Posts

Featured Post

জন্ম ও বৈবাহিক সূত্রে মু চলিম হওয়া সত্ত্বেও মুমিনা বেগম (ইন্দিরা গান্ধী) বোরখা পরতেন না কেন?

Image
জন্ম ও বৈবাহিক সূত্রে মু চলিম হওয়া সত্ত্বেও মুমিনা বেগম (ইন্দিরা গান্ধী) বোরখা পরতেন না কেন?  যদি তিনি হিন্দু হ'ন, তবে কেন তিনি জীবনেও শাঁখা সিঁদুর শরীরে তোলেন নি? তিনি কোন শাক্ত, শৈব বা বৈষ্ণব উপাসক ছিলেন না, এছাড়া হিন্দুরীতি অনুযায়ী দীক্ষাও নেন নি।...তবে হিন্দুদের বোকা বানাতে গলায় রুদ্রাক্ষ পরতেন কেন? কেন তিনি ফিরোজ জাহাঙ্গীরের সঙ্গে 'লন্ডন মসজিদ'-এ মু সলিম রীতি অনুযায়ী নিকাহ করেও, একটা ফেক মিথ্যে হিন্দু রীতি অনুযায়ী বিয়ে করার ছবি ছড়িয়ে দিয়েছিলেন হিন্দুদের বোকা বানাতে? মুমিনা যদি গান্ধীই হ'ন, অর্থাৎ হিন্দুই হ'ন, তবে কেন তাকে সৌদি বাদশাহ Al-Arabiyya al-Saudiyya মক্কায় হজ করতে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন এবং তিনি হজ করে হাজি হয়েছিলেন? অমুসলিমদের তো হজ করার অনুমতি নেই !!! [তথ্যসূত্র- ‘Reminiscences of the Nehru Age’ (now banned by the Indian Government) written by Shri. M.O. Mathai, Nehru’s personal secretary.] K.N. Rao - এর লেখা "THE NEHRU DYNASTY" পড়লে প্রশ্ন আসে Kamala Kaul এবং Jawaharlal Nehru এর মধ্যে কি সম্পর্ক ছিল? কমলা কাউল এর সঙ্গে নেহেরুর বিয়...

উলঙ্গ, উন্মুক্ত ইতিহাসের পাতায় যারা চিরকালীন বঞ্চিত ছিল।

Image
আটশো বছর মরু দস্যুদের বর্বরতার পাশাপাশি জাত পাতের দলাদলি। কখনও মন্দির ভাঙে তো কখনও জোর করে ধর্মান্তরকরণ। তারপরে লাল ইংরেজদের অকথ্য শোষণ ও অত্যাচার। সেখানেও একই কায়দায় দলে দলে ভ্যাটিকান প্রশিক্ষিত বিভিন্ন এজেন্টের আনাগোনা। দেশটার গরীব ও সহজ সরল মনের আদিবাসী মানুষ গুলোকে ধর্মের ভয়, অর্থের লোভ দেখিয়ে খ্রিস্টান বানানো হলো। এক দিনের গল্প নয় পুরো হাজার বছরের ইতিহাস। এর পরেই খাতায় কলমে দেশ স্বাধীনের স্বীকৃতি।দেশটাকে স্বাধীন হতেও হল  শর্ত রেখে, তিন টুকরো করে। একটুকরো ভারত অপরটা পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তান। এরই মাঝে দেশে জঘন্য রাজনীতি। দেশের জন্য গৃহস্থ ত্যাগ করে সন্ন্যাসের পথে নিজেকে নিয়ে যেতে হয়েছিল নেতাজিকে। তাকে চক্রান্তের শিকার হতে হলো। একদল বলেছিল পাকিস্তানকে নিজের অধিকার না দিয়ে ভারত কখনই স্বাধীন হতে পারে না। আগে পাকিস্তান দাও তারপর ভারত স্বাধীন হবে।আজ্ঞে, জ্যোতি ব্রিগেড বামপন্থী দলের কথা বলছি !! এরপরে, মুসলিম লীগ তখন অবিভক্ত বাংলার মসনদে। তাই রাজনৈতিক ক্ষমতার ব্যবহার করে তারা নোয়াখালী আর দ্য গ্রেট ক্যালকাটা কিলিং এর মতো হিন্দু হত্যা যজ্ঞ চালিয়ে গেল। তারা বুঝিয়ে দিলো নতুন দে...

রাজনৈতিক দাবার" "১২টি চাল" মনোযোগ সহকারে পড়ুন এবং বুঝুন....?

