Posts

শ্রীশ্রীহরিলীলামৃত পর্ব :- 2

Image
আদি খণ্ড ------গ্রন্থারম্ভ----- প্রথম তরঙ্গ অথ মঙ্গলাচরণ। হরিচাঁদ চরিত্রসুধা প্রেমের ভাণ্ডার। আদি অন্ত নাহি যার কলিতে প্রচার।। সত্য ত্রেতা দ্বাপরের শেষ হয় কলি। ধন্য কলিযুগ কহে বৈষ্ণব সকলি।। তিন যুগ পরে কলি যুগ এ-কনিষ্ঠ। কনিষ্ঠ হইয়া হৈল সর্ব্বযুগ শ্রেষ্ঠ।। এই কলিকালে শ্রীগৌরাঙ্গ অবতার। বর্ত্তমান ক্ষেত্রে দারুব্রহ্মরূপ আর।। যে যাঁহারে ভক্তি করে সে তার ঈশ্বর। ভক্তিযোগে সেই তার স্বয়ং অবতার।। হয়গ্রীব অবতার কপিলাবতার। অষ্টাবিংশ অবতার পুরাণে প্রচার।। মৎস্য কুর্ম্ম বামন বরাহ নরহরি। ভৃগুরাম রঘুরাম রাম অবতরি।। ঈশ্বরের অংশকলা সব অবতার। প্রথম পুরুষ অবতার রঘুবর।। নন্দের নন্দন হ’ল গোলোকের নাথ। সংকর্ষণ রাম অবতার তাঁর সাথ।। সব ঈশ্বরের অংশ পুরাণে নিরখি। বর্ত্তমান দারুব্রহ্ম অবতার কল্কি।। সব অবতার হ’তে রাম দয়াময়। দারুব্রহ্ম দয়াময় কৃষ্ণ দয়াময়।। পূর্ণব্রহ্ম পূর্ণানন্দ নন্দের নন্দন। সেই নন্দসুত হ’ল শচীর নন্দন।। যে কালে জন্মিল কৃষ্ণ পূর্ণব্রহ্ম নয়। পূর্ণ হ’ল যেকালে পড়িল যমুনায়।। শচীগর্ভে জন্ম ল’য়ে না ছিলেন পূর্ণ। দীক্ষাপ্রাপ্তে পূর্ণ নাম শ্রীকৃষ্ণ চৈতন্য।। তখন হইয়া পূর্ণ সন্ন্যাস করিলে। আটচল্লিশ বর্ষ পরে মি...

শ্রীশ্রীহরিলীলামৃত পর্ব :- 1

Image
আদি_খণ্ড ------গ্রন্থারম্ভ----- প্রথম তরঙ্গ  #বন্দনা জয় জয় হরিচাঁদ জয় কৃষ্ণদাস। জয় শ্রীবৈষ্ণব দাস জয় গৌরীদাস।। জয় শ্রীস্বরূপ দাস পঞ্চ সহোদর। পতিত পাবন হেতু হরি অবতার।। জয় জয় গুরুচাঁদ জয় হীরামন। জয় শ্রীগোলোকচন্দ্র জয় শ্রীলোচন।। জয় জয় দশরথ জয় মৃত্যুঞ্জয়। জয় জয় মহানন্দ প্রেমানন্দময়।। জয় নাটু জয় ব্রজ জয় বিশ্বনাথ। নিজ দাস করি মোরে কর আত্মসাৎ।।

স্বামী VS স্ত্রী

Image
🤷‍♂️স্বামী VS স্ত্রী🤷‍♀️ স্বামী : 💁‍♂️ শুনছো নাকি গেলে কোথায় ? অফিস থেকে এলাম , দশটা মিনিট হয়ে গেল না চা , না জল পেলাম, কি যে কর সারাটা দিন টিভি সুধুই দেখো , বরটা এসে বসে আছে একটু খেয়াল রাখো । স্ত্রী : 💁‍♀️ ঘুমোচ্ছিলাম বুঝলে সোনা তেল টা দিয়ে নাকে, ঘুম ভেঙে এই উঠে এলাম মিষ্টি তোমার ডাকে, বলতে পারো সারা টা দিন এমনি বসে থাকি, রাজ্যের কাজ ফেলে রেখে টিভি সুধুই দেখি। সকাল বেলা বেরিয়ে যাও , রাতে ফেরো ঘরে, খোঁজ কি রাখো সারাদিনের কাজ এতো কে করে ? ভোর থেকে সেই উঠে কখন শুরু যে হয় পালা , ঘরে দুটো হনুমান তাদের হাজার জ্বালা ,, রান্না বান্না , দোকান বাজার , সবার আসা যাওয়া , পড়াশুনা হাজার ঝক্কি মাথায় ওঠে খাওয়া, এটা চাই , ওটা কোথায় ? সকলের ফরমাশ , মানুষ বলে ভাবো আমায় ? খাটাও বারোমাস। স্বামী : 💁‍♂️ কাজ তো তুমি একাই কর আমি ঘুরে আসি, সকাল বেলা বেরিয়ে পড়ি পার্কে গিয়ে বসি, আড্ডা মারি , Movie দেখি , Lunch এ খাই বিরিয়ানী, মাসের শেষে গাছ নাড়িয়ে টাকা ঘরে আনি, ট্রেনে, বাসে বাদুর ঝোলা তাতেই নাজেহাল, ঘেমে নেয়ে ঘরে ফিরে খাও বৌ এর গাল । স্ত্রী : 💁‍♀️ ...

