Posts

Showing posts from June, 2020

প্রায়শই শুনে থাকি ইন্ডিয়ার সাম্প্রতিক সীমান্ত হত্যা

Image
প্রায়শই শুনে থাকি ইন্ডিয়ার সাম্প্রতিক সীমান্ত হত্যা, মুসলিম নির্যাতন ইত্যাদি নানা খারাপ আচরণের কারণেই এদেশের মানুষের ইন্ডিয়া বিরোধী মনোভাব সৃষ্টি হয়েছে। তো এদেশের মেজরিটির ইন্ডিয়া বিদ্বেষ কবে ছিলো না? পাকিস্তান আমলে? ইন্ডিয়া বিদ্বেষের বীজ বুনে এবং সার, পানি দিয়েই তো এদেশের মানুষকে পাকিস্তানিরা শত শোষনের পরেও ধরে রাখতে চেয়েছে বা দীর্ঘসময় সফলতাও পেয়েছে। এমনকি রবীন্দ্রনাথকেও তারা এদেশে নিষিদ্ধ করে রেখেছিল। ১৯৭১ এর স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়ও তো পাকিস্তানীদের প্রধান শ্লোগানই ছিল ইন্ডিয়ার চক্রান্তেই ষড়যন্ত্রকারীরা পেয়ারা পাকিস্তান ভাঙ্গতে চাচ্ছে। ৯ মাস যুদ্ধের সমস্ত অস্ত্র, প্রশিক্ষণ, ১ কোটি শরণার্থীকে  ৯ মাস আশ্রয় ও খাদ্যের সংস্থান, সকল আন্তর্জাতিক সমর্থন আদায় করে দেয়া, সরাসরি যুদ্ধে নেমে তাদের ৫০০০ সৈন্য মৃত্যু, এতকিছুর পরেও ১৯৭২ সালের সদ্য স্বাধীন দেশেও ইন্ডিয়ার প্রতি এদেশের জনতার কৃতজ্ঞতা ছিল? ছিল না। তারা প্রপাগান্ডা ছড়াচ্ছিল, ইন্ডিয়া এদেশের সব লুট করে নিয়ে গেছে, সোনা, রূপা, কলকারখানা, অস্ত্র....। বটে। এত অস্ত্র, কলকারখানা কোত্থেকে এলো? ৯ মাস যুদ্ধ করলেন কার যোগাড় করে দেয়া অ...

** শিব গীতা ** 2 বৈরাগ্যোপদেহো দ্ধিতীয়োহধ্যায়

Image
ঋষয় ঊচুঃ ||  কিমর্থমাগতোঽগস্ত্যো রামচন্দ্রস্য সন্নিধিম্ |  কথং বা বিরজাং দীক্ষাং কারয়ামাস রাঘবম্ |  ততঃ কিমাপ্তবান্ রামঃ ফলং তদ্বক্তুমর্হসি || ১||  সূত উবাচ ||  রাবণেন যদা সীতাঽপহৃতা জনকাত্মজা |  তদা বিয়োগদুঃখেন বিলপন্নাস রাঘবঃ || ২||  নির্নিদ্রো নিরহংকারো নিরাহারো দিবানিশম্ |  মোক্তুমৈচ্ছত্ততঃ প্রাণান্সানুজো রঘুনন্দনঃ || ৩||  লোপামুদ্রাপতির্জ্ঞাৎবা তস্য সন্নিধিমাগমৎ |  অথ তং বোধয়ামাস সংসারাসারতাং মুনিঃ || ৪||  অগস্ত্য উবাচ ||  কিং বিষীদসি রাজেন্দ্র কান্তা কস্য বিচার্যতাম্ |  জডঃ কিং নু বিজানাতি দেহোঽযং পাঞ্চভৌতিকঃ || ৫||  নির্লেপঃ পরিপূর্ণশ্চ সচ্চিদানন্দবিগ্রহঃ |  আত্মা ন জায়তে নৈব ম্রিয়তে ন চ দুঃখভাক্ || ৬||  সূর্যোঽসৌ সর্বলোকস্য চক্ষুষ্ট্বেন ব্যবস্থিতঃ |  তথাপি চাক্ষুষৈর্দোষৈর্ন কদাচিদ্বিলিপ্যতে || ৭||  সর্বভূতান্তরাত্মাপি তদ্বদ্দৃশ্যৈর্ন লিপ্যতে |  দেহোঽপি মলপিণ্ডোঽযং মুক্তজীবো জডাত্মকঃ || ৮||  দহ্যতে বহ্নিনা কাষ্ঠৈঃ শিবাদ্যৈর্ভক্ষ্যতেঽপি বা |  তথাপি নৈব জানাতি বিরহে ...

