অবতার বাদ হটাও

অবতার বাদ হটাও

      কলমে- মদন কুমার রায় 

লেখা-০৯-০৭-২০২০


নতুন করে লিখো আবার

শ্রী হরি লীলামৃত খানি,

যেখানে থাকবে না অবতার

বাদের কল্প কাহিনী।

অবতার বাদের নবলক্ষ গ্রন্থ

আর তেত্রিশ কোটি দেবতা,

মূল নিবাসী সকল নারী কে

বানিয়ে রেখেছে পতিতা।

নর্দমার কীট বানিয়েছে ওরা

সকল ভারত বাসী,

লীলামৃত থেকে ছেঁটে ফেলো

অবতার বাদ অন্ধবিশ্বাসী।


বাওন কে তুষ্ট করতে ছাপা 

বর্ণবাদী কিছু লেখা,

শ্রী হরি লীলামৃতের পাতায়

জায়গো সে সব দেখা।

এসব দেখে অবুঝ মতুয়া

মেনে চলে বর্ণবাদ,

বোঝেনা তারা এসব বাওনের

ছল চাতুরির ফাঁদ।

অবতার বাদ না লিখলে ছাপা

হতো না শ্রী হরি লীলামৃত,

জানা হতো না শ্রী গুরুচাঁদ

চরিত সুধা অমৃত।

ব্রাহ্মণ্যবাদের বিরুদ্ধে তখন

কথা বলাও ছিল পাপ,

এদিক ওদিক হলে শূদ্রদের

বলি দিয়ে করতো ছাপ।


এখন সবে প্রতিষ্ঠিত শিক্ষিত

আর ও মিডিয়ার যুগ,

তবু বর্ণবাদের বিরুদ্ধে ভয়ে

কেউ খোলে না মুখ।

তাই আজ বিবেচনা করুন

দুই শত বছর আগে,

বর্ণবাদের কুপ্রথার বিরুদ্ধে

হরিচাঁদ প্রথম জাগে।

হরিচাঁদ থেকে গুরুচাঁদ 

গড়ে তোলে মতুয়া দল,

বর্ণবাদের বিরুদ্ধে যোগায়

শক্তি সাহস বল।

অবতারবাদ পুরোহিত তন্র

গুরুবাদ ফেল ছুড়ে,

মতুয়ার আদিস্বত্তা লালন

কর সমস্ত হৃদয় জুড়ে।

নতুন করে বর্ণবাদের বিরুদ্ধে

কলম চালাও কবি,

তোমাদের হাতেই রয়েছে

বর্ণবাদ ধ্বঙসের চাবি।

অন্ধ ঘরের বন্ধ দুয়ার

তোমরা দেবে খুলে,

অসীমের পথে ধর পাড়ি

মতুয়ার পাল তুলে।

-------------------------------


জয় হরিবোল।

Comments

Popular posts from this blog

গুরুচাঁদ চরিত পর্ব :- 3 ওড়াকান্দী ঠাকুর বংশের ইতিহাস

শ্রাবণ_সোমবারের_মাহাত্ম্য

মুশকিল হয়েছিল, শ্মশানে তাঁর পাদুটো কিছুতেই পুড়ছিল না!