জন্ম ও বৈবাহিক সূত্রে মু চলিম হওয়া সত্ত্বেও মুমিনা বেগম (ইন্দিরা গান্ধী) বোরখা পরতেন না কেন?
জন্ম ও বৈবাহিক সূত্রে মু চলিম হওয়া সত্ত্বেও মুমিনা বেগম (ইন্দিরা গান্ধী) বোরখা পরতেন না কেন?
যদি তিনি হিন্দু হ'ন, তবে কেন তিনি জীবনেও শাঁখা সিঁদুর শরীরে তোলেন নি? তিনি কোন শাক্ত, শৈব বা বৈষ্ণব উপাসক ছিলেন না, এছাড়া হিন্দুরীতি অনুযায়ী দীক্ষাও নেন নি।...তবে হিন্দুদের বোকা বানাতে গলায় রুদ্রাক্ষ পরতেন কেন? কেন তিনি ফিরোজ জাহাঙ্গীরের সঙ্গে 'লন্ডন মসজিদ'-এ মু সলিম রীতি অনুযায়ী নিকাহ করেও, একটা ফেক মিথ্যে হিন্দু রীতি অনুযায়ী বিয়ে করার ছবি ছড়িয়ে দিয়েছিলেন হিন্দুদের বোকা বানাতে?
মুমিনা যদি গান্ধীই হ'ন, অর্থাৎ হিন্দুই হ'ন, তবে কেন তাকে সৌদি বাদশাহ Al-Arabiyya al-Saudiyya মক্কায় হজ করতে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন এবং তিনি হজ করে হাজি হয়েছিলেন? অমুসলিমদের তো হজ করার অনুমতি নেই !!!
[তথ্যসূত্র- ‘Reminiscences of the Nehru Age’ (now banned by the Indian Government) written by Shri. M.O. Mathai, Nehru’s personal secretary.]
K.N. Rao - এর লেখা "THE NEHRU DYNASTY" পড়লে প্রশ্ন আসে Kamala Kaul এবং Jawaharlal Nehru এর মধ্যে কি সম্পর্ক ছিল? কমলা কাউল এর সঙ্গে নেহেরুর বিয়ে হলে - স্ত্রী হলে, মতিলাল নেহেরুর অধীনে কাজ করা "মোবারক আলি"র সঙ্গে কমলার কি সম্পর্ক ছিল? মোবারকের পুত্র "মনজুর আলি" হলে, মনজুরের প্রকৃত মা কে?
ইন্দিরা যদি মোবারক আলির মেয়ে না হয়ে জওহরলাল নেহেরুর মেয়ে হ'ন, তবে তার মা কমলা তাকে জওহরের বিরুদ্ধে গিয়ে ফিরোজ জাহাঙ্গীরকে নিকাহ করতে উৎসাহিত করেছিলেন কেন?
১৯৬৬ এর ১১ই জানুয়ারী তাসখন্দে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী লালবাহাদুর শাস্ত্রীর দুধে যে বিষ মিশিয়েছিল, সেই বাটলার (চাকর) 'জান মহম্মদ'- কিভাবে সারাজীবন পাকিস্তানে বসে আমোদ প্রমোদে জীবন কাটালো? ভারত থেকে তাকে সারাজীবন গাদা গাদা টাকা পাঠিয়ে গেছে কে?
...দ্বিজাতি তত্ত্বের উপর ভিত্তি করে ভারত দ্বিখণ্ডিত হয়েছিল।...পাকিস্তান আর ভারত নামে।...নবগঠিত ইসলামিক রাষ্ট্র পাকিস্তানের ক্ষমতায় আসলেন প্রত্যাশিতভাবেই মুসলিম মহম্মদ আলি জিন্নাহ; আর খণ্ডিত ভারতের প্রধানমন্ত্রী হলেন হিন্দু নামধারী আরেক মু চ লিম জওহর লাল নেহেরু।
পিছন দিক থেকে ক্ষমতা নিয়ন্ত্রক হিসাবে থাকলেন আরেক অহিন্দু মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী।...গান্ধীও হিন্দু ছিলেন না, ছিলেন জৈন।...অনেকেই জানেন না যে, জৈনরা ধর্মে সনাতন নয়; জৈনরাও ভারত সরকার দ্বারা ঘোষিত মুসলমানদের মতোই সংখ্যালঘু এবং সংখ্যালঘু হিসাবে ইসলাম, খ্রিস্টানদের মতো তারাও সরকারি বিশেষ সুবিধাপ্রাপ্ত ধর্মীয় সম্প্রদায়।
ভারত কি তবে বিভাজিত হয়েছিল অহিন্দুদের গোপন শলাপরামর্শে ?
সংবিধান রচনাকালে "ধর্ম নিরপেক্ষ" শব্দটি না থাকলেও, পরবর্তীকালে ইন্দিরা গান্ধী ক্ষমতায় এসেই (যিনি ধর্মে জন্ম ও বৈবাহিক সূত্রে মু স মান), কেন সংবিধান সংশোধন করে ধর্মনিরপেক্ষতা সংযোজিত করলেন? তিনি কি নিজের এবং তার স্বামীর ইসলাম ধর্মাবলম্বী পূর্বপুরুষের প্রতি তার শ্রদ্ধার নৈবদ্য অর্পণ করলেন- হিন্দুজাতিকে চিরকালের তরে বলির পাঁঠা বানিয়ে!
আসুন আমরা জেনে নেই নেহেরু বংশের লুকিয়ে রাখা প্রকৃত ইতিহাস।...প্রকাশ্যে চালেঞ্জ করলাম কংগ্রেসী পণ্ডিতদের - পারলে তথ্য ও যুক্তি দিয়ে আমার বক্তব্য ভুল প্রমানিত করুন।
...গিয়াসউদ্দীন গাজী মুঘল সম্রাটের অধীনে দিল্লির নগর কোতোয়াল (Police Cheif) ছিলেন।...১৮৫৭ সালের সিপাহি বিদ্রোহের পরিসমাপ্তির পরে, ব্রিটিশরা দিল্লি দখল করার পর, মুঘল রাজবংশের অনুগত বেইমানদের খুঁজে খুঁজে হত্যা করা হচ্ছিল।
...গিয়াসউদ্দিন গাজী ( kafer Killer - অর্থাৎ গাজী শব্দের অর্থ, যারা অমুসলিমদের হত্যা করে), বিপদ বুঝে নাম পালটে হিন্দু নাম ধারন করলেন গিয়াসউদ্দীন গাজী - ছদ্মনাম নিলেন গংগাধর।
...গিয়াসউদ্দিন গাজী বাস করতেন রেড ফোর্ট ( লাল কেল্লার) এর কাছে একটা ক্যানেল( Nehr/হিন্দিতে 'নেহের') এর পাড়ে তাই নেহের পারের গাজী পদবীর জায়গা নিল নেহেরু।...এই ভাবেই গিয়াসউদ্দীন গাজী হয়ে গেলেন গংগাধর নেহেরু - যার কনিষ্ঠ পুত্রের ছদ্মনাম মতিলাল নেহেরু।
[তথ্য সুত্র:- The 13th volume of the“Encyclopedia of Indian War of Independence” (ISBN:81-261-3745-9) by M.K. Singh]
Comments