** শিব গীতা ** নং:-1 শিবভুক্ত্যুৎ কর্ষনিরুপনং প্রথমোহধ্যায়

Image
সূত উবাচ ||  অথাতঃ সম্প্রবক্ষ্যামি শুদ্ধং কৈবল্যমুক্তিদম্ |  অনুগ্রহান্মহেশস্য ভবদুঃখস্য ভেষজম্ || ১||  ন কর্মণামনুষ্ঠানৈর্ন দানৈস্তপসাপি বা |  কৈবল্যং লভতে মর্ত্যঃ কিংতু জ্ঞানেন কেবলম্ || ২||  রামায় দণ্ডকারণ্যে পার্বতীপতিনা পুরা |  যা প্রোক্তা শিবগীতাখ্যা গুহ্যাদ্গুহ্যতমা হি সা || ৩||  যস্যাঃ শ্রবণমাত্রেণ নৃণাং মুক্তির্ধ্রুবং ভবেৎ |  পুরা সনৎকুমারায় স্কন্দেনাভিহিতা হি সা || ৪||  সনৎকুমারঃ প্রোবাচ ব্যাসায় মুনিসত্তমাঃ |  মহ্যং কৃপাতিরেকেণ প্রদদৌ বাদরায়ণঃ || ৫||  উক্তং চ তেন কস্মৈচিন্ন দাতব্যমিদং ৎবয়া |  সূতপুত্রান্যথা দেবাঃ ক্ষুভ্যন্তি চ শপন্তি চ || ৬||  অথ পৃষ্টো ময়া বিপ্রা ভগবান্বাদরায়ণঃ |  ভগবন্দেবতাঃ সর্বাঃ কিং ক্ষুভ্যন্তি শপন্তি চ || ৭||  তাসামত্রাস্তি কা হানির্যয়া কুপ্যন্তি দেবতাঃ |  পারাশর্যোঽথ মামাহ যৎপৃষ্টং শৃণু বৎস তৎ || ৮||  নিত্যাগ্নিহোত্রিণো বিপ্রাঃ সংতি যে গৃহমেধিনঃ |  ত এব সর্বফলদাঃ সুরাণাং কামধেনবঃ || ৯||  ভক্ষ্যং ভোজ্যং চ পেয়ং চ যদ্যদিষ্টং সুপর্বণাম্ |  অগ্নৌ হ...

শিবগীতা

Image
নমস্কার বন্ধুরা , আজকের আলোচ্য বিষয় হলো  শিবগীতা  কি ? আপনারা সকলেই হয়তো ভগবদ্ গীতা সম্পর্কে জানেন কিন্তু শিবগীতা সম্পর্কে ঠিক ততটা জানেন না । তাই আজকে আমি শিবগীতা সম্বন্ধেে একটা সাধারন জ্ঞান প্রকাশিত করছি । যে প্রকার ভগবান শ্রীকৃষ্ণের মুখ থেকে ভগবদ্গীতা বের হয়েছে , অনুরূপ ভাবে ভগবান শিবের মুখারবিন্দ থেকে বের হয়েছে এই  শিবগীতা।  মহাভারতের ভীষ্ম পর্ব থেকে ভগবদ্গীতা এসেছে , এবং সেখানে মোট আঠারোটি অধ্যায় রয়েছে । তাকে কৃষ্ণার্জুন সংবাদ বলে উল্লিখিত করা হয়েছে ।  ঠিক তেমনই পদ্মপুরাণে উল্লিখিত শিবরাঘব সংবাদ শিবগীতা নামে প্রসিদ্ধ । এখানেও আঠারোটি অধ্যায় রয়েছে । এই আঠারোটি অধ্যায় যথাক্রমে - শিবভক্তি নিরূপণ , বৈরাগ্য উপদেশ , বিরজাদীক্ষা নিরূপণ , শিব প্রাদুর্ভাব , রামকে বর প্রদান , বিভূতি যোগ , বিশ্বরূপ দর্শন , পিণ্ডোৎপত্তি কথন , দেহ স্বরূপ নির্ণয় , জীব স্বরূপ কথন , জীব গতি নিরূপণ , উপাসনা জ্ঞান ফল , মোক্ষ নিরূপণ , পঞ্চকোশোপপাদন , ভক্তিযোগ , গীতা অধিকারী নিরূপণ , ব্রহ্ম নিরূপণ যোগ এবং জীবন্মুক্তি স্বরূপ নিরূপণ যোগ ।  যেভাবে অর্জুনের প্রশ্নের উত্ত...

