Posts

গুরুচাঁদ চরিত পর্ব :- 66 ১৯১৪ খ্রষ্টাব্দ ও মহাসমর

Image
ইউরোপ মহাদেশে আছে বহু জাতি। জার্ম্মাণ তাহার মধ্যে দুর্দ্দান্ত যে অতি।। পূর্ব্বেতে জার্ম্মাণ দেশে বহু রাজ্য ছিল। প্রুশিয়া তাহার মধ্যে শ্রেষ্ঠত্ব লভিল।। এই রাজ্যে বিসমার্ক নামে একজন। শুভক্ষণে করিলেন জনম গ্রহণ।। তাঁহার চেষ্টার বলে ক্ষুদ্র রাজ্য যত। বৃহত্তর জার্ম্মাণীতে হ’ল পরিচয়। ‘জার্ম্মাণ সাম্রাজ্য’ বলি হ’ল পরিচয়। প্রুশিয়া রাজ্যের রাজা “কাইজার” হয়।। “কাইজার” কল্পনা করে পৃথিবী বিজয়। তলে তলে যুদ্ধ-অস্ত্র গোপনে সাজায়।। সলা পরামর্শ তেঁহ করে বিধিমতে। কোন মতে নাহি পারে যুদ্ধকে বাধাতে।। মনে মনে তার অঅর পূর্ব্ব দুঃখ ছিল। ফরাসী জাতির হাতে জার্ম্মাণী হারিল।। “আলসেস লোরেণ” নামে দুইটি প্রদেশ। ফরাসীরা করে নিল তাহাদের দেশ। অন্য বহু দুঃখ মনে জার্ম্মাণীর ছিল। “পৃথিবীর রাজা” হবে বাসনা করিল।। সেই লোভে ক্রমে ক্রমে যুদ্ধ সজ্জা করে। কেমনে বাধাবে যুদ্ধ ভাবিছে অন্তরে।। হেনকালে অষ্ট্রিয়ার যুবরাজ যিনি। সারভিয়া রাজ্য মধ্যে চলিলেন তিনি।। দৈবের নির্ব্বান্ধ যাহা তাহাই ঘটিল। যুবরাজ সেই রাজ্যে নিহত হই...

গুরুচাঁদ চরিত পর্ব :- 65 চক্রীয় চক্র ও ভক্তগণের অগ্নি পরীক্ষা

Image
প্রভুর ইচ্ছায় বাধা কেবা দিতে পারে? জাতির মঙ্গল তবে আনিল মীডেরে।। মীড যাহা বলে প্রভু সেই কাজ করে। ভাব যেন প্রভু করে আজ্ঞা অনুসারে।। আপনার কাজ প্রভু মীডে দিয়া। নর নারী কেহ তাহা পারেনা বুঝিয়া।। ওড়াকান্দী হা্ইস্কুল হইল গঠন। পরীক্ষার আজ্ঞা তথা পেল ছাত্রগণ।। দাতব্য চিকিৎসা হয় মীডের আবাসে। দলে দলে দীন দুঃখী তাঁর কাছে আসে।। মীডের ঔষধে গুণ সবে জানে তাই। স্নানাহার বন্ধ হলে আর রক্ষা নাই।। রোগ ব্যাধি দেশ মধ্যে যত কিছু হয়। প্রায়শঃ মীডের কাছে সবে ছুটে যায়।। মীডের ঔষধে যার রোগ সারে নাই। সবে বলে “তোর আর রক্ষা নাই ভাই।।” আশাহীন- সেই দীন আর কোথা যায়? শেষ-আশা গুরুচাঁদ, পড়ে তাঁর পায়।।”         পরম দয়াল বলে ‘কিবা তোর ভয়?” শ্রীমুখের আজ্ঞা মাত্রে রোগ সেরে যায়।। এবে শুন এক কথা সত্য পরিচয়। “টিকাদার” বংশ আছে ওড়াকান্দী গাঁয়।। সেই বংশে এক ব্যক্তি রোগে কষ্ট পায়। রোগ মুক্তি তরে গেল ডাক্তার খানায়।। বহু দিন ঔষধাদি করিল সেবন। কিছুতে সে রোগ নাহি হইল মোচন।। দিনে দিনে তনু ক্ষীণ খর...

