মিনিস্টার মোদী হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন আমেরিকা এবং অন্যান্য দেশে রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন তেমনি আপনি যে চিকিৎসা সংক্রান্ত দ্রব্যাদি বিদেশে রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে রেখেছেন, তার বিরুদ্ধে প্রতিশোধস্পদ পদক্ষেপ নিয়ে চিন্তিত ?

উত্তরের ট্রাম্প বাবু অনেক কথাই বলেন। বলেন মোদীজির সাথে তার কি কি কথা হয়েছে তিনি কেন আশাবাদী যে প্রাইম মিনিস্টার মোদী তাঁকে এই ওষুধগুলো পাঠাবেন। তারপর উত্তরের শেষের দিকে তিনি বলেন আর Retaliation, সে তো হতেই পারে, কেন হবেনা।

এখানে প্রশ্ন ছিল, তাঁর স্বাস্থ্য সম্বন্ধীয় সামগ্রী অন্য দেশে না পাঠাবার সিদ্ধান্তের জন্য আজ আমেরিকা ভুক্তভুগি হতে পারে কিনা সেই বিষয়ে। তিনি উত্তরে বলেন হ্যাঁ, সে তো হতেই পারে। এনডিটিভি যখন প্রথম এই বিষয়টা রিপোর্ট করে তখন এনডিটিভি ওই সাংবাদিকের প্রশ্ন করার যে অংশটুকু ছিল ওটা বাদ দিয়ে দেয়। শুধু ট্রাম্পের উত্তরটাই শোনা যায় এবং তাতে শেষের দিকে তিনি বলছেন "Retaliation, সে তো হতেই পারে, কেন হবেনা"। ব্যাস, একটা মিথ্যা সাজানো গল্প সত্যি হয়ে গেল। সারাদেশে হৈ হৈ পড়ে গেল ট্রাম্প মোদীকে হুমকি দিয়েছে। এই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী অফিসের তরফ থেকে কোনরকম সাফাই দেয়া হয়নি কারণ তারা বিশ্বব্যাপী মহামারী নিয়ে যৎপরোনাস্তি ব্যস্ত আছেন। কিন্তু লোকাল বিজেপি, রাজ্য বিজেপি, বিজেপির মুখপত্ররা এই বিষয়ে কেন কিছু বলতে পারলো না তার উত্তর আমার কাছে নেই।

এখন ভারত এই ওষুধ আমেরিকা ও অন্যান্য দেশে পাঠাবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেটাকেও "ট্রাম্পের হুমকির পরে ভারত ওষুধ পাঠাতে বাধ্য হলো" বলে প্রচার করা হচ্ছে। নেপথ্যে কি কি ঘটে গেল সেগুলো এখনও দেশের মিডিয়া কাউকে জানানোর প্রয়োজন মনে করেনি।

যা যা ঘটলো :

আমেরিকা ভারতের কাছে #হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন চেয়ে পাঠানোর পর ভারত আমেরিকার কাছে কতকগুলি শর্ত রাখে | শর্তগুলি হলো : ১) আমেরিকায় ভারতীয় কোম্পানির নিঃশুল্ক বানিজ্য করতে পারবে।
২) ভবিষ্যতে, ভারতীয় কোনো কোম্পানিকে FDA ব্যান করতে পারবেনা |
৩) বর্তমানে যে সমস্ত ভারতীয় ফার্মা কোম্পানি গুলোর উপর FDA ব্যান আছে তা যতশীঘ্র সম্ভব তুলে নিতে হবে |