শিব কে ? , শিবের পরিচয় কি ?

Image
নমস্কার বন্ধুরা আজকে আমি আলোচনা করতে চলেছি শিব কে ? , শিবের পরিচয় কি ? পরমেশ্বর শিবকে প্রনাম জানিয়ে শুরু করছি আজকের আলোচিত বিষয় । প্রথমে জানবো শিব শব্দের অর্থ , শিব শব্দের শাব্দিক অর্থ হচ্ছে  কল্যাণকারী  বা  মঙ্গল।  ভগবান শিবের পাঁচটি মুখ রয়েছে , এই পাঁচ মুখ দিয়ে তিনি জগতের মঙ্গল করে থাকেন , তাই তিনি কল্যাণকারী বা শিব নামে পরিচিত ।   পাঁচ মুখ যথাক্রমে বামদেব , কালাগ্নি , দক্ষিনেশ্বর , ঈশান এবং কল্যাণ সুন্দরম্ । আবার কোথাও একে ঈশান , তৎপুরুষ , অঘোর , বামদেব এবং সদ্যোজাত নামেও উল্লেখিত হয়েছে । শিবের দ্বিতীয় অর্থ হচ্ছে  চিত্তিশক্তি  যা সকল প্রকার বন্ধন থেকে মুক্ত । শিবের তৃতীয় অর্থ  সদাশিব  ।   ব্রহ্মের সাকার এবং সগুণ রুপকে বলা হয় সদাশিব । তিনি আনুমানিক সাত হাজার বছর পূর্বে অবতরিত হয়েছেন । পরব্রহ্মের নানা শক্তির নানা অভিব্যাক্তিকে বলা হয়েছে দেবতা কিন্তু শিব এইসব দেবতাদেরও দেবতা । তাই তার এক নাম  মহাদেব । যাকে পরব্রহ্ম বলা হয়েছে যিনি নিরাকার এবং নির্গুণ তিনিই ' শিব ' নামে বিখ্যাত । যা সৃষ্টির মূলতত্ত্ব ...

আসুন গীতা পাঠ করি:- 18 অষ্টাদশ অধ্যায়ঃ মোক্ষযোগ

Image
অষ্টাদশ অধ্যায়ঃ মোক্ষযোগ  অর্জুন উবাচ  সন্নাসস্য মহাবাহো তত্তুম্‌ ইচ্ছামি বেদিতুম্‌ ।  ত্যাগস্য চ হৃষীকেশ পৃথক কেশিনিসুদন ।।১  অর্থ-অর্জুন বললেন- হে মহাবাহো, হৃষিকেশ হে কেশিনিসুদন আমি সন্নাস ও ত্যাগ শব্দের তত্ত্ব পৃথক পৃথক ভাবে জানতে ইচ্ছা করি।  ভগবান উবাচ  কাম্যানাম্‌ কর্মনাম্‌ ন্যাসম্‌ সন্নাসম্‌ কবয়ঃ বিদুঃ ।  সর্ব কর্ম ফল ত্যাগম্‌ প্রাহুঃ ত্যাগম বিচক্ষনাঃ ।।২  অর্থ-ভগবান বললেন সম কর্মের ফল ত্যাগকে বিচক্ষন ব্যক্তিগন ত্যাগবলেন এবং কাম্য কর্মের পরিত্যাগকেই পন্ডিতগন সন্নাস বলে।  ত্যাজ্যম্‌ দোশবত্ ইতি একে কর্ম প্রাহুঃ মনিষিণঃ ।  যজ্ঞ দান তপঃ কর্ম ন ত্যাজ্যম্‌ ইতি চ অপরে ।।৩  অর্থ-ত্যাগ সম্বন্ধে একশ্রেনীর পন্ডিতেরা এরুপ স্থির করেছেন যে,কর্মকে দোষ বলে একেবারে ত্যাগ করবে, অপর এক শ্রেণীর পন্ডিত যজ্ঞ,দান,তপস্যা প্রভৃতি কর্মকে অত্যাজ্য বলে সিদ্ধান্ত করেছে।  নিশ্চয়ম্‌ শৃনু মে অত্র ত্যাগে ভরতম্‌ ।  ত্যাগ হি পুরুষব্যাগ্র ত্রিবিধঃ সংপ্রকীর্তিতঃ ।।৪  অর্থ-হে ভরত সত্তম্‌ ত্যাগ সম্বন্ধে আমার সিদ্ধান্ত শ্রবন কর, হে পুরুষ ব...