গুরুচাঁদ চরিত পর্ব :- 64 গোস্বামী দেবীচাঁদের মতুয়া–ধর্ম্ম–বিস্তার

Image
শক্তি দিল গুরুচাঁদ শক্তিমন্ত দেবীচাঁদ প্রেমোন্মাদ হয়ে এল দেশে। যারে দেখে তারে কয় আয় সবে ছুটে আয় করিস কি তোরা সবে বসে? ওড়াকান্দী এল হরি ভক্তচাঞ্ছা-পূর্ণকারী চল সবে যাই তাঁর কাছে। এমন রতন ফেলে গৃহে রস কেন ভুলে ভুলে ভুলে দিন গেল মিছে।।” জনে জনে ঘরে ঘরে বলে সবে পরস্পরে “এ মানুষ হয়েছে পাগল। ছাড়িয়াছে ধন মান নাহি যেন বাহ্য-জ্ঞান মুখে শুধু বলে হরিবোল।। আগে মাথা ছিল ঠিক জ্ঞান ছিল দিগিদিক এবে দেখ বেহালের বেশ। ছাড়িয়াছে সে চাকুরী তুচ্ছ কহে টাকা কড়ি মুখে দাড়ি শিরে রাখে কেশ।।” কেহ বলে “শুন ভাই কিছু নাহি দিশে পাই কিবা গুণ ওড়াকান্দী আছে। ওড়াকান্দী গেলে পরে যেন কোন রোগে ধরে শুধু শুধু হরি বলে নাচে।। ছোঁয়াচে রোগের মত এই ভাব ক্রমে দ্রুত চলিতেছে দেশে-দেশান্তরে। কি যেন কপালে আছে হয়ত বা আমি পাছে মতো হব সেই মতো ধরে।।” এই সব কাণাকাণি হ’ল ক্রমে জানাজানি টানাটানি হ’ল নানাভাবে। কেহ ভাল কেহ মন্দ তর্কাতর্কি বাক্য-দ্বন্দ্ব করে সবে জ্ঞানের অভাবে।। নিন্দা কিংবা বন্দনায় দেবী নাহি কণা দেয় নিজ-মনে বলে হরিবোল। কেহ ক...

গুরুচাঁদ চরিত পর্ব :- 63 বীর সাধক মহাত্মা দেবীচাঁদ গোস্বামীর জীবন কথা প্রণতি

Image
প্রণাম চরণে দেব দেবীচাঁদ স্বামী। জ্ঞানে কর্ম্মে ধর্ম্মে সদা ভক্ত-শ্রেষ্ঠ তুমি।। মম গুরু শ্রীগোপাল তুমি তস্য গুরু। মম পক্ষে তাই তুমি বাঞ্ছা-কল্পতরু।। বালক বয়সে তোমা হেরেছি নয়নে। আজি কিন্তু দাদু তাহা নাহি মোর মনে।। পুত্র হতে পৌত্র নাকি হয় প্রিয়তর। তাই নিবেদন পদে রহিল আমার।। গুণ নাই জ্ঞান নাই নাহি ভক্তি লেশ। তবোপরে তবু মোর দাবী নহে শেষ।। এসোহে দয়াল দাদু! হৃদয় কন্দরে। গাহ হরি-গুণ-গীতি মধুময় স্বরে।। সেই ধ্বনি বিশ্বজনে করিব বন্টন। তব পরিচয় মোর সফল জীবন।। সুপুত্রের গুণে পিতা হয় পরিচিত। সকলে সুপুত্র তব ভুবন-বিদিত।। গোপাল বিপিন আর শ্রীতপস্বী রাম। নেপাল মাধব এরা সবে গুণধাম।। রত্নের আকর ছিল তোমার হৃদয়। তাই বিশ্বে দিয়ে গেলে রতন নিশ্চয়।। জহুরী সাজিয়া তুমি আনিলে জহর। শুদ্ধ শান্ত শক্তিমন্ত সাধুর বহর।। গুরুচাঁদ-রূপালোকে পতঙ্গের প্রায়। ঝাঁপ দিয়ে গুণনিধি ত্যজি সমুদয়।। আলোকের কণা তুমি তথা হতে নিলে। দাবানল সম তাহা সর্ব্বত্র ছড়ালে।। পাপ তাপ মায়া মোহ পুড়ে হল ছাই। গলিত-কাঞ্চন সম বহু ভক্ত পাই।। পতিত তরাতে ইচ্...