আমেরিকা এই সমস্ত শর্তই মেনে নিয়েছে এবং আমেরিকার মার্কেট ভারতের কোম্পানির জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছে । ৩ সপ্তাহ আগেই ভারতের বড় ওষুধ তৈরির কোম্পানি Ipca Laboratories Limited আর Zydus Cadila কে অ্যন্টিম্যালেরিয়ার ড্রাগ হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন বানাতে ভারত সরকার অর্ডার দিয়েছিলো এই COVID-19 এর কারনে গোটা বিশ্বের প্রয়োজন পরতে পারে জেনেই‌ । কোম্পানি দুটি আগামী মাসের মধ্যেই ৪(চার) মেগাটন থেকে ৩০ মেগাটন আমেরিকার মার্কেটে পাঠাবে । Intas Pharmaceuticals Ltd, McW Healthcare Pvt Ltd, Macleods Pharmaceuticals Ltd., Cipla, Lupin, Abbott India Ltd., Unichem, Laurus Labs Limited, Sun Pharma ছাড়াও প্রায় ১০০ টা কোম্পানিতে হয় প্রোডাকশন চলছে কিংবা তারা যথেষ্ট পরিমাণে বাজারজাত করবার জন্য তৈরি করে নিয়েছে। বাস্তবতা হলো ভারতীয় ছোট থেকে বড় সব কোম্পানির ব্যাপকভাবে তাদের কাছে পর্যাপ্ত এই হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন আছে। ফলে আমাদের দেশের মানুষদের জন্য কখনোই এই মেডিসিন কম পরবে না । এরপর বেশি উৎপাদন করে তার সঠিক ভাবে ব্যবসায়িক লাভের বিষয় মোদীজীর মাথায় যথেষ্ট আছে । মাত্র ২৪ ঘন্টায় মোদীজীর শর্ত মেনে নিলো আমেরিকা। Ministry of External Affairs, Government of India বিশ্বজুরে মহামারীর জন্য নিজের দেশের জন্য পর্যাপ্ত মেডিসিন রেখেই আমেরিকা ছাড়াও বিশ্বের ৩০ টি দেশ যারা মহামারীর প্রকোপে ক্ষতিগ্রস্ত তাদেরকেও এই ওষুধ সাপ্লাইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে যা ব্যবসায়িক উন্নতির কারন তো অবশ্যই, সাথে মানবিকতার নিদর্শনও। এই সাহায্যের ফলে বিশ্বের কাছে ভারতের মর্যাদা বাড়বে এবং দেশ গুলোর সাথে সম্পর্কের উন্নতি হবে। যদি আজ ভারত এই দেশ গুলোকে সাহায্য না করে তবে এদের আবার চিনের কাছে সাহায্য চাইতে হবে। ফলে চিনের আধিপত্য কম করা সম্ভব হবেনা। হ্যাঁ এই সংকটময় পরিস্থিতিতেও ভারত সরকার ভবিষ্যতের জন্য সারা বিশ্বে ভারতীয় ফার্মা কোম্পানির জন্য এক বিশাল অর্থনৈতিক সুবিধার সুযোগ তৈরি করে নিলো। এটা একমাত্র মোদীজির বিচক্ষণতা আর উত্কৃষ্ট লিডারশিপের জন্যই সম্ভব হলো |

১) https://youtu.be/-C3OvkhtGW4

2)https://www.thepharmaletter.com/in-brief/brief-coronavirus-woes-see-us-fda-lift-ban-on-ipca-plants-in-india?fbclid=IwAR0LjwTgt-Y0FzNoaBgRWTAw07Ophj9hV33MJe7ucks-ipNoHBtVFXSCQdI

3)https://economictimes.indiatimes.com/industry/healthcare/biotech/pharmaceuticals/fda-lifts-curbs-on-indian-maker-of-malaria-touted-by-donald-trump-as-a-covid-counter/articleshow/74786575.cms?fbclid=IwAR2a4FwWNfS677IWKEjAANoZ2LMMKE8ZxI8_JQmHtCdB2wdsBIFNERL9AVs&from=mdr

