Posts

Showing posts from October, 2025

রাজনৈতিক দাবার" "১২টি চাল" মনোযোগ সহকারে পড়ুন এবং বুঝুন....?

Image
গুরু নানকের আগে কোনও শিখ ছিল না! মুহম্মদের আগে কোনও মুসলিম ছিল না! ঋষভদেবের আগে কোনও জৈন ছিল না! বুদ্ধের আগে কোনও বৌদ্ধ ছিল না! কার্ল মার্ক্সের আগে কোনও বামপন্থী ছিল না! কৃষ্ণের আগে রাম ছিলেন... রামের আগে জমদগ্নি ছিলেন... জমদগ্নির আগে অত্রি ছিলেন... অত্রির আগে অগস্ত্য ছিলেন... অগস্ত্যের আগে পতঞ্জলি ছিলেন... পতঞ্জলির আগে কণাদ ছিলেন.... কণাদের আগে যাজ্ঞবল্ক্য ছিলেন... যাজ্ঞবল্ক্যের আগেও... সকলেই "সনাতন বৈদিক" অনুসারী ছিলেন..! এই "রাজনৈতিক দাবার" "১২টি চাল" মনোযোগ সহকারে পড়ুন এবং বুঝুন....? ০১. মুঘলরা "ভারতীয়" হয়ে ওঠে এবং "ভারতীয়", "কাফির" হয়ে ওঠে...?  ০২. গিয়াসউদ্দিন খান" হয়ে ওঠেন মতিলাল, জওহরলাল "নেহরু" তাঁর কন্যা ইন্দিরা, রাজীব - মাইনো থেকে, তারা সবাই হয়ে ওঠেন "গান্ধী"!! আর..."ভারতীয়" - "বোকা"!! ০৩. "মোমিন" হয়ে ওঠেন "কাশ্মীরী"...? আর, "কাশ্মীরী পণ্ডিত", "শরণার্থী"....? ০৪. "বাংলাদেশী" হয়ে ওঠেন "বাঙালী...

একজন হিন্দু মেয়ে মুসলিম ছেলেকে বিয়ে করার আগে যা জানা দরকার:

Image
ভারতে আন্তঃধর্মীয় বিবাহ (Inter-faith marriage) এখন বেশ সাধারণ হয়ে উঠছে। কিন্তু এমন বিয়েতে উভয় পক্ষের, বিশেষ করে মেয়েটির, নিজের অধিকার, আইনি পরিণতি, এবং ভবিষ্যতে সম্পত্তি উত্তরাধিকার সম্পর্কিত বিষয়গুলি আগে থেকেই জানা খুব জরুরি। সম্প্রতি, গুজরাটের এক ৩০ বছরের কাছাকাছি বয়সী জৈন মেয়ে (ধরুন নাম নিত্যা, এমবিএ ইন ফাইনান্স) আমার কাছে একটি ব্যক্তিগত বিষয়ে পরামর্শ নিতে এসেছিল। সে বলল, সে তার এক মুসলিম সহকর্মী (সুন্নি)-এর সঙ্গে “গম্ভীর সম্পর্কে” আছে এবং দু’জনেই বিয়ের কথা ভাবছে। নিত্যার পরিবার রক্ষণশীল, তারা এই বিয়েতে রাজি নয়, কিন্তু নিত্যা বিশ্বাস করে বিয়ের পর সবাই মেনে নেবে। ছেলেটির পরিবার রাজি, তবে তাদের শর্ত, নিত্যাকে ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত হতে হবে এবং বিয়েটা নিকাহ মারফত হতে হবে, যাতে আত্মীয়-স্বজনদের আপত্তি না থাকে। নিত্যা জানতে চাইল, আইন অনুযায়ী তার কী কী অধিকার থাকবে, বিয়ে ভেঙে গেলে কী হবে, এবং কোন পথে তার স্বার্থ সুরক্ষিত থাকবে। আমি বললাম, “আমি একজন আইনজীবী হিসেবে তোমাকে আইন বুঝিয়ে বলব, লাভ-ক্ষতি দুটো দিকই জানিয়ে দেব।” এই আলোচনা যেহেতু অনেকের উপকারে আসতে পারে, আম...