ছবিটা থাক। ছবিটা গুরুত্বপূর্ণ!

Image
আজ থেকে ৩৫ বছর আগে ৮ই জুন মানে গতকালকের তারিখে বাংলাদেশে  রাষ্ট্র ধর্ম হিসাবে ইসলাম জাতীয় সংসদে পাস হয়। ১৯৮৮ সালের ৭ই জুন বাংলাদেশের সংসদে সংবিধানের অষ্টম সংশোধনী পাশ হয়। সেখানেই রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে ইসলাম স্বীকৃতি পায়। কেন দিলাম এটা? অনেকেই জানেন এটা। কিন্তু আবার অনেকেই জানেন না‚ স্পেশালি অরাজনৈতিক লোকজন যারা। সেটা হল যে বাংলাদেশ এর রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম। অর্থাৎ বাংলাদেশে হিন্দুরা সাংবিধানিকভাবেই দ্বিতীয় শ্রেনীর নাগরিক। এবং তারপর তথাকথিত ধর্মনিরপেক্ষ দল ওই রাষ্ট্রে ক্ষমতায় এসেছে। কিন্তু রাষ্ট্রধর্ম পালটায়নি। কারণ ওদের কাছে ধর্ম আগে। রাজনীতি পরে।  যারা যারা বাংলাদেশ শুনেই আহ্লাদে আটখানা হয়ে অর্গ্যাজম পেতে শুরু করে‚ তা সে দ্যাশের বাড়ির জন্যই হোক‚ বাংলা (!!) ভাষার জন্যই হোক বা অন্য যেকারণেই হোক‚ তাদের ছোট্ট করে মনে করিয়ে দেওয়া হোক যে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় ও তার সহকর্মীদের বহু সংগ্রামের ফলে তৈরী এই সীমান্তটি পেরোলেই কিন্তু আপনি সাংবিধানিকভাবেই দ্বিতীয় শ্রেনীর নাগরিক! দ্বিতীয় শ্রেনীর নাগরিক বোঝেন?  বোঝেন না? বুঝিয়ে দিচ্ছি।  ব্রিটিশরা যেমন লিখে রাখত Dogs and Ind...

মহিলাদের চেয়ে পুরুষের লজ্জা বেশী!

Image
একবার এক স্কুলে স্থানীয় মহিলারা একটি সাধারণ সভার আয়োজন করেছিলেন। সেখানে কথা বলতে যেয়ে এক মহিলা বললেন যে, "মহিলাদের চেয়ে পুরুষের লজ্জা বেশী।" কথাটা শেষ করতে না করতেই একজন ভদ্রমহিলা উঠে দাঁড়ালেন। প্রতিবাদের সুরে বললেন, 'দিদি, আপনার কথাটা মানতে পারলাম না। পুরুষ মানুষের আবার লজ্জা দেখলেন কোথায়? ওরা তো বেশরম- বেলাজ। প্রথম মহিলা দ্বিতীয় মহিলাকে থামিয়ে বললো, "দিদি, আপনি কি করেন? তিনি বললেন, এই স্কুলে শিক্ষকতা করি। প্রথম মহিলা বললেন, কয়জন পুরুষ আর কয়জন মহিলা শিক্ষক আছেন এই স্কুলে? তিনি বলেন, আমরা সমান সমান- চার জন পুরুষ চার জন মহিলা। হাসি মুখে উত্তর দিলেন ভদ্রমহিলা। প্রথম মহিলা বললেন, "দিদি আপনি কি কোন দিন আপনার পুরুষ সহকর্মীদের পেট-পিঠ দেখেছেন?" ভদ্রমহিলা ভ্রু কুচকে তাকালেন। বললেন তার মানে..? প্রথম মহিলা বললেন, "দেহ প্রদর্শন করা নির্লজ্জতা। কিন্তু এই কাজটা সাধারণত পুরুষেরা করে না। আপনার যদি কখনো ইচ্ছে হয়, আপনার কোন পুরুষ সহকর্মীর পেট কিংবা পিঠ দেখবেন, তাহলে তাকে ডেকে বলতে হবে ভাই আপনার শার্ট কিংবা পাঞ্জাবীটা একটু উপরে তুলুন তো, আমি আপনা...

