Posts

গুরুচাঁদ চরিত পর্ব :- 94 যাদবের রাগাত্মিকা ভক্তি ও প্রভুর লোহারগাতী গমন

Image
শ্রীযাদব মহাভাগ প্রাণে গাঢ় অনুরাগ মনে ভাবে বৃথা মোর জীবন ধারণ। বাঞ্ছাপূর্ণ নাহি হ’ল প্রভু গৃহে নাহি গেল কোন পাপে এ ঘটিল বুঝিনা কারণ।। বিচরণ পাগলেরে ডেকে নিয়ে একান্তরে তার দু’টী করে ধরে আঁখি জলে ভাসি। পরাণে দারুণ ব্যথা, যাদব না বুঝিল তা মনে প্রাণে তাই ব্যথা হ’ল আর বেশী।। বলে শোন বিচরণ জানিস ত মোর মন কিবা ছাই ধন জন সব বৃথা মানি। প্রভু যদি নাহি গেল আমার মরণ ভাল মিছা সবে কেন বল কর টানাটানি।। জনমের মত তাই সকলে ছাড়রে ভাই দেশ ছেড়ে চলে যাই অচেনা বিদেশে। গুরু মোরে হ’ল বাম পূর্ণ নহে মনস্কাম বেঁচে কেন রহিলাম বল কা’র আশে? এক কথা বলি শোন পাগলা রে বিচরণ জানি তোরে গুরুধন করে বহু দয়া। তুই যদি জোর করে মোরে ঘরে নিস তাঁরে বুঝিব আমার পরে আছে তোর মায়া।।’’ এত বলি মহামতি চলি গেল শীঘ্রগতি মনে মনে ইতি উতি কত চিন্তা করে। যাদব মল্লিক যিনি নীরবে বসিয়া তিনি করে করে কর টানি যাদবেরে ধরে।। কল কল তরী চলে আসিয়া প্রকান্ড বিলে যাদব ডাকিয়া বলে যাদবের প্রতি। ‘‘বল মূঢ় বলে মোরে বিড়ালের পদ ধরে কেবা পায় কোথাকারে পরম রতন? তালতল...

গুরুচাঁদ চরিত পর্ব :- 93 শ্রীশ্রীগুরুচাঁদের লহ্মীখালী হইতে প্রত্যাগমন

Image
প্রভুর বচন রাশি যেন মধু-পোরা। নর নারী কেন্দে কেন্দে যেন জ্ঞান-হারা।। কাঞ্চন জননী প্রতি প্রভু ডাকি কয়। ‘‘বড় ক্ষিদে মাগো তুই খেতে দে আমায়।। নিষ্ঠুরা জননী তুই দয়া মায়া-হীনা। ক্ষিদে পেয়ে কান্দে ছেলে খেতে কি দিবিনা।। বালকের প্রায় প্রভু করিছে কাকুতি। তাহা শুনি কেন্দে ওঠে শ্রীকাঞ্চন সতী।। দ্রুত গতি ধায় মাতা রন্ধন শালায়। স্নান লাগি মহাপ্রভু রাহিরেতে যায়।। ভক্তগণে জনে জনে স্নান করি আসে। বিস্তৃত প্রাঙ্গণে সবে আহারেতে বসে।। উত্তরের ঘরে বসে প্রভু দয়াময়। স্বহস্তে কাঞ্চন দেবী অন্ন আনি দেয়।। স্বয়ং লহ্মী করিয়াছে অন্নাদি রন্ধন। তৃপ্তি সহকারে প্রভু করিল ভোজন।। প্রসাদ বাঁটিয়া দিল সভার ভিতরে। কেহ শিরে রাখে তাহা কেহ বক্ষে ধরে।। এই ভাবে প্রেমানন্দে মহোৎসব হল। মহাপ্রভু লহ্মীখালী রজনী বঞ্চিল।। অবিরাম করে নাম ভকতের দল। আনন্দে সবার চোখে ঝরিতেছে জল।। গোপালের খুল্লতাত নাম জয়ধর। সূহ্মজ্ঞানী ছিল তিনি বাক্যে তৎপর।। গোপালের মামা যার নাম সোনারাম। সেই মামা এই খুড়া তারা ছিল বাম।। প্রভুকে দেখিয়া দোঁহে ভাবে মনে মন। ‘‘এমন মানুষ ম...

গুরুচাঁদ চরিত পর্ব :- 92 পদ্মাবতীর বৃত্তান্ত

Image
কংশের জননী নাম সতী পদ্মাবতী। সত্যকেতু নাম তার পিতা মহামতি।। বিদর্ভ রাজ্যের রাজা সেই মহাশয়। ধর্ম্মপথে থাকি রাজ্য পালে সর্ব্বদায়।। মথুর রাজ্যের রাজা উগ্রসের নাম। মহাসুখে রাজ্য যেথা করে গুণধাম।। পরম রূপসী সেই সতী পদ্মাবতী। তাঁরে বিয়া কৈল উগ্রসেন নরপতি।। পত্মীসহ মহাতেজা করয় বিহার। পত্নীর চিন্তায় সদা চিত্ত মুগ্ধ তার।। এই ভাবে কিছু কাল যবে গত হয়। মনে মনে ভাবিলেন সত্যকেতু রায়।। বহুদিন কন্যা মুখ দেখি নাই চোখে। নাহি জানি কন্যা মোর কোন ভাবে থাকে।। পদ্মাবতী কন্যা আনি জুড়াব পরাণ। এতদিন তারে মনে করি নাই কেন।। পিতার নিকটে কন্যা বহু আদরিণী। মাতার নিকটে পুত্র সেই রূপ জানি।। পুত্র নিয়ে আছে সুখে পদ্মার জননী। কন্যার বিরহে পোড়ে এ পোড়া পরাণী।। পদ্মার জননী বলে ‘‘কন্যা বিয়া দিলে। পিতৃগৃহে রাখা মন্দ শাস্ত্রে ইহা বলে।। তবু মনে বলে কন্যা কিছু দিন তরে। অবশ্য রাখিব তারে এনে নিজ ঘরে।। কিছু কাল পরে কন্যা স্বামী গৃহে যাবে। আমার তাপিত প্রাণে পূর্ণ শান্তি হবে।। এত ভাবি সেই রাজা দূত পাঠাইল। দূত দিয়া উগ্রসেনে কহিতে লাগিল।...