Image
গুরু নানকের আগে কোনও শিখ ছিল না! মুহম্মদের আগে কোনও মুসলিম ছিল না! ঋষভদেবের আগে কোনও জৈন ছিল না! বুদ্ধের আগে কোনও বৌদ্ধ ছিল না! কার্ল মার্ক্সের আগে কোনও বামপন্থী ছিল না! কৃষ্ণের আগে রাম ছিলেন... রামের আগে জমদগ্নি ছিলেন... জমদগ্নির আগে অত্রি ছিলেন... অত্রির আগে অগস্ত্য ছিলেন... অগস্ত্যের আগে পতঞ্জলি ছিলেন... পতঞ্জলির আগে কণাদ ছিলেন.... কণাদের আগে যাজ্ঞবল্ক্য ছিলেন... যাজ্ঞবল্ক্যের আগেও... সকলেই "সনাতন বৈদিক" অনুসারী ছিলেন..! এই "রাজনৈতিক দাবার" "১২টি চাল" মনোযোগ সহকারে পড়ুন এবং বুঝুন....? ০১. মুঘলরা "ভারতীয়" হয়ে ওঠে এবং "ভারতীয়", "কাফির" হয়ে ওঠে...?  ০২. গিয়াসউদ্দিন খান" হয়ে ওঠেন মতিলাল, জওহরলাল "নেহরু" তাঁর কন্যা ইন্দিরা, রাজীব - মাইনো থেকে, তারা সবাই হয়ে ওঠেন "গান্ধী"!! আর..."ভারতীয়" - "বোকা"!! ০৩. "মোমিন" হয়ে ওঠেন "কাশ্মীরী"...? আর, "কাশ্মীরী পণ্ডিত", "শরণার্থী"....? ০৪. "বাংলাদেশী" হয়ে ওঠেন "বাঙালী...

একজন হিন্দু মেয়ে মুসলিম ছেলেকে বিয়ে করার আগে যা জানা দরকার:

Image
ভারতে আন্তঃধর্মীয় বিবাহ (Inter-faith marriage) এখন বেশ সাধারণ হয়ে উঠছে। কিন্তু এমন বিয়েতে উভয় পক্ষের, বিশেষ করে মেয়েটির, নিজের অধিকার, আইনি পরিণতি, এবং ভবিষ্যতে সম্পত্তি উত্তরাধিকার সম্পর্কিত বিষয়গুলি আগে থেকেই জানা খুব জরুরি। সম্প্রতি, গুজরাটের এক ৩০ বছরের কাছাকাছি বয়সী জৈন মেয়ে (ধরুন নাম নিত্যা, এমবিএ ইন ফাইনান্স) আমার কাছে একটি ব্যক্তিগত বিষয়ে পরামর্শ নিতে এসেছিল। সে বলল, সে তার এক মুসলিম সহকর্মী (সুন্নি)-এর সঙ্গে “গম্ভীর সম্পর্কে” আছে এবং দু’জনেই বিয়ের কথা ভাবছে। নিত্যার পরিবার রক্ষণশীল, তারা এই বিয়েতে রাজি নয়, কিন্তু নিত্যা বিশ্বাস করে বিয়ের পর সবাই মেনে নেবে। ছেলেটির পরিবার রাজি, তবে তাদের শর্ত, নিত্যাকে ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত হতে হবে এবং বিয়েটা নিকাহ মারফত হতে হবে, যাতে আত্মীয়-স্বজনদের আপত্তি না থাকে। নিত্যা জানতে চাইল, আইন অনুযায়ী তার কী কী অধিকার থাকবে, বিয়ে ভেঙে গেলে কী হবে, এবং কোন পথে তার স্বার্থ সুরক্ষিত থাকবে। আমি বললাম, “আমি একজন আইনজীবী হিসেবে তোমাকে আইন বুঝিয়ে বলব, লাভ-ক্ষতি দুটো দিকই জানিয়ে দেব।” এই আলোচনা যেহেতু অনেকের উপকারে আসতে পারে, আম...

১৯৪৬ এর কোজাগরী ইতিহাস জানুন ‼️

Image
সেদিন টা ছিলো লক্ষ্মী পুজো,সালটা ১৯৪৬ এর অক্টোবরের দশ তারিখ, অন্যান্য আর পাঁচটা বছরের লক্ষ্মী পুজোর মত সেদিনও বাংলার বধুরা নিজগৃহে প্রদীপ জ্বেলে, আলপনা একে,শাঁখ আর উলুধ্বনিতে মা লক্ষ্মীকে বরণের তোড়জোড় করছিলো। কিন্তু নোয়াখালীতে সেদিন নেমে আসে এক ভয়াল রাত, যেখানে ভরা কোজাগরী পূর্ণিমার আলোতেও অমাবস্যা নেমে আসে। (তৎকালীন অবিভক্ত নোয়াখালী ছিল বর্তমান বাংলাদেশের নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী নিয়ে ত্রিপুরা জেলা ছিল বর্তমান কুমিল্লা, চাঁদপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া অঞ্চল নিয়ে গঠিত।) সেদিনের নোয়াখালীর পরিবারগুলোও হয়তো তেমনি ভেবেছিলো, সুরবালা দেবী(ছদ্মনাম) এক গৃহবধু প্রতিবারের ন্যায় সেবারও সারাবাড়িতে লক্ষ্মীর পায়ের আল্পনা একে,ধুপ-ধুনো নৈবিদ্দ আর শাঁখ-উলুধ্বনিতে মাকে বরণ করার আয়োজন করেছিলো,কিন্তু তখনও সে কিংবা তার প্রতিবেশীরা জানতো না আজ কি হতে চলেছে, সেদিন ধারালো অ স্ত্র  নিয়ে মু-সলিম লীগের গুন্ডারা আক্রমন করে সুরবালার গৃহে, প্রথমে তারা অলংকার ও অর্থ লুঠ ও গৃহে অগ্নি সংযোগ করে, সুরবালার পরিবার হয়তো ভেবেছিলো এবার তারা চলে যাবে কিন্তু না,অরাজকতা আরো বাকি ছিলো। তারা সুরবালাকে মাটিত...

কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো, 1946 নোয়াখালী।

Image
তখন সন্ধ্যা নামছিল। সূর্যটা দিকচক্রবালে হঠাৎ শান্তশিষ্ট হয়ে একটা লালচে বলের মত হয়ে শরতের ছড়ানো ছিটানো সাদা মেঘেদের লাল করে দিচ্ছিল। আসন্ন শীতের আভাস পেয়েই হয়তো ঠান্ডা হাওয়া বইছিল। কেউ যদি খুব ভালোভাবে লক্ষ করত তাহলে টের পেত সেদিনের সেই হাওয়ায় একটা চাপা শিরশিরানি ছিল। কখনো কখনো হঠাৎ আনমনে কারো শরীরের লোম দাঁড়িয়ে যাচ্ছিলো, কিন্তু এমন তো কত সময়েই হয় বলে এড়িয়ে যাচ্ছিল সকলে...কিন্তু তারা জানত না শকুনের সেই হলুদ দুটো চোখের কথা... সে বাতাসে গন্ধ পেয়েছিল বহুদুর থেকে অনেক আগেই।  উড়াল দিয়েছিল সে, তার শক্ত সবল কালো ডানা, শিবের কন্ঠে জড়ানো আশীবিষের মত সাদা গলা, বাঁকানো শক্তিশালী ঠোঁট তাকে আকাশে সাধারণের দৃষ্টিসীমার বাইরে রাখতে সক্ষম হত ততক্ষণ, যতক্ষণ না সে নিজের শিকার নির্দিষ্ট করত। এখন সে নির্দিষ্ট করেছিল শিকার...সে চোখ রেখেছিল সময়সারণিতে... তার বাঁকানো তীক্ষ্ণ ঠোঁট এবং দুপায়ের নখ তৎপর হয়ে উঠল আগামীর আঘ্রাণ পেয়ে... এবার... সে মৃত্যুছায়ার মত অনুসরণ করে যাবে তার শিকারকে... একটি বিরাট উঁচু তালগাছের উপর এসে বসল সে। দু ধারে ডানা ছড়িয়ে দিয়ে নিজের টেলিস্কোপিক নজ...

কাঁদে নিদারাবাদ

Image
১৯৮৭ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার নিদারাবাদ গ্রামে শশাঙ্ক দেবনাথ নামের এক দরিদ্র সনাতন ধর্মাবলম্বী হঠাৎই নিখোঁজ হয়ে যান।    তিনি কোথায় গেছেন, কেন গেছেন, কবে গেছেন কেউই জানেন না। পরিবার কিংবা গ্রামবাসী কেউই জানে না শশাঙ্ক কোথায় গেলেন। . তার প্রায় দু বছর পরের ঘটনা। ১৯৮৯ সাল তখন। শশাঙ্কের মতো এবার উধাও হয়ে গেলেন শশাঙ্কের গোটা পরিবারও। . একরাতের মধ্যেই হাওয়া সবাই। শশাঙ্কের পরিবারে ছিলেন তাঁর স্ত্রী এবং পাঁচ সন্তান।  গ্রামের মধ্যে রটে গেল মূলত শশাঙ্ক আগেই ভারতে চলে গেছে। দু বছর পর সুযোগ বুঝে স্ত্রী ও ছেলেমেয়েদেরকেও এখন নিয়ে গেছে। এখানেই সমাপ্ত হলো প্রথম অধ্যায়ে। . তার মধ্যে স্থানীয় কেউ কেউ দাবী করে বসলো শশাঙ্ক তাদের কাছে তাঁর বাড়িঘর ও জমিজমা বিক্রি করে চলে গেছে। এদের মধ্যে একজন ছিলেন পাশের গ্রামের কসাই তাজুল ইসলাম। তাজুল ইসলাম বললো যেহেতু শশাঙ্ক তার  জমির মালিকানা বুঝিয়ে দেয়নি সুতরাং এই জমি তার। একপর্যায়ে ঝগড়াঝাটি হলেও সময়ের ব্যবধানে তা একসময় মিটেও গেল। . গ্রামের লোকজন শশাঙ্ককে গালাগালি করে বলতে লাগলো, 'মালোউনের বাচ্চা, এক জমি তিনজনের কাছে বি...