আসুন গীতা পাঠ করি:- 17 সপ্তদশ অধ্যায়ঃ শ্রদ্ধাত্রয় বিভাগযোগ

Image
সপ্তদশ অধ্যায়ঃ শ্রদ্ধাত্রয় বিভাগযোগ  অর্জুন উবাচ  যে শাস্ত্রবিধিম্‌ উত্সৃজ্য যজন্তে শ্রদ্ধয়া অন্বিতা ।  তেষাম্‌ নিষ্ট তু কা কৃষ্ণ সপ্তম্‌ অহো রজঃ তমঃ ।।১  অর্থ-অর্জুন বললেন-হে ভগবান যারা শাস্ত্রিয় বিধান পরিত্যাগ করে শ্রদ্ধা সহকারে দেব দেবীর পূজা করে তাদের সেই নিষ্ঠা কি সাত্তিক,রাজসিক না তামসিক।  ভগবান উবাচ  ত্রিবিধা ভবতী শ্রদ্ধা দেহীনাম সা স্বভাবজা ।  স্বাত্ত্বিকী রাজসী চ এব তামসী চ ইতি তাম শৃণু ।।২  অর্থ-দেহীদের স্বভাবজনিত শ্রদ্ধা তিন প্রকার,সাত্ত্বিক,রাজসীক ও তামসীক।  সত্ত্বানুরুপা সর্বস্য শ্রদ্ধা ভবতী ভারত ।  শ্রদ্ধাময়ঃ অময় পুরুষঃ যঃ যত্ শ্রদ্ধা সঃ এব সঃ ।।৩  অর্থ-হে ভারত সকলেই প্রকৃতির মাত্রা অনুযায়ী বিশেষ রকম শ্রদ্ধা যুক্ত হয় যে যেরকম গুনের প্রতি শ্রদ্ধাযুক্ত সে সেইরকম শ্রদ্ধাবান।  যজন্তে সাত্ত্বিকাঃ দেবান যক্ষরক্ষাংসি রাজসাঃ ।  প্রেতান ভূতাগনান চ অন্যে যজন্তে তামসাঃ জনাঃ ।।৪  অর্থ-সাত্ত্বিক ব্যক্তিরা দেবতাদের পূজা করে রাজসীক ব্যক্তিরা যক্ষ্য ও রাক্ষসদের পূজা করে এবং তমসিক ব্যক্তিরা ভূত প্রেতদের পূজা ...

