গুরুচাঁদ চরিত পর্ব :- 9 গার্হস্থ্য সন্ন্যাসী
‘বৈরাগ্য সাধনে মুক্তি, সে আমার নয়’-
রবীন্দ্র নাথ ঠাকুর
পিতৃ আজ্ঞা গুরুচাঁদ শিরোধার্য করি।
সংসারের ভার নেয় নিজ স্কন্ধোপরি।।
ক্ষণে ক্ষণে ভক্ত গৃহে যায় পিতৃসাথে।
ভক্তের চরিত্র দেখে প্রেমানন্দ চিতে।।
গম্ভীর প্রকৃতি প্রভু নাহি চপলতা।
চলে যেন সিংহ শিশু দৃঢ় একাগ্রতা।।
ঘন কৃষ্ণ কেশ দাম লম্বিত মস্তকে।
ধূর্জ্জটীর জটাসম দোলে থাকে থাকে।।
গৌরাঙ্গ বরণ কান্তি সূর্য সম প্রভা।
কুসুম কোরক জিনি বয়ানের আভা।।
মহা তেজোময় হেরি নয়নের জ্যোতিঃ।
দৃষ্টি মাত্র পাপী প্রাণে জাগে মহাভীতি।।
ভাবময় ভক্ত যত প্রেমানন্দ ভরে।
গুরুচাঁদে হেরি তেঁহ আঁখি বারি ঝরে।।
সবাসঙ্গে মিশে প্রভু নাহি কোন ভেদ।
তবু আচরণে দেখি অনেক প্রভেদ।।
হংস যথা বারি মধ্যে পুলকে ভ্রময়।
বারি মধ্যে ডুবে ভাসে আনন্দে খেলায়।।
বারি হ’তে কূলে যবে সেই হংস ধায়।
এক বিন্দু বারি দেহে নাহি দেখা যায়।।
বারিকে আধার করি করে জলক্রীড়া।
বারিতে সম্বন্ধ নাহি, সত্ত্বা বারি ছাড়া।।
দেহ মধ্যে আত্মা যথা জীব কালে রয়।
আত্মা খেলে তাই দেহ চলিয়া বেড়ায়।।
জীর্ণ বস্ত্র সম দেহ ফেলি আত্মা যায়।
নিশ্চল পতিত দেহ মাটিতে লুটায়।।
দেহেতে সম্বন্ধ আত্মা কিছু নাহি রাখে।
“বিশ্রামের ঘর” ভাবে কিছুকাল থাকে।
“বিহায় কায়ং নির্লক্ষ্যং পতিতং নৈব পশ্যতি”
তথাঃ–
“সহবর্দ্ধি তয়োর্নাস্তি সম্বন্ধঃ প্রাণ দেহয়োঃ”।।
Comments