গুরুচাঁদ চরিত পর্ব :- 97 নিখিল বঙ্গ নমঃশূদ্র সম্মেলন বা খুলনা কনফারেন্স

তের শত চৌদ্দ সালে অসাধ্য সাধন বলে নমঃশূদ্রে রাজকার্য্য পায়। শ্রীগুরু চাঁদের সুত শশীবাবু অগ্রদূত পরে পরে আর সবে ধায়।। কুমুদ বিহারী ধন্য ‘ডেপুটি’ পদের জন্য উচ্চ আশা মনে ছিল তাঁর। ‘‘স্বদেশী ভাবনার্যস্য’’ সুফল ফলে অবশ্য মনে প্রাণে ভাবে বারে বার।। ওড়াকান্দী গুরুচাঁন্দে বিনয়ে চরণ বন্দে মনোগত কথা তাঁরে কয়। গুরুচাঁদ বল দিয়ে মীডের সাহায্য নিয়ে মনস্কাম তাঁর পূর্ণ হয়।। আর যাঁরা ছিল সাথ মোহন আর সাধানাথ অন্যজন নাম সিদ্ধেশ্বর। রাজ কার্য্য সবে পায় সবে ধন্য ধন্য কয় নমঃ জাতি হইল উদ্ধার।। জাতি গ্রাণে পে’ল বল যতনমঃশূদ্র বল দুর্ব্বলতা ফেলে দিল দুরে। জাতির শিক্ষার তবে প্রভু বলে বারে বারে তত্ত্ববোঝে এতকাল পরে।। পড়িল শিক্ষার সাড়া সব নমঃশূদ্র পাড়া বিদ্যুৎ তরঙ্গ যেন ছোটে। পঞ্চদশ বর্ষ মধ্যে নমঃশূদ্র আনে সাধ্যে শিক্ষা সঙ্গে রাজনীতি বটে।। জাতি তরে আন্দোলন করে কত সম্মেলন সারা বঙ্গ জুড়ি ঢেউ চলে। যত কিছু আন্দোলন যত হয় সম্মিলন গুরুচাঁদ সকলের মূলে।। তেরশ’ তিরিশ সালে নমঃশূদ্র সবে বলে ‘‘নমঃশূদ্র যত আছে...