Posts

তিতুমীরের_আসল_সত্য

Image
তিতুমীরের_আসল_সত্য ছোটোবেলায় খুব সম্ভবত ক্লাস ৪ কি ৫ এ একটা গল্প পড়তে হত বাঁশের কেল্লা নামে! স্বাভাবিক। তখন বামফ্রন্টের আমল! বাম না বলে বামাতি বলাই ভালো। প্রত্যেক শাসকগোষ্ঠীই চায় শিশুদের মস্তিষ্কে তাদের আইডিওলোজি ঢুকিয়ে দিতে। ওরাও তার ব্যতিক্রম ছিলো না। যে কারণে তীতুমীর কে রীতিমতো স্বাধীনতা সংগ্রামী বানিয়ে হিরো ওয়ারশিপের ব্যবস্থা করা হয়েছিল আরকি!  তো সেইসময় গল্পটা পড়তে গিয়ে একটা খচখচানি হত। এত বড় বীর ‚ এত বড় যোদ্ধা ! কিন্তু ছাগলের মতো বাঁশের কেল্লা বানিয়ে কামানের বিরুদ্ধে লড়তে গেলো কেন?  যদিও বড় হয়ে এর উত্তর ভালোভাবে পেয়ে গেছিলাম- মক্কা থেকে ফেরার পর তীতুমীরের ফাজলামি দেখে আম পাবলিক ওকে  যে পরিমাণ বাঁশ দিয়েছিল তাতে সেগুলো দিয়ে আস্ত একটা  বাঁশের কেল্লা খাড়া করে দেবে এতে আর আশ্চর্যের কি আছে?  যাকগে আসল কথায় আসি। তীতুমীর সম্পর্কে একটা লেখা পড়লাম ১৮৭০ সালে প্রকাশিত “The Calcutta review, Volume 51” গ্রন্থের “The Wahhabis In India” তে। সেখানে তীতুমীর সম্পর্কে যা যা বলা আছে একটু শর্টে পয়েন্ট করে দিই বরং! যদি আপনাদের জানা কিছু মিথ ভাঙ্গে এটা পড়ে।  ১- তী...

প্রেম করে পালিয়ে যাওয়া মেয়ের প্রতি এক বাবার বেদনা দায়ক চিঠি📨 😥😥😒😒

Image
(প্রেম করে পালিয়ে যাওয়া মেয়ের প্রতি এক বাবার বেদনা দায়ক চিঠি📨 😥😥 😒😒👇🏽👇🏽 মা'রে,! শুরুটা কিভাবে করবো বুজে উঠতে পারছিলাম না।  যেদিন তুই তোর মায়ের অস্তিত্ব ছেড়ে ভূমিষ্ঠ হয়েছিলি সেদিন থেকে তোকে মা বলে ডাকতে শুরু করলাম। তোকে মা ডাকতে গিয়ে আমার নিজের মা হারানোর ব্যাথাটা'ই ভুলে গিয়েছিলাম। তোর মা ও তোকে মা ছাড়া  অন্য নামে কখনো ডাকেনি। বিদ্যালয়ে প্রথম দিন  শিক্ষক তোর নাম জিজ্ঞেস করেছিলেন। তোকে মা বলে ডাকতে ডাকতে তোর ডাক নামটাও ভুলে গিয়েছিলাম। আমি তোর নাম বলতে না পারায় সবাই আমাকে নিয়ে হাসতে ছিলো.. তাই চিঠির উপরে তোর নামের জাগায় মা লিখেছি। হঠাৎ করে তুই এভাবে চলে যাবি আমি তা বুজতেই পারিনি...! ছেলেটা যেদিন বাইরে ব্যাগ হাতে তোর জন্য অপেক্ষা করছিল  যে কখন তুই দরজা খুলে বাইরে বের হয়ে আসবি। আমি তখন ভেতরে বসে  রবের কাছে প্রার্থনা করছিলাম  আর ভাবছিলাম যে আর কতটা ভালবাসতে পারলে তুই আমাকে ছেড়ে চলে যাবি না। অপরদিকে  তুই ঘরে বসে ভাবছিলি আজ  যেতে না পারলে ছেলেটার কাছে ছোট হয়ে যাবি। আর আমি ভাবছিলাম তুই চলে গেলে সমস্ত পিতৃজাতীর কাছে কি করে মুখ দেখাব...

