Posts

Showing posts from September, 2020

গুরুচাঁদ চরিত পর্ব :- 97 নিখিল বঙ্গ নমঃশূদ্র সম্মেলন বা খুলনা কনফারেন্স

Image
তের শত চৌদ্দ সালে অসাধ্য সাধন বলে নমঃশূদ্রে রাজকার্য্য পায়। শ্রীগুরু চাঁদের সুত শশীবাবু অগ্রদূত পরে পরে আর সবে ধায়।। কুমুদ বিহারী ধন্য ‘ডেপুটি’ পদের জন্য উচ্চ আশা মনে ছিল তাঁর। ‘‘স্বদেশী ভাবনার্যস্য’’ সুফল ফলে অবশ্য মনে প্রাণে ভাবে বারে বার।। ওড়াকান্দী গুরুচাঁন্দে বিনয়ে চরণ বন্দে মনোগত কথা তাঁরে কয়। গুরুচাঁদ বল দিয়ে মীডের সাহায্য নিয়ে মনস্কাম তাঁর পূর্ণ হয়।। আর যাঁরা ছিল সাথ মোহন আর সাধানাথ অন্যজন নাম সিদ্ধেশ্বর। রাজ কার্য্য সবে পায় সবে ধন্য ধন্য কয় নমঃ জাতি হইল উদ্ধার।। জাতি গ্রাণে পে’ল বল যতনমঃশূদ্র বল দুর্ব্বলতা ফেলে দিল দুরে। জাতির শিক্ষার তবে প্রভু বলে বারে বারে তত্ত্ববোঝে এতকাল পরে।। পড়িল শিক্ষার সাড়া সব নমঃশূদ্র পাড়া বিদ্যুৎ তরঙ্গ যেন ছোটে। পঞ্চদশ বর্ষ মধ্যে নমঃশূদ্র আনে সাধ্যে শিক্ষা সঙ্গে রাজনীতি বটে।। জাতি তরে আন্দোলন করে কত সম্মেলন সারা বঙ্গ জুড়ি ঢেউ চলে। যত কিছু আন্দোলন যত হয় সম্মিলন গুরুচাঁদ সকলের মূলে।। তেরশ’ তিরিশ সালে নমঃশূদ্র সবে বলে ‘‘নমঃশূদ্র যত আছে...

গুরুচাঁদ চরিত পর্ব :- 96 যাদবের ওড়াকান্দী গমন ও শ্রীশ্রীগুরুচাঁদের চতুর্ভুজ মুর্তি দর্শন

Image
তারকের সঙ্গে সঙ্গে যাদব আসিল। শ্রীধাম ওড়াকান্দী আসি পঁহুছিল।। বারুণীর তীর্থক্ষেত্রে শান্তির আশায়। দলে দলে কত লোক আসিতেছে হায়।। দিকে দিকে শোনা যায় সোর শব্দ গোল। আর কিছু নয় শুধু ‘‘বল হরিবোল।।’’ প্লাবনে বন্যার স্রোতে যথা বারি ধায়। ধাম প্রতি সেই মত সবে ধেয়ে যায়।। শ্রীধামের প্রতি যত হ’ন অগ্রসর। গোস্বামীর ভাবে ক্রমে ঘটে ভাবান্তর।। অবিরল নেত্র জল বক্ষ বাহি ধায়। ভাবের তরঙ্গে যেন ঢলে পড়ে যায়।। মনে হয় এইবার হইবে পতন। প্রতিবারে সে যাদব করেন ধারণ।। প্রেমের আগুণে যারা তারকের প্রাণ। আরো জ্বলে শ্রীধামের যত কাছে যান।। তারকের পরশনে যাদবের দেহ। অসাড় অবশ যেন করি দিল কেহ।। কেটে যেন গেল তার নয়নের ঘোর। কেহ যেন কোন দুঃখে প্রাণ হ’ল ভোর।। এই ভাবে ক্রমে তবে ধামে উপস্থিত। যাদবের চিত্ত হ’ল প্রেমে পুলকিত।। সাষ্টাঙ্গ প্রণাম করি ধুলিতে পড়িল। দয়া করে সে তারক তাহারে ধরিল।। ডাক দিয়া যাদবেরে গোস্বামীজী কয়। ‘‘মানুষ দেখিবি যদি মোর সাথে আয়।।’’ এত বলি করে ধরি টানিয়া চলিল। শ্রীগুরুচাঁদের ঠাঁই উপস্থিত হল।। তারক সাষ্টাঙ্গে তাঁ...

গুরুচাঁদ চরিত পর্ব :- 95 শ্রীমৎ যাদব চন্দ্র গোস্বামীর জীবন কথা

Image
ধন্য শ্রীযাদবচন্দ্র গোস্বামী সুজন। নত শিরে কর জোড়ে বন্দিনু চরণ।। রসরাজ শ্রীতারক যাঁরে কৃপা করে। মোর শক্তি নাহি তাঁর গুণ বর্ণিবারে।। যশোহর জিলা মধ্যে কালিয়া থানায়। লোহারগাতীর গ্রামে শুভ জন্ম হয়।। বার শত আশি সাল মাসেতে কার্ত্তিক। শুভ ক্ষণে জন্ম হ’ল জ্ঞানের প্রতীক।। নমঃশূদ্র কুলে জন্ম বংশেতে প্রধান। ঢালী বংশ অবতংস অতি গুণবান।। বাল্যকালে বাংলা মতে করে অধ্যয়ন। বড়ই মেধাবী ছাত্র যাদব সুজন।। যাহা শুনে যাহা পড়ে সব মনে থাকে। ‘শ্রুতিধর’ বলি তারে ছাত্রগণে ডাকে।। বাংলা শিক্ষা শেষ হলে সেই মহাভাগ। বিদ্যা শিক্ষা পাঠ তবে করিলেন ত্যাগ।। পিতার আদেশে তেঁহ সংসারে পশিল। বুদ্ধি গুণে অল্প দিনে উন্নতি করিল।। বয়সে যুকব বটে জ্ঞানেতে প্রবীণ। জ্ঞানী বলি মান্য তাঁর আছে চিরদিন।। এই ভাবে যবে চলে সেই মহাশয়। শ্রীতারকচাঁদের নাম শুনিবার পায়।। কালিয়া নামেতে গ্রাম বেশী দূরে নয়। তথাকারে রসরাজ হলেন উদয়।।   যাদব চলিল তথা পরম কৌতুকে। ইচ্ছা তার গান শোনে মনের পুলকে।। গান শুনি মূর্ছাশো গেল যাদব সুজন। ধীরে ধীরে পরে গৃহে করিল গম...