আসুন গীতা পাঠ করি:- 16 ষোড়শ অধ্যায়ঃ দৈবাসুরসম্পদবিভাগযোগ

Image
ষোড়শ অধ্যায়ঃ দৈবাসুরসম্পদবিভাগযোগ  শ্রীভগবানুবাচ ।  অভয়ম্‌ সত্ত্বসংশুদ্ধিঃ জ্ঞান যোগ ব্যবস্তিতিঃ ॥  দানম্‌ দমঃ চ যজ্ঞঃ চ সাধ্যায় তপ আর্জবম্‌ ॥১॥  অহিংসা সত্যম্‌ অক্রোধঃ ত্যাগঃ শান্তি অপৈশুনম্‌ ॥  দয়া ভূতেষু অলোলুপ্তম্‌ মার্দবম্‌ হ্রীঃ অচাপলম্‌ ॥২॥  তেজঃ ক্ষমা ধৃতিঃ সৌচম্‌ অদ্রোহঃ ন অতিমানিতা ॥  ভবন্তি সম্পদম দৈবীম্‌ অভিজাতস্য ভারত ॥৩॥  অর্থ-ভগবান বললেন হে ভারত, ভয়শুন্যতা, সত্তার, পবিত্রতা পারমার্থিক জ্ঞানের অনুশিলন, দান, আত্মসংযম, যজ্ঞ অনুষ্ঠান,বৈদিক শাস্ত্র অধ্যায়ন,তপশ্চর্যা, সরলতা,অহিংসা,সত্যবাদিতা,ক্রোধশুন্যতা,বৈরাগ্য, শান্তি ,অন্যের দোশদর্শন না করা,দয়া,লোভহীনতা,মৃদুতা,অসত্ চিন্তা ও অসত্ কর্ম লজ্জা, অচপলতা,তেজ,ক্ষমা, ধৈর্য,শৌচ,মত্সর্য শুন্যতা, অনভিমান এই সমসত গুনগুলি দিব্যভাব সমন্বিত ব্যক্তিদের মধ্যে দেখা যায়।  দম্ভঃ দর্পঃ অভিমান চ ক্রোধঃ পারুষ্যম্‌ এব চ ॥  অজ্ঞানাম্‌ চ অভিজাতস্য পার্থ সম্পাদম্‌ আসুরীম্‌ ॥৪॥  অর্থ-হে পার্থ যারা আসুরি ভাব নিয়া জন্মগ্রহন করেছেন, দম্ভ, দর্প,অহংঙ্কার, ক্রোধ, বাক্য এবং ব্যবহরে কর্কশভাব্‌ এ...

আসুন গীতা পাঠ করি:- 15 পঞ্চদশ অধ্যায়ঃ পুরুষোত্তমযোগ

Image
পঞ্চদশ অধ্যায়ঃ পুরুষোত্তমযোগ  ভগবান উবাচ  উর্ধ্বমুলম্‌ অধঃ শাখম্‌ অশ্বত্থম্‌ প্রাহুঃ অব্যয়ম্‌ ।  ছন্দাংসি যস্য পর্নানি যঃ তম বেদ সঃ বেদবিত্ ।।১  অর্থ-ভগবান বললেন-উর্ধমুল এবং অধঃ শাখা বিশিষ্ঠ একটি অশ্বত্থবৃক্ষ রয়েছে,বৈদিক মন্ত্র সমুহ সেইবৃক্ষের পত্র স্বরুপ। যিনি এই বৃক্ষ্যটিকে ভাল ভাবে জানেন তিনিই বেদবিদ।  অধঃ চ উর্ধ্বম্‌ প্রসৃতাঃ তস্য শাখাঃ  গুন প্রবৃদ্বাঃ বিষয় প্রবালাঃ ।  অধঃ চ মুলানি অনুসন্ততানি  করম অনুবন্ধীনি মনুষ্য লোকে ।।২  অর্থ-এই বৃক্ষের শাখা সমুহ জরাপ্রকৃতির তিনটি গুনের দ্বারা পুষ্টহয়ে অধঃদেশে ও উর্ধদেশে বিস্তৃ্ত। জড়ীয় বিষয় সমুহই এই শাখাগনের পল্লব। এই বৃক্ষের মুলগুলি অধোঃদেশে প্রশারিত এবং সেগুলি মনুষ্যলোকে সকাম কর্মের বন্ধনে আবদ্ধ।  ন রূপম অস্য ইহ তথা উপলভ্যতে  ন অন্ত ন চ আদিঃ ন চ সংপ্রতিষ্ঠা ।  অশ্বত্থম্‌ এনম সুবিরূঢ় মুলম  অসঙ্গশস্ত্রেণ দৃঢ়েন ছিত্ত্বা ।।৩  ততঃ পদম্‌ তং পরিমার্গিতম্‌  যস্মি গতাঃ ন নিবতন্তি ভুয়ঃ ।  ত্বম এব চ আদ্যম্‌ পুরুষম্‌ প্রপদ্যে  যতঃ প্রবৃত্তিঃ প্রসুতা পুরাণী ।।...