পশ্চিমবঙ্গে থাকেন, মমতা ব্যানার্জীর শাসনে? জ্বর, গলা ব্যাথা, শ্বাসকষ্ট হচ্ছে? আপনার সাথে কী হবে, তার ক্রনোলজি রইল।

পশ্চিমবঙ্গে  থাকেন, মমতা ব্যানার্জীর শাসনে? জ্বর, গলা ব্যাথা, শ্বাসকষ্ট হচ্ছে? আপনার সাথে কী হবে, তার ক্রনোলজি রইল। ১. বরানগরের বাসিন্দা, ছাত্র৷ বয়স ২০। গতকাল থেকে জ্বর, শ্বাসকষ্ট,  গলায় ব্যাথা। নিজের এবং পরিবারের উদ্যোগে এলাকার থানায় যোগাযোগ করে হাসপাতালে যেতে চায়। কোভিড টেস্টের জন্য।  সারা সকাল হেল্প লাইনে ফোন করে, কেউ ধরে নি। গাড়ির ব্যবস্থা করে। বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে পৌঁছে যায় বেলা বারোটার মধ্যে। ২. বেলেঘাটা আইডিতে কী কী উপসর্গ হচ্ছে জেনে নেওয়া হয়। এম আর বাঙুর  হাসপাতালে রেফার করা হয়। রেফারেন্স লেটারটি লেখার সময়ে নাম, ঠিকানা, ফোন নম্বর ইত্যাদি জরুরি তথ্যগুলিকে ভয়ানকভাবে বিকৃত করা হয়। রোগী ও বাড়ির লোক বারবার বলা সত্ত্বেও সঠিক বানান, পিন কোড, বাসস্থানের অঞ্চল লেখা হয় নি। ৩. এরপর রুগীর জায়গা আইডির ওপিডিতে। অনির্দিষ্টকালের অপেক্ষা। আশেপাশে অজস্র কাশতে,  হাঁচতে, শ্বাসকষ্টে হাঁপাতে থাকা রুগী। খোলামেলা। কোনো শারীরিক দূরত্বের অবকাশ রাখা হয় নি। অধৈর্য্য হয়ে রোগী ও বাড়ির লোক পুলিশকে জিজ্ঞেস করে, কখন বাঙুরে নিয়ে যাওয়া হবে, উত্তর আসেঃ "চুপ চাপ থাকো। যখন সময় হবে, নিয়ে য...

☆এটি কি সত্যযুগ ☆क्या यह सत्य युग है☆Is this Satya Yuga☆

Image
☆"এটি কি " সত্যযুগ" ☆ ☆☆ লকডাউন☆☆  1- রবিবার কেটে যাওয়ার কোন চিন্তা নেই ☆  2- সোমবার আসার ভয় নেই ☆  3- অর্থ উপার্জনের লোভ নেই ☆  4-ব্যয় করার ইচ্ছা নেই ☆  5- হোটেলে খাবার  ইচ্ছা নাই ☆  6-ভ্রমণের কোন আনন্দ নেই ☆  7.নাই কোন সোনার-রৌপ্য মুগ্ধতা   8-টাকার লোভ নেই ☆  9-কোনও নতুন জামাকাপড় উত্তেজনা নেই ☆  10-ভাল পোষাক সম্পর্কে কোন উদ্বেগ নেই ☆  ☆ আমরা কি মোক্ষের দ্বারে এসে পৌঁছেছি ?  ☆ মনে হচ্ছে কলিযূগ শেষ হয়ে গেছে এবং সত্যযুগ এসে গেছে ☆  11- উপাসনা, উপবাস, রামায়ণ, মহাভারত।  12-দূষণমুক্ত পরিবেশ।  13-দৌড় ভাগের জীবন শেষ  14-সাধারণ জীবন   15. সকলে সাধারন খাবার খাচ্ছেন  16-সমতা এসে গেছে,  17- কোন চাকর নেই, সবাই বাড়িতে এক সাথে কাজ করে।  18- কেউ দামি পোশাক পরে না  19- কেউ গহনা পরে না  20 - 24 ঘন্টা ঈশ্বর কে স্মরণ।   21-লোকেরা দানও করছে।  22-অহংকারও শেষ হয়ে গেছে  23 - লোকেরা সহযোগিতা করছে।   24-সমস্ত সন্তানেরা বাইরে থেকে তাদের বাড়িতে এসে ত...

বিষন্ন নববর্ষ অরুণ বিশ্বাস

Image
বিষন্ন নববর্ষ অরুণ বিশ্বাস বাঙলা দেখছে এক নতুন বৈশাখ । প্রকৃতি হরে নিলো মানবের শখ ।। দিনমনি পূর্ব ভালে উদয় যেমন । পাখিদের কলতান শুনিছি তেমন ।। নতুন পললব  দোলে নতুন শাখে ।  মলয় বাতাসে ফাগুনের রঙ আঁকে ।। ফুঁটেছে কাননে তেমনি বাহারি ফুল । কালো আভা মনে,তরী যাবে কোন কূল ।। বন্ধ হোলো সকলি আজি কে যাবে পারে । ফিরে যাও ওগো পথিক ! শঙ্কা গোচরে ।। প্রকৃতি আজি বধির করি গোটা বিশ্ব । কে ডাকে ওরে ! বাঁচাও আমার সর্বস্ব !। চিকিৎসা দেবে ডাক্তার সেবিকা দিদি । সুরক্ষা পোষাক ছাড়া, হরে প্রাণ ‍যদি ।। ভাসে না নৌকা নদী বক্ষে, তোলেনা পাল । রাজপথ খাঁখাঁ করে, সাঙ্গ কোলাহল ।। নাহি ছোটে বাস, রেল, যাবে মোংলা ঢাকা । ঘুম পরি এসে যেনো বন্ধ করে চাকা ।।   কুকুর গুলো ঘুমিয়ে মাছের বাজারে । যেথা বিকি কিনি সরগমে হাঁক পাড়ে ।। বদল হবে দিন শুধু  নিত্য যেমন । হবে না নববর্ষ ঘটা করে পালন ।। সুচি হোক ধরণী নির্মল সুবাতাসে । বাঁধি সবে মনে আশা শুভ দিন আসে ।। তারিখ ১৩।৪।২০২০