১৯৪৬ এর কোজাগরী ইতিহাস জানুন ‼️

Image
সেদিন টা ছিলো লক্ষ্মী পুজো,সালটা ১৯৪৬ এর অক্টোবরের দশ তারিখ, অন্যান্য আর পাঁচটা বছরের লক্ষ্মী পুজোর মত সেদিনও বাংলার বধুরা নিজগৃহে প্রদীপ জ্বেলে, আলপনা একে,শাঁখ আর উলুধ্বনিতে মা লক্ষ্মীকে বরণের তোড়জোড় করছিলো। কিন্তু নোয়াখালীতে সেদিন নেমে আসে এক ভয়াল রাত, যেখানে ভরা কোজাগরী পূর্ণিমার আলোতেও অমাবস্যা নেমে আসে। (তৎকালীন অবিভক্ত নোয়াখালী ছিল বর্তমান বাংলাদেশের নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী নিয়ে ত্রিপুরা জেলা ছিল বর্তমান কুমিল্লা, চাঁদপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া অঞ্চল নিয়ে গঠিত।) সেদিনের নোয়াখালীর পরিবারগুলোও হয়তো তেমনি ভেবেছিলো, সুরবালা দেবী(ছদ্মনাম) এক গৃহবধু প্রতিবারের ন্যায় সেবারও সারাবাড়িতে লক্ষ্মীর পায়ের আল্পনা একে,ধুপ-ধুনো নৈবিদ্দ আর শাঁখ-উলুধ্বনিতে মাকে বরণ করার আয়োজন করেছিলো,কিন্তু তখনও সে কিংবা তার প্রতিবেশীরা জানতো না আজ কি হতে চলেছে, সেদিন ধারালো অ স্ত্র  নিয়ে মু-সলিম লীগের গুন্ডারা আক্রমন করে সুরবালার গৃহে, প্রথমে তারা অলংকার ও অর্থ লুঠ ও গৃহে অগ্নি সংযোগ করে, সুরবালার পরিবার হয়তো ভেবেছিলো এবার তারা চলে যাবে কিন্তু না,অরাজকতা আরো বাকি ছিলো। তারা সুরবালাকে মাটিত...

কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো, 1946 নোয়াখালী।

Image
তখন সন্ধ্যা নামছিল। সূর্যটা দিকচক্রবালে হঠাৎ শান্তশিষ্ট হয়ে একটা লালচে বলের মত হয়ে শরতের ছড়ানো ছিটানো সাদা মেঘেদের লাল করে দিচ্ছিল। আসন্ন শীতের আভাস পেয়েই হয়তো ঠান্ডা হাওয়া বইছিল। কেউ যদি খুব ভালোভাবে লক্ষ করত তাহলে টের পেত সেদিনের সেই হাওয়ায় একটা চাপা শিরশিরানি ছিল। কখনো কখনো হঠাৎ আনমনে কারো শরীরের লোম দাঁড়িয়ে যাচ্ছিলো, কিন্তু এমন তো কত সময়েই হয় বলে এড়িয়ে যাচ্ছিল সকলে...কিন্তু তারা জানত না শকুনের সেই হলুদ দুটো চোখের কথা... সে বাতাসে গন্ধ পেয়েছিল বহুদুর থেকে অনেক আগেই।  উড়াল দিয়েছিল সে, তার শক্ত সবল কালো ডানা, শিবের কন্ঠে জড়ানো আশীবিষের মত সাদা গলা, বাঁকানো শক্তিশালী ঠোঁট তাকে আকাশে সাধারণের দৃষ্টিসীমার বাইরে রাখতে সক্ষম হত ততক্ষণ, যতক্ষণ না সে নিজের শিকার নির্দিষ্ট করত। এখন সে নির্দিষ্ট করেছিল শিকার...সে চোখ রেখেছিল সময়সারণিতে... তার বাঁকানো তীক্ষ্ণ ঠোঁট এবং দুপায়ের নখ তৎপর হয়ে উঠল আগামীর আঘ্রাণ পেয়ে... এবার... সে মৃত্যুছায়ার মত অনুসরণ করে যাবে তার শিকারকে... একটি বিরাট উঁচু তালগাছের উপর এসে বসল সে। দু ধারে ডানা ছড়িয়ে দিয়ে নিজের টেলিস্কোপিক নজ...