Credits Anindya Nandi

Monday, April 6, 2020

Sincere congratulations🌹আন্তরিক অভিনন্দন 🌹ईमानदारी से बधाई

🌹আন্তরিক অভিনন্দন 🌹
গতকাল থেকে দেশের ব্যবসায়ীরা তাদের লাভ লোকসান ছেড়ে দেশ ও সেনাবাহিনীর পাশে এসে দাঁড়িয়েছে, গতকাল নয়ডা ব্যবসায়ীরা ১৫০ কোটি টাকার চাইনিজ দ্রব্য-এর অর্ডার বাতিল করেছে কি সন্ধ্যে পর্যন্ত শুধুমাত্র এনসিআর থেকে প্রায় ১৫০০ কোটি টাকা, এবং চীনের এই স্ক্যান্ডালে এর জন্য পুরো দেশ থেকে প্রায় ২ লক্ষ বিলিয়ন ডলার বাতিল করার নির্ণয় ছিল ।
তাই আজ চীন সরকার সিনহুয়া এক প্রেস কনফারেন্স-এ দিল্লির রাষ্ট্রপতির কাছে "পুনর্বহাল করার" মতো শব্দের প্রয়োগ করেছে, মাত্র ২ কোটি ডলারে যদি এই অবস্থা হয় তবে যদি ৬২ আরব ডলার বন্ধ হয়ে যায় তখন কি হবে?
কোনো সরকারি সাহায্য ছাড়াই, এনএসজি এবং মাসুদ আজহারকে সাপোর্ট করা এই চীন কে আমাদের দেশের ব্যবসায়ীরা যেভাবে নাজেহাল করেছে এখন যদি আমরা চীনের দ্রব্য কেনা বন্ধ করে দিই তবে আমাদের দেশের ব্যবসায়ীদের চীনের দ্রব্য বেচতেই হবে না, বা তাঁরা বেচবেনও  না। তারপর ও যে সমস্ত ব্যবসায়ী চীনের দ্রব্য বিক্রি বন্ধ করেছে তাঁরা সত্যি সম্মানের যোগ্য।
দেশ হীতের জন্য দেশের জনগণ যদি একজোট হয় তো তার ফলাফল সামনে আসে যা পুরো বিশ্বে জনগণের শক্তি বুঝতে পারে আর তখনি এক সম্পূর্ণ ভারতের নির্মাণ হয়, .... যদি সত্যি দেশপ্রেম জেগে থাকে তবে এটা পড়ে সবাইকে পড়ার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য দয়াকরে ফরওয়ার্ড করবেন। 🙏🏻🙏🏻
আগামীতে যদি চীন ভারতের ওপর নিজের আধিপত্য ফলায় বা চীনের অধীনস্ত করে ফেলে তারজন্য আমরাই দায়ী থাকবো। এটা আমরা কোনোদিন ভুলতে পারবোনা যে একদিন ইংরেজরাও ব্যবসা করতে এসেই আমাদের দেশকে তাদের অধীনে করে ফেলেছিলো। তখন আমরা অনভিজ্ঞ ছিলাম কিন্তু আজ তো আমরা সবাই শিক্ষিত / অভিজ্ঞ। স্বদেশী গ্রহণ করুন বিদেশী বর্জন করুন।
যদি পুরো ভারতবাসী ৯০ দিন বিদেশী জিনিস না কেনেন তো ভারত এই দুনিয়ার দ্বিতীয় ধনশালী দেশ হতে পারে। শুধু ৯০ দিনেই ভারতের ২ টাকা ১ ডলারের কাছাকাছি তে পৌঁছে যাবে।
আমরা অনেক জোকস ফরওয়ার্ড করি কিন্তু এটা যদি ফরওয়ার্ড করি তো একটা আন্দোলন তৈরী হতে পারে।
একটি সামান্য উদাহরণ গতবছর দীপাবলিতে একটি পদক্ষেপ নিয়েছিলাম চীনের লাইট বর্জন করে, তাতেই চীনের ২০% জিনিস নষ্ট হয়ে গিয়েছিলো এবং চীনের অবস্থা খারাপ হয়ে গিয়েছিলো, চীন বিভ্রান্ত হয়ে গিয়েছিলো।
এটা করা খুব অসম্ভব নয়, পার্থক্য চোখের সামনে এসেযাবে।
যদি এই দেশ কে ভালোবাসেন তাহলে আপনিই চিন্তা করে দেখুন শেয়ার করা উচিত কিনা? এই আন্দোলনের দরকার কিনা?
      🇮🇳 জয় হিন্দ 🇮🇳
--------------------------------------------------------------
ईमानदारी से बधाई
कल से, देश के व्यापारियों ने अपना मुनाफा खो दिया है और देश और सेना के पक्ष में खड़े हो गए हैं, कल नोएडा के व्यापारियों ने एनसीआर से केवल 1500 करोड़ रुपये के लगभग 150 मिलियन चीनी सामान के ऑर्डर को रद्द कर दिया, और पूरे देश में चीनी घोटाले के लिए लगभग 2। लाखों अरबों डॉलर का निदान था।
इसलिए आज, चीनी सरकार ने एक प्रेस कॉन्फ्रेंस में शिन्हुआ के राष्ट्रपति को "बहाली" जैसे शब्दों को लागू किया है, अगर यह स्थिति केवल $ 2 बिलियन है, तो 62 बिलियन डॉलर के बंद होने पर क्या होगा?
एनएसजी और मसूद अजहर की मदद से, सरकार की मदद के बिना, इस देश के व्यापारियों को, जिन्हें हमारे देश ने खत्म कर दिया है, अब अगर हम चीनी उत्पादों को खरीदना बंद कर देते हैं, तो हमारे देश के व्यापारियों को चीनी उत्पादों को बेचना या बेचना नहीं पड़ेगा। फिर जिन व्यापारियों ने चीनी उत्पाद बेचना बंद कर दिया, वे वास्तविक सम्मान के पात्र हैं।
यदि देश के लोग देश के लाभ के लिए एकजुट होते हैं, तो परिणाम आएगा, जो पूरी दुनिया में लोगों की ताकत को समझेगा, और फिर पूरे भारत का निर्माण किया जाता है।

भविष्य में, यदि चीन भारत पर अपना वर्चस्व कायम करता है या चीन को अपने अधीन कर लेता है, तो हम जिम्मेदार होंगे। हम यह कभी नहीं भूल सकते कि एक दिन अंग्रेज हमारे व्यापार में आ गए और हमारे देश को अपने अधीन कर लिया। हम तब अनुभवहीन थे, लेकिन आज हम सभी शिक्षित / अनुभवी हैं। स्वदेशी विदेशी को स्वीकार करें।
अगर पूरे भारतीय 90 दिनों में विदेशी सामान नहीं खरीदते, तो भारत दुनिया का दूसरा सबसे अमीर देश हो सकता है। भारत का रुपया महज 90 दिनों में 1 डॉलर के करीब पहुंच जाएगा।
हम बहुत सारे चुटकुलों को आगे बढ़ाते हैं लेकिन अगर हम इसे आगे बढ़ाते हैं तो एक आंदोलन बनाया जा सकता है।
एक छोटा सा उदाहरण पिछले साल दीपावली पर चीन की रोशनी को खत्म करने के लिए एक कदम था, जिससे चीन का 20% माल खराब हो गया और चीन की हालत बिगड़ने लगी, जिससे चीन भ्रमित हो गया।
ऐसा करना असंभव नहीं है, अंतर आंखों के सामने आ जाएगा।
यदि आप इस देश से प्यार करते हैं, तो आप सोच रहे होंगे कि क्या आपको साझा करना चाहिए? क्या आपको इस आंदोलन की आवश्यकता है?

