Posts

গুরুচাঁদ চরিত পর্ব :- 14 অর্থ উপার্জন

Image
বিলে ভরা জলাদেশ ওড়াকান্দী আদি। নিকটে নাহিক কোন স্রোতস্বতী নদী।। শহর বন্দর দূরে যেতে কষ্ট-সাধ্য। পদ ব্রজে যাতায়াত বড়ই অসাধ্য।। বর্ষমধ্যে বেশী ভাগ বিলে খালে জল। নৌকা যোগে যাতায়াত করেন সকল।। নিত্য প্রয়োজন দ্রব্য মেলা বড় ভার। নৌকা যোগে আনে তাই দ্রব্যের সম্ভার।। দেশ জাত ধান্য পাট সরিষা কলাই। নৌকায় চালানি হত করিয়া বোঝাই।। এই ভাবে বহুজনে ধনাঢ্য হইল। ইহা দেখি গুরুচাঁদ অন্তরে ভাবিল।। “বাণিজ্যে বসতে লক্ষ্মীঃ” এই সত্য বাণী। আপন জীবনে আমি পালিব এখনি।। আর এক কথা মোর মনেতে আসিল। মল্লকান্দী বাসী সবে যে কার্য করিল।। দুর্ভিক্ষেতে অন্নাভাব সেই দেশে হয়। অনাহারে কতজন প্রাণে মারা যায়।। অসহ্য ক্ষুধার জ্বালা সহিতে না পারি। দলে দলে দেশান্তরী হ’ল নরনারী।। যারা কেহ নিরুপায় রহিলেন পিছে। কোনক্রমে ভিক্ষা অন্নে রহিলেন বেঁচে।। জল গণ্ড জমা জমি ধান্য নাহি হয়। পর গৃহে কার্য করি প্রাণে বেঁচে রয়।। অসহ্য দুঃখের জ্বালা সহা বড় ভার। মনে চিন্তা করে সবে কিসে প্রতিকার।। ওড়াকান্দী অবতীর্ণ দয়াল ঠাকুর। তার কাছে গেলে দুঃখ হতে পারে দূর।। এত মনে করি তারা এল ওড়া...

গুরুচাঁদ চরিত পর্ব :- 13 ভবিষ্যৎ দর্শন

Image
ভক্ত গৃহে হরিচাঁদ         সাঙ্গ করি প্রেমাহ্লাদ সেই দিনে ওড়াকান্দী ধামে ফিরি এল। নামেতে ভবানী বুড়ি      নড়াইল তার বাড়ী প্রভু সঙ্গে শ্রীধামেতে উপনীত হ’ল।। ভক্তি মতি অতিশয়       তাঁর গুণে বাধ্য রয় হরিচাঁদ প্রভু মোর ক্ষীরোদ ঈশ্বর। মনোগত বহুকথা          ভবানী বলিত তথা ভক্তি গুণে প্রভু করে বাঞ্ছা পূর্ণ তাঁর।। যেদিন আসিল ধামে      যামিনির শেষ যামে প্রভু পদ কাছে বসি করে পদ সেবা। কি জানি কি ভাবি মনে   চাহিয়া প্রভুর পানে বলে “এক কথা মোর মনে ওঠে বাবা।। তোমার সোনার ধাম      ধাম মধ্যে সর্বোত্তম শিব লোক ব্রহ্ম লোক ধন্য সব হতে। এমন পবিত্র ধামে         তোমার পবিত্র নামে কবে বিশ্ববাসী আসি মাতিবে নামেতে।। আমার যে ইচ্ছা হয়       শুন ওহে দয়াময় এই ধামে হত যদি ধর্ম্ম মহামেলা। দলে দলে সাধুগণ...

গুরুচাঁদ চরিত পর্ব :- 12 Shri Guruchand in the case of family সংসার ক্ষেত্রে শ্রী গুরুচাঁদ

Image
Shri Guruchand in the case of family Harichand Bivu is in charge of Guruchand. Never looked after the world. The boy grows up in his youth. Guruchand entered the home ashram. Purna Lakshmi gives advice to Shanti Mata. The Lord is happy to run the family. How many items do the devotees give to Harichand? Harichand did not look back at him. However, the pair brought all the products to the fans. Rakhi gives such as Roy Jagat Janani .. I see the infinite glory of Sri Guru Chand. There is no limit to the desired imaginary Lord. Bhakta Datta never looked at the product. "Kay kleshe ani artha" is always like that. One day due to the Goddess of Peace test. Laughing and asking at Guruchand's place. “Pranadhik Guruchand, listen to me. Why do you try so hard to get money in vain. Look at the quality of your father, my son. The lack is gone, the darkness is gone. The day goes by happily with whatever comes. Why do you suffer so much? Understanding the mother's mind, ...