সময়ের গীতি গাঁথা অরুণ বিশ্বাস

Image
সময়ের গীতি গাঁথা অরুণ বিশ্বাস সূর্য জাগে ‍পূর্ব ভালে আলো ঝলমল । মিষ্টি স্বরে কতো পাখি করে কোলাহল ।। মৃদুমন্দ ভোরের বাতাস ঝিরি ঝিরি । বয়ে চলে মধুমতি গ্রাম গঞ্জ ছাড়ি ।। গাছে গাছে নব পত্র করে নাচানাচি । ফোঁটে উদ্যানে কতনা রঙে পুষ্পরাজি ।। বসন্তেরি কোকিল ডাকছে কুহুতানে । গুটি আম ঝরে পড়ে আম্র কাননে ।। ছোট লিচু ভারে তার শাখা বেশ ভারি । ফল ধরে বেশ তাই চাষি মন ভরি ।। বোরো ধান শ্যামল ক্ষেতে বাতাসে নাচে । ব্যস্ত কৃষানি বধু পরিচর্যা কাজে ।। জল সেচে বুনছে এখন সোনালি পাট । বৃষ্টির সঙ্গে দেখা নাই মাটি ফেঁটে কাঠ ।। তিল ক্ষেতে সবুজ চারা, কী কথা বলে । মধুকর আসবে উড়ে ফুল ফুঁটলে ।। আম গাছে বাঁকা শাখে বেধেছে মৌচাক । মধু সংগ্রে ফুলে ফুলে ঘুরে খায় পাক ।। চলে যেনো সব কিছু আগের মতন । আপন ঘরে নিজে বন্ধি শঙ্কা চেতন ।। একাত্তরে যুদ্ধ হোলো বাংলাদেশ ভুমি । লুকিয়ে আছি অরন্যে রক্ষা করো স্বামী ।। যুদ্ধ করে মুক্তিফৌজ প্রাণ বাজি ধরে । জীবনটা যাবে হরে কে জানতে পারে ।। যুদ্ধ চলে অঘোষিত গোটা বিশ্ব জুড়ে । ভাইরাস করোনা মারণ অস্ত্র ধরে ।। কোন দেশ করে দোষ না বলতে পারে । বাঁচে প্রাণ কোন পথে সে পথ উদ্ধারে ।। ঝলমল ...

মতুয়া বাউল অরুণ বিশ্বাস

Image
মতুয়া বাউল অরুণ বিশ্বাস সোনার দেহে মন মা‌লি সাঁই পরা‌লো কতো সাজ। মা গো জ্বালো সন্ধ্যা প্রদীপ আসলো নেমে সাঁঝ ।। উথাল পাথাল এই তরী যে ডুবলো কতো বার । স‌ঙ্গে ছি‌লে মা গো তুমি  তাই কেটেছে আঁধার । আমার বলে থাকে কিছু এই দুনিয়ার মাঝ ।। স্নেহের আচল বিছায়ে রেখেছো সবুজ ধান ক্ষেতে । চরণ দুখানি নিয়েছো টানি বহিছে অঙ্গ স্বেদে । নয়ন জুড়ালো দেখে তোমার কী অপরূপ সাজ ।। শ্রান্ত দেহে ক্লান্ত মনে গা‌হি জীবনের জয় গান । ঠাই দিও তোমার কোলে করি তোমাতে অবস্থান । যাবো রিক্ত হাতে অশ্রু পাতে বাজে অন্তিম সাঝঁ ।। ক‌তোনা সা‌ধের দেহ তরী কাল হ‌রে বিন্দু বিন্দু ক‌রি  ।  যায় না  তাঁ‌কে প‌রিহ‌রি ভা‌সে সাগ‌রে ক্ষীণ তরী।  গোধু‌লি বেলা আবছা ছায়া নে‌মে আসে জীবন সাঁঝ ।।                 শুভ‌দিন স‌বে যায় ফু‌রি‌য়ে                ঝ‌রে স্বপ্ন রা‌শি অত‌লে খ‌সি‌য়ে । মন ছু‌টে‌ছে অসীম আকা‌শে উদাসী হাওয়ায় ধূসর মেঘ আজ ।। আমি বা কার কে আমার দেখাও তোমার নিশানা । জানার মধ্যে কিছুই ছিলনা বুঝি সকলি অজানা । করো ত্রাণ অরুণ গোপে...