      ज़ाय हिंद
----------------------------------------------------------------
Sincere congratulations
Since yesterday, traders from the country have lost their profits and stood on the side of the country and the army, yesterday noida traders canceled the order of 150 million rupees Chinese goods till evening only about Rs 1500 crore from NCR, and around 2 for the Chinese scandal from all over the country. Millions of billions of dollars were in the process of being canceled.
So today, the Chinese government has applied words like "reinstatement" to the President of Xinhua in a press conference, what if this situation is only $ 2 billion, what happens if the 62 billion dollars are closed?
With the help of NSG and Masud Azhar, without the help of the government, the traders of this country who have been annihilated by our country, now if we stop buying Chinese products, our merchants in the country will not have to sell, or they will not sell. Then the merchants who stopped selling Chinese products deserve real respect.
If the people of the country are united for the benefit of the country, the result will come, which will understand the strength of the people all over the world, and then the whole of India is built. If true patriotism is awakened, please forward it to everyone for reading.

In the future, we will be responsible if China exerts its domination over India or subjugates China. We can never forget that one day the British came under business and subjugated our country. We were inexperienced then but today we are all educated / experienced. Accept Swadeshi Exclude foreigners.
If the entire Indians did not buy foreign goods in 90 days, India could be the second richest country in the world. India's rupee will reach close to $ 1 in just 90 days.
We forward a lot of jokes but if we forward it a movement can be made.
One small example was a move to Deepavali last year by eliminating the lights of China, which caused 20% of China's goods to deteriorate and China's condition to deteriorate, leaving China confused.
It is not impossible to do this, the difference will come before the eyes.
If you love this country, then you should be thinking whether you should share? Do you need this movement?

      Jay Hind

Thursday, April 2, 2020

রাম নবমী কি ?


যুদ্ধে একে একে মারা পড়েছেন লঙ্কার সব বড়ো বড় বীর। রাবণ তখন একা কুম্ভের মতো রক্ষা করছেন লঙ্কাপুরী। তিনিও শ্রান্ত, বিধ্বস্ত। এমনকি একবার তো হনুমানের হাতে প্রচুর মার খেয়ে অজ্ঞানই হয়ে গেলেন। বেগতিক বুঝে রাবণ অম্বিকার স্তব করলেন:- - -

আর কেহ নাহি মোর ভরসা সংসারে। শঙ্কর ত্যজিল তেঁই ডাকি মা তোমারে।। রাবণে কাতর স্তবে হৈমবতীর হৃদয় টলল। তিনি কালী রূপে রাবণকে কোলে তুলে নিয়ে তাঁকে দিলেন অভয়। এই খবর রামের কানে যেতেই তিনি গুণলেন প্রমাদ। দেবতাদের ঘুম উড়ে যাওয়ার জোগাড় হল। ইন্দ্র ব্রহ্মার কাছে গিয়ে কাকুতি-মিনতি করে একটা কিছু করার অনুরোধ জানালেন।  ব্রহ্মা এসে রামকে পরামর্শ দিলেন, “দুর্গাপূজা করো। আর কোনো উপায় নেই ।।”

রাম বললেন, “তা কেমন করে হয়? দুর্গাপূজার
প্রশস্ত সময় বসন্তকাল। শরৎকাল তো অকাল। তাছাড়া বিধান রয়েছে, অকালবোধনে নিদ্রা ভাঙাতে হবে কৃষ্ণানবমীতে। সুরথ রাজা প্রতিপদে পূজারম্ভ করেছিলেন। কিন্তু সেকাল তো আর নেই। পূজা করি কিভাবে?” ব্রহ্মা বললেন, “আমি ব্রহ্মা, বিধান দিচ্ছি, শুক্লাষষ্ঠীতে বোধন করো।” শুনে রাম মহাখুশি হলেন।।

চণ্ডীপাঠ করি রাম করিল উৎসব। গীত নাট করে জয় দেয় কপি সব। রাম চণ্ডীপাঠ করে উৎসব করলেন। সেই সুযোগে বাঁদরের দল খানিকটা নাচগান করে নিল ।।

রামচন্দ্র কিভাবে দুর্গাপূজা করেছিলেন:
তার বর্ণনা । চণ্ডী -তে আছে, সুরথ রাজা দুর্গার মাটির মূর্তি গড়ে পূজা করেছিলেন (‘তৌ তস্মিন্ পুলিনে দেব্যাঃ কৃত্বা মূর্ত্তিং মহীময়ীম্।’ চণ্ডী , ১৩।১০)।