গুরুচাঁদ চরিত পর্ব :- 11 পুত্র কন্যাদির জন্মগ্রহণ ও তাঁহাদিগের চরিত্র মাহাত্ম্য বর্ণন। The birth of sons and daughters and the greatness of their character.

Image
বন্দনা   জগৎ তারণ প্রভু শ্রী হরি ঠাকুর। ওড়াকান্দী করে লীলা মধুর মধুর।। যে আতুর দুঃখী জনে ইতিপূর্বে কেহ। কোন দিনে কোন ভাবে করে নাই স্নেহ।। সেই ব্যথিতের দুঃখে বড় দুঃখী হৈয়া। হরিচাঁদ অবর্তীর্ণ সাঙ্গ পাঙ্গ লৈয়া।। তেঁহ কার্যে তেঁহ পুত্র প্রভু গুরুচাঁদ। পূর্ণ করি দীনজনে দিলা প্রেমাহ্লাদ।। পবিত্র গৃহীর ধর্ম আপন জীবনে। আপনি পালিলা প্রভু জীবের কল্যাণে।। তেঁহ কার্য সহযোগে দেবকুল যত। তেঁহ বংশে জন্ম নিল সাজি সুতাসুত।। ধন্য শ্রী শশী ভূষণ বংশ শ্রেষ্ঠ যেই। তস্য গুণে মুগ্ধ সদা আঁছিল সবাই।। পিতৃ কার্যে তেঁহ চেষ্টা সবার অধিক। উদার চরিত্র বান সত্যেতে নির্ভীক।। জয় সুধন্য কুমার দ্বিতীয় নন্দন। “বিনয়ের অবতার” মধুর বচন।। তেঁহ হরি পদে সদা নয়ন রাখিলা। হরিচাঁদ লীলাগীতি কতই লিখিলা।। কন্দর্প মোহন কান্তি শ্রী উপেন্দ্র নাথ। তেঁহ নিত্য রহে সদা জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা সাথ।। বহু গুণী সুরেন্দ্রনাথের জয় জয়। সমাজ উন্নতি লাগি চিন্তা সদা রয়।। করুণা রূপিণী দেবী শ্রী করুণা ময়ী। প্রভু কন্যা সতী ধন্যা পদে নত হই।। গুরু গোপালের পদ মনে করি সার। এদের পবিত্র লীলা...

গুরুচাঁদ চরিত পর্ব :- 10 ভূমি খণ্ড

Image
সেই ভাবে গুরুচাঁদ মিশে সবা সঙ্গে। আপনাতে রহে ডুবি আপন তরঙ্গে।। শ্রী গোলক হীরামন, সাধু মৃত্যুঞ্জয়। গুরুচাঁদে মান্য তারা করে অতিশয়।। ইহ সঙ্গে গুরুচাঁদ করয়ে সম্প্রতি। ভাবালাপ করে সদা এদের সংহতি।। যবে গৃহে রহে থাকে একক হইয়া। বাহির বাটিতে রাত্রি বিনিদ্র কাটিয়া।। গভীর নিশীতে করে একা পরিক্রম। কভু বৃক্ষ তলে বসি দৃষ্টি করে ব্যোম।। নির্ভয় উদার চিত্তে গাঢ় নিশাকালে। আপনার ভাবে ডুবি মাঠ মধ্যে চলে।। পিতা যবে গৃহে আসে ভকত সংহতি। আহারাদি সুব্যাবস্থা করে শীঘ্র গতি।। পিতার অগ্রেতে প্রায় কভু নাহি যায়। দূরে রহি প্রীতি কার্য সকল করয়।। ইচ্ছামত পিতা যদি কভু ডাকি লয়। পিতার প্রীতার্থে সব মনন কহয়।। দিনভরি করে প্রভু গৃহস্থালী কর্ম। ঠিক যেন ব্রতচারী পালে ব্রতধর্ম।। আলস্য নাহিক কভু কোন কার্য লাগি। রাত্রে অল্প নিদ্রা যায় বেশি রহে জাগি।। হাসি গল্প রসালাপ কিছু মাত্র নাই। দূরে দূরে পাপি সব রহিত সবাই।। এইভাবে গুরুচাঁদ পিতৃ বাক্য রাখে। শুন দেবী সত্যভামা কি ভাবেতে থাকে।। শান্তি দেবী জননী সদা সেবা করে। গৃহস্থালী কর্ম করে আনন্দ অন্তরে।। কোন কর্ম করিবা...