মুশকিল হয়েছিল, শ্মশানে তাঁর পাদুটো কিছুতেই পুড়ছিল না!

Image
তিনি হলেন আটচল্লিশ ইঞ্চি ছাতিওয়ালা ফুটবলার গোষ্ঠ পাল। খালি পায়ে ফুটবল খেলতেন। অপর দিকে ইংরেজ খেলোয়াড়রা খেলত বুট পরে। ইংরেজ খেলোয়াড়রা  গোষ্ঠ পালের দুর্ভেদ্য চীনের প্রাচীর,  কিছুতেই ভেদ করতে পারত না।  লাথি মেরে বল উড়িয়ে দিত গোষ্ঠ পাল ইংরেজদের দিকে। শোনা যায়,ছোটবেলায় স্বামী বিবেকানন্দের বাণী  পড়ে ফুটবল খেলার অনুপ্রেরণা পেয়েছিলেন। স্বামীজি বলেছিলেন, গীতা পাঠের চেয়ে ফুটবল খেলা ভাল। তাই গোষ্ঠ পালের মনে হল বলে লাথি মেরে ইংরেজের পদাঘাতের জবাব  দিতে হবে। এভাবেই গোষ্ঠ পালের ফুটবলে মিশে গিয়েছিল ফুটবল আর দেশপ্রেম। বিশিষ্ট রাজনৈতিক  নেতা অতুল্য ঘোষ একসময় বলেছিলেন যে,  গোষ্ঠ পাল স্বাধীনতা সংগ্রাম না করেই  একজন  স্বাধীনতা সংগ্রামী।  রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রথম আলাপে  সস্নেহে বলেছিলেন,  তুমিই তাহলে চীনের প্রাচীর গোষ্ঠ পাল!  ১৯৬২ সালে ভারতবর্ষে  তিনিই ফুটবলে  প্রথম পদ্মশ্রী সম্মান লাভ করেন। তিনি ছিলেন একজন মনেপ্রাণে বাঙালি। রাষ্ট্রপতির হাত থেকে পুরস্কার নিতে যাওয়ার আগে রাষ্ট্রপতির আপ্তসহায়ক নির্দেশ পাঠালেন, গোষ্ঠ পাল যে...

শ্রীশ্রী গুরুচাঁদ ঠাকুরের বাণী

Image
১. নির্বোধ সরল জাতি মূল নাহি বোঝে। যে যাহা বলিয়া যায় তাই শুনে মজে। কি বলিব দুঃখের কথা বুক ফেটে যায়,  শত্রু কি বান্ধব এরা চেনে নাকো হয়।। ২.বোকা যদি নমঃশূদ্র নীতি নাহি জানে  শ্রাদ্ধ বিবাহে ব্যয় করে অকারণে।। ৩. ব্রাহ্মণের দুর্নীতি শুরু হলো জানা  ব্রাহ্মণ্যবাদের প্রতি জেগে ওঠে- ঘৃণা।  ব্রাহ্মণ রচিত সব অভিনব গ্রন্থ  ব্রাহ্মণ প্রধান মার্কা বিজ্ঞাপন যন্ত্র।। ব্রাহ্মণের স্বার্থে তারে শাস্ত্র লেখে তারা। শাস্ত্রের বিধান মানে অব্রাহ্মণ যারা।। ব্রাহ্মণ কি অধিকারী দীক্ষাগুরু যারা। ফাঁকি দিয়ে প্রণামী টাকা নেয় তারা।। ব্রাহ্মণ প্রধান মার্কা যত শাস্ত্র গ্রন্থ  সবাই জানিবে শুধু শোষণের যন্ত্র।।  ৪. ভেগধারী বৈষ্ণবের ভিক্ষা নাহি দিবে। ভিক্ষা দিলে ব্যাভিচার বাড়িয়া  চলিবে।। ৫. স্বর্গের চাবি রাখে ব্রাহ্মণ সুজন , পদধুলি দানে করে পাপের মোক্ষন। জন্ম মৃত্যু বিবাহ আদি কিছু ফাঁক নাই,  পদে পদে বিপ্র পদে কিছু দেয়া চাই।। ৬.দেবতা মন্দির সবে গড় ঘরে ঘরে। নিত্যপূজা কর সেথা সরল অন্তরে।। এইখানে বলি আমি এক সমাচার। দেবতা মন্দিরে পূজা করিবে কাহার।। বিশ্বভরে এই ...