রামচন্দ্রও পূজা করেছিলেন নিজের হাতে তৈরি মাটির প্রতিমায় (‘আপনি গড়িলা রাম প্রতিমা মৃন্ময়ী’)। ষষ্ঠীর সন্ধায় বেল গাছের তলায় হল দেবীর বোধন। অধিবাসের সময় রাম স্বহস্তে বাঁধলেন নব পত্রিকা। সায়াহ্নকালেতে রাম করিল বোধন ।।

আমন্ত্রণ অভয়ার বিল্বাধিবাসন।। …
আচারেতে আরতি করিলা অধিবাস।
বান্ধিলা পত্রিকা নব বৃক্ষের বিলাস।।
সপ্তমীর দিন সকালে স্নান করে রাম ‘বেদবিধিমতে’ পূজা করলেন।

অষ্টমীর দিনও তাই। অষ্টমী-নবমীর সন্ধিক্ষণে রাম সন্ধিপূজা করলেন। দুই দিনই রাতে চণ্ডীপাঠ ও নৃত্যগীত হল। রামচন্দ্রের নবমী পূজার বিশদ বর্ণনা দিয়েছেন কৃত্তিবাস। বহুরকম বনফুল ও বনফলে পূজার আয়োজন হল। ‘তন্ত্রমন্ত্রমতে’ পূজা হল। কিন্তু দেবী দর্শন দিলেন না। তখন বিভীষণ উপদেশ দিলেন, “নীলপদ ্মে পূজা করুন। দেবী নিশ্চয় দর্শন দেবেন।”

কিন্তু নীলপদ্ম দুর্লভ। দেবতারাও তার খোঁজ রাখেন না। পৃথিবীতে একমাত্র দেবীদহ নামক হ্রদেই নীলপদ্ম মেলে। কিন্তু সেও লঙ্কা থেকে দশ বছরের পথ। শুনে হনুমান নিমেষে উপস্থিত হলেন দেবীদহে। এনে দিলেন একশো আটটি নীলপদ্ম। কিন্তু দুর্গা ছলনা করে একটি পদ্ম রাখলেন লুকিয়ে। রাবণকে তিনি কথা দিয়ে রেখেছিলেন কিনা। কিন্তু রামও ছাড়বার পাত্র নন। একটি নীলপদ্মের ক্ষতিপূরণে তিনি নিজের একটি চোখ উপড়ে নিবেদন করতে চাইলেন।

চক্ষু উৎপাটিতে রাম বসিলা সাক্ষাতে।
হেনকালে কাত্যায়নী ধরিলেন হাতে।।
কর কি কর কি প্রভু জগত গোঁসাই।
পূর্ণ তোমার সঙ্কল্প চক্ষু নাহি চাই।।

বাধ্য হয়েই দুর্গা রামচন্দ্রকে রাবণ বধের বর দিলেন। যাওয়ার আগে বলে গেলেন:অকালবোধনে পূজা কৈলে তুমি দশভূজা বিধিমত করিলা বিন্যাস। লোকে জানাবার জন্য আমারে  করিতে ধন্য অবনীতে করিলে প্রকাশ।।

এরপর রাম দশমীপূজা সমাপ্ত করে দুর্গাপ্রতিমাবিসর্জন দিলেন । তারপরে রাবণ বধের গল্প তো সবাই জানে। রামচন্দ্রের দুর্গাপূজার এই ইতিহাস বাল্মীকি রামায়ণে নেই। আছে দেবীভাগবত পুরাণ ও কালিকাপুরাণ -এ। খ্রিস্টীয় নবম -দ্বাদশ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে লেখা এই দুই পুরাণ, গবেষক মহলের মতে, বাঙালি স্মার্তদের দুই মহাকীর্তি।

কৃত্তিবাসের আগেও যে বাংলায় দুর্গাপূজার ব্যাপক প্রচলন ছিল, তার প্রমাণ ভবদেব ভট্টের মাটির মূর্তিতে দুর্গাপূজার বিধান (একাদশ শতাব্দী), বিদ্যাপতির দুর্গাভক্তি-তরঙ্গিনী (চতুর্দশ শতাব্দী), শূলপাণির দুর্গোৎসব-বিবেক (চতুর্দশ শতাব্দী) ও স্মার্তরঘুনন্দনের দুর্গাপূজা-তত্ত্ব (পঞ্চদশ শতাব্দী)।