আসুন গীতা পাঠ করি:- 14 চতুর্দশ অধ্যায়ঃ গুণত্রয় বিভাগযোগ

Image
চতুর্দশ অধ্যায়ঃ গুণত্রয় বিভাগযোগ  ভগবান উবাচ  পরম ভূয় প্রবক্ষামি জ্ঞানানাম ‌জ্ঞানম্ উত্তমম।  যত্ জ্ঞাত্বা মুনয়ঃ সর্বে পরাম সিদ্ধিম ইতঃ গতাঃ।।১  অর্থ-ভগবান বললেন-আমি পুনরায় তোমাকে সমস্ত জ্ঞানের মধ্যে সর্বতম জ্ঞান সম্বন্ধেই বলব, যা লাভ করে, মুনিগন পরা সিদ্ধিরূপা ভক্তি লাভ করে ছিলেন।  ইদম জ্ঞানম উপাশ্রিত্য মম সাধর্ম্যম আগতাঃ ।  সর্গে অপি ন উপজায়ন্তে প্রলয়ে ন ব্যথন্তি চ ।।২  অর্থ-সেই জ্ঞান আশ্রয় করলে আমার পরা প্রকৃতি, চিন্ময় জগত্ লাভকরে। তখন আর সৃষ্ঠির সময় জড় জগতে জন্মগ্রহন করে না এবং প্রলয়ে আত্মবিনাশ রুপ ব্রাথা পায় না।  মম যোনিঃ মহত্ ব্রহ্ম তস্মিন গর্ভম দধামি অহম্‌।  সম্ভবঃ সর্বভূতানাম্‌ ততঃ ভবতি ভারত ।।৩  অর্থ-হে ভরত প্রকৃতি সংজ্ঞক ব্রহ্ম এই জড় জগতের উত্পত্তির কারন, এবং সেই ব্রহ্মে আমি গর্ভদান করি ফলে সর্বভূতের সৃষ্ঠি হয়ে।  সর্বযোনিষু কৌন্তেয় মুর্তয় সম্ভবন্তি যাঃ ।  তাসাম্‌ ব্রহ্ম মহত্ যোনিঃ অহম জীবপ্রদ পিতা ।।৪  অর্থ-হে কৌন্তেয় সমস্ত যোনিতে যত মুর্তি প্রকাশিত হয় ব্রহ্মরুপ যোনিই তাদের জননী স্বরুপা এবং আমি তাদের ব...

আসুন গীতা পাঠ করি:- 13 ত্রয়োদশ অধ্যায়ঃ ক্ষেত্রক্ষেত্রজ্ঞবিভাগযোগ

Image
ত্রয়োদশ অধ্যায়ঃ ক্ষেত্রক্ষেত্রজ্ঞবিভাগযোগ  প্রকৃতি পুরুষ বিবেক যোগ  অর্জুন উবাচ  প্রকৃতিম্‌ পুরুষম্‌ চ এ ক্ষেত্রম্‌ ক্ষেত্রজ্ঞ্‌ এব চ ।  এতত্ বেদিতু্‌ ইচ্ছামি জ্ঞান জ্ঞেয়্‌ম্‌ চ কেশব ।।১  অর্থ-অর্জুন বলিলেন-হে কেশব, আমি প্রকৃতি, পুরুষ, ক্ষেত্র,ক্ষেত্রজ্ঞ, জ্ঞান ও জ্ঞেয় এই সমস্ত তত্ত জানতে ইচ্‌ছা করি।  ভগবান উবাচ  ইদম শরিরম কৌন্তেয় ক্ষেত্রম ইতি অভিধিয়তে ।  এতত্ যঃ বেত্তি তম প্রাহুঃ ক্ষেত্রজ্ঞ ইতি তদ্ধিদঃ ।।২  অর্থ-ভগবান বলিলেন-হে অর্জুন এই শরিরে নামই ক্ষেত্র যিনি এই ক্ষেত্রকে অবগত হন, তিনিই ক্ষেত্রজ্ঞ।  ক্ষেত্রজ্ঞম চ অপি মাম বিদ্ধি সর্ব ক্ষেত্রেষু ভারত ।  ক্ষেত্র ক্ষেত্রজ্ঞয়োঃ জ্ঞানম যত্ তত্ জ্ঞানম মতম মম ।।৩  অর্থ- হে ভারত আমাকে সমস্ত ক্ষেত্রের ক্ষেত্রজ্ঞ বলে জানবে, এবং ক্ষেত্র ও ক্ষেত্রজ্ঞ সম্বন্ধে যথাযত ভাবে অবগত হওয়াই আমার মতে প্রকৃত জ্ঞান।  তত্ ক্ষেত্রম যত্ চ যাদৃক চ যত্ বিকারি যতঃ চ যত্ ।  সঃ চ যত্ প্রভাবঃ চ তত্ সমাসেন মে শৃণু ।।৪  অর্থ-সে ক্ষেত্র কি,তার প্রকার কি,তার বিকার কি ,তা কার থেকে উত্পন্...