গুরুচাঁদ চরিত পর্ব :- 9 গার্হস্থ্য সন্ন্যাসী

Image
  ‘বৈরাগ্য সাধনে মুক্তি, সে আমার নয়’- রবীন্দ্র নাথ ঠাকুর   পিতৃ আজ্ঞা গুরুচাঁদ শিরোধার্য করি। সংসারের ভার নেয় নিজ স্কন্ধোপরি।। ক্ষণে ক্ষণে ভক্ত গৃহে যায় পিতৃসাথে। ভক্তের চরিত্র দেখে প্রেমানন্দ চিতে।। গম্ভীর প্রকৃতি প্রভু নাহি চপলতা। চলে যেন সিংহ শিশু দৃঢ় একাগ্রতা।। ঘন কৃষ্ণ কেশ দাম লম্বিত মস্তকে। ধূর্জ্জটীর জটাসম দোলে থাকে থাকে।। গৌরাঙ্গ বরণ কান্তি সূর্য সম প্রভা। কুসুম কোরক জিনি বয়ানের আভা।। মহা তেজোময় হেরি নয়নের জ্যোতিঃ। দৃষ্টি মাত্র পাপী প্রাণে জাগে মহাভীতি।। ভাবময় ভক্ত যত প্রেমানন্দ ভরে। গুরুচাঁদে হেরি তেঁহ আঁখি বারি ঝরে।। সবাসঙ্গে মিশে প্রভু নাহি কোন ভেদ। তবু আচরণে দেখি অনেক প্রভেদ।। হংস যথা বারি মধ্যে পুলকে ভ্রময়। বারি মধ্যে ডুবে ভাসে আনন্দে খেলায়।। বারি হ’তে কূলে যবে সেই হংস ধায়। এক বিন্দু বারি দেহে নাহি দেখা যায়।। বারিকে আধার করি করে জলক্রীড়া। বারিতে সম্বন্ধ নাহি, সত্ত্বা বারি ছাড়া।। দেহ মধ্যে আত্মা যথা জীব কালে রয়। আত্মা খেলে তাই দেহ চলিয়া বেড়ায়।। জীর্ণ বস্ত্র সম দেহ ফেলি আত্মা যায়। নিশ্চল পতিত দেহ মাটিতে লুটায়।। দেহেতে সম্বন্ধ আত্মা কিছু নাহি রা...

গুরুচাঁদ চরিত পর্ব :- 8 আর্য সাধনায় জীবন তত্ত্ব

Image
  “নাহন্যোঃবিদ্যতে পন্থায়নায়”-উপনিষদ   আর্য জাতি মহাভাগ       চারিভাগে করে ভাগ মানব জীবনে। আদি ব্রহ্মচর্য তার         গৃহধর্ম অতঃপর পালিবে যতনে।। তৃতীয়ত বানপ্রস্থ         ভিক্ষু হবে শেষপ্রস্থ জীব শেষ যামে। এমন মহান নীতি         জীবের কল্যাণ গতি নাহি ধরাধামে।। “কালস্য-কুটিলাঃ গতি” ক্রমে আর্য ছন্নমতি জীবন সংগ্রামে। গুণ কর্ম বিভাগেতে        ভিন্ন হল নানা পথে জাতি বর্ণ নামে।। মূল নীতি হল ভুল         অকুলে হারায়ে কুল আর্য জাতি ম’ল। কর্মজাতি মুছে দিয়ে    জন্ম জাতি মেনে নিয়ে হিন্দু সৃষ্টি হল।। তাই আর্য রক্ষিবারে       বারে বারে অবতারে নামিল ঈশ্বর। যুগ অনুযায়ী ধর্ম       সবারে শিখা’ল মর্...