অর্থাৎ, কৃত্তিবাসের যুগে (পঞ্চদশ শতাব্দীতে) দুর্গাপূজা ছিল বাঙালির এক প্রধান উৎসব। আর সেই জন্যই তিনি রামচন্দ্রকে দিয়ে দুর্গাপূজা করালেন সনাতন বাঙালি পন্থায়। যদিও কৃত্তিবাসী রামায়ণের দুর্গোৎসব বিবরণের সঙ্গে পৌরাণিক দুর্গোৎসব বর্ণনা ঠিক হুবহু মেলে না। যেসব পুরাণমতে আজ বাংলায় দুর্গাপূজা হয়, তার একটি হল কালিকাপুরাণ । এই পুরাণে রামচন্দ্রের দুর্গাপূজার বর্ণনা পাই।  কালিকাপুরাণ -এর ষাট অধ্যায়ের ২৬ থেকে ৩৩ সংখ্যক শ্লোকগুলি:
পূর্বে রামের প্রতি অনুগ্রহ করে রাবণ বধে তাঁকে সাহায্য করার জন্য ব্রহ্মা রাত্রিকালে এই মহাদেবীর বোধন করেছিলেন। বোধিতা হয়ে দেবী গেলেন রাবণের বাসভূমি লঙ্কায়। সেখানে তিনি রাম ও রাবণকে দিয়ে সাত দিন ধরে যুদ্ধ করালেন। নবমীর দিন জগন্ময়ী মহামায়া রামের দ্বারা রাবণ বধ করেন। যে সাত দিন দেবী রামরাবণের যুদ্ধ দেখে আনন্দ  করলেন, সেই সাত দিন দেবতারা তাঁর পূজা করেন ।।

রাবণ নিহত হলে নবমীর দিন ব্রহ্মা সকল দেবতাকে সঙ্গে নিয়ে দেবীর বিশেষ পূজা করলেন। তারপর দশমীর দিন শবরোৎসব উদযাপিত হল। শেষে দেবীর বিসর্জন হল। এখানে রাত্রিকাল কথাটির একটু ব্যাখ্যা প্রয়োজন। এই ব্যাখ্যার মধ্যেই রয়েছে, শরৎকালকে রাম কেন দুর্গাপূজার পক্ষে অকাল বলেছিলেন, সেই প্রশ্নের উত্তর ।।

সূর্যের দক্ষিণায়ণ দেবতাদের রাত। এই সময় দেবতারা ঘুমান। শরৎকাল পরে দক্ষিণায়ণের সময়। এই সময় দেবতাকে পূজা করতে হলে, তাকে জাগরিত করতে হয়। এই প্রক্রিয়াটিই হল বোধন। বৃহদ্ধর্মপুরাণ-এ রামের জন্য ব্রহ্মার দুর্গাপূজার বিস্তারিত বর্ণনা পাওয়া যায়। এই পুরাণের মতে, কুম্ভকর্ণের নিদ্রাভঙ্গের পর রামচন্দ্রের অমঙ্গল আশঙ্কায় দেবতারা হলেন শঙ্কিত। তখন ব্রহ্মা বললেন, দুর্গাপূজা ছাড়া অন্য কোনো উপায় নেই ।।

তাই রামচন্দ্রের মঙ্গলের জন্য স্বয়ং ব্রহ্মা যজমানী করতে রাজি হলেন। তখন শরৎকাল। দক্ষিণায়ণ। দেবতাদের নিদ্রার সময়। এতএব ব্রহ্মা স্তব করে দেবীকে জাগরিত করলেন। দেবী তখন কুমারীর বেশে এসে ব্রহ্মাকে বললেন, বিল্ববৃক্ষমূলে দুর্গার বোধন করতে। দেবতারা মর্ত্যে এসে দেখলেন, এক দুর্গম স্থানে একটি বেলগাছের শাখায় সবুজ পাতার রাশির মধ্যে ঘুমিয়ে রয়েছে একটি পরমাসুন্দরী বালিকা। ব্রহ্মা বুঝলেন, এই বালিকাই জগজ্জননী দুর্গা ।।

তিনি বোধন-স্তবে তাঁকে জাগরিত করলেন। ব্রহ্মার স্তবে জাগরিতা দেবী বালিকামূর্তি ত্যাগ করে চণ্ডিকামূর্তি ধরলেন। ব্রহ্মা বললেন, “রাবণবধে রামচন্দ্রকে অনুগ্রহ করার জন্য তোমাকে অকালে জাগরিত করেছি। যতদিন না রাবণ বধ হয়, ততদিন তোমার পূজা করব। যেমন করে আমরা আগামীকাল তোমার বোধন করে পূজা করব, তেমন করেই মর্ত্যবাসী যুগ যুগ ধরে তোমার পূজা করবে। যতকাল সৃষ্টি থাকবে, তুমিও পূজা পাবে এইভাবেই।”

একথা শুনে চণ্ডিকা বললেন, “সপ্তমী তিথিতে আমি প্রবেশ করব রামের ধনুর্বাণে। অষ্টমীতে রাম-রাবণে মহাযুদ্ধ হবে। অষ্টমী-নবমীর সন্ধিক্ষণে রাবণের দশমুণ্ড বিচ্ছিন্ন হবে। সেই দশমুণ্ড আবার  জোড়া লাগবে। কিন্তু নবমীতে রাবণ নিহত হবেন। দশমীতে রামচন্দ্র করবেন বিজয়োৎসব।” হলও তাই। মহাবিপদ কেটে গেল অষ্টমীতে; তাই অষ্টমী হল মহাষ্টমী। রাবণ বধ করে মহাসম্পদ সীতাকে লাভ করলেন রাম; তাই নবমী হল মহানবমী ।।

কৃত্তিবাসী রামায়ণে দুর্গাপূজা করেছিলেন রাম। কিন্তু পুরাণ বলে, রামের মঙ্গলের জন্য দেবগণ করেছিলেন পূজার আয়োজন। পুরোহিত হয়েছিলেন স্বয়ং ব্রহ্মা। কৃত্তিবাসের দুর্গাপূজা বিবরণে বাংলায় প্রচলিত লৌকিক প্রথার অনেক নিদর্শন ছড়িয়ে আছে। কিন্তু সেই বিবরণ সম্পূর্ণ শাস্ত্রানুগ নয়। যদিও কৃত্তিবাসকে ধরে লোকে আজকাল মনে করে, শরৎকালের দুর্গাপূজার সূচনা করেছিলেন রাম। কিন্তু এই সম্মান বুড়ো ঠাকুরদাদারই পাওয়া উচিত। আমাদের মনে রাখা উচিত, বাংলার লক্ষ লক্ষ দুর্গাপূজায় আজও বোধনের মন্ত্রে উচ্চারিত হয়:

ওঁ ঐং রাবণস্য বধার্থায় রামস্যানুগ্রহায় চ।
অকালে ব্রহ্মণা বোধো দেব্যস্তয়ি কৃতঃ পুরা।।
অহমপাশ্বিনে ষষ্ঠ্যাং সায়াহ্নে বোধয়মি বৈ।

(হে দেবী, রাবণবধে রামকে অনুগ্রহ করার জন্য ব্রহ্মা তোমার অকালবোধন করেছিলেন, আমিও সেইভাবে আশ্বিন মাসের ষষ্ঠী তিথিতে সন্ধ্যায় তোমার বোধন করছি।)

Wednesday, April 1, 2020

সংখ্যায় কম সেখানে তোমার ভাই সাজে। যেখানে বেশী, সেখানে তুমি ভাবতেই পারবে না, কেমন করে বদলে যায়। যেখানে কম, সেখানে নরম। যেখানে বেশী, সেখানে রোজ হিন্দু মরে। ও তোমার সাহায্য নিয়ে রোজগার করে, তারপর তোমারই বিনাশ করে।

আমারও মুসলিম বন্ধু আছে। আমার সঙ্গে একই ক্লাসে পড়ত। আজ অফিসেও আমার সঙ্গে মুসলিম কলিগ চাকরি করে। আমি যেখানে জিনিসপত্র কিনি, ওখানে মুসলিমরাও কেনে। যেখানে থাকি, পাশের গ্রামেই মুসলিম থাকে।

ও বলে, রাস্তায় জুম্মার নামাজ পড়বে--।
আমি বলি, ঠিক আছে। সংবিধান সবাইকে ধার্মিক আজাদী দিয়েছে।
ও বলে, আমরা মাংস খাবোই, সে ছাগলের হোক বা গাইয়ের ---।
---- ঠিক আছে, সংবিধান সবাইকে সব কিছু খাওয়ার অধিকার দিয়েছে।

যখন আমি বলি, দেশে "কমন সিভিল কোড" হওয়া উচিত।
ও বলে না, এটা ইসলামের খিলাফ!
----- বহুপত্নী প্রথা বন্ধ হওয়া উচিত।
ও বলে না, এটা ইসলামের খিলাফ!
------ জনবিস্ফোরণ থেকে দেশকে বাঁচাতে এখনই "জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ" আইন দরকার।
ও বাধা দেয়, বলে এটা ইসলামের খিলাফ!
------ তালাক শুধু কোর্টে হওয়া উচিত।
ও বলে, এটা হলে কোরানের অপমান হবে!
------বাংলাদেশী মুসলিম ও রোহীঙ্গাদের ফিরত পাঠানো দরকার।
ও তীব্র আপত্তি জানায় --- "না, কোনমতেই না, ওরা আমাদের ভাই"!
----- "রাম মন্দির হওয়া উচিত"।
ও বলে, অন্য কোথাও বানাও, কিন্তু অযোধ্যায় নয়। ওখানে কেবলমাত্র "বাবরি মসজিদ হবে"!
----- কাশ্মীরী পণ্ডিতদের ঘরে ফেরানো উচিত।
ও বলে, কাশ্মীরকে আজাদ করে দাও!
----- মাদ্রাসা বন্ধ করে সবাইকে একই স্কুলে সমান শিক্ষা দেওয়া হোক।
ও বলে, এটা ইসলামের জন্য অপমান!
----- "সবকা সাথ, সবকা বিকাশ" --- এটা মোদীজি খুব ভাল কাজ করেছেন।
ও বলে, মোদী মুসলমানদের ঘাতক!
----- পশ্চিমবঙ্গে হিন্দুদের সাথে পিসি ভীষণ অন্যায় করছেন।
ও বলে, পিসি খুব ভাল কাজ করছেন!
---- আতঙ্কবাদীদের গুলি করে মারা উচিত।
ও বলে, আরও একবার সুযোগ দেওয়া উচিত!
---- অযোধ্যা, মথুরা, কাশী --- তিন মন্দির ফিরিয়ে দাও।
ও বলে, একদম নয়। ওগুলো আমাদের মসজিদ!

ভাই, সব মুসলমান একই রকম হয়। যেখানে সংখ্যায় কম সেখানে তোমার ভাই সাজে। যেখানে বেশী, সেখানে তুমি ভাবতেই পারবে না, কেমন করে বদলে যায়। যেখানে কম, সেখানে নরম। যেখানে বেশী, সেখানে রোজ হিন্দু মরে। ও তোমার সাহায্য নিয়ে রোজগার করে, তারপর তোমারই বিনাশ করে।

#আর_অন্ধকারে_থেকো_না।
#ভারতমাতার_জয়🇮🇳

copied from 'Mintu Ghosh'

ভারতবর্ষে থাকার কোনো যোগ্যতা বা অধিকার এদের নেই....আপনারা ভাবুন.. জয় হিন্দ জয় ভারত They have no qualms or rights to stay in India .... You think .. Joy Hind Joy India

🙏 Friends,
For a month, the country suffers from colonization .. The special mindsets of India who are desperate at various times to improve India ...
Those who are eager to prove the Prime Minister's right action wrong
 People who claim to be true Indian from birth .....
Where did they disappear during this sad time in India? 2
Are they so helpless that some poor people have lost the ability to put food in their mouths? 2
Friends will no longer trust these selfish, inferior, savage, inferior political or industrial personalities ......
 In fact, they are not responsible to society in any way, only for the sake of their political interests or their religious sentiments.
 They have no qualms or rights to stay in India .... You think .. Joy Hind Joy India
------------------------------------------------------
 🙏दोस्तो,
एक महीने के लिए, देश उपनिवेश से ग्रस्त है .. भारत के विशेष मानसिकता जो भारत को बेहतर बनाने के लिए कई बार हताश हैं ...
जो लोग प्रधान मंत्री के सही कार्य को गलत साबित करने के लिए उत्सुक हैं
 जो लोग जन्म से ही सच्चे भारतीय होने का दावा करते हैं .....
भारत में इस दुख के समय वे कहाँ गायब हो गए? 🙄
क्या वे इतने असहाय हैं कि उन्होंने कुछ गरीब लोगों के मुंह में खाना डालने की क्षमता खो दी है? 😧
दोस्तों अब इन स्वार्थी, नीच, बर्बर, नीच राजनैतिक या औद्योगिक हस्तियों पर भरोसा नहीं करेंगे ......
 वास्तव में, वे किसी भी तरह से समाज के लिए जिम्मेदार नहीं हैं, केवल अपने स्वयं के राजनीतिक हितों या उनकी धार्मिक भावनाओं के लिए।
 उनके पास भारत में रहने के लिए कोई योग्यता या अधिकार नहीं है .... आपको लगता है .. जॉय हिंद जॉय इंडिया
---------------------------------------------------------
🙏বন্ধুরা, 
এক মাসের উপর দেশ করনা আক্রান্ত.. ভারতবর্ষের যেসব বিশেষ মনীষীরা ভারতবর্ষের উন্নতির জন্য বিভিন্ন সময়ে আকুল হয়ে পড়েন ......😕
যারা প্রধানমন্ত্রীর সঠিক পদক্ষেপকেও ভুল প্রমাণিত করবার জন্য ব্যাকুল হন....😕
 যারা জন্ম থেকেই নিজেদের প্রকৃত ভারতীয় বলে দাবি করেন .....😮
ভারতবর্ষের এই দুঃসময় তারা কোথায় বিলীন হয়ে গেলেন ? 🙄
তারা কি এতটাই নিঃস্ব যে কিছু গরিব মানুষের মুখে খাবার তুলে দেওয়ার মত যোগ্যতা হারিয়েছেন ? 😧
বন্ধুরা এরপর এইসব স্বার্থপর, হীনমন্য, বর্বর, নিকৃষ্ট রাজনৈতিক বা শিল্প ব্যক্তিত্বের প্রতি আস্থা রাখবেন না.....👋
 প্রকৃতপক্ষে সমাজের প্রতি এরা কোনভাবেই দায়বদ্ধ নয় শুধুই নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ বা নিজেদের ধর্মভীরু প্রকাশ করাই এদের একমাত্র উদ্দেশ্য..... ☝️
 ভারতবর্ষে থাকার কোনো যোগ্যতা বা অধিকার এদের নেই....আপনারা ভাবুন.. জয় হিন